আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপক চাহিদা আছে। দেশের সরকারি বেসরকারি সব ইউনিভার্সটি তে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট আছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আমাদের কৌতুহল এর যেনো শেষ নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে স্যালারি কেমন হবে? ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাংলাদেশে মার্কেট কেমন? ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বের হলে জব পাওয়া যাবে কিনা। ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য যেখানে প্রায় অর্ধেক বেকার থাকে,সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং এ কোন সাবজেক্টে স্যালারি সব থেকে বেশি এমন প্রশ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
এইচএসসি পাস করার পরেও অনার্স ভর্তির সময় আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের দুইটি মেজর কনফিউশন থাকে।
বেসিক্যালি অনেকগুলো কনফিউশন থাকে তবে আজকের ব্লগে আমরা শুধু দুইটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
একটা হচ্ছে কোন সাবজেক্টে তার পড়া উচিত আরেকটা হচ্ছে কোন সাবজেক্টে পড়লে তার সেলারি অনেক বেশি হবে।
সোসিও-ইকোনমিক কারণে এই যে সেলারি কোন সাবজেক্টে পড়লে বেশি হবে সেটি জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এখন ব্যাপার হচ্ছে যে অনেকেই আমার কাছে যখন জিজ্ঞাসা করে কোন সাবজেক্টে পড়লে সেলারি সব চাইতে বেশি হবে।
কোন সাবজেক্ট এ গ্রাজুয়েশন করলে স্যালারি বেশি হবে এটি কিন্তু এক কথায় বলা সম্ভব হয়না।
তাই এই ব্লগটি লেখা শুরু করছি,যেখানে আমি কথা বলব যে কোন সাবজেক্টে পড়লে আসলে সেলারি অনেক বেশি হবে।
পাশাপাশি কোন সাবজেক্টে পড়া আসলে উচিত।
যখন কেউ আমার কাছে জানতে চাইবে তখন আমি আমার এই ব্লগের লিংক তার কাছে শেয়ার করব।
তবে এই ব্লগে আমি কোনোভাবেই কোনো স্পেসিফিক সাবজেক্টকে এর কথা বলবো না এমনকি আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বলতে পারি এটা কেউ ই বলতে পারবে না
তাই আপনি যদি একেবারে বেশি মাইন্ড সেটাপ হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্লগটি এখন থেকেই দেখা বন্ধ করতে পারেন।
এই ব্লগে মেইনলি আমি এক্সপ্লেইন করব যে স্যালারি ব্যাপারটি কিভাবে আমাদের কনসিডার করা উচিত।
পাশাপাশি কোন সাবজেক্টে পড়া উচিত এবং সেটা কিভাবে আমাদের কনসিডার করা উচিত।
কম্পিউটার সায়েন্স পড়লেও যা যা করতে পারবেন না!
এবার চলুন মূল ব্লগ শুরু করা যাক।
ইউনিভার্সটির মার্কেটিং স্টান্টঃ
আমাদের দেশে অনার্স পাশ করার পর বেশিরভাগ ছেলেই কিন্তু বেকার থাকে।
এই কথাটি আমি কিন্তু একেবারেই আন্দাজে বলছি এমন না।
আমাদের ৪৭ থেকে ৪৯ শতাংশ গ্রাজুয়েট হচ্ছে বেকার,ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন আমাকে এটাই বলে। আমার ধারণা এটি এখন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
এইযে বেশিরভাগই স্টুডেন্ট বেকার থাকে এটা কিন্তু কখনোই হাইলাইটের হয়না বরং কেউ একজন যদি ভালো করে সেটি নিয়েই বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটিগুলো মার্কেটিং করে থাকে।
চলুন আমি আপনাদেরকে একটি এক্সাম্পল দিয়ে বুঝিয়ে দেই।
ধরুন কোন একটি ইউনিভার্সিটি তে ২০ বছর ধরে সিএসই ডিপার্টমেন্টে রয়েছে।
২০ বছরের বিশ হাজার গ্রাজুয়েট বের হয়েছে যার মধ্যে হয়তো ১০০ থেকে ২০০ জন গ্রাজুয়েট ভালো পজিশনে চাকরি করছে।
এই যে বাকি ১৮০০০ বেকার স্টুডেন্ট রা কিন্তু ইউনিভার্সিটি কখনোই কারো সাথে কোন কথা বলছে না।
বা নর্মালই যে বেকার থাকেন তিনি কিন্তু কখনোই নিজেকে হাইলাইটেড করেন না।
সে ক্ষেত্রে কি হচ্ছে,যখন আরেকজন স্টুডেন্ট একেবারেই বাচ্চা একটা স্টুডেন্ট এইচএসসি পাস করেছে সে যখন চিন্তা করে যে অমুক একটা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০০ স্টুডেন্ট চাকরি করছে।
তখন কিন্তু সে লাফায় লাফায় ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়েছে।
আবার ধরুন এই দুই হাজারের মধ্যে একজন ফেসবুকে জব পেয়েছে কিংবা গুগোল এ জব পেয়েছে তখনো ইউনিভার্সিটিগুলো কিন্তু ওই এক থেকে দুইজন কে হাইলাইট করে থাকে।
এরকমভাবে ইউনিভার্সিটিগুলো সবাইকে ম্যানিপুলেট হয়ে থাকে।
এটি অবশ্য তাদের একটি মার্কেটিংয়ের মেথড মার্কেটিং করতে হলে এভাবে মার্কেটিং করতে হয়।
তবে যখন স্টুডেন্ট হিসেবে ভর্তি হয়েছেন তখন অবশ্যই আপনার এটা বোঝা উচিত যে গ্রাজুয়েশন করার পরে কেউ আপনাকে জব গ্যারান্টি দিবে না।
এ ক্ষেত্রে যে ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করেন না কেন ইউনিভার্সটি আপনাকে জব গ্যরান্টি দিবে না।
কোন সাবজেক্ট বা ইউনিভার্সটি তে পড়া উচিৎঃ
ইউনিভার্সিটি কিভাবে সিলেক্ট করবেন সে ব্যাপারে আমি অলরেডি একটি ভিডিও বানিয়েছি সেটি আমার ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া রয়েছে আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন।
কোন সাবজেক্টে পড়া উচিত আমার ইউটিউব চ্যানেলে অনেকগুলো ভিডিও রয়েছে কম্পিউটার সাইন্সে পড়া উচিত কি না সেগুলো নিয়েও আমি কথা বলেছি।
স্যালারি কোন সাবজেক্ট এ বেশিঃ
কোন সাবজেক্ট এ পড়াশুনা করবো এই টপিক নিয়ে আর কথা না বলে বরং স্যালারি নিয়ে কথা বলবো।
যে কোন সাবজেক্টে পড়লে আসলে আপনার স্যালারি বেশি হবে বা কোন সাবজেক্টে আসলে আপনার পড়া উচিত।
প্রথম কথা হচ্ছে যে একটা সাবজেক্টে পড়লে যে স্যালারি হবে এটিও কিন্তু এটি আপনাদেরকে একটু ভেঙে ভেঙে বুঝাতে হবে।
ধরুন কয়েকজন কম্পিউটার সাইন্স গ্রাজুয়েট বের হয়েছে।
এর মধ্যে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,একজন হয়েছে মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার অন্যদিকে আরেকজন হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং বা কনটেন্ট রাইটার।
যে কারনে চোখ বন্ধ করে সিএসই তে ভর্তি হতে পারেন!
এখন এই যে কম্পিউটার সায়েন্স পড়াশুনা করে ডিজিটাল মার্কেটিং হয়েছে তার তাদের স্যালারি রেঞ্জ থেকে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর স্যালারি রেঞ্জ কিন্তু একটু হলেও বেশি।
আবার যে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার থেকে মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার তার কিন্তু স্টার্টিং স্যালারি টা একটু বেশি।
আমি কিন্তু এখানে রেসিজম প্রমোট করছিলাম বরং আমি আপনাদেরকে একটি ইন্সাইটফুল ইনফর্মেশন দেয়ার চেষ্টা করছি
ডেফিনেটলি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার বা ডিজিটাল মার্কেটার সবাই কিন্তু ভালো,সবাই কিন্তু চাকরি করছে।
কিন্তু নরমালি জব ন্যাচার একজন মানুষ ডিজিটাল মার্কেটে যাচ্ছে বা টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটিং এ যাচ্ছে।
তার স্যালারি থেকে যিনি মেশিন লার্নিং এর জব করছেন তার স্যালারি টা একটু হলেও বেশি।
এবারে আপনি আমাকে বলুন যখন আপনি কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ার পর আপনার সেলারি কেমন হবে?
তাহলে কিভাবে আমি আপনাকে স্পেসিফিক ভাবে উত্তর দিব। আমার পক্ষে কিন্তু এই উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।
আপনি যে সাবজেক্টে পড়েন না কেন পড়ার পরে আপনি কোন ক্যাটাগরিতে জব করছেন সেটার উপর ডিপেন্ড করবে যে আপনার সেলারি কেমন হবে।
আরেকটু আমাকে ব্যাখ্যা করতে হবে যে,ধরেন আপনার দুইজন ফ্রেন্ড মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি শুরু।
তার মধ্যে একজন হয়তো একেবারে টপ কোম্পানিতে অথবা মেশিন লার্নিং এর একটি টপ কোম্পানিতে জব করলো এবং আরেকজন হয়তো স্টার্ট আপ টাইপ অফ কোম্পানিতে জব দিল।
তাহলে যে স্টাবলিশ কোম্পানিতে জব নিল তার স্যালারি কিন্তু বেশি হবে।
আবার যে স্টার্ট আপ টাইপ অফ কোম্পানিতে জব নিলো,ওই স্টার্টআপ যদি ফাউন্ডারাইজ করে তাহলে তার স্যালারি কিন্তু স্টাবলিশ কোম্পানি থেকে অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে।
সুতারাং স্পেসিফিকভাবে কোনভাবেই বলা সম্ভব নয় যে গ্রাজুয়েশন করার পরে আপনার সেলারি কেমন হবে
তবে আমাদের দেশে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অথবা ওয়েব ডিজাইনারদের সেলারি কেমন সেটার একটা রেঞ্জ রয়েছে।
সেই রেঞ্জ দিয়ে আমরা আইডিয়া করতে পারি এবং এই বিষয় নিয়ে আমি অলরেডি আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও দিয়েছি যেগুলো আপনি এখানে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং এ কোন সাবজেক্ট ভালো হবেঃ
এবারে আপনি হয়তো আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে আপনি কম্পিউটার সাইন্স করবেন নাকি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্যালারি বেশি হবে নাকি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে আপনার স্যালারি বেশি হবে নাকি অন্য কোন সাবজেক্টে বেশি হবে।
এই ক্ষেত্রে আমার সাজেশন হচ্ছে আপনি যে সাবজেক্টে পড়েন না কেন ইনিশিয়ালি কিন্তু আপনার সেলারি খুব একটা কম বেশী হবেনা।
ইনিশিইয়ালি আপনি যেই স্টেজ থেকে শুরু করবেন সেই স্টেজের অ্যাক্ট্রেস থাকবে।
সেটি টুয়েন্টি হতে পারে,সেটি হতে পারে ফোরটি,সেটি হতে পারে সিয ডিজিট অথবা বেশি। জব শুরু করার পরে আপনার সেলারি আস্তে আস্তে ইনক্রিমেন্ট হতে পারে।
ইঞ্জিনিয়ারিং এ আপনি কোন সাবজেক্ট এ পড়বেনঃ
সাবজেক্ট চয়েজ করার সময় আপনার দুইটি জিনিস আপনার জন্য স্ট্রেটফরওয়ার্ড রুলস।
একটা হচ্ছে যদি “আপনার কনফিউশন থাকে তাহলে আপনি কোনোভাবেই কম্পিউটার সায়েন্স পড়বেন না”
কারণ কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার জন্য আপনার কনফিউশনে থাকা যাবে না,এখানে আপনার ডেডিকেটেড হতে হবে,যেকোনো মূল্যে সাকসেসফুল হওয়ার জন্য আপনার একটা প্যাশন থাকতে হবে।
আপনার মধ্যে প্রবলেম সলভ করার মত একটা প্যাশন থাকতে হবে,তাহলে কম্পিউটার সাইন্সে আপনি ভালো করতে পারবেন।
সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্য পার্থক্য কি?
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে যদি “আপনার এরকম চাপ থাকে যে গ্রাজুয়েশন করার পর আপনার ইমিডিয়েটলি চাকরি লাগবে।
গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরপরই আপনার ইমিডিয়েটলি চাকরি না হলে আপনার সংসার ভেসে যাবে আপনার ফ্যামিলির উপর বিশাল চাপ পড়বে
এক্ষেত্রে আপনার এক্ষেত্রেও আপনার কম্পিউটার সায়েন্স করা উচিত নয়”
কারণ কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে আপনি যে একেবারে বের হওয়ার সাথে সাথে জব পাবেন এর কিন্তু কোনো গ্যারান্টি নেই।
আমি এই ব্লগের একেবারে শুরুর দিকে বলেছি যে আমাদের দেশের অধিকাংশ লেখা থাকে যেটি কখনোই আমরা কখনো আপনার সামনে নিয়ে আসতে পারি না।
কিন্তু স্ট্যাটিস্টিক দেখুন যে ৪৮% আমাদের দেশে বেকার যেটি আপনি ইমাজিন ও করতে পারবেন না।
আমার ধারণা যদি আমরা টেক ইন্ডাস্ট্রি দিকে তাকাই এখানে এই বেকারের সংখ্যা বেশি হবে।
টেক ইন্ডাস্ট্রি আমি নেগেটিভ রিভিউ দিচ্ছিনা কিন্তু এই ইন্সাইটফুল তথ্যগুলো আপনাদের জানা দরকার।
বিশেষ ভাবে যারা এইচএসসি পাশ করেছেন অনার্স করতে চান তাদের জন্য এটি একান্তই জানা দরকার।
এখন অনার্সের সাবজেক্ট সিলেক্ট করার জন্য কম্পিউটার সাইন্সের ব্যাপারে তো স্ট্রেটফরওয়ার্ড রুলস আমি বলে দিলাম।
অন্য সাবজেক্ট এর ক্ষেত্রে কি করবেন?
আপনার কাছে যদি মনে হয় কোন একটা সাবজেক্টে আসলেই আপনার ইন্টারেস্টেড আছে সেই সাবজেক্ট এ আপনি সাথে সাথে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।
সেটি সেটি ত্রিপোলি হতে পারে,সেটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হতে পারে,সেটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হতে পারে।
এনি সাবজেক্ট এটা আপনার পছন্দের সেটাকে পড়তে পারেন।
যে সাবজেক্টে পড়েন না কেন মনে রাখবেন বাংলাদেশের অনার্স লেভেলের যে সাবজেক্টগুলো পড়ানো হয়,সবগুলো সাবজেক্ট এর ইমেজ অফ ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে।
একটা ব্যাপার আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি যে
আমাদের দেশে হোক অথবা বিদেশে সব জায়গায় কিন্তু আগে কর্মক্ষেত্র তৈরি হয় তারপরে সেই সাবজেক্টে ইন্ট্রোডিউস করানো হয়।
তাই আপনি যদি কোন সাবজেক্টে ভালো করে পড়াশোনা করেন তাহলে জব নিয়ে আমাদের দেশে আপনার আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে না।
এবারে ধরেন আপনি কোনোভাবেই ঠিক করতে পারছেন না যে কোন সাবজেক্টে আপনার আসলে ইন্টারেস্ট রয়েছে।
আর যদি অন্য কোন সাবজেক্টে পড়তে চান তাহলে একটু ক্রিয়েটিভ কোন একটি সাবজেক্টে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন।
যখন আপনি অনার্স এর সাবজেক্ট সিলেক্ট করবেন তখন কোনোভাবেই এটা দেখবেন না যে ওই বড় ভাই বিশাল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,সো লেট মি রিড অন কম্পিউটার সায়েন্স,এটা কখনোই করবেন না।
আপনি আপনার দিক থেকে চিন্তা করুন আপনার দিকে চিন্তা করার পর যে সাবজেক্টে আপনার নিজের ভালো লাগে সেই প্রজেক্টে আপনি ভর্তি হতে পারেন।
অনার্স ভর্তির সময় সেলারি বা কোন সাবজেক্টে সাবজেক্ট এর ফিউচার ভালো এটা কিন্তু আমাদের মাথার ভেতরের বিষয় কিন্তু যে সাবজেক্টে আপনি অনার্স করবেন সেই সাবজেক্টে আপনার ইন্টারেস্ট রয়েছে কিনা।
আর আপনি অলরেডি যদি কোন সাবজেক্টে ভর্তি হয়ে থাকেন এবং এই এই ব্লগ পড়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য পরামর্শ হচ্ছে।
যে সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছেন সেখানে আপনি ভালো করার চেষ্টা করুন,সেখানে যদি আপনি ভালো করতে পারেন তাহলে জব নিয়ে আপনার আলাদা ভাবে চিন্তা করতে হবে না।
আপনি যেই লাইনে পড়াশোনা করুন এখন ওদের কাছে যতই প্রশ্ন করুন না কেনো,
যদি আপনার কোয়ালিটি থাকে,যদি আপনি আসলে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনার চাকরি নিয়ে আলাদা ভাবে চিন্তা করতে হবে না।
আর যদি আপনি চাকরি পান তাহলে বছরে বছরে কিন্তু আপনার সেলারি বাড়তে থাকবে এবং একটা সময় আপনার সেলারি সিক্স অর সেভেন ডিজিত হয়ে যেতে পারে।
যদি আপনার এরপরেও সাবজেক্ট নিয়ে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে অথবা পার্সোনাল ফিন্যান্স বা কম্পিউটার সায়েন্স অথবা ক্যারিয়ার নিয়ে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এই ব্লগে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।