স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করা যায় কিভাবে? এটি আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন।

আজকের ব্লগে আমি আপনাদেরকে এমন কিছু কাজের ব্যাপারে কথা বলব,

সেগুলো যদি আপনারা করেন তাহলে আপনার পড়াশোনার খুব একটা ক্ষতি হবে না বরং আপনি ফিনান্সিয়ালি ডিপেন্ডেন্ট হতে পারবেন।

একই সাথে আপনি আপনার পড়াশোনার খরচ টা চালিয়ে নিতে পারবেন যদি আপনার ফিনান্সিয়াল সমস্যা থেকে থাকে।

অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে,পড়াশোনার পাশাপাশি এই স্টুডেন্ট লাইফে কিভাবে কাজ করা যায়  এবং কিভাবে ইনকাম করা যায় যাতে করে পড়াশোনার ক্ষতি না হয়। 

আমি অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে,বেশির ভাগ কাজ যেগুলো করলে আপনার পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে সবার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

কম্পিউটার সাইন্সে নন-মেজর যে যে কোর্স করা লাগে

এবারে চলুন দেখে নেয়া যাক স্টুডেন্ট হিসেবে আপনি কি কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন আপনার পড়াশোনার ক্ষতি না করেই।

স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম এর জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে টিচার্স দের সঙ্গে কাজ করাঃ

মাস্টার্স অথবা পিএইচডি লেভেলের টিচার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসবে কাজ করা খুবই নরমাল ব্যাপার। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলেও টিচার্স দের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

কিভাবে ভালো  কম্পিউটার প্রোগ্রামার হওয়া যায়?

অনেক টিচার রয়েছেন যাদের রিসার্চের কাজ রয়েছে,লেকচারার অনেক কাজ রয়েছে। সেগুলো তারাই স্টুডেন্ট দের দিয়ে করিয়ে থাকে।

এখন যদি আপনি স্টুডেন্ট হিসেবে এই কাজগুলো করতে চান তাহলে আপনাকে টিচারদের সময় দিতে হবে যাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।

তাদেরকে জানিয়ে রাখতে হবে যে আপনি কাজের জন্য অ্যাভেলেবল আছেন। তাহলে সেই কাজগুলো কিন্তু আপনি সহজেই পেয়ে যেতে পারে।

আর এই কাজগুলো যদি আপনি করেন তাহলে আপনার ইনকাম যেমন হবে,পাশাপাশি এগুলো আপনার পড়াশোনার ক্ষতির কারণ হবে না।

কম্পিউটার সাইন্সে পড়ে ফেসবুক হ্যাক শেখা যায়?

স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম এর জন্য অন্যর প্রজেক্ট করে দিতে পারেনঃ

স্টুডেন্ট হিসেবে দুই নাম্বারে যে কাজটি আপনি করতে পারেন সেটি হচ্ছে প্রজেক্ট নিয়ে।

অন্যান্য স্টুডেন্টদেরকে বিশেষ করে যারা ইন্টার্ন করে থাকে বা প্রজেক্ট করে থাকে তাদেরকে হেল্প করা।

এর জন্য প্রথমে আপনাকে অনেকগুলো প্রজেক্ট কালেক্ট করতে হবে। তারপর সেই প্রজেক্ট গুলো দিয়ে অন্যান্যদের সিনিয়র রয়েছে প্রজেক্ট নিয়ে যারা সমস্যায় রয়েছে তাদের কে হেল্প করতে হবে।

আর যদি আপনি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটু ভাল করে শিখে ফেলতে পারেন তাহলে আপনি নিজেই কিন্তু প্রজেক্টগুলো করে দিতে পারবেন অনেককে। 

যদিও এই ব্যাপারটি খুব একটা ইথিক্যাল নয় তারপরেও অন্যের প্রজেক্ট করে দেওয়া খুব একটা ভাল কাজ নয়।

তারপরেও স্টুডেন্ট লাইফে অনেকে দেখা যায় যে সময়ের অভাবে অনেক প্রজেক্ট করতে পারেনা এবং অনেকের অনেক সমস্যা থাকতেই পারে।

তাদেরকে হেল্প করার মাধ্যমে আপনি নিজের যেমন ফিনান্সিয়ালি সাহায্য হতে পারে এবং পাশাপাশি তাদেরকে উপকার হতে পারে।

এভাবেই স্টুডেন্ট লাইফে আপনি আপনার পড়াশোনার ক্ষতি না করে ইনকাম করতে পারবেন।

প্রোগ্রামিং ইন্টারভিউ ফেইলর হওয়ার কারন কি?

কোচিং সেন্টারগুলোতে এক্সাম কো-অর্ডিনেটর হওয়ার চেষ্টা করুনঃ

আমরা জানি ঢাকা শহর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কোচিং সেন্টার রয়েছে। এই কোচিং সেন্টারগুলোতে এক্সাম কো-অর্ডিনেটর নেওয়া থাকে। 

যাদের কাজ হচ্ছে শুধুমাত্র এক্সাম নেওয়া। এক্সামের সময় খাতাগুলো দিয়ে দেওয়া,এক্সামের সময় গার্ড দেওয়া এবং এক্সাম শেষে খাতাগুলো জমা দিয়ে দেয়া।

এখানে সাধারণত আওয়ারলি বেসিস এবং মান্থলি বেসিস পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আপনি কিন্তু এই স্টুডেন্ট লাইফে এই কাজগুলো করতে পারেন

এর জন্য কিন্তু আপনাকে অতিরিক্ত কোনো কিছুই শিখতে হচ্ছে না। পাশাপাশি আপনার পড়াশোনার কিন্তু কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

আপনি শুধু কোচিং সেন্টার যাবেন,সেখান থেকে খোঁজ খবর নিয়ে এক্সাম কো-অর্ডিনেটর এর পদ রয়েছে সেখানে আপনি একটু করবেন।

তাহলে আপনি স্টুডেন্ট লাইফে আপনার পড়াশোনার ক্ষতি না করে ইনকাম করতে পারবেন।

দেশে বসেই বিদেশি রিমোট জব করবেন যেভাবে!

স্টুডেন্ট লাইফ ইনকাম করার আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেনঃ

বর্তমানে কিন্তু কনটেন্ট রাইটার বা চাহিদা কিন্তু আকাশচুম্বী।

আপনি পত্রিকায় লেখালেখি করতে পারেন,আপনি ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন,আপনি ফ্রিল্যান্স জারনালিস্ট সাথে কাজ করতে পারেন।

এরকম অনেক অপশন রয়েছে যেগুলো আপনি আপনি কি করতে পারেন।

এছাড়াও যারা ইউটিউবার রয়েছে তাদের কিন্তু স্ক্রিপ্টরাইটার প্রয়োজন হয়ে থাকে। ফেসবুক ইউটিউব এর বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপ রয়েছে সেখান থেকে আপনি একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখলে জানতে পারবেন।

এগুলো করার মাধ্যমেই ফ্রীলান্স রাইটিং করার মাধ্যমে কিন্তু আপনি আপনার পড়াশোনার ক্ষতি না করেই স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে পারবেন। 

ক্যাম্পাস এম্বাসেডর বা অর্গানাইজেশন এর কাজ কি?

প্যাসিভ কাজ করার মাধ্যমেও স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে পারবেনঃ

স্টুডেন্ট লাইফ আরো কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো আমি সাপোর্ট করে থাকি,সেগুলো হচ্ছে প্যাসিভ কাজ করা।

সেটি হচ্ছে আপনার ব্লগিং করতে পারেন,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন অথবা ইউটিউবিং করতে পারেন যেগুলোতে আপনাকে নির্ধারিত সময় কাজ করতে হবে না। 

আপনি আপনার সুবিধা মতো কাজ করতে পারবেন। এই কাজগুলো করার মাধ্যমে কিন্তু আপনি স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে পারবেন।

এর বাহিরেও আপনি স্টুডেন্ট লাইফে টিউশনি করতে পারেন অথবা এর পাশাপাশি স্টুডেন্ট লাইফ ইজ এ ট্রেডিশনাল কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো করতে পারেন।

তবে স্টুডেন্ট হিসেবে আপনার মনে রাখা উচিত টাকার দিকে সব সময় পড়ে থাকা উচিত নয় অথবা টাকা ইনকাম এর মুখ্য বিষয় সেটি করে ফেলা উচিত নয়।

স্টুডেন্ট লাইফ হচ্ছে শেখার সময়। এই সময় আপনি যত বেশি শিখবেন এসময় আপনি যত বেশি শিখবেন আপনার ফিউচার লাইফে ততো বেশি কাজে আসবে।

ডেটা সায়েন্স,মেশিন লার্নিং এর ফিউচার কি?

স্টুডেন্ট লাইফ ইনকামের জন্য যে কাজগুলো করা উচিৎ নাঃ

ব্লগ শেষ করার আগে আমি আপনাদেরকে বলে রাখি যে স্টুডেন্ট লাইফে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করে ইনকাম করার চেষ্টা করা উচিৎ না।

যে কাজগুলো তাদেরকে খুব বেশি সাপোর্ট করতে পারেনা বরং সেই কাজগুলো তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

চলুন এখন সেই লিস্ট দিয়ে আমরা দেখে ফেলার চেষ্টা করি।

বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত

স্টুডেন্ট লাইফ ইনকামের জন্য অনলাইনের ড্রেস বিক্রি বিজনেস এভোয়েড করতে হবেঃ

প্রথমেই স্টুডেন্টদের যেটি এভোয়েড করা উচিত সেটি হচ্ছে এফ কমার্স অথবা অনলাইনের ড্রেস বিক্রি করার বিজনেস।

এটি খুবই একটা আনসারটেইন বিজনেস এবং এই বিজনেসটা আপনি যত মানি ইনভেস্ট করেন না কেন এখান থেকে প্রফিট মার্জিন বের করা কিন্তু অনেক বেশি কঠিন।

স্টুডেন্ট হিসেবে আপনার কিন্তু পড়াশোনা রয়েছে,পড়াশোনার পাশাপাশি এখানে তো আপনি বেশি সময় দিতে পারবেন না।

যেই সময় দিবেন সেটি থেকে কিন্তু আপনি খুব একটা বেশি প্রফিট বের করতে পারবেন না অনলাইন বিজনেস করার মাধ্যমে।

আর এখন অনেক ব্যক্তি রয়েছে,অনেক পারসন রয়েছে যারা অনলাইনে ড্রেস বিক্রি পড়ে থাকে।

তাই এই বিজনেসটা স্টুডেন্টদের অ্যাভয়েড করা উচিত। আর আপনি যদি একান্তই করতে চান যে আপনি ড্রেস বিজনেস করবেনই তাহলে আপনি অক্কেশনালি ড্রেস বিক্রি করুন।

চাকরি পাই না সমস্যা কোথায়?

অর্গানিক প্রডাক্ট এর বিজনেস এভোয়েড করা উচিতঃ

স্টুডেন্টদের এর পরে যেই বিজনেস এভোয়েড করা উচিত সেটি হচ্ছে অর্গানিক প্রডাক্ট এর বিজনেস।

আমি দেখেছি যে অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে তারা শুরুতেই ফেসবুকে একটা পেজ খুলে এবং পেজ খুলে তারা মধু বিক্রি করার চেষ্টা করে থাকে ঘি বিক্রি করার চেষ্টা করে থাকে।

দেখুন এগুলো বিক্রি করা কিন্তু খারাপ না কিন্তু স্টুডেন্ট হিসেবে আপনার যে প্রফিট মার্চেন্ট রয়েছে সেটি আপনার জন্য সাপোর্টিভ হতে হবে।  আপনি কিন্তু এনাফ সময় দিতে পারছেন না।

আর অনলাইনে এই প্রোডাক্টগুলোর বিজনেস কিন্তু অনেক বেশি হয়ে থাকে। অনেক বেশি মানুষের বিজনেস করার চেষ্টা করে থাকে কাজেই এখান থেকে আপনার প্রফেট বের করা যথেষ্ট কঠিন হবে।

তাই এদের স্টুডেন্ট শুরুতেই আপনার উচিত হবে না অর্গানিক প্রডাক্ট বিক্রয় বিজনেস শুরু করা।

অ্যাড ক্লিক করে অথবা কোন এপ্লিকেশন থেকে ইনকাম এড়িয়ে যাওয়া উচিৎঃ

স্টুডেন্ট লাইফে আপনার কখনোই অ্যাড ক্লিক করে অথবা কোন এপ্লিকেশন থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করা উচিত নয়।

প্রথমত সম্ভবত এই ইনকাম গুলো হালাল নয় এবং আপনারা একটু ঘাটাঘাটি করে দেখতে পারেন যে অ্যাপস থেকে এবং অ্যাড দেখে যে ইনকাম হয় সেটি সম্ভব হতো হালাল হয় না।

কাজেই এগুলো করার উচিৎ নয়।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আপনার এখানে যে পরিমাণ সময় ইনভেস্ট করতে হবে,সময় দিতে হবে সেই পরিমাণ প্রফিট আপনি পাবেন না।

এই কাজগুলো খুব সহজ হলেও এখান থেকে আপনার যে পরিমাণ ইনকাম দরকার,আপনার যে পরিমাণ ফিনানসিয়াল সাপোর্ট দরকার সে পরিমাণ আপনি পাবেন না। 

কাজেই এই কাজগুলো সবসময়ই এভোয়েড করা উচিত।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

ইনভেস্ট করতে করতে হয় এবং সহজেই টাকা পাওয়া যায় এমন কাজ এভোয়েড করুনঃ

খুবই সহজে কোন কিছু না করে ইনকাম করা যায় এবং ইনকাম করার জন্য শুরুতেই ইনভেস্ট করতে হয় এই কাজগুলো কোনোভাবেই কোনো স্টুডেন্টদের কখনোই করা উচিত নয়।

কারণ আপনি এখান থেকে খুব একটা বেশি প্রফিট গেইন করতে পারবেন না। বেশিরভাগ সময় কিছুদিন থেকেই অর্গানাইজেশন গুলো কিছুদিন পরে বন্ধ হয়ে যায়।

কাজে আপনি যে সময় ব্যয় করবেন সেই সময় গুলো আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

ডাটা এন্ট্রি বা এই রিলেটেড কাজে ইনভল্ভ হওয়া উচিত নাঃ

স্টুডেন্টদের আরেকটি কাজ করা উচিত নয় সেটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি অথবা এই ধরনের কাজের মধ্যে ইনভলভ হওয়া।

এই কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি খুবই সামান্য  ইনকাম করতে পারবেন। দেখুন ডাটা এন্ট্রির কাজ করা অথবা ওয়েব রিসার্চ এর কাজ করা কিন্তু খারাপ না।

রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখানে আপনার যেই সময় ব্যয় করতে হবে তার থেকে এবং সেখান থেকে যে ইনকাম হবে সেটা রিটার্ন অন ইনভেসমেন্ট ক্যালকুলেশন করলে খুব একটা ভালো আসে না।

কাজেই এই কাজগুলো স্টুডেন্টদের এভোয়েড করা উচিত বলে আমি মনে করি।

এর পরেও যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকো তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না পাশাপাশি আমার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন।

0Shares
কম্পিউটার সাইন্সে নন-ডিপার্টমেন্ট এর যে সব কোর্স করা লাগে। কম্পিউটার সাইন্স এন্ড কারেন্ট সময় পড়াশোনা করার সময় মূলত দুই ধরনের কোর্স পড়াশোনা Previous post কম্পিউটার সাইন্সে নন-মেজর যে যে কোর্স করা লাগে
কম্পিউটার সায়েন্স স্টুডেন্টদের যা যা করা উচিৎ! Next post কম্পিউটার সায়েন্স স্টুডেন্টদের যা যা করা উচিৎ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ