Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6114
কম্পিউটার সায়েন্স নাকি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন? Galib Notes

কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েশন পাস করে বের হওয়া আমাদের দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে প্রায় অর্ধেক বেকার থাকে ।

ভর্তি হওয়ার আগে সবার একটা কমন প্রশ্ন থাকে কম্পিউটার সায়েন্স নাকি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন।

জব সেক্টরের পাশাপাশি আমাদের দেশে সম্ভাবনাময় দুটি খাত হচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।

কম্পিউটার সায়েন্স নাকি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোন সাবজেক্টে পড়া উচিত? কোন সাবজেক্টে পড়লে ভবিষ্যতে সহজেই চাকরি পাওয়া যেতে পারে এই ধরনের প্রশ্ন আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে অনেকেই করে থাকেন।

বিশেষ করে ইন্টার পড়ুয়া অথবা ইন্টার পাশ করা অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন যে কোন সাবজেক্টে ফিউচার ভালো হবে বা কোন সাবজেক্টে সেলারি সবচেয়ে বেশি হবে।

কম্পিউটার সাইন্স এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ভিন্ন ক্যাটাগরির দুইটা সাবজেক্ট কিন্তু একসাথে কম্পারিজন করা যায় না

তারপরেও যেহেতু অনেকেই জানতে চান এবং অনেকেই এই ব্যাপারে কনফিউশনে রয়েছেন তাই আজকে আমি চেষ্টা করব

কম্পিউটার সায়েন্স এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটা কমপ্লিমেন্ট দেওয়ার।

তবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং দুইটাই কিন্তু অনেক পপুলার দুটি সাবজেক্ট,স্টাবলিশ সাবজেক্ট এবং এদের  ফিউচারে অনেক স্টাবিলসড।

তাই আপনার যদি পার্সোনাল কোন চিন্তা থাকে এবং আপনি যদি এই দুটি সাবজেক্টের কোন একটিতে পড়তে চান তাহলে সেই সাবজেক্টটা নিশ্চিন্তে ভর্তি হতে পারেন।

অথবা যদি এমন হয় আপনার ফ্যামিলি এই দুইটি সাবজেক্টের কোন একটি সাবজেক্টে পড়াতে চায় বা আপনি চাইলে সেই সাবজেক্টে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।

কোনটা আপনার জন্য? সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং

এই ব্লগটি পরিপূর্ণ ভাবে শুরু করার আগে আমি আপনাদেরকে বলে রাখিঃ

আমি হচ্ছে কম্পিউটার ব্যাকগ্রাউন্ডের একজন মানুষ। তাই কম্পিউটার সাইন্স সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো রয়েছে সেগুলো আমি নিজে ভেরিফাই করতে পারি বা সেগুলো আমি নিজে বুঝতে পারি। আর এই ব্লগে টেক্সটাইল সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো আমি আপনাদের কে দিবো সেগুলো কিন্তু বিভিন্ন পারসন থেকে অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে রিচার্জ করে কালেক্ট করা হয়েছে

যদি না জেনে ভুলক্রমে কোন তথ্য টেক্সটাইল সম্পর্কিত এই ব্লগে এসে পড়ে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।

কারণ আপনার কমেন্ট থেকে আমি নিজে শিখতে পারব এবং এই ব্লগে যারা পাঠক রয়েছে তারাও কিন্তু শিখতে পারবেন।

তাই যদি টেক্সটাইল সম্পর্কিত যদি কোন ভুল তথ্য এই ব্লগে চলে আসে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে বা আমার পাঠকদেরকে জানাতে ভুলবেন না।

অনেকে রয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হতে চান অথবা কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করতে চান অথবা কম্পিউটার সাইন্স ক্যারিয়ারে অনেক কিছু নিয়ে হতাশায় রয়েছেন।

তাদের জন্য আমি একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলেছি যে গ্রুপের লিংক দেয়া থাকবে ডেসক্রিপশন বক্সে।

সেখান থেকে জয়েন করলে আপনি আমাকে সরাসরি কোশ্চনস করতে পারবেন।

আর আপনার প্রশ্ন থেকে আপনার উপকার হতে পারে আপনার বন্ধুদের উপকার হতে পারে।

এবারে চলুন শুরু করা যাক কম্পিউটার সায়েন্স অথবা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোন সাবজেক্টে দ্রুত জব পাওয়া যাবে,পাশাপাশি স্যালারি ভালো।

এবং কোন সাবজেক্টে আপনার পড়া উচিত।

কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশুনা করলে আপনাকে কি করতে হবেঃ

প্রথমে চলুন আমরা কথা বলবো আপনাকে পড়াশোনা করার সময় রয়েছে চার বছরে অনার্স করবেন এই সময়টাতে আপনার কি অবস্থা হতে পারে।

যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনার কি হবে।

দেখুন কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করলে আপনার কয়েকটা দিক একসাথে সামলাতে হবে।

প্রথমত আপনার একাডেমিক পড়াশোনা তারপরে আপনাকে প্রবলেম সলভিং শিখতে হবে।

তারপর আপনাকে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং করতে হবে বা অন্য কোন প্লাটফর্মে কাজ করতে হবে।

তারপর আপনাকে ডেভলপমেন্ট এ কাজ করতে হবে একই সাথে আপনাকে স্ট্রেস ফেস করতে হবে।

যদি আপনি ক্রিয়েটিভ পারছেন না হন,যদি আপনি টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে ব্যর্থ হন তাহলে কিন্তু কম্পিউটার সাইন্স থেকে ফল করার যথেষ্ট  সম্ভাবনা রয়েছে।

আরেকটি ব্যাপার এই ব্লগের মাধ্যমে আপনাদেরকে আমি জানিয়ে রাখিঃ

যদি আপনি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার আলাদাভাবে কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করার কোন দরকার নেই।

যদিও আমার এই কথার সাথে অনেকেই এগ্রি করতে চাইবে না,

তারপরেও সত্য কথা এই যে যদি কোন সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতে চান এবং এই মুহূর্তে সেখানে আপনার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কোন দরকার নেই।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং তখনই করবেন যখন আপনার চিন্তা থাকবে আপনি ফ্যাকাল্টি হবেন।

আপনি বড় ধরনের কোন কাজ করতে চান অথবা আপনি বাইরে পড়াশোনা করতে চান।

রিসার্চ করতে চান অথবা সাইন্টিস্ট হতে চান,তখন আপনার কম্পিউটার সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডে পড়াশোনা করা উচিত।

আদারোয়াইজ যদি আপনি শুধুমাত্র সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার কিন্তু আলাদা ভাবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়ার কোন দরকার নেই।

যদি আপনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়ে যান যেটা আমি এতক্ষণ বলছিলাম যে আপনাকে কিন্তু অনেকগুলো সাবজেক্ট পড়তে হবে।

তারমধ্যে আপনাকে প্রবলেম সল্ভিং জানতে হবে,ক্রিয়েটিভ পারসন হতে হবে।

এই জিনিসগুলো কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করা অবস্থায় চার বছরে আপনাকে অর্জন করতে হবে।

কোনটি আপনার জন্য আদর্শ “ফ্রিল্যান্সিং করবেন নাকি জব করবেন?”

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন তাহলে কি করতে হবে?

যদি আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন তাহলে কি হতে পারে।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা কিন্তু একেবারেই ট্রেডিশনাল পড়াশোনা।

আপনি এখানে যা পড়াশোনা করবেন সেখানে যা পড়ানো হয় প্র্যাকটিক্যালি।

যা শেখানো হয় সেগুলো যদি আপনি ভালভাবে অর্জন করতে পারেন,

যদি আপনি মিনিমাম লেভেল পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন তাহলে কিন্তু বের হয়ে আপনার চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরির ব্যাপারে কথা বলছি পরে তার আগে বলি যেঃ

যদি আপনি অনার্সের চার বছরের কথা বিবেচনা করেন তাহলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা কিন্তু ট্রেডিশনাল পড়াশোনা।

আর যদি আপনি সিএসইতে পড়াশোনা করতে যেতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে একই সাথে অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রথমত আপনার ইউনিভার্সিটির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তারপর আপনাকে প্রবলেম সল্ভিং শিখতে হবে,এর পাশাপাশি আপনাকে ক্রিয়েটিভ হতে হবে।

এই জিনিসগুলো কিন্তু আপনাকে একইসাথে মেইনটেইন করতে হবে।

সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি যে কম্পিউটার সাইন্স এর পড়াশোনা করা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন

আমাদের মতামতের সাথে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারে।

তাই যারা দ্বিমত পোষণ করবেন যারা বলবেন যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করা অনেক কঠিন আমি আপনাদের মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই,রেসপেক্ট করি।

কিন্তু আমার পার্সোনাল অপিনিওন হচ্ছে কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করার কিন্তু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করার মত নয়।

এবারে চলুন কথা বলা যায় জব সেক্টর নিয়েঃ

এ জব সেক্টর দুই ধরনের হতে পারে একটা হচ্ছে দেশীয় জব সেক্টর অন্যটি হচ্ছে বিদেশের জব সেক্টর।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের জব সেক্টর দেশে বিদেশে?

দেশীয় জব সেক্টরে দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কি অবস্থা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কি অবস্থা?

বর্তমানে কিন্তু আমাদের দেশেও প্রচুর স্টার্টআপ হয়েছে,রেড লেভেল কোম্পানি রয়েছে পাশাপাশি অনেক বড় কোম্পানি রয়েছে।

এমনকি অনেক জানেন বিদেশি জায়ান্ট কোম্পানির শাখা ও কিন্তু আমাদের দেশে রয়েছে।

সে ক্ষেত্রে যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করেন এবং মিনিমাম কোয়ালিটি অর্জন করতে পারেন,

সে ক্ষেত্রে ধরে নেয়া যায় কোন না কোন কোম্পানিতে আপনি সহজেই ঢুকতে পারবেন।

এটি একটি সুবিধা কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করার।

তবে কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করবে আপনার একটা কথা মনে রাখতে হবে যদি কম্পিউটার  প্রোগ্রামিং আপনি না পারেন তাহলে কিন্তু খুব একটা  দরজা জন্য খোলা থাকবে না।

কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে অথবা সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের জব সেক্টরঃ

এবারে চলুন একসাথে কথা বলা যায়  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর  লোকাল জব সেক্টর গুলো নিয়ে। 

আমরা তো অলরেডি জানি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বাংলাদেশ টেক্সটাইলের জন্য বিখ্যাত।

তাই এই সেক্টরে আমার নতুন করে বলার কিছুই নেই যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করলে তার জন্য বাংলাদেশে কতটা সেফ প্লেস হতে পারে। 

যদি আপনি ট্রেডিশোনালি পড়াশোনা করে যেতে চান,যদি আপনি রেগুলার পড়াশোনা করে যেতে চান।

যদি আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং যে প্রশ্ন রয়েছে সেটার জন্য যদি একটু প্রিপেয়ার হন তাহলে আপনার জন্য এমন হতে পারে যে পড়াশোনা শেষ করার আগেই আপনার জন্য চাকরির অফার আসতে পারে।

পড়াশোনা করা শেষ করার আগেই বড় কোন কোম্পানিতে চাকরি চাকরি করার জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারেন।

এবারে চলুন একটু স্যালারি নিয়ে কথা বলা যায় কারন স্যালারি নিয়ে আমরা সবাই একটু কন্সারন থাকি।

আমাদের পাশ করার পরে আমাদের চিন্তা থাকে ন্যূনতম সেলারি কত হবে?

আমাদের এক লাখ টাকা স্যালারি হবে কিনা পরবর্তীতে এটা ইনক্রিমেন্ট হয় দশ লাখের দিকে যাবে কিনা ।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের নুন্যতম স্যালারি কেমন হয়?

দেখুন যদি আপনি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করেন তাহলে বড় সফটওয়্যার কোম্পানিতে স্যালারি অনেক বেশি থাকে।

মিড লেভেল এবং সেমি মিড লেভেল কোম্পানি লেভেলের কোম্পানিগুলো প্রথমদিকে সেলারি কিন্তু একটু কম থাকে।

তবে এখানে একটা ব্যাপার বিবেচ্য বিষয় কিঃ

যদি আপনি ইন্টার প্রিন্টার হতে চান অথবা কি উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে কিন্তু আপনি মিড লেভেল অথবা সেমি মিড লেভেল কোম্পানিগুলোতে কাজের মাধ্যমে আপনি শিখতে হবে।

শেখার পরে আপনি চাইলে ছোটখাটো একটি টিম নিয়ে আপনি নিজেরা মিলে একটি ছোটখাটো  কোম্পানি শুরু করতে পারেন।

সেলারি নিয়ে কী হবে এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সেলারি কেমন হবে এটা নিয়ে আমার ইউটিউব চ্যানেলে অনেকগুলো ভিডিও রয়েছে চাইলে এখান থেকে দেখে আসতে পারেন।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের স্যালারি কেমন?

এবারে চলুন আমরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের স্যালারি নিয়ে কথা বলি।

যদি আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের সেলারি  দিকে তাকান।

যদি আপনি এই সেক্টরের সালারি কথা চিন্তা করেন এখানকার জবগুলো কিন্তু অনেকটাই স্ট্যাবল।

যদিও এই ইন্ড্রাস্ট্রি অনেক বড় এবং অনেক স্ট্যাবল একই সাথে আমরা কিন্তু ওয়ার্ল্ড ওয়াইড লিড করছি বলা যায়।

সে ক্ষেত্রে ধরেই নেওয়া যায় যদি আপনি টেক্সটাইল কোম্পানিতে চাকরি পান তাহলে বছরে বছরে আপনার স্যালারি বাড়বে এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে এটি অনেকটাই হ্যান্ডসাম স্যালারি হয়ে যাবে খুব দ্রুতই। 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের বিদেশে চাকরির চাহিদা কেমন?

জব সেক্টরে যদি আমরা বিদেশের কথা বলি তাহলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের ফিউচার ব্রাইট এর থেকেও ব্রাইট।

এটাকে বলা যায় বেটার দেন বেস্ট।

যদি আপনি কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করেন পাশাপাশি যদি আপনি কোয়ালিটি অর্জন করতে পারেন তাহলে বিশ্বের যেকোন দেশে চাকরি পেয়ে যাবেন।

মনে রাখতে হবে যদি আপনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন তাহলে ওয়ার্ল্ডওয়াইড যে কোন দেশে যে কোন জায়গা আপনার দাম তৈরি হবে।

এবং সেটিতে যে আপনার শুধুমাত্র কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে বা সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে হবে এমন না।

আপনি যদি ব্যাংক বলেন,মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বলেন,নিউজ কোম্পানিতে বলেন যে কোন কোম্পানিতে কিন্তু আপনাকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কিন্তু একটা চাহিদা রয়েছে।

তাই যদি আপনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল জবের কথা চিন্তা করেন তাহলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে বেস্ট সাবজেক্ট

ট্রেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বিদেশে চাকরির চাহিদা বর্তমানে কেমন দেখা যাচ্ছে?

এবারে আমরা একটু টেক্সটাইল  নিয়ে কথা বলি।

আমরা যেহেতু মানুষ এবং তো ক্লথিং কিন্তু আমাদের সবসময় দরকার হয়।

পাশাপাশি দিন দিন আমরা ফ্যাশন সচেতন হচ্ছি। আমাদের সোসাল লাইফ এবং  কমিউনিকেশন যে তৈরি হয়েছে।

এর ফলে আমাদের যে ফ্যাশন ট্রেন্ড ছিল সেটি কিন্তু দিন দিন বাড়ছে।

সেই সাথে যদি আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন সে ক্ষেত্রে বিদেশেও আপনার মোটামুটি ভালো মানের জব পাওয়া সম্ভব।

তবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেই কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারদের মত শুরুতেই একটা ভাস্ট অ্যামাউন্ট পাবেন না।

লিমিটেড অপারচুনিটি যদি আপনি প্যাশনেট হন তাহলে ওই লিমিটেড অপারচুনিটি মধ্যে আমি ভালো করতে পারবেন।

কম্পিউটার সায়েন্স ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিউয়ারিং হায়ার স্টাডিঃ

কম্পিউটার সায়েন্স ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিউয়ারিং হায়ার স্টাডি,সুযোগ বেশি কোন বিভাগে?

যদি কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন তাহলে কম্পিউটার সাইন্স ইন্ডাস্ট্রির মত ওয়ার্ল্ডে কোন দেশের ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।

বাইরের দেশের ভালো ইউনিভার্সিটি তে কিন্তু যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে কম্পিউটার সাইন্স পিএইচডি করার জন্য। 

এমনকি দেশের যদি আপনি দেখেন বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি তে যখন ইউনিভার্সিটি শুরু হয় সবার প্রথমে থাকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট অথবা ই ই ইডিপার্টমেন্ট অথবা বিবিএ ডিপার্টমেন্ট।

যদি আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার কথা চিন্তা করেন তাহলে কিন্তু সেখানে লিমিটেড সুযোগ রয়েছে

কারণ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এতোটা ট্রেন্ডিং এ আসেনি কিন্তু একেবারে লিমিটেড।

এর কারন হচ্ছে অনেক দেশে অনেকে ইউনিভার্সিটি রয়েছে যেখানে আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন না।

এটি একটি ভাল ভাবে প্রমাণ পাবেন যদি আমাদের দেশেও ইউনিভার্সিটি গুলোর দিকে তাকান।

যদি আপনি দেখেন দেশের প্রায় সবগুলো বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট রয়েছে কিন্তু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বেশিরভাগ বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে নেই।

এমনকি সরকারি ইউনিভার্সিটি তে তেমন সুযোগ নেই।

তাই যদি আপনি বিদেশে পড়াশোনা করতে চান আর কম্পিউটার সাইন্স এর তুলনায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুযোগ কিন্তু কিছুটা কম রয়েছে।

এবারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করতে হবে যেঃ

আমি যেরকম শুনেছি যে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির যে পরিবেশে রয়েছে সেটি কিন্তু কিছুটা খারাপ কম্পিউটার ইন্ড্রাস্ট্রি তুলনায়।

কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে আমি বড় যে কোম্পানিগুলো দেখেছি এবং তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে

এ ধরনের সবগুলো কোম্পানিতে কিন্তু কর্মপরিবেশ অনেক ভালো এবং অনেক সেফ। 

বিশেষভাবে আপনি যদি মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করার মত সেভ প্লেস আপনার জন্য আর কোথাও না হতে পারে।

অপরদিকে আমি এরকম শুনেছিলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর যে পরিবেশ রয়েছে সেটি বেশ প্রেসার আইসড এবং পাশাপাশি  বেশ বুলিং করা হয়ে থাকে। 

অনেক সময় অনেক রকম খারাপ আচরণ করা হয়ে থাকে।

এটা কিন্তু আমার একেবারেই সোনা কথা হয়তো অনেক কোম্পানিতে ভালো ব্যবহার করা হয়

তবে কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রি ক্ষেত্রে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি কারণ আমি নিজেই যেহেতু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ করে থাকি বা কম্পিউটার ইন্ড্রাস্ট্রিতে রয়েছি।

আর যেহেতু আমার সঙ্গে অনেক কোম্পানি কানেকশন রয়েছে পাশাপাশি অনেক বড় কোম্পানিতে আমি অনেক সময় কর্মী সাপ্লাই দিয়ে থাকি।

তাই এ ব্যাপারে আমার পরিপূর্ণ আইডিয়া রয়েছে।

এবারে চলুন ডিসকাস করা যাক আপনার আসলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া উচিত নাকি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং করা উচিত।

প্রথমে বলেছি যদি আপনার প্যাশন থাকে কোন সাবজেক্টে তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে সেই সাবজেক্টে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।

যদি প্যাশন না থাকে তাহলে আপনাকে বিবেচনা করতে হবে ফিউচারে আপনাকে কোথায় দেখতে চান অথবা নিজে কি করতে চায়।

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আপনি দেশের স্টাবলিশ হতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশে কিন্তু ভালো একটা পজিশনে যোগ করতে পারেন।

আবার আপনার যদি এরকম অবস্থা হয় যে আপনি হারি স্টাডি করতে চান বা আপনি ওয়াল্ডে লিড করতে চান

আপনার এভুলেশন হচ্ছে ওয়াল্ডে লিড করা। সে ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারেন।

আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে যদি আপনার এরকম অবস্থা হয় দেশে থাকতে চান। আপনি একেবারে কোন ঝামেলা ছাড়াই সেফ কন্ডিশনে থেকে পড়াশোনা শেষ করতে চান,

সে ক্ষেত্রে আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারেন কারণ এক্ষেত্রে কিন্তু কোন ঝামেলা ছাড়াই এখন সেপটিক পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন।

আবার যদি এরকম হয়ে থাকে আপনি চ্যালেঞ্জিং লাইফ পছন্দ করেন।

আপনি একটার পর একটা  অ্যাডভেঞ্চারাস  করতে পছন্দ করেন।

এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করেন অথবা আপনি উদ্যোক্তা হতে চান,সে ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু কম্পিউটার সাইন্স প্রশ্ন করতে পারেন।

কম্পিউটার সায়েন্স এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কম্পিটিশন যদিও এভাবে করা সম্ভব না।

তারপরেও শুধুমাত্র আপনাদের কে বোঝানোর জন্য আমি চেষ্টা করেছি একই কম্পারেটিভ এনালাইসিস আপনাদের সামনে তুলে ধরার।

এরপরেও যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে বা যদি আপনি কোন কিছু বুঝতে না পারেন,তাহলে অবশ্যই আপনি এই ব্লগের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

0Shares
ইঞ্জিনিয়ারিং এ কোন সাবজেক্টে স্যালারি সব থেকে বেশি? Previous post ইঞ্জিনিয়ারিং এ কোন সাবজেক্টে স্যালারি সব থেকে বেশি?
রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ? Next post রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

One thought on “কম্পিউটার সায়েন্স নাকি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ