আমার ভাগ্য হয়েছিল একবার বার এ যাওয়ার। সেখানে ড্যান্স হচ্ছিল। সেটা থেকে আমার একটা রিয়েলাইজেশন আসছিল আমার। সেটা নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল। তবে মাঝে আমি ভুলেই গেছিলাম। মনে পড়ার সাথে সাথে আমি লিখতে বসে গেলাম!
প্রথমেই বলে নেই, আমি নিজে মদ খাই না। আর আমি যেদিনের কথা বলছি সেদিন মদ খাচ্ছিলাম নাহ। আমি একজনের সাথে গিয়েছিলাম বারে। আমার লাইফের প্রথম বার ছিল। যা হোক, এগুলা আসলে মুল বিবেচ্য বিষয় না, তার পরও যাতে আপনাদের কনফিউশন না হয়, তাই আমি পরিষ্কার বলে দিলাম।
আমি যে বারে গিয়েছিলাম, সেটা একটা পশ-টাইপ বার ছিল। আমার সাথে জিনি ছিলেন, উনি সমভবত হুইস্কি টাইপ মদ কিনলেন ৬-৭০০ টাকা (ঐ দেশের মুদ্রা) বিল দিয়ে। উনি যখন খাচ্ছিল, বারে তখন সম্ভবত ১০-১২ জন মানুষ ছিল। সাথে বারের কর্মীরা ছিল।
বারে লাইভ ড্যান্স ছিল, যেটা আমার আজকের আলচ্য বিষয়। ২ জন মেয়ে ড্যান্স করছিল। একবারে পার্ফেক্ট ভাবে। কখনও কখনও তাদের সাথে ২ জন ছেলে যুক্ত হচ্ছিল। তাদের ড্যান্স ছিল খুবই পার্ফেক্ট। আমি উগান্ডায় অনেক অনেক ড্যান্স দেখেছি, যা দেখে মেজাজ চরম গরম হয়। অথচ এই বারে, একবারে দর্শক নেই বললেই চলে, এম ন যায়গা তারা কি পার্ফেক্ট ড্যান্স করছেন।
আমার সাথের লোকটি যখন ড্রিংক্স করছিল, কমপ্লিমেন্টারি পপ-কর্ন ছিল। আমি ভাবছিলাম, এই ড্যান্সার রা কত পায়? খুব কম পাওয়ার কথা। আমার মনে হচ্ছিল, খুব বেশি নাহ। (আই ক্যান বি রং, বাট কিপ ইন মাইন্ড, ইট ওয়াজ এ বার, নট ড্যান্স ক্লাব)।
দর্শক নেই, টাকাও বেশি পায় না, কেউ দেখেও না তাদের বলতে গেলে। এই রকম অবস্থায় কাজ মানুষ কখন করেন? যখন আসলে উপায় থাকে না, তখন করে। কারও লাইফ কোন অবস্থায় গেলে, এমন হতে পারে? মানুষ কত বিপদে পরলে এমন ভাবে বারে ড্যান্স এর কাজ করে!!
আমি উঠে আসার সময়ে আমার কথা ভাবছিলাম। আল্লাহ পাক কতই না ভাল রেখেছেন আমাকে। গ্রাজুয়েশন শেষ করার আগেই আমি চাকরি পেয়ে গেছি। টেক সেক্টরে চাকরি করছি। কোভিডের মত মহামারি আমাদের সেক্টরে খুব একটা প্রভাব ফেলে নি। অন্তত আমি ফেইস করি নি। স্যালারি ব্যাংক এ ক্রেডিট হয়ে যায় ৫ তারিখ এর মধ্য।
এর পরেও কত অজুহাতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি নাহ। অথচ বার এর ড্যান্সারদের তুলনায় আল্লাহ আমাকে কতই ভাল রেখেছেন।
[লেখাটি সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশিত। সময় পেলে পরিমার্জিত বিস্তারিত লেখা হবে]