অনেক মানুষের স্বপ্ন থাকে গুগোল এ চাকরি করার। কেউ কেউ চায় গুগোল এর মত বড় কোম্পানি যেমন এপল, মাইক্রসফট, এমাজনে চাকরি করতে। আজকের ব্লগ একটা পুর্নাজ্ঞ গাইড দেয়ার চেষ্টা করব। যেটা ফলো করে গুগোল তো বটেই, যে কোন কোম্পানির চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারেন।

গুগোল এ চাকরি পেতে, গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর একটি দৃশ্য
গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর একটি দৃশ্য, আপনার ফিউচার কর্মক্ষেত্র, ছবির ক্রেডিট Asmany Akter

এই ব্লগটি জেনেরিক তথ্য গুলো ফোকাস করে লেখা হয়েছে। ব্লগ পড়ার সময়ে কোম্পানি বা সফটওয়্যার কোম্পানির স্থলে আপনার স্বপ্নের কোম্পানির নাম চিন্তা করে পড়ুন। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। শুরুতেই বলে রাখি, আমি নিজে গুগোল এ চাকরি করি না। তবে এই ব্লগ লেখার আগে, কয়েকজন গুগোল ইঞ্জিনিয়ার, ফেসবুক, এমাজনের ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা বলেছি। জেনেছি তারা কিভাবে চাকরি পেয়েছে। সেই হিসাবে এই ব্লগের তথ্য গুলো অথেনটিক ধরে নিতে পারেন।

চিন্তা ভাবনা স্থির করুন

গুগোল এ চাকরি পেতে চান বা ফেসবুক! অথবা লোকাল কোন যায়ান্ট কোম্পানিতে চাকরি পেতে চান? সবার শুরুতে আপনাকে স্থির করতে হবে চিন্তা ভাবনা। কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে চান সেটার উপর নির্ভর করে বাকি সময়ে আপনাকে আগাতে হবে।

অনেকে চায় গুগোল এ চাকরি করতে। এটা তে ভুল কিছু নেই, কাজের জন্য গুগোল চমৎকার একটা কোম্পানি। স্পেশালি আপনি যদি প্রব্লেম সলভার হন তাহলে এটা সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে। তবে গুগোল ছাড়াও আরও বড় কোম্পানি আছে যেমন ফেজবুক, এপেল, মাইক্রসফট। আপনার উচিৎ যায়ান্ট ক্যাটাগরির সব কোম্পানি টার্গেট করার।

গুগোল এ চাকরি পেতে, ২০১৯ সালে, সতেজ লাইফ এর মোবাইল এপ বানানোর কাজে ব্যাস্ত লেখক
২০১৯ সালে, সতেজ লাইফ এর মোবাইল এপ বানানোর কাজে ব্যাস্ত লেখক, ছবি ফেজবুক থেকে, গালিব নোটস

দেশেও একই রকম কথা। আপনি শুধু অলজো তে চাকরির চিন্তা করতে পারেন, আবার জুমশেপার, থিমউইন্টার, উইডেভস এ চাকরির চিন্তা করতে পারেন। কারন সব কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তুতি একই রকম। যে কোম্পানি টার্গেট করেন না কেন, আপনার প্রস্তুতি তে অনেক সময় লাগবে। আর প্রস্তুতি নেয়ার সময় আপনি একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাবেন। এটা নিশ্চিত।

দ্রুত প্রস্তুতি শুরু করুন

গুগোল বা যে কোন টেক যায়ান্ট কোম্পানিতে চাকরি পেতে হলে আপনাকে লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। যেহেতু প্রথম স্টেপ এ আপনি বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুতরাং এই স্টেইজে লম্বা সময় আপনার সমস্যা হওয়ার কথা না। তো প্রস্তুতির শুরুতে ক্যারিয়ার পোর্টাল এর ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।

এর পর আপনার কাজ হবে গুগোল করা! গুগোলে যদি ফেজবুক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব প্রিপারেশন রোড ম্যাপ লিখে সার্চ দেন, বা এমাজন চাকরি প্রস্তুতি লিখে সার্চ দেন, অনেক রোড ম্যাপ পাবেন। সেগুলো দেখতে থাকুন। কয়েকটি রোড ম্যাপ জানা হয়ে গেলে যে কোন একটা সিলেক্ট করুন ফলো করার জন্য। ভালো হয় যদি সব গুলো কম্বাইন করে একটা লিস্ট বানান।

রোড ম্যাপ টাইপ ব্লগ বা ইনফোগ্রাফি দেখে প্রথম দিকে নাও বুঝতে পারেন। এতে ভয়ের কিছু নেই। প্রথম বারেই সব বুঝা লাগবে এমন কোন কথা নাই। কিছু দিন গেলে আপনি আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন। শুরুতে অনেকেই বুঝতে পারেন না।

এই সময়ে আপনাকে কোয়ারা অনেক বেশি হেল্প করতে পারে। এখানে আপনি যায়ান্ট কোম্পানি গুলোর চাকরির ইন্টারভিউ নিয়ে প্রচুর রিসোর্স পাবেন। দরকার হলে ১ সপ্তাহ এখানে সময় দিন। একটা ব্যাপার না বললেই না, গুগোল এ চাকরি পেতে চান আর যে কোম্পানি তে চাকরি পেতে চান, আপনাকে প্রচুর পড়তে হবে। লম্বা সময় কম্পিউটারে থাকতে হবে।

গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর ২০১৯ কোডইউ এর স্বাগতম
গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর ২০১৯ কোডইউ এর স্বাগতম, ছবির ক্রেডিট Asmany Akter

খুব ভালো মত সময় দিলে, ১ মাসের মধ্য কি কি জানা লাগবে, আপনার অবস্থা কি সব বুঝে যাবেন। এই বার আপনার শুরু হবে মূল প্রস্তুতি। এই স্টেইজ সব থেকে কঠিন এবং ৯৫% শিক্ষার্থী এই স্টেইজ এ এসেই ধরা খায়, ছিটকে পরে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনেকে কিছুদিন লেগে থাকার পরে ছিটকে পড়ে।

মূল প্রস্তুতির সময় নির্ধারন করুন। কি কি জানতে হবে এবং সেটার নিজস্ব রোড-ম্যাপ বানান। প্রতিদিন কেমন সময় দিবেন সেটা ফিক্স করে কাজে নেমে পড়ুন। শুরুতে কম সময় কিন্তু নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যান। শুরুতেই অনেক লম্বা সময় প্ল্যান করলে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গুগোল ইন্টারভিউ তে কি হয়

শুধু গুগোল না, সকল বড় কোম্পানি গুলোতে এই প্যাটার্ন ফলো কররা হয়। বড় কোম্পানি গুলো মুলত আপনার ব্যাপারে কয়েকটি ক্রাইটেরিয়া চেক করে দেখবে। আপনি কি বেসিক কোডিং পারেন? বাস্তব লাইফের সমস্যা গুলো কোডিং দিয়ে সমাধানের এপ্রচ কি আপনার? তাদের টিম কালচার এর সাথে কি আপনি ফিট? আর তাদের কোম্পানিতে কাজের জন্য লিগ্যালি যোগ্য?

বেসিক কোডিং তো কম বেশি সবাই পারেন। বিশেষ করে যারা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করেন তারা! কিন্তু আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, কোডিং টেস্ট গুলো হবে ফ্লাট স্ক্রিন বা টেক্সট এডিটরে। এখানে আপনি কোড কম্পাইলার এর সুবিধা বা অটো-সাজেশন পাবেন না। কোড হাইলাইটস হবে না। রান করতে হবে মেনুয়ালি। মোস্ট কেইস এ এমন হয়ে থাকে।

বাস্তব লাইফের একটা সমস্যা আপনাকে সমাধান করতে দিবে। ধরেন একজন শত শত নাম্বার কম্বিনেশন থেকে একটা বিশেষ নাম্বার খুজে পেতে চায়! বা ধরেন কয়েক লাখ শব্দ থেকে একটা পাসওয়ার্ড সেট করতে চায়। কিভাবে আপনি অ্যারে ডিজাইন করবেন, সেটা এক্সপ্রেস করতে হবে।

গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর ক্যাফে
গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর ক্যাফে, আপনার ফিউচার কর্মক্ষেত্র, ছবির ক্রেডিট Asmany Akter

গুগোল এ সার্চ দিলে আরও বিস্তারিত পাবেন। গুগোল এ চাকরি পেতে ইন্টারভিউ গুলোতে মুলত শুরু হয় এক বারে সহজ প্রশ্ন দিয়ে। আস্তে আস্তে কমপ্লেক্স করা হয়ে থাকে। কোডিং করার সময়ে আপনার এপ্রচটা খুবই গুরুত্বপুর্ন তাই আপনি কিভাবে চিন্তা করছেন সেটা তাদের জানাতে হবে।

অনেক যায়গা একটা পরামর্শ পাবেন, শুরুতে কোডিং না করে ইন্টারভিউয়ার এর সাথে কথা বলুন, প্রশ্ন করুন। তার পর সমস্যা সমাধানের সময় কিভাবে করছেন সেটা জোরে জোরে বলুন। এর কারন হচ্ছে, উনারা যাতে আপনাকে বুঝেন। আর এই স্টেইজ এর জন্যই মুলত সব সময় প্রবলেম সলভিং, কম্পিটিটিং প্রোগ্রামিং কে গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।

ফেজবুক, মাইক্রফট বা আমাজন এর মত সফটওয়্যার কোম্পানিতে এন্ট্রিলেভেল পজিশনে মুলত ডেটা-স্ট্রাকচার, এলগরিদম, ডিজাইন প্যাটার্ন, ইন্টেলিজেন্সি চেক করা হয়ে থাকে। সিনিয়র পোস্ট এর জন্য যদিও প্রশ্ন আলাদা হয়ে থাকে যেটা এই ব্লগের আলচ্য বিষয় নয়।

এবারে আসি, টিম কালচার এর ব্যাপার নিয়ে। আপনার হয়ত জানেন, ২-৩ টা কোডিং টেস্ট এর সাথে সাথে ১-২ টা এইচআর ইন্টারভিউ হয়ে থাকে। যেখানে আপনার সাইকোলজি চেক করা হয়। তাদের টিম গুলোর সাথে, কাজের কালচার এর সাথে আপনি ফিট কি না সেটা চেক করা হয়ে থাকে। সাধারনত এই স্টেইজ থেকে ক্যান্ডিডেট বাদ পরেন না।

গুগোল এ চাকরি পেতে, , ২০১৮ সালে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এ লেখক এবং তার বন্ধু, গালিব নোটস
২০১৮ সালে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এ লেখক এবং তার বন্ধু, ছবি ফেজবুক থেকে, গালিব নোটস

এর পর দেখা হয়, লিগ্যালি আপনি সেই কোম্পানিতে কাজের উপযোগী কি না। ইমিগ্রেশন, স্পন্সার, ভিসার ইস্যু থাকে। কোম্পানির ইন্টার ন্যাশনাল হায়ারিং পলিসি থাকে। সে সব চেক করা হয়। এর কারনে দেখবেন, অনেকে পরামর্শ দেয়, আপনি যদি আমাজনে চাকরি করতে চান, আমেরিকাতে একটা মাস্টার্স করুন। এতে করে আপনার লাস্ট এর এই স্টেজ আগেই ফিল-আপ হয়ে যাবে। এবং চাকরি বা ইন্টারভিউ পাওয়া সহজ হবে।

যায়ান্ট কোম্পানি গুলোতে মুলত প্রথমে সিভি স্ক্যান করা হয়। এর পর ফোন ইন্টারভিউ থাকে। সাধারনত ফোন ইন্টারভিউ ১ টা হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় রিক্রুট ম্যানেজার আলাদা করে ফোনে কথা বলে নেন। এর পর একটা বা দুইটা কোডিং টেস্ট হয় অনলাইনে। এই স্টেইজ গুলো থেকে বেশির ভাগ ক্যান্ডিডেট বাদ পরেন।

এর পর আসে অন-সাইট কোডিং টেস্ট। গুগোলের জন্য এক, দুই বা তিনটিও কোডিং টেস্ট হতে পারে। অনসাইট ইন্টারভিউ হলে, কোম্পানি আপনাকে প্লেন ভাড়া, থাকা খাওয়ার খরচ বহন করবে। তার মানে, আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া গুগোল এ পরীক্ষা দেন, তাহলে ঢাকা টু অস্ট্রেলিয়া ট্রাভেল ফ্রি। অনসাইট ইন্টারভিউয়ে কল আসলে, হাই চান্স থাকে চাকরি হওয়ার। তবে অনসাইট কোডিং টেস্ট অনেকটা নক আউট পর্বের মত, না পারলেই বাদ।

অন সাইট কোডিং টেস্ট এর পর থাকে এইচ আর ইন্টারভিউ । প্রথমটি যথেষ্ট কঠিন হতে পারে। পরের টা হবে ফরমাল হাই হ্যালো। কত টাকা স্যালারি চান, এই সেই, হামটি ডামটি আর কি!

কি কি শিখতে হবে

আগেই বলেছি, কোডিং। প্রোগ্রামিং ছাড়া কোন রাস্তা নাই। তবে আপনি যদি ডেভেলপমেন্ট টিম এ কাজ না করে ডিজাইন টিম বা অন্যান্য টিম এ কাজ করতে চান, তাইলে আলাদা কথা। কোডিং এর মধ্য কি শিখবেন? ডেটা-স্ট্রাকচার, এলগরিদম, ক্রিটিক্যাল প্রবলেম সলভিং।

গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর একটি দৃশ্য
গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর একটি দৃশ্য, আপনার ফিউচার কর্মক্ষেত্র, ছবির ক্রেডিট Asmany Akter

অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে কন্টেস্ট করে যদি ভালো র‍্যাংক এ আসতে পারেন, সেটা কাজে লাগবে। যদি লোকাল কন্টেস্ট এ খুব ভালো করেন, কাজে লাগবে। রোড ম্যাপ নিয়ে গুগোল করলে পেয়ে যাবেন লিস্ট। আর উপরের ভিডিওতে বলা আছে কি লাগবে না লাগবে।

এই পার্ট শুধু না, সমস্ত ব্লগে আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি,, ইন্টারভিউ এর মেকানিজম। গুগোল এ চাকরি পেতে বাকীটা আপনার গুগোল সার্চ করেই বের করতে হবে। যদি এতটুকু করতে না পারেন, তাইলে গুগোল আপনার জন্য না ভাই। বাদ দেন, একটা তথ্য গুগোল থেকে বের করতে পারেন না, আবার গুগোল এ চাকরি করতে চান? লোল

ইন্টারভিউ প্রস্তুতি

প্রশ্ন হচ্ছে ইন্টারভিউ তো আগে পেতে হবে। না পেলে কিভাবে আপনি ইন্টারভিউ দিবেন। যদি মুল প্রস্তুতি আপনার ভাল হয় তাহলে আপনি বড় কোম্পানি গুলোতে অবশ্যই চাকরির অফার পাবেন। এর জন্যই আপনাকে মুল প্রস্তুতির সাথে সাথে ইন্টারভিউ প্রস্তুতি নিতে হবে।

আপনি অনেক ভাবে ইন্টারভিউ প্রস্তুতি নিতে পারেন। ক্যারিয়ার পোর্টলার এর মক ইন্টারভিউ আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এর বাইরে অনলাইনে অনেক সাইট আছে যেখানে কোডিং টেস্ট দেয়া যায়। আবার লোকাল কোম্পানি গুলোতে সিভি ড্রপ করে লাইভ ইন্টারভিউ দিতে পারেন।

কমিউনিকেশন প্রস্তুতি

গুগোল সহ বড় বড় কোম্পানিতে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার জন্য, কমিউনিকেশন অনেক গুরুত্ব পুর্ন। শুধু মাত্র কমিউনিকেশন এর অভাবে অনেক ক্যান্ডিডেট বাদ পরে। যোগ্যতা থাকার পরও অনেকে ইন্টারভিউ এর কল পায় না। শুধু মাত্র ফট ফট করে কথা বললেই সেটা কমিউনিকেশন হয়ে যায় না।

কমিউনিকেশন নিয়ে গুগোল করুন। অনেক অনলাইন কোর্স আছে, সেগুলো দেখুন। সিনিয়র যারা ভালো পোস্ট এ আছে, তাদের সাথে কথা বলুন। সামাজিক যোগাযোগ ওয়েব সাইট বা প্রফেশনাল সাইট গুলোতে কিভাবে ভাল ভাবে প্রেজেন্ট থাকা যায়, সেটা শিখুন। এটা শুধু ইন্টারভিউ না, ব্যাক্তিগত লাইফে আপনার ভালো কাজে দেবে।

ট্রাভেল প্রস্তুতি

চাকরি পাইলাম না, ইন্টারভিউ দুরের ব্যাপার, ট্রাভেল প্রস্তুতি কেন নিতে হবে ভাই? যদি আপনার অনসাইট ইন্টারভিউ দিতে হয়, তাহলে পাসপোর্ট, ভিসা লাগবে। পাসপোর্ট করে ফেলুন। না হলে দেখা যাবে, অনসাইট ইন্টারভিউ এর আগে আপনার এই পাসপোর্ট বানাতে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। আপনার হয়ত মূল প্রস্তুতি ব্যাহত হতে পারে এই জন্যই।

গুগোল এ চাকরি পেতে, গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টারে একদিন Asmany Akter
গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টারে Asmany Akter

ফাইনালি আবেদন করা

সব ঠিক থাকলে আবেদন করা শুরু করুন। তবে প্রস্ততি শেষ না করে আবেদন করবেন না। আমি এক সময় মনে করতাম, আবেদন এর সাথে সাথে প্রস্তিতি নেয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটা যথেষ্ট কঠিন।

একটা ঘটনা শেয়ার করছি। আমার একটা খুবই ফাভারিট জুনিয়র্, গুগোল কোড ইউ উইনার, সিংগাপুর এইচকিউ তে ঘুরে এসেছেন ২০১৮ তে। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, গুগোল এ ট্রাই করবে কি না? উনি বলেছিলেন, করবে কিন্তু পরে। কারন তখন উনার প্রস্তুতি ভালো ছিল না।

গুগোল এ চাকরির শেষ কথা

সো, ব্লগ পড়া তো শেষ! এখন ঘুমায় যান, সকালে উঠে গুগোল এর মেইল পেয়ে যাবেন! এই লাইনটা হাস্যকর হলেও, আপনাদের অনেকে এই কাজ করবেন। আর এর কারনেই জীবনে সব সময় স্বপ্ন দেখে যাবেন, কিন্তু যায়ন্টা কোম্পানিতে আর চাকরি করা হবে না। এই ব্লগ কোন ট্যাবলেট নয় যে খাবেন আর চাকরি পাবেন।

সম্পুর্ন ব্লগে আমি কিছু জিনিস ইচ্ছা করে আলোচনা করি নি। কি কি এলগরিদম শিখতে হবে। ডেটা স্ট্রাকচার, এলগরিদম বা প্রবলেম সলভিং এ কত দূর যেতে হবে সেটাও বলি নি। এগুলো গুগোল সার্চ করলেই পাবেন। এখন, এই গুলো কেন দেই নাই, এটা একটা ভোগাস ব্লগ বলে উইন্ডো ক্লোজ করে দিতে পারেন।

আবার, ব্লগ এর লেখক তো গুগোল এ চাকরি করেন না। তাই সে যা লিখছে তার গ্রহণ যগ্যতা নেই। সে হিসাবে উইন্ডো ক্লোজ করে দিতে পারেন।

গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর একটি দৃশ্য
গুগোল সিঙ্গাপুর হেড কোয়ার্টার এর একটি দৃশ্য, আপনার ফিউচার কর্মক্ষেত্র, ছবির ক্রেডিট Asmany Akter

তবে যদি এখনও মনো যোগ থাকে, কয়েকটি টিপস! প্রস্তুতির সময় নির্ধারন করুন। অনলাইন ঘেটে পপুলার ডেটা স্ট্রাকচার, এলগরিদম লিস্ট করুন এবং শেখা শুরু করুন। প্রব্লেম সলভ শুরু করুন। অনলাইন ঘেটে প্রব্লেম সলভ করা শিখুন। সাফল্য আসবেই।

ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে যাস্ট চিন্তা করুন! আপনি সকালে উঠে মেইল চেক করছেন আর দেখলেন, গুগোল থেকে জয়েনিং মেইল এসেছে…

0Shares
Previous post ডিপ্লমা পাশ করে কি গুগোল এ চাকরি পাওয়া যাবে?
কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তির পর প্রথম দিকে কি কি করা উচিৎ? Next post কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির পর প্রথম সেমিস্টারে কি করা উচিৎ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ