চাকরির বাজারে সিজিপিএর গুরুত্ব কতটুকু? এই প্রশ্নটি আমাদের সামনে চলে আসে যখন কোন কারনে যখন আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয়।

অনেকেই বলে থাকেন সিজিপিএ ডাজেন্ট ম্যাটার। বিশেষ করে যারা কম্পিউটার লাইনে পড়াশোনা করেন সি এস ইঞ্জিনিয়ারিং বাইরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ধরনের কোন সাবজেক্টে পড়াশোনা করেন।

আজকের এই ব্লগে আমি আরো একটু ডিপলি আপনাদের সাথে এক্সপ্লেইন করব যে সিজিপিএ আপনার লাইফে কোথায় কোথায় লাগবে। সিজিপিএ কিভাবে ম্যাটার করবে আপনার লাইফে।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

মূলত তাদের অনেককেই বলতে শুনি সিজিপিএ ডাজেন্ট ম্যাটার।

বাট সিজিপিএ ডাজ ম্যাটার

সিজিপিএ যে আমাদের লাইফে কোথায় কোথায় লাগে? রেজাল্ট আমাদেরকে কিভাবে হেল্প করে?

এসবের বিস্তারিত নিয়ে আমি অনেক আগে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও দিয়েছিলাম।

তবে এই ব্লগের বিস্তারিত শুরু করার আগে সিজিপিএ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে একটু ডিসকাশন করা দরকার। যাতে করে আপনারা কোনভাবে সিজিপিএ সম্পর্কে মিসগাইডেড না হয়।

সিজিপিএর কি? কোথায় দরকার হয়ঃ

সিজিপিএ হচ্ছে যেকোনো ধরনের জব বা কোন কোম্পানিতে জয়েন করার জন্য একটি ইনিশিয়াল ক্রাইটেরিয়া।

এটি শুধুমাত্র আপনাকে ইনিশিয়াল স্টেজেই সাহায্য করবে কোনোভাবেই ডিপ লেভেলে অথবা হায়ার লেভেলে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।

ফর এক্সাম্পল, ধরেন আপনি একটি চাকরিতে এপ্লিকেশন করবেন। এখন এই অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস এর একটা মাত্র পার্ট হচ্ছে সিজিপিএ কনসিডারেশন।

কিন্তু চাকরিতে আপনি কিভাবে পারফর্ম করবে্‌কিভাবে প্রমোটেড হবে,কিভাবে আপনার পারফর্ম বেটার করবেন।

এগুলো কিন্তু ডিপেন্ড করবে ক্রিয়েটিভিটির উপর।

সুতরাং সিজিপিএ ডাজ ম্যাটার এই ব্লগটি পড়ার পরে অযথা সিজিপিএ এর পিছনে দৌড়াবেন না

অবশ্যই সিজিপিএ ভালো রাখতে পারলে ভালো,তবে এর পাশাপাশি আপনার দরকার কোয়ালিটি,আপনার স্কিলস।

যদি আপনার কোয়ালিটি ভালো না হয়,যদি আপনার স্কিলস না থাকে।

কোনটা আপনার জন্য? সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং

তাহলে আপনার সিজিপিএর যতই ভালো হোক না কেন,লাইফের সাকসেসফুল হতে পারবেন না।

তাই সবার প্রথমে আপনি চিন্তা করবেন কিভাবে আপনার কোয়ালিটি টা ইমপ্রেস করা যায়,কিভাবে আপনার স্কিলস এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়।

একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে যদি আপনার কোয়ালিটি ভালো থাকে,তাহলে মোস্ট অফ দা টাইম আপনার সিজিপিএ অটোমেটিকলি ভালো থাকবে।

অনেকে রয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হতে চান অথবা কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করতে চান অথবা কম্পিউটার সাইন্স ক্যারিয়ারে অনেক কিছু নিয়ে হতাশায় রয়েছেন।

তাদের জন্য আমি একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলেছি যে গ্রুপের লিংক দেয়া থাকবে ডেসক্রিপশন বক্সে।

সেখান থেকে জয়েন করলে আপনি আমাকে সরাসরি কোশ্চনস করতে পারবেন।

সিজিপিএ ম্যাটার করবে কি করবে না এর জন্য আমাকে কম্পিউটার স্ক্রিনে কিছু ভিডিও দেখাতে হবে।

আপনি চাইলে নিচের ভিডিও থেকে কম্পিউটার স্ক্রিনের সে ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন।

তো ভিডিও দেখে মোটামুটি আপনারা সবাই একটু হলেও আইডিয়া করতে পারলেন।

এই ভিডিওটি বানানো হয়েছে শুধুমাত্র জুনিয়র এর স্টুডেন্টদের জন্য এবং যারা সিজিপিএ প্রেসার রয়েছেন তাদের জন্য।

এখন এই ব্লগের অনেকেই রয়েছেন অথবা এই ব্লগ অনেকেই পড়বেন যারা সেকেন্ড ইয়ার অথবা থার্ড ইয়ার শেষ করে ফেলেছেন অথবা অনেকের থাকবেন যারা মাস্টার্স শেষ করে ফেলেছেন।

কিন্তু এর মধ্যে বেশিরভাগই হয়তো রয়েছেন যারা তাদের সিজিপিএ অলরেডি খারাপ করে ফেলেছেন।

একবার সিজিপিএ খারাপ করে ফেললে কি করবেন?

দেখুন যাদের সিজিপির একবার খারাপ হয়ে যায় তাদের জন্য কিছু সমস্যা রয়েছে,আমি ব্লগের একদম প্রথম পর্যায়ে বলেছি এটা একটি এন্ট্রি লেভেল রিকোয়ারমেন্ট।

কম্পিউটার সায়েন্স নাকি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন?

তাই যদি আপনি সিজিপিএ খারাপ করে ফেলেন তাহলে আপনার জন্য অনেকগুলো অপশন বন্ধ হয়ে যাবে।

যখন চাইলেই আপনি আপনার সিজিপিএ টাকে ভালো করতে পারছেন তাহলে আপনার কি করতে হবে তখন আপনার কি বা করা উচিত?

যদি আপনি সেকেন্ড ইয়ার অথবা থার্ড ইয়ারে পড়াশোনা করা অবস্থায় থাকেন তাহলে এখন থেকে চেষ্টা করবেন যাতে করে আপনার সিজিপিওয়ার ফল না করে।

যদি অনার্স শেষ করে ফেলেন তাহলে কি করবেন?

তাহলে চেষ্টা করবেন মাস্টার্স করার সময় ভালো রেজাল্ট করার জন্য।

আরেকটি ব্যাপার ট্রাই করবেন যে আপনার আসলে টার্গেট কি?

আপনি যেখানে আসলে যেতে চান সেই টার্গেট অনুযায়ী সিজিপিএর যে অল্টারনেটিভ জায়গা রয়েছে সেগুলোতে আপনি ফোকাস করার চেষ্টা করুন।

যদি আপনি ইতোপূর্বে সিজিপিএ খারাপ করে ফেলেন।

ফর এক্সাম্পল ধরুন আপনি আমেরিকাতে স্টাডি করতে যেতে চান,কিন্তু আপনার অনার্সের রেজাল্ট অলরেডি খারাপ করে ফেলেছেন। তাহলে আপনি কি করতে পারেন?

কোনটি আপনার জন্য আদর্শ “ফ্রিল্যান্সিং করবেন নাকি জব করবেন?”

অনার্সের রেজাল্ট অলরেডি খারাপ করে ফেললে কি করবেন?

  • তাহলে আপনি জিয়ারি পরীক্ষায় ভালো করতে পারেন।
  • আপনি টোয়েফল ভালো করতে পারেন।
  • আপনার যে কম্মুনিকেশন স্কিলস রয়েছে সেটি ভালো করতে পারেন।
  • পাশাপাশি আপনার সিভি আপডেট করতে পারেন।

পাশাপাশি কিছু স্কিল ডেভেলপ করে সিজিপিএর ঘাটতি সামান্য হলেও  পূরণ করতে পারবেন।

আবার ধরেন আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব করতে চান বড় কোন কোম্পানিতে এপ্লিকেশন করতে চান।

সিজিপিএর কারণে সেই কোম্পানিতে আপনি কোন ভাবে অ্যাপ্লিকেশনে করতে পারছেন না তখন আপনি কি করবেন?

তাহলে আপনি ছোট কোন কোম্পানিতে মিড লেভেল কোন কোম্পানিতে জয়েন করুন।

সেখানকার এক্সপেরিয়েন্স হলে সেখানে যদি আপনি ভাল পারফর্ম করতে পারেন,ভালো প্রজেক্ট করতে পারেন এবং ভাল আউটপুট দিতে পারেন সেটি দেখিয়ে কিন্তু আপনি বড় কোন কোম্পানিতে জয়েন করতে পারেন।

আবার সিজিপিএ কিন্তু অলরেডি আপনার হাতছাড়া করা হয়ে গেছে।

তখন আপনার নেটওয়ার্কিং করার দক্ষতা বা নেটওয়ার্কিং করার সুযোগ বা আপনার কম্মুনিকেটিং করার সুযোগ আপনার শোকেসিং করার সুযোগ এখনো কিন্তু নষ্ট হয়ে যায় নি।

এগুলো কিন্তু আপনার হাতে রয়েছে।

তাই সিজিপিএ যদি খারাপ হয়ে যায় আপনার চেষ্টা অনুযায়ী যেই অল্টারনেটিভ জায়গাগুলো রয়েছে সেগুলোতে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন।

আপনাদেরকে বলে রাখি যারা ফ্রেশ স্টুডেন্ট রয়েছেন এই ব্লগটি পড়ছেন বা সিনিয়র স্টুডেন্ট যারা এই ব্লগটি পড়ছেন সিজিপিএ একটা ছারটেইন টাইম এর পরে কোন কাজে আসবে না।

কিন্তু যবে এপ্লিকেশনে সিজিপিএ যেহেতু এন্ট্রি লেভেল রিকোয়ারমেন্ট এবং একাডেমী হাতে যেহেতু সিজিপিএ টাকে অনেক বেশি প্রায়োরিটি দেওয়া হয়ে থাকে।

তাই যদি আপনার সিজিপিএ ভালো থাকে তাহলে আপনি অনেক জায়গায় স্মুথলি পার হয়ে যেতে পারবেন।

কাজেই এখন থেকে যদি আপনাকে কেউ বলে সিজিপিএ ডাজনট ম্যাটার তাহলে আপনি তাদেরকে ইগনোর করুন,পারলে তাদেরকে আপনার লাইফ থেকে সরিয়ে দেন ।

আপনি মনে মনে নিজে নিজে কয়েকবার বলুন সিজিপিএ ডান্স ম্যাটার। 

বল্গের শেষ পর্যায়ে এখন কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়া যাক যেগুলো অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন।

মিনিমাম কত সিজিপিএ রাখলে ভালো হয়ঃ

দেখুন সিজিপিএ হচ্ছে চিনির মতো। আপনি যত বেশি চিনি ঢালবেন তত বেশি মিষ্টি হবে।

যেমনভাবে আপনার সিজিপিএ যত বেশি হবে তেমনি ভাবে আপনার চান্স ততো বেশি থাকবে।

যদি মিনিমাম কথা বলি এক এক জায়গায় মিনিমাম সিজিপিএ এক এক রকম।

যেমন হায়ার স্টাডিজ এর ক্ষেত্রে মিনিমাম তিন সিজিপিএ হলেই আপনি অনেক জায়গায় অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন।

আবার আপনি যদি একাডেমিক জবের কথা চিন্তা করেন তাহলে কিন্তু আপনার সিজিপিএ মিনিমাম ৩.৫ রাখতে হবে।

আর যদি জবের কথা চিন্তা করেন তাহলে অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি রয়েছে সেখানে কোনভাবেই সিজিপিএ কনসিডার করা হবে না।

তবে অনেক কোম্পানিতে মিনিমাম ৩ কনসিডার করা হয়ে থাকে।

যদি আপনার সিজিপিএ মিনিমাম তিন এর নিচে চলে যায়,তাহলে আপনাকে খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই।

আপনাকে সিজিপিএর অল্টারনেটিভ জায়গাগুলো স্ট্রং হতে হবে।

আমি অনেক মানুষদেরকে দেখেছি সিজিপিএ ৩ এর নিচে কিন্তু আমেরিকা হায়ার স্টাডি করতে গেছেন। একেবারে ফুল ফান্ড নিয়ে।

কাজেই সিজিপিএ যদি একবার খারাপ হয়ে তাহলে চিন্তার কিছু নেই। তবে আপনি চেষ্টা করুন আপনি যেই লেবেলে থাকুন না কেন সিজিপিএ ভালো রাখার জন্য।

এরপরেও যদি সিজিপিএ নিয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এই ব্লগের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ সবাইকে। 

0Shares
রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ? Previous post রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?
ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি ? Next post ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি ?

4 thoughts on “চাকরির বাজারে সিজিপিএর গুরুত্ব কতটুকু?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ