Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the blog-prime domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6121
নিরাপদ ফিউচার কে গুরুত্ব দিয়ে মানুষ টা হাড়িয়ে ফেলি | Galib Notes

নিরাপদ ফিউচার কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমরা মানুষ টা হাড়িয়ে ফেলি!

কমিউনিকেশন টেকনলোজির উন্নতির ফলে, মানুষের সাথে এটাচ হওয়া এখন আমাদের খুবই সহজ হয়ে গেছে। আমরা এখন ফ্রিতে, একবারে কাওকে না জানিয়ে একটা সম্পর্কে চলে যেতে পারি।

এখনকার সময়ে আমরা শুধু ফোন ব্যাবহার করে সম্পুর্ন ফ্রিতে, ঝামেলা বিহীন ভাবে কমিউনিকেশন চালিয়ে যেতে পারি।

এ কারনেই, আমাদের এখন একটা সম্পর্কে যেতে তেমন সময় লাগে না। বাছ-বিচার করা লাগে নাহ। চিন্তা ভাবনা করতে হয় না। আমাদের এখন অফুরন্ত অপশন।

এই সুযোগ নিয়ে যারা স্বপ্ন দেখায়, আর স্বপ্ন কেড়ে নেয়! যারা পরিবারের বাইরে এসে সম্পর্ক শুরু করে, পরিবার কে সামনে এনে স্বপ্ন কেড়ে নেয় তাদের নিয়ে এই ব্লগ।

যারা এতিম থেকে সম্পর্কে যুক্ত হয় আর সম্পর্ক হয়ে গেলে যাদের বাবা-মার কথা মনে পরে তাদের জন্য এই ব্লগ।

এখনে, সম্পর্কের ব্যাপার গুলো নোংরা ভাবে কাটা-ছেড়া করা হয়েছে। এখানে তিতা সত্য গুলো সামনে আনা হয়েছে। এই কথা গুলো আপনার ভালো লাগার কোন সুযোগ নেই, তাই ব্লগ এর বাকী অংশ না পড়াই বেটার হবে।

সমস্যা শুরু হয় কিভাবে?

আপনি যখন একটা সম্পর্ক শুরু করেন তখন কি বাবা-মা এর কথা চিন্তা করেন? নাহ! করেন না। তখন তো আপনি এতিম থাকেন। আপনি চান কেউ আপনাকে খুব কেয়ার করুক।

আপনি যখন দেখেন, একটা ছেলে আপনাকে ১২ ঘন্টায় ২৪ বার খোজ নিচ্ছে, আপনি তখন চিন্তা করেন, বাহ, ভালোই তো। আপনি রুম দেন। সুযোগ দেন, ডমিনেট করেন। আপনি সম্পর্কে যুক্ত হন। আপনার পরিবার, বাবা-মা কেউ থাকে না তখন। বড় ভাই মেনে নেবে কি না সেটা আপনার মাথায় থাকে না।

এই ব্যাপারটি ছেলেদের ক্ষেত্রেও হয়। সম্পর্কের শুরু তে দেখেন মেয়ে কত সুন্দরী। মেয়ে কি নিয়ে ডেট করা যাবে কি না। বন্ধুদের সামনে বুক ফুলিয়ে কথা বলা যাবে কি না।

আপনার আম্মা থাকে না তখন। আপনার সোস্যাল স্টাটাস থাকে না।

তার পর কি হয়? বাস্তবতা সামনে আসে। পরিবার থেকে বিয়ের চাপ আসে।

আপনি তখন নির্লজ্জ্বের মত মেসেজ দেন, আমি তো রাজি না, বাসা থেকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে! বাহ, কি সুন্দর এক্সকিউজ।

আমি তো রাজি না, কিন্তু ভাইয়া মানবে না।

আমি তো রাজি নাহ, আমি তোমাকেই চাই! কিন্তু বাসায় মানছে না। তোমার তো চাকরি হয় নি এখনও!

কেস স্টাডি ০১ঃ

সম্পর্কের শুরু থেকে লিয়া জাহান খুবই লয়াল। সে ফারুক এর সাথেই থাকে, অন্যদের পাত্তাও দেয় নাহ। পাবলিক প্লেস এ সে ফারুক এর হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়। ফেজবুকে শত শত ছবি পোস্ট করে।

ফারুক তার জন্য দিওয়ানা। যা করার নয় তাই করে। কারন ফাউক জানে, দুনিয়া উলটে গেলেও লিয়া শুধু তার।

এর পর সময় আসে! লিয়া জানায় বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ আসছে। কিন্তু সে ফারুক এর কথা বলে দিয়েছে। ফারুক কে ছাড়া সে কাওকে বিয়ে করবে না জীবনে সেটা বাড়িতে জানিয়ে দিছেন।

লিয়া কিছুদিন পর জানায়, বাসায় মানে নি। সে রাজি না কিন্তু জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। ফারুকের মাথায় কোন ভাবেই অংক মিলে না। এটা ক্যামনে সম্ভব। ফারুক পাগল প্রায়।

ফারুক একটু খোজ নেয়ার চেষ্টা করে। খোজ নিয়ে যা জানে, সেটা শুনে সে সোজা আত্নহত্যা করে বসে।

ফারুকের নোট থেকে জানা যায়, লিয়া বাসায় ফারুকের ব্যাপারে কিছু বলে নি। শুধু বিয়ে করবে না সেটার আপত্তি জানিয়েছিল সামান্য। কিন্তু ছেলের বর্তমান অবস্থা দেখে সে রাজি হয়ে যায়।

আরেকটা ব্যাপার, লিয়া শুরু থেকে ফেজবুকের যে একাউন্ট এ ছবি পোস্ট দিত, সেটায় তার ফ্যামিলির কেউ ছিল নাহ। আর ফ্যামিলির সবাই যে আইডিতে সেখানে ফারুক কে ব্লক করে রাখা!

কেইস স্টাডি ০২ঃ

লিয়া এবং ফারুক একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী! পরিচয় থেকে প্রনয় হতে বেশি সময় লাগে না। লিয়ার আগের সম্পর্কের ব্যাপারে শিকারক্তি মুলত ফারুক কে, লিয়ার প্রতি দুর্বল করে দেয়। ফারুক ভাবতে থাকে, এত কিছুর পরও যে মেয়ে আগের সম্পর্ক লুকায় নি, বা তাদের কোন দোষ দেই নি, সেই মেয়ে নিশ্চই খারাপ হতে পারে না।

লিয়া থাকে উত্তরা আর ফারুক মীর পুর। সম্পর্ক শুরু করার পর ফারুক স্বপ্নের মত ভাবতে থাকে। লিয়া তার জন্য রান্না করে আনে। বাসা পর্যন্ত গল্প করতে করতে যায়। ভার্সিটিতে সারাক্ষন এক সাথে থাকে।

সম্পর্ক শুরুর পর লিয়ার ব্যাপারে প্রচুর অভিযোগ আসতে থাকে। ফারুক পাত্তা দেয় না। ফারুক এর একই কথা, লিয়া যা বলবে সেটাই সত্য। লিয়া গোপনে একাধিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে।

লিয়ার একটা ব্যাপার হচ্ছে, সে ফারুক কে কোন মেয়ের সাথে মিশতে দেয় না। সোস্যাল মিডিয়াতে এঙগেজেড হতে দেয় না। প্রায়ই ফেজবুক চেক করে। কিন্তু সে নিজের ফোনে লক দিয়ে রাখে। ফেজবুক চেক করতে দেয় না। এমনকি ফেজবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেয় না। ছবিও পোস্ট করে না।

ফারুক অন্ধের মত লিয়াকে বিশ্বাস করে স্বপ্ন দেখে যায়। আর লিয়া সেটার সুযোগ নিয়ে ফারুক কে ব্যাবহার করতে থাকে।

কেইস স্টাডি ০৩ঃ

আমার কেন যেন মনে হয়, একজন মানুষ যদি মন থেকে চায়, সিদ্ধান্তে অটুট থেকে, কারও সাধ্য নেই জোর করে বিয়ে দেয়ার! না বাবা-মা, না সমাজ, না প্রতিবেশি, কেউ দায়ি নয় আপনার অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার জন্য।

প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য, অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার জন্য আপনি দায়ি। জ্বী, আপনি নিজেই দায়ি। আপনি সেই মানুষ যে অন্য কাওকে বিয়ে করেছেন!

আমরা একটা নিরাপদ ফিউচার চাই! আর নিজেদের নিরাপদ ফিউচার এর চিন্তা করে, স্বপ্ন দেখানো মানুষটিকে আস্তে করে অনিশ্চিত ভবিশ্বতে আছড়ে ফেলি!

আইওটিএ ইন্টারভিউ Previous post আইওটিএ ইন্টারভিউ এক্সপেরিয়েন্স ২০২০
Next post যে কারনে ২০২১ সালে কম্পিউটার সাইন্স পড়া উচিৎ নয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ