তোমরা যারা আগের ব্লগ, যে কারনে ভুলেও সিএসই পড়া উচিৎ নয় দেখার পরও কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার সিদ্ধান্তে অটল আছো, তাদের কে কম্পিউটার সায়েন্স এর রজ্ঞীন দুনিয়ার স্বাগতম। আগের ব্লগের মত আরও অনেক অনেক ডিমোটিভেশন পাবা। একেকটা বাধা পার হবা আর নতুন করে আনন্দ পাবা, জীবনের মানে খুজে পাবেন।
আর যদি কোন যায়গা এসে স্টাক হয়ে যান, ঝরে পরেন, তাহলে কম্পিউটার সায়েন্স এর দুনিয়া থেকে ছিটকে পড়বেন। এটা অনেকটা নক আউট খেলার মত। জিততে পারলে পরের রাউন্ড আর না পারলে বাদ একবারে।
ক্যারিয়ার অপার্চুনিটিঃ
তো কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়ার এক নাম্বার কারন হচ্ছে ক্যারিয়ার অপারচুনিটি। কম্পিউটার সায়েন্স এর ক্যারিয়রার যে কত ডায়ভার্সিভ আর কত ইন্টারেস্টিং সেটা বলে পুরো আলাদা একটা ব্লগ বানিয়ে ফেলা যায়। বিশ্বের এমন কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই, এমন কোন কাজ নেই, যেখানে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করা যায় না। নাসা বলো, সিএনএন বা টেসলা, যেখানেই যাও কাজ আছে।
আপনি কি জীবনে সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন? সিএনএন বা সিডনি মর্নিং এর মত নিউজ সাইট এ কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন? কোন সমস্যা নেই, কম্পিউটার সায়েন্স থেকেও আপনি এই সংবাদ মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। আপনি একটু কষ্ট করে, বিশ্ব বিখ্যাত এই সংবাদ মাধ্যমের ক্যারিয়ার পেইজ এ ভিজিট করুন। দেখবেন, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এর ভ্যাকেন্সি আছে।
আপনার ডাক্টার হওয়ার ইচ্ছা ছিল? জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ার স্বপ্ন ছিল? সুযোগ শেষ হয়ে যায় নাই। আপনি বায়োইনফর্মেটিক্স এ গবেশনা করতে পারেন। মেডিকেল সায়েন্স এর কোর বিষয়ে গবেষনা করতেই পারেন।
ইমিগ্রেশন করে বিদেশ যেতে চান? ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি বা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ফেভারিট, ওকে! কম্পিউটার সায়েন্স এর ক্যাটাগরি চেক করুন। ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি গুল স্পন্সর নিয়ে অপেক্ষা করছে। নিজেকে কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট হিসাবে তৈরি করুন। আবেদন করুন আর ফ্লাই করুন।