ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার হতে পারে একটি আদর্শ ক্যাটাগরি যদি প্রোগ্রামিং ছাড়াও সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি তে জব করতে চান,অথবা প্রোগ্রামিংকে প্রচন্ড প্রকার ভয় পান। তাদের জন্য
ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি?
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এইচটিএমএল,সিএসএস,জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ফ্রন্ট লে আউট ডিজাইন করা অর্থাৎ ইউজার যেই অংশে ইন্টারেক্ট করে,যে অংশটি আপনি চোখে দেখতে পান, সেই অংশটি ডিজাইন করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন করা।
বলাই বাহুল্য অনেক জায়গা ওয়েব ডিজাইন কেই ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট বলা হয়ে থাকে। যে কোন ওয়েব টেমপ্লেট, ওয়েবসাইট অথবা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সবার প্রথমে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ফটোশপ ইলাস্ট্রেটর ইন-ডিজাইন করে থাকে।
শিখবেন যেভাবেঃ যেভাবে আমি ফ্রিতে ইংরেজীতে কথা বলা শিখেছি
এরপর সেই অংশটি একজন ওয়েব ডিজাইনার অর্থাৎ ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপার এইচটিএমএল,সিএসএস এর সাহায্য ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব টেমপ্লেট এ কনভার্ট করে থাকে। পরবর্তীতে সেই ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব টেম্পলেটকে বিভিন্ন ওয়েব অ্যাপস বা ওয়েবসাইটে কনভার্ট করা হয়ে থাকে।
ওয়েব টেমপ্লেট ডিজাইন করার সময় ম্যাক্সিমাম সময় এইচটিএমএল,সিএসএস এবং জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই এখানে লজিক্যাল খুব একটা কার্যক্রম থাকেনা।
তাই আপনাদের মধ্যে যারা প্রোগ্রামিংকে প্রচন্ড প্রকার ভয় পান, তাদের জন্য কিন্তু হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং একটি আদর্শ ক্যাটাগরি।
আজকের ব্লগে আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন এবং কিভাবে আপনি ওয়েব ডিজাইনার হবেন তার একটি রোডম্যাপ দেয়ার চেষ্টা করব।
তবে ব্লগের শুরুতেই বলে রাখি এই ব্লগিটি কিন্তু এইচটিএমএল হ্যাকার তৈরি করার জন্য বানানো হচ্ছে না,আপনাদের মধ্যে যারা এইচটিএমএল হ্যাকার হতে চান তারা খুব একটা উপকার হবে না এই ভিডিও থেকে।
ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত মুল ব্লগটি শুরু করা যাকঃ
যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট অ্যান্ড ওয়েব ডেভলপার হন তাহলে আপনি অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা পাবেন যার মধ্যে মেজর তিনটি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই।
ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ সুযোগ সুবিধাঃ
ওয়েব ডিজাইন বা ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ প্রথম সুবিধাঃ
প্রথম যে সুযোগ-সুবিধা টি আপনি পাবেন সেটি হচ্ছে কোর্স সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করার সুযোগ।
যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্স গ্রাজুয়েট হন এবং গ্রাজুয়েশন করাকালীন কোনভাবে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর প্রতি আপনার ডিস্ট্রাকশন চলে আসে, একটি বি তৃষ্ণা চলে আসে অথবা কোনভাবে আপনি এডাপ্ট করতে ফেল হন।
তারপরও যদি আপনি সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে চান, তাহলে কিন্তু ওয়েবডিজাইন হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ ক্যাটাগরি।
কারণ ওয়েব ডিজাইন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং একটি কোর অংশ। এখানে কিন্তু আপনি সরাসরি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর সাথে যুক্ত থাকছেন।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে আপনি যদি নন সি এস ব্যাকগ্রাউন্ড হয়ে থাকেন কিন্তু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের মুভ করতে চান। তাহলে কিন্তু ওয়েব ডিজাইনিং আপনার জন্য আদর্শ ক্যাটাগরি হতে পারে।
কারণ এখানে খুব একটা লজিক এর দরকার হয় না,কোড গুলো সাধারণত রিপিট করতে হয় এবং এখানে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনি মুখস্ত করে পার পেয়ে যেতে পারেন।
তাই এই ক্যাটাগরিটি কিন্তু আপনার জন্য খুবই সুবিধাজনক হবে যদি আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের কাজ শুরু করতে চান।
ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ সেকেন্ড সুবিধাঃ
সেকেন্ড ব্যাপার হচ্ছে যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার হন, তাহলে কিন্তু আপনার কাজের অভাব হবেনা।
যদি আপনি লোকালি জব করতে চান তাহলে যেমন প্রচুর জব রয়েছে।
সেরকমভাবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে কিন্তু আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওয়েব ডিজাইনিং এ খুব ভালো এমাউন্টের কাজ পেতে পারেন।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে অনেক ডেভলপার রয়েছে, যারা কিন্তু তা
দের আন্ডারে অনেক ডিজাইনারকে দিয়ে ডিজাইন করিয়ে নিয়ে থাকে।
কারণ যারা ডেভলপমেন্ট করে থাকে, তারা কিন্তু লজিক্যাল প্রবলেম গুলো নিয়ে কাজ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনিং করার জন্য সময় বের করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়।
আপনি যদি লোকাল জব বা কোন ডেভলপার আন্ডারে কাজ করতে না চান, থিমফরেস্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইটে মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট টেমপ্লেট ডিজাইন করে রিসেল করতে পারেন এবং সেখান থেকে খুব ভালো আমার ইনকাম করতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর তৃতীয় সুবিধাঃ
যদি আপনি ফ্রন্ড এন্ড ওয়েব ডেভেলপার হন তাহলে তৃতীয় যেই সুবিধাটি আপনি পাবেন, সেটি হচ্ছে মুভ করার সুযোগ সুবিধা।
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কোন ফার্মে কাজ শুরু করেন, তাহলে সেখান থেকে কিন্তু সহজেই ওয়েব ডেভলপমেন্ট সুইচ করতে পারবেন।
যদি আপনি অন্য কোন ক্যাটাগরিতে মুভ করতে চান, তাহলেও কিন্তু কোন ফর্মে জব শুরু করার পরে সেই ফার্মের কালচারটা বোঝা আপনার জন্য খুব সুবিধা হবে এবং পরে সেই সকল ডিপার্টমেন্টে মুভ করতে পারবেন।
তাই যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন তাহলে সেখান থেকে আপনার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যান্য পার্টে মুভ করার সুযোগ কিন্তু আপনার থাকছে।
তাই যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার হন এই তিনটি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
এর বাইরে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে, যেগুলো আপনি গুগলে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হিসেবে ক্যারিয়ার রোডম্যাপঃ
এবার আমি আপনাদেরকে কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্টে এন্ড ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন তার উপর একটি রোড ম্যাপ দেয়ার চেষ্টা করছি।
শুরুতেই বলে রাখি এই রোড ম্যাপ টি আমার এক্সপেরিয়েন্স এর উপর ডিপেন্ড করে বানানো হয়েছে।
আপনি চাইলে আপনার নিজের মত রোডম্যাপ তৈরি করে নিতে পারেন সেটাও কিন্তু খুবই ভালো হবে।
“তবে আমার মনে হয় আমি যেহেতু অনেকদিন যাবত এই সেক্টরে কাজ করছি, তাই এই রোডম্যাপ টি আপনাদের জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে এবং টাইম কম লাগবে এই রোডম্যাপ ফলো করলে“
ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হওয়ার জন্য প্রথমে কি করতে হবেঃ
ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে শিখতে হবে ফটোশপ,ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার গুলোর ব্যাসিক ব্যবহার।
কারণ যখন আপনি ওয়েব টেম্পলেট ডিজাইন করতে যাবেন, এইচটিএমএল সিএসএস দিয়ে মোষ্টলি আপনাকে একটি ইলাস্ট্রেটর বা ফটোশপ ফাইল দেওয়া হবে।
যেটি একটি গ্রাফিক্স ডিজাইনার ডিজাইন করে থাকে।
আপনি যখনই ফটোশপ ইলাস্ট্রেটর ফাইল থেকে ফাইলগুলো এক্সট্রাক্ট করতে যাবেন। অথবা লেয়ার বাই লেয়ার ইনফরমেশনগুলো এক্সট্রা করতে যাবেন।
তখন আপনাকে এই সফটওয়্যার গুলোর ব্যাসিক ব্যবহার শিখতে হবে।
তবে ভয়ের কিছু নেই আপনি যদি এই সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করে, একেবারে বেসিক টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
লেয়ার একেবারে বেসিক টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারেন লেয়ার কিভাবে ব্যবহার করে অথবা ট্রিম করে কিভাবে এক্সট্রাক্ট করে। এই ইনফর্মেশন গুলো যদি জেনে ফেলতে পারেন।
তাহলে আপনার জন্য খুব একটা সমস্যার কারণ হবে না।
ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হওয়ার জন্য দ্বিতীয়ত যা শিখতে হবে এইচ টি এম এলঃ
ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য দুইনাম্বার শিখতে হবে এইচটিএমএল সিএসএস এর বেসিক।
এইচটিএমএল এ অনেকগুলো ট্যাগ রয়েছে।
- কিভাবে ট্যাগ গুলো কল করে
- কিভাবে ট্যাগ গুলো সাজিয়ে রাখে
- কিভাবে গুলো কাজ করে
এগুলো আপনাকে শিখতে হবে।
সিএসএস এর ক্ষেত্রেও একই রকম।
- কিভাবে ক্যারেক্টারইজেশন করে
- কিভাবে সিএসএস কল করে
- ইনলাইন সিএসএস এক্সটার্নাল ইন্টার্নাল ব্যবহার করে
সেগুলো আপনাকে শিখতে হবে।
তবে শুরুতে যদি আপনি সবগুলো ট্যাগ শিখতে চান এইচটিএমএল অথবা সিএসএস এর সবগুলো ক্যারেক্টারাইসজেশন শিখতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই পেইনফুল হবে।
তার থেকে বেটার হবে আপনি যদি এইচটিএমএল সিএসএস এর বেসিক কিছু ট্যাগ শেখার পরে প্র্যাকটিস করা শুরু করেন এবং সেগুলো থেকে যদি আস্তে আস্তে বাকি ট্যাগ গুলো শেখার চেষ্টা করেন সেটি বেটার হবে।
আপনি যদি এইচটিএমএল সিএসএস এর বেসিক কিছু ট্যাগ শেখার পরে প্র্যাকটিস করা শুরু করেন আপনার জন্য ইফেক্টিভ হবে।
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হওয়ার জন্য তৃতীয়ত শিখতে হবে এইচ টি এম এল সিক্সঃ
এইচটিএমএল সিএসএস এর বেসিক ট্যাগ গুলো ব্যবহার করার পরে আপনাকে শিখতে হবে
- এইচটিএমএল সিক্স
- সিএসএস ফাইভ
- অ্যাডভান্স যে ট্যাগগুলো
যেই ক্যারেক্টারগুলো এসেছে সেগুলো শিখতে হবে
মর্ডান ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য কিন্তু আপনাকে এইচটিএমএল ফাইভ এবং সিএসএস থ্রি অবশ্যই অবশ্যই লাগবে।
তাই এইচটিএমএল সিএসএস বেসিক শিখার পর এই এইচটিএমএল ফাইভ এবং সিএসএস থ্রি শেখ শুরু করবেন।
এইচটিএমএল ফাইভ এবং সিএসএস থ্রি শেখার পর আপনার কাজ হবে পিএইচডি ফাইলকে এইচটিএমএল সিএসএস এ কনভার্ট করার চেষ্টা করা।
যদিও এইচটিএমএল সিএসএস শেখার পরে সেটা দিয়ে যেকোনো পিএচডি ফাইলকে কনভার্ট করা অনেক বেশি কষ্টকর তার পরেও আপনাকে চেষ্টা করে যেতে হবে।
মনে রাখতে হবে এটা আপনার একটি লার্নিং স্টেজ। এখানে আপনি যত বেশি পরিশ্রম করবেন, আপনার ব্যাসিক ততবেশি স্ট্রং হবে।
কয়েকটি পিএচডি ফাইলকে এইচটিএমএল এ কনভার্ট করার পরে আপনার বানানো ওয়েব টেম্পলেট কে রেস্পন্সিভ করার চেষ্টা করতে হবে।
তবে শুধুমাত্র এইচটিএমএল সিএসএস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করা অনেক বেশি কষ্টকর।
তার পরেও আপনার চেষ্টা করতে হবে অন্তত একটি ওয়েব টেম্পলেট কে রেসপনসিভ ওয়েব টেম্পলেট কনভার্ট করা।
এভাবে যখন আপনি পিএসডি ফাইল কে এইচটিএমএল সিএসএস এ কনভার্ট করবেন,সেটিকে রেস্পন্সিভ করবেন।
তখন কিন্তু আপনার এইচটিএমএল সিএসএস এর উপর খুব ভালো একটি দক্ষতা চলে আসবে।
এবারে আপনাকে শিখতে হবে এইচটিএমএল সিএসএস এর অনেকগুলো ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে যেমন বুটস্ট্রাপ,লেস ফ্রেমওয়ার্ক, সাস ফ্রেমওয়ার্ক এগুলো শিখতে হবে।
কারণ এই ফিচারগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি যেকোন ওয়েবসাইট কে সহজে রেস্পন্সিভ করতে পারবেন।
কোন প্রকার পরিশ্রম ছাড়াই অনেক দ্রুত কোড লিখতে পারবেন। যেটি আপনাকে সহায়তা করবে বড় বড় ওয়েব টেম্পলেট ডিজাইন করতে।
ফ্রেন্ট এন্ড ওয়েব ডেভলপমেন্টের ফ্রেমওয়ার্কের কাজগুলো শেখার পরে আপনি আবারো পিএসডি থেকে এইচটিএমএল এ কনভার্ট করবেন। তবে এবারে আপনি আরও পারফেক্ট করে করার চেষ্টা করবেন।
পিক্সেল পারফেক্ট করার চেষ্টা করবেন, হুবহু যেরকম পিএসডি রয়েছে হুবহু ওই রকম এইচটিএমএল করার চেষ্টা করবেন এবং যখন আপনি এটি করতে সক্ষম হবেন, তখন আপনি অনেকটাই নিজেকে ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
এখন আপনি আস্তে আস্তে চাইলে জবের চেষ্টা করতে পারেন অথবা আপনি চাইলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের চেষ্টা করতে পারেন।
তবে জব বা ফ্রিল্যান্সিং শেখার চেষ্টা করেন না কেন শুরুতে অবশ্যই অবশ্যই বেশ কিছু ওয়েব টেমপ্লেট পোর্টফোলিও হিসেবে ডিজাইন করে রাখবেন।
যদি আপনি গুগলে সার্চ করেন অনেক ওয়েব টেম্পলেট পাবেন। আপনি চাইলে প্র্যাকটিসের জন্য সেগুলো কিন্তু কনভার্ট করার চেষ্টা করতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হওয়ার জন্য এবার শিখতে হবে স্ট্যান্ডার্ড কোডিংঃ
এবার আপনাকে শিখতে হবে স্ট্যান্ডার্ড কোডিং। স্ট্যান্ডার্ড কোডিং হচ্ছে সেই কোড যেটি রিইউজেবল যেটি স্ট্রাকচার কোড যেটা দেখে সহজে বোঝা যায় ইন্ডেড কোড।
যখন আপনি প্রফেশনাল মানের ওয়েব ডিজাইনার হতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই স্ট্যান্ডার্ড কোডিং শিখতে হবে।
এছাড়া তখন আপনাকে অবশ্যই স্ট্যান্ডার্ড কোডিং শিখতে হবে। এছাড়াও থিমফরেস্ট বা অন্যান্য থিমস মার্কেটপ্লেসগুলোতেও যদি আপনি স্ট্যান্ডার্ড কোডিং মেইনটেইন না করেন তাহলে কিন্তু আপনার ওয়েব টেম্পলেট গুলো কখনোই অ্যাপ্রুভ হবে না।
আর বড় বড় কোম্পানিতে কিন্তু সবসময়ই স্ট্যান্ডার্ড কোডিং মেইনটেইন করে চলতে হয়।
তাই যখন আপনি প্রফেশনাল মানের ওয়েব ডিজাইনার হতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই স্ট্যান্ডার্ড কোডিং শিখতে হবে।
স্ট্যান্ডার্ড কোডিং এর ব্যাপারে আরেকটি ইনফর্মেশন হচ্ছে সব স্ট্যান্ডার্ড কোডিং কিন্তু W3 রুলস রয়েছে সেগুলো মেন্টেন করে চলে। তাই আপনাকেও রুলস গুলো শিখে নিতে হবে।
আপনাকে এরপরে শিখতে হবে কুইক কোড রাইট
যেহেতু ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে বারবার একই কোডগুলো রিপিট করতে হয়, লজিক এর খুব একটা দরকার পড়ে না তাই এখানে আপনি যত দ্রুত লিখতে পারবেন ততই আপনার জন্য সুবিধা হবে।
আর যদি আপনি দ্রুতই কোড লিখতে না পারেন তাহলে আপনার লোকালে জব পেতে খুব কষ্ট হবে।
দ্রুত কোডিং লেখার জন্য আপনি যেনো কোডিং শিখতে পারেন। এর বাইরেও যে এডিটর গুলো ব্যবহার করবেন সেগুলোর অনেক শর্টকাট রয়েছে।
এইচটিএমএল সিএসএস এর অনেক শর্টকাট রয়েছে। সেগুলোও শিখে ফেলতে হবে এবং শুধু শিখলেই হবে না সেগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে।
যাতে আপনি খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক দ্রুত, অনেক বেশি কোড লিখে ফেলতে পারেন।
ওয়েবসাইটের যে অংশেই কাজ করেন না কেন, আপনাকে জাভাস্ক্রিপ্টের সঙ্গে ডিল করতে হবে।
তাই প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনিং এ আপনাকে অবশ্যই জাভাস্ক্রিপ্ট এবং জাভাস্ক্রিপ্টের বিভিন্ন লাইব্রেরী শিখতে হবে।
বিশেষ করে ভিউজিএস,র এক্টিস তো অবশ্যই শিখতে হবে কারণ এগুলো ব্যবহার করে এখন ফ্রন্ট এন্ড প্রচুর কাজ হয়ে থাকে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে যখন ফ্রন্ট এন্ড দিয়ে কাজ করা হয় তখন কিন্তু ব্যাক এন্ড এও কাজ করা হয়ে থাকে।
তাই আপনি যদি ফ্রন্ট এন্ড এর জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট শিখে থাকেন তা হলেও ব্যাক এন্ডে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে মুভ করাও আপনার জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে ভোগ করাও আপনার জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট হওয়ার জন্য এবার শিখতে হবে পিএইচপিঃ
জাভাস্ক্রিপ্টে লাইব্রেরী শিখার পরে আপনাকে শিখতে হবে পিএইচপি এর বেসিক এবং ওয়ার্ডপ্রেসের বেসিক।
কারণ হচ্ছে আপনি যেই ওয়েব টেম্পলেট ডিজাইন করবেন তার ম্যাক্সিমামই কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সিএমএস ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এ কনভার্ট করা হবে।
যদি আপনি ব্যাসিক পিএইচপি না জানেন তাহলে কিন্তু আপনার যেটা আমি প্লেটটি আপনি ডিজাইন করবেন সেটি কিন্তু ডেভলপারের জন্য ফ্রেন্ডলি হবে না।
আর ডেভলপার এর জন্য ফ্রেন্ডলি করার জন্য আপনাকে ব্যাসিক এসি শিখতে হবে।
সেম কথা ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন এর জন্যও।
আপনি যদি ব্যাসিক থিম কাস্টমাইজেশন জানেন তাহলে আপনার টেমপ্লেটটি কিন্তু আরো স্টান্ডার্ড মানের হবে। আপনার কোডগুলো কিন্তু ডেভলপার ফ্রেন্ডলি হবে।
নাউ দ্যা লাস্ট থিং ফর ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভলপমেন্ট ইস এক্সেম এল এবং আজেক্স।
যদি আপনি এক্স এম এল এবং যদি আপনি এজেক্স শিখে ফেলেন। হয়তো সরাসরি এটি আপনার ওয়েব ডেভলপমেন্টে লাগবেনা, লাগবে না তবে আপনি যখন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট করবেন তখন কিন্তু আপনার এক্সএমএল লাগবে।
এছাড়াও জেসনের অনেক কাজে এক্সএমএল এর দরকার হয়ে থাকে।
আর অনেক বড় কোম্পানি রয়েছে যারা আজএক্স এর মাধ্যমে ফ্রন্ট এন্ড ডিজাইন করে থাকে।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি আজাক্স শিখে রাখেন, তাহলে কিন্তু ওই কোম্পানিতে জব পাওয়া আপনার জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
তো এই ছিল ওয়েব ডিজাইনার বা ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলোপের সম্পূর্ণ গাইড লাইন। আপনি চাইলে এই গাইডলাইন ফলো করে প্রফেশনাল মানের ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে আমি আপনাকে যেই কিওয়ার্ডগুলো দিলাম, আপনি কিন্তু এই কী-ওয়ার্ড গুলোর উপর গুগলে প্রচুর রিসোর্স পাবেন।
২০১৪ সালে আমি যখন শুরু করেছিলাম,তখন শুধুমাত্র ইংরেজিতে টিউটোরিয়াল ছিল। এর বাইরে বাংলাতে আর আর ফাউন্ডেশন এর রাসেল আহমেদ এর টিউটোরিয়াল ছিল।
কিন্তু এখন ২০২০ সালে এসে ওয়েব ডিজাইনের উপর প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে বাংলাতে ইংরেজিতে।
আর প্রচুর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখান থেকে আপনি ওয়েব ডিজাইনের কোর্স করে নিতে পারেন।
তাই এই রোডম্যাপ ই ফলো করা আপনার জন্য খুব একটা কঠিন ব্যাপার হবে না যদি আপনি নিজে চেষ্টা করেন।
যদি আপনার ওয়েব ডিজাইনিং সংক্রান্ত কোন প্রকার ইনফর্মেশন এর দরকার হয় বা কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে আপনি চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ফেসবুক এ অথবা ইমেইল এড্রেস। সব কিছু লিংক দেয়া থাকবে।
এছাড়াও আপনি এই ব্লগের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার ফিডব্যাক।
দেখা হবে পরের ব্লগে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। এই প্রত্যাশায় বিদায় নিচ্ছি।