আমাদের দেশে অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা সফল স্টার্টআপ তৈরি করতে চায়। সফল স্টার্টআপ হচ্ছে এখনকার সময়ের অন্যতম হাইপ ।
আমাদের তরুণদের মধ্যে জিজ্ঞাসা করলে বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে বলবে তাদের একটি স্বপ্ন রয়েছে, তাদের একটি আইডিয়া রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা স্টার্টআপ শুরু করতে চায়।
এখন আপনাদের মধ্যে যারা স্টার্টআপ শুরু করতে চান, তাদের জন্য আমার অলরেডি একটা ভিডিও রয়েছে
যে স্টুডেন্ট লাইফে স্টার্টআপ শুরু করা উচিত কিনা। সে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
আজকের ভিডিওতে আমি আপনাদেরকে স্টার্টআপ সম্পর্কে কিছু সিক্রেট টিপস দিব।
যে টিপস গুলো অন্য কেউ আপনাকে দেয়নি, এবং এগুলো মাথায় রেখে যদি আপনি স্টার্টআপ শুরু করেন।
তবে সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে আপনি স্টার্টআপে অবশ্যই ভালো করবেন।
চলুন মূল ব্লগ শুরু করা যাকঃ
স্টার্টআপ শুরু করার প্রথম টিপস ঃ
স্টার্টআপ যদি আপনি শুরু করতে চান আপনার জন্য এক নাম্বার টিপস হচ্ছে শুরুতেই আপনি জাস্ট শুরু করে দিতে হবে একারণে শুরু করবেন না।
যদি আপনি স্টার্টআপ শুরু করে দিতে চান, তাহলে আপনার সলিড প্ল্যান, সলিড আন্ডারস্ট্যান্ডিং এবং সলিড এক্সেকিউশন প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামতে হবে
এবং স্টার্টআপ শুরু করার পরে আপনার মাথায় রাখতে হবে যে আপনার প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে, অনেক কাজ করতে হবে।
স্ট্রেস হ্যান্ডেল করতে হবে, অনেক মানুষ আপনার কাছে আসবে বাউন্স করবে। সবকিছু হ্যান্ডেল করেই সব সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে।
স্টার্টআপ শুরু করলাম আর কিছুদিন পরে বাদ দিয়ে দিলাম যদি আপনার অবস্থা এরকম হয় তাহলে কিন্তু স্টার্টআপে সফল হওয়ার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই।
স্টার্টআপ শুরু করার দ্বিতীয় টিপস ঃ
যদি আপনি স্টার্টআপ শুরু করতে চান আপনার জন্য দুই নাম্বার টিপস হচ্ছে,কখনোই আপনি মনে করবেন না আপনার স্টার্টআপকে আপনি অভার্নাইট বিল্ড করে ফেলবেন।
কারন একটা স্টার্টআপ বিল্ড করতে কিন্তু কয়েক বছর সময় লাগে।
দুই থেকে পাঁচ বছর বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কোন কোন সময়ে ক্ষেত্রে দশ বছর সময় লেগে যেতে পারে।
তাই আপনার যদি প্ল্যান থাকে আপনি অভার্নাইট আপনা আপনি স্টার্টআপ বিল্ট করে ফেলবেন তাহলে ব্যর্থ হওয়ার প্রচন্ড সম্ভাবনা রয়েছে।
এক্ষেত্রে যখন আপনি স্টার্টআপ শুরু করবেন তখন ধরেই নিবেন যে আগামী তিন-চার বছর পাঁচ বছর আপনার স্টার্টআপ থেকে খুব একটা রেভিনিউ আসবেনা কিন্তু আপনি তারপরেও চেষ্টা করে যাবেন।
স্টার্টআপ শুরু করার তৃতীয় টিপস ঃ
স্টার্টাপের ক্ষেত্রে আপনাদের জন্য তিন নাম্বার টিপস এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং আমাদের দেশে বেশিরভাগ স্টার্টআপ ফাউন্ডাররা এই জায়গাতেই ধরা খেয়ে থাকে।
সেটি হচ্ছে যখন আপনি স্টার্টআপের জন্য হায়ার করবেন কখনোই লেস কোয়ালিফাইড পারসন লেস কোয়ালিফাইড কোয়ালিফাইড কর্মী হায়ার করবেন না।
আমাদের দেশে যেটা সাধারণত হয়ে থাকে যে কিছুটা কম টাকার মধ্যে হায়ার করার জন্য অনেকেই কিছুটা লেস এক্সপেরিয়েন্স কর্মী হায়ার করে থাকে।
এতে করে বিশাল প্রবলেম হয় ভবিষ্যতে। এর কারণ হচ্ছে, যখন আপনি একজন ইনেক্সপেরিয়েন্সড কর্মী হ্যাক করবেন সে কিন্তু আপনার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে পারবে না
কারণ নতুন দের শিখতে অনেক সময় লাগে।
সাইন্স ফিকশন ফর “বাবু খাইছো, বাবু খাইছো?”
এক্ষেত্রে এই যে আপনি সামান্য ছাড় পাচ্ছেন সেলারি দেওয়ার ক্ষেত্রে ওখানে কিন্তু আপনার সামান্য প্রফিট হলেও আপনার প্রোডাক্টের যখন ফেল করছে তখন কিন্তু আপনার বিশাল ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
তাই যদি আপনি স্টার্টআপ কো ফাউন্ডার হয়ে থাকেন, যদি আপনার নিজের কোন স্টার্টআপ হয়ে থাকে কখনোই কোয়ালিটির সাথে কম্প্রোমাইজ করবেন না।
কখনোই সামান্য টাকা সেভ করার জন্য লেস এক্সপেরিয়েন্সড কর্মী হায়ার করবেন না।
যদি আপনার প্ল্যান থাকে আপনার খুব দ্রুতই বড়লোক হতে হবে এবং খুব দ্রুত অর্থ ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে মনে রাখতে হবে এই স্টার্টআপ আপনার জন্য নয়।
স্টার্টআপ যদি আপনি বিল্ট করতে চান তাহলে আপনার বেশ সময় লাগবে।
যেটি আমি অলরেডি উল্লেখ করেছি ইউ ক্যান নট বিল্ড এ স্টার্টআপ অভার্নাইট। ইট উইল টেক এ লং টাইম টু বিল্ড এ স্টার্টআপ।
যদি এমন হয়ে থাকে যে স্টার্টআপ থেকে রেভিনিউ আসবে এবং আপনি সেই রেভিনিউ দিয়ে কোন কিছু করতে চান খুব দ্রুত তাহলে স্টার্টআপে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
যদি আপনার এই সময়টুকু ব্যাকআপ না থাকে,অর্থাৎ একটা স্টার্টআপ বিল্ট করার জন্য যে সময়টুকু দরকার, সেই সময়ের ব্যাকআপ না থাকে তাহলে আপনার উচিত হবে এই ব্যাকআপ তৈরি করে তারপরে স্টার্টআপ শুরু করে দেয়া।
স্টার্টআপ শুরু করার চতুর্থ টিপস ঃ
যদি আপনি স্টার্টআপ শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য পরে টিপস হচ্ছে স্টার্টআপ শুরুর জন্য আপনাকে বই পড়তে হবে এবং নেটওয়ার্কিং করতে হবে।
বই পড়া এবং নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে একটি কথা আপনাদেরকে না বললেই নয়। প্রচুর বই পড়া যাবে না আবার বই পড়া বাদ দেয়া যাবে না। প্রচুর নেটওয়ার্কিং করা যাবে না আবার নেটওয়ার্কিং করা বাদ দেয়া যাবে না।
এটি আপনাকে ব্যালেন্স করে করতে হবে। যদি আপনি প্রচুর বই পড়েন কোন প্রকার এক্সিকিউশন না করেন তাহলে আপনার স্টার্টআপে কোন লাভ হবে না,
আপনার নলেজ হয়তো পারবে একই সাথে যদি আপনি বই একেবারেই না পড়েন তাহলে আপনার স্টার্টআপ গ্রো করানো খুবই কঠিন হবে।
নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রেও একই কথা যদি আপনি প্রচুর নেটওয়ার্কিং করেন সেটি আপনার স্টার্টআপে খুব একটা হেল্প করবে না।
তবে যদি আপনি একেবারেই নেটওয়ার্কিং না করেন তাহলে আপনার জন্য ডিফিকাল্ট হবে স্টার্টআপ গ্রো করানো।
আপনি যদি স্টার্টআপ ফাউন্ডার হন বই পড়বেন এবং নেটওয়ার্কিং করবেন তবে অবশ্যই সেটা ব্যালেন্স করে।
স্টার্টআপ শুরু করার পঞ্চম টিপস ঃ
যদি আপনি স্টার্টআপ শুরু করতে চান আপনার জন্য সর্বশেষ টিপস হচ্ছে আপনাকে না বলা শিখতে হবে এবং অন্য মানুষদের ইগনোর করা শিখতে হবে।
যখন আপনি স্টার্টআপ শুরু করবেন আপনার প্রথম দিকের যে ক্লয়েন্টগুলো থাকবে কখনো আপনার পরিচিত মানুষেরা হবেনা এবং যখন আপনার পরিচিত মানুষের আপনার থেকে কোন একটা সার্ভিস নেয়ার চেষ্টা করবে তখন কিন্তু সে শুরুর দিকে আপনাকে পারিশ্রমিক দিবেনা বরং ফ্রিতে করিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে।
এক্ষেত্রে আপনি যখন স্টার্টআপ ফাউন্ডার তখন আপনাকে না বলা শিখতে হবে।
না বলাটা একটা স্কিল, না বলাটা একটা কোয়ালিটি এবং যখন আপনি না বলবেন অনেক নয়েজ তৈরি হতে পারে।
আপনার এই নয়েজ গুলো ইগনোর করা শিখতে হবে। অনেকেই আপনার পেছনে অনেক কিছু বলতে পারে, আপনার সামনেও অনেক কিছু বলতে পারে কিন্তু আপনি যদি আপনার আইডিয়াকে সাকসেসফুল করতে চান।
যদি আপনার স্টার্টআপকে গ্রো করাতে চান তাহলে আপনার এই নয়েজগুলো ইগনোর করে কাজটি করে যেতে হবে।
যদি আপনি এই টিপস গুলো ফলো করেন, আশা করা যায় স্টার্টআপ বিজনেস আপনি সফল হবেন এবং স্টার্টআপে আপনি খুব দ্রুতই ভালো করতে পারবেন।
স্টার্টআপ সম্পর্কিত কোন কিছু জানার থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন কমেন্ট বক্সে। আমরা অপেক্ষায় থাকবো আপনার স্টার্টআপ সম্পর্কিত যে কোন জিজ্ঞাসার জন্য।