Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6114
আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস – কমন কিন্তু গুরুত্বপুর্ন কিছু প্রশ্নের উত্তর | Galib Notes

আজকের ব্লগটি আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস এর কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে। তবে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাঠিয়েছেন, ফয়সাল রিয়াদ ভাই। যিনি বর্তমানে আমেরিকা তে গবেষণা করছেন।

আমাদের দেশিয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনার্স লেভেল এর শেষ বর্ষে বা থার্ড ইয়ার এর শেষ দিকে একটি থিসিস কোর্স করতে হয়। এটা ইউনিভার্সিটি ভেদে ২-৩ সেমিস্টার পর্যন্ত হতে পারে। এই কোর্সটি অন্যান্য কোর্স থেকে আলাদা।

অন্যান্য কোর্স এ আমরা নরমালি ক্লাস করি, লেকচার ফলো করি, পরিক্ষা দেই। কিন্তু থিসিস কোর্স এ আমাদের ইন্ডিপেন্ডটলি রিসার্চ করতে হয়। এই থিসিস কোর্স নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা ফয়সাল রিয়াদ ভাই থেকে শুনে আসব।

আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস এর মুল টপিক কিভাবে সিলেক্ট করবেন সেটা আমরা আগের ব্লগ এ উল্লেখ করেছি। থিসিস সিলেকশন সংক্রান্ত ব্লগ দেখতে পারেন এখানে ক্লিক করে। এর বাইরে থিসিস বা রিসার্চ নিয়ে বিস্তারিত পরতে পারেন এই লিংক এ।

  • আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেল এর থিসিস কোর্স অনেক গুরুত্বপুর্ন। বিশেষ করে যারা সাইন্টিস্ট হতে চান, রিসার্চার হতে চান, একাডেমিক ফিল্ড এ ফ্যাকাল্টি হিসাবে জয়েন করতে চান তাদের জন্য। এর বাইরে, যারা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে চান, অথবা অন্য কোন দেশে রিসার্চ রিলেটেড ডিগ্রী নিতে চান তাদের জন্য অনার্স এর থিসিস এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

আজকের ব্লগটি মুলত গালিব নোটস ইউটিউব এর ভিডিওর লিখিত ভার্শন। আজকের উত্তর দিবেন ফয়সাল রিয়াদ ভাই। ফয়সাল রিয়াদ ভাই বর্তমানে আমেরিকান, আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির, স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অফ ম্যাটার ট্রান্সপোর্ট এন্ড এনার্জি এর আন্ডারে, গ্রাজুয়েট রিসার্চ এসোসিয়েট হিসাবে কর্মরত আছেন।

ফুয়সাল রিয়াদ ভাই দির্ঘদিন যাবত, বাংলাদেশি হায়ার স্টাডি এসপাইরেন্টোদের নানা ভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। এর বাইরে তিনি আমেরিকান একাধিক ল্যাব এ কাজ করেছেন।

আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস ব্লগ এর বাকি অংশ ফয়সাল রিয়াদ ভাই এর বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরা হলঃ

সবাইকে স্বাগতম! আজকে আমাদের বিষয় হচ্ছে, আন্ডারগ্রেড এ আমরা কিভাবে থিসিস পাবলিশ করতে পারি, সেই থিসিস থেকে কিভাবে পেপার বের করা যায় ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কিভাবে একটা পেপার পাবলিশ করা যায় আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস থেকে?

আমরা যখন আন্ডারগ্রেড এ থাকি তখন প্রায়ই সিনিয়র স্টুডেন্ট যেমন মাস্টার্স বা পিএইচডি স্টুডেন্ট কে জিজ্ঞেস করে থাকি, পেপার কিভাবে পাবলিশ করব। এই প্রশ্নটি শুরু থেকে ভুল করা হয়। আসলে প্রশ্নটা হওয়া উচিত যে, আমি একটা ভালো কাজ করতে চাই বা ভালো থিসিস করতে চাই। কিভাবে ভালো থিসিস করা যায়?

পেপার ইজ অলয়েজ বাই-প্রডাক্ট! আপনি যদি ভালো কাজ করেন, আপনার কাছে যদি ভালো ডেটা থাকে, ভালো রেজাল্ট বা সুন্দর প্রবলেম সলভ করতে পারেন তাহলে যে কোন ভালো জার্নাল বা কনফারেন্স এ পাবলিশেবল।

এর জন্য আমাদের এক-স্টেপ পিছনে প্রশ্নটা করা লাগবে, একটা ভালো রিসার্চ কিভাবে করা যায়, এটা জিজ্ঞেস করতে হবে।

এখন যে কোন ধরনের রিসার্চ যদি ভাগ করি তাহলে দুই ধরনের রিসার্চ দেখা যায়। একটা হচ্ছে থিউরিটিক্যাল রিসার্চ বা থিউরিটিক্যাল মডেলিং আরেকটা হচ্ছে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ।

বাংলাদেশ এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের ইনফাট্রাকচার সাপোর্ট টা খুবই খারাপ। কিছু কিছু ল্যাব ভালো থাকে, কিছু খুবই ইউকি থাকে। আতি চাইলেও সব এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করা যায় না। এর জন্য দেখা যায়, অনেকে থিউরিটিক্যাল কাজ বা ম্যাথমেটিক্যাল কাজ করতে পছন্দ করেন।

এর জন্য কাজ আপনাকে ডিসাইড করা লাগবে। তার পর দেখা লাগবে সেই কাজ আপনার ল্যাব/ইউনিভার্সিটিতে এক্সিস্ট করে কি না। বা গ্রাজুয়েশেন এর পর কাজ প্রেজেন্ট করার সুযোগ থাকবে কি না?

ভালো সাপোর্ট পেলেই কেবল এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করতে পারবেন। না হলে, দুঃখজন হলেও সত্য যে, আপনাকে থিউরি বেইজড কাজ ই করা লাগবে। বা ম্যাথম্যাটিক্যাল মডেল নিয়ে প্রজেক্ট করা লাগবে। এটা সম্পুর্নই রিসার্চ সাপোর্ট এর উপর নির্ভর করে।

আসলে আন্ডারগ্রেড থিসিস এ যেটা হয় আমরা প্রায় দেশে, বিশেষ করে ফেজবুকে বা ব্লগে অনেকে অভিযোগ করেন, এদেশে ভালো রিসার্চ হয় না, অনেক সময় আমরা শিক্ষার্থীদের দোষ দিয়ে থাকি। অনেকে বলেন, স্টুডেন্ট রা আন্ডারগ্রেড এ টিউশনি নিয়ে ব্যাস্ত থাকে, বা অন্যান্য প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।

কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, বাইরের দেশেও যে আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেল এ খুব ভালো থিসিস হয়, তাও নয়। আমি যেটা দেখেছি, বাইরে যারা রিসার্চ করে সিনিয়র ইয়ারে বা থার্ড ইয়ার এ তারা খুবই একটা স্পেসিফিক প্রব্লেম এর স্পেসিফিক পার্ট সলভ করে।

খুবই ছোট, যেমন ধরেন, একজন প্রফেসর ফাইন্যাট এলিমেন্ট নিয়ে কাজ করে! ফাইন্যাট এলিমেন্ট দিয়ে সফটওয়্যার বেইজড এনালিসি করে বা মডেল ডেভেলপ করেন। এ ক্ষেত্রে দেকা যায় যে, তার একজন পিএইচডি বা মাস্টার্স রিসার্চরা থাকে যিনি মেইন রিসার্চটা লিড করেন। এবং তার সাথে একজন আন্ডারগ্রেড স্টুডেন্ট থাকে যার আসলে কাজ হচ্ছে বিভিন্ন মডেল ডেভেলপ করা!

অনেক সময় স্টুডেন্টদের প্রসেস দিখিয়ে দেয়া হয়। আন্ডারগ্রেড এর শিক্ষার্থীরা তখন সেই প্রসেস গুলো রান করেন। আর কোন কোন সময় ডেটা কালেক্ট করে সেই পিএইচডি স্টুডেন্ট কে দিয়ে দেয়। যেটা পরবর্তীতে পিএচিডি স্টুডেন্ট এনালাইসিস করে থাকে।

আমি যাস্ট সিম্পল এক্সামপল দিলাম। অনেকে বড় এক্সপেরিমেন্ট করে, তখন আন্ডারগ্রেড স্টুডেন্ট ছোট খাটো এক্সপেরিমেন্ট করে থাকে। তো বাইরের সবাই যে অনেক বড় রিসার্চ করে তাও নয়। আমাদের আসলে বুঝতে হবে আন্ডারগ্রাজুয়েট এর এক্সপেক্টেশন ক্যামন!

শুরু থেকে এটা জানা থাকলে ভালো হোয়। অনেকে ফ্রাস্ট্রেশন এ থাকেন যে বড় রিসার্চ হচ্ছে না বা ভালো কিছু করতে পারছে না! কিন্তু ব্যাসিক্যালি ব্যাপারটা এমন না।

প্রশ্নঃ বাইরে পড়ার জন্য আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস এর রিসার্চ ব্যাকগ্রান্ড কেমন লাগবে?

যারা বাইরে পড়তে চায়, তাদের জন্য সিচিউয়েশন এখন ক্রিটিক্যাল। একটা সময় ছিল যে আন্ডারগ্রেড লেভেল এর রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স দেখা হত না। কিন্তু এখন কেউ যখন ইন্টারন্যাশনাল লেভেল এ কম্পিটিট করে, ধরলাম কেউ একটা টপ র‍্যাংক ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতেছে, তখন কিন্তু সে একাই এপ্লাই করতেছে না। তার সাথে বাংলাদেশ থেকে হয়ত ১০-১৫জন এপ্লিক্যান্ট আছে। একই সাথে ইন্ডিয়া, পাকিস্থান, চায়না, নেপাল, সাউথ কোরিয়া বা সিমিলার কান্ট্রি থেকে আবেদন করছে।

এই সিলেকশন প্রসেস টা ব্রুটারেসি লেভেল এর। নো-মার্সি টাইপ প্রসেস! সেখানে কেউ যদি এক্সপেক্ট করে যে আমাদের দেশে তো রিসার্চ ইনফ্রাট্রাকচার নাই, সো, আমি কি ভাবে রিসার্চ জানব বা কিভাবে রিসার্চ শিখব! কিন্তু এই এক্সিউজ গুলো এই যায়গা গুলোতে ভ্যালিড থাকে না। এখানে ফেয়ার সিলেকশন করা হয়ে থাকে।

কারন দেখা যাবে, আমাদের কম্পিটিটর ইন্ডিয়ান বা ইরানি বা অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা ভালো কাজ করছে। বা তাদের বড় কোন গ্রুপ এর সাথে কাজ করে পেপার পাবলিশ করছে।

এই জন্য আমাদের উচিৎ, ৪র্থ ইয়ারে আমরা এমন থিসিস টপিক সিলেক্ট করা যেন সেটা থেকে একটা জার্নাল বা কনফারেন্স পেপার পাবলিশ করা সম্ভব হয়। আন্ডারগ্রেড এ থিসিস ভালো করে করা উচিৎ।

প্রশ্নঃ একটা থিসিস কিংবা এক্সপেরিমেন্ট কিভাবে ডিজাইন করব?

এখানে আমার মনে হয়, সবার আগে সুপারভাইজার এর সাথে একটা গুড কমিউনিকেশন স্ট্যাবলিশ করা জরুরী। কারন শিক্ষার্থীদের সব কিছু শিখতে শিখতেই থার্ড ইয়ার চলে যায়।

রিসার্চ করার জন্য একটা ম্যাচিউরিটি লাগে। আমার মনে হয় একটা আন্ডারগ্রেড স্টুডেন্ট এর স্বপ্রনদিত যে ম্যাচুরিটি, সেটা থাকে না। তার একজন খুবই ভালো মেন্টর দরকার হয়। সে জন্য এমন একজন সুপারভাইজার সিলেক্ট কোড়া উচিৎ, যিনি স্টুডেন্ট কে থিসিস শিখাবেন, কাজ শেখাবেন আর মাস্টার্স-পিএইচডি এর জন্য প্রস্তুত করবেন।

এর জন্যই সুপারভাইজার ইম্পর্টেন্ট। আর যদি কেউ শুরু থেকে ভালো কাজ করতে চায় বা পেপার পাবলিশ করতে চায়, তার আসলে শুরু থেকে এভাবে টার্গেট নেয়া উচিৎ।

প্রশ্নঃ কিভাবে অনার্স এর ভালো থিসিস করা যায়?

আসলে অনার্স এ বা আন্ডারগ্রেড এ মোটামটি বা ভালো মানের ডিফাইন করা সম্ভব নয়। তবে আমার মনে হয়, খুব ছোট প্রবলেম কেউ যদি সুন্দর ভাবে করে, যেমন ধরেন,

কেউ কনক্রিট ব্লক বানাবেন এবং সেটা হচ্ছে, ট্রুডাসিটির উপর নির্ভর করে সেটার স্ট্রেন্থ কেমন সেটা টেস্ট করব। এটা খুব ছোট প্রব্লেম হলেও সুন্দর ভাবে এক্সপেরিমেন্ট ডিজাইন করতে পারলে, সব ডেটা কালেক্ট করতে পারলে সেটা দিয়ে পাবলিশ করা সম্ভব।

আবার ধরেন কেউ একজন বড় প্রজেক্ট করছেন। যেমন হয়ত কেউ লাইন ফলোয়ার রোবট বানায় ফেলছে! সে যে এলগরিদম ডিজাইন করছে সেটাতে হয়ত অনেক প্যারামিটার ছিল যেটা সে কম্পেয়ার করতে পারত। সে হয়ত রোবট বানায় ফেলছে এবং প্রজেক্ট এর ভালো আউটকাম নিয়ে আসছে।

আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর এক সাথে – গালিব নোটস

এক্ষেত্রে দেখা যাবে ভালো রেজাল্ট থাকলেও, পাবলিশেবল কোন রেজাল্ট নাই। সো, আমরা ছোট প্রজেক্ট করি বা বড় প্রজেক্ট করি সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার হচ্ছে আমরা সেই প্রজেক্ট এর ডেটা কিভাবে কালেক্ট করছি, এনালাইসিস করছি ইত্যাদি।

তবে এটা একজন আন্ডারগ্রেড স্টুডেন্ট এর চেয়ে একজন মেন্টর ভালো বুঝতে পারে। এটা হচ্ছে একটা ফ্যাক্ট।

প্রশ্নঃ আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস থেকে পেপার পাবলিশ করব কি ভাবে?

ধরলাম আপনি আন্ডারগ্রেড এ খুব ভালো কাজ করেছেন, আপনার কাছে ডেটা আছে এখন আপনি একটি পেপার পাবলিশ করতে চান। ব্যাসিক্যালি গ্রাউন্ড ওয়ার্ক টা শুরু হয় পেপার লেখার মাধ্যমে।

একটা থিসিস রিপোর্ট যদি ৫০-১০০ পাতার হয় সেখানে একটা পেপার দেখা যাবে ১০-১২ পাতার হবে। এটা ডিপেন্ড করে কোয়ালিটি এবং কোয়ান্টিটি অফ ইউর ডেটা।

নাউ, থিসিস পেপার লেখার কোন শর্টকাট তরিকা নাই। প্রতিটা ভার্সিটির বা সুপারভাইজার এর কিছু ফর্মেট থাকে। তবে কিছু বিষয় কমন থাকে যেমন ইন্ট্রডাকশোণ, মডেল ডিজাইন, এক্সপেরিমেন্ট কিভাবে করছি, ডেটা কালেকশন, ডিশকাশন এবং কনক্লুশন ইত্যাদি।

এগুলো একটা থিসিস পেপার এর মেইন পার্ট এবং এই পয়েন্ট গুলো নিয়ে আপনি পেপার পাবলিশ করতে পারেন। এটা নির্ভর করে আপনার সুপারিভাইজার এর উপর।

প্রশ্নঃ আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস এর জন্যপাবলিকেশন এর জন্য ভালো জার্নাল কিভাবে সিলেক্ট করব?

আপনার কাছে যদি ভালো ডেটা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ভালো জার্নাল বা কনফারেন্স এ পেপার পাবলিশ করতে পারবেন। তবে পাবলিকেশন এর শুরুতে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, কোন ভাবেই যেন আমাদের পেপার প্রিডাটেরি জার্নাল বা কনফারেন্স এ পাবলিশ না হয়।

বিশেষ করে উগান্ডার ক্ষেত্রে যেটা হয়, প্রতিটা ইউনিভার্সিটি ইন্ডিভিউজুয়াল লোকাল কিছু কনফারেন্স এর আয়োজন করে। যেটা শুধু মাত্র তাদের কাজ শো-কেইস করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল লেভেল এ কিছুই থাকে না।

অনেক সময় দেখা যায় যে, কারও অজ্ঞতার জন্য ভালো একটা কাজ প্রিডাটরি জার্নালে পাবলিশ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। আর অবশ্যই সুপারভাইজার এর সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।

স্টুডেন্টদের অবশ্যই সুপারভাইজার কে জানানো উচিৎ যে, সে ভালো একটা জার্নালে পেপার পাবলিশ করতে চায়। আর অবশ্যই পেইড বা প্রিডাটরি জার্নাল এভয়েড করা উচিৎ।

এটা ঠিক যে, আমরা যারা থার্ড-ওয়ার্ল কান্ট্রি থেকে আসছি যেমন উগান্ডা, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান বা সাউথ আফ্রিকান বিভিন্ন দেশ থেকে, আমাদের অনেক সময় সতর্কতা থাকে না। কিংবা চিপ কাজের জন্য আমরা যাদের সাথে কাজ করি, তারা কোন নামকাওস্তে জার্নালে পাবলিশ করে দেয়।

এক্ষেত্রে আমাদের উচিৎ হবে বুঝার সাথে সাথে জার্নাল থেকে পেপার ক্যান্সেল করা। আর ক্যান্সেল করা সম্ভব না হলে, কাজ টা এক্সটেন্ড করে ভালো জার্নালে প্রকাশ করা।

প্রশ্নঃ কোন জার্নাল এ পেপার পাবলিশ করা উচিৎ?

এটা আসলে খুবই ক্রিটিক্যাল। কারন হচ্ছে, টু বি অনেস্ট, আন্ডারগ্রেড এ আমাদের ঐ ম্যাচুরিটি থাকে না যে আমরা নিজেরাই জার্নাল সিলেক্ট করব। এ ক্ষেত্রে থিসিস সুপারভাইজার এর সহয়তা নেয়া সবচেয়ে ভালো অপশন।

অনেক সময় আমাদের কমিউনিকেশন গ্যাপ থাকে সুপারভাইজার এর সাথে। এ ক্ষেত্রে সেইম ফিল্ড এ যে সব সিনিয়র কাজ করছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। তবে এই যায়গা একজন সুপারভাইজার জানেন, কোথায় ভালো হবে।

কারন মুল কাজটা তিনি লিড করেন। আর তার অবশ্যই মাস্টার্স বা পিএইচডিএর অভিজ্ঞতা আছে। কিছু পেপার এ কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।

আর যদি এর কোনটাই না হয় তাহলে দেখতে হবে, আমার কাজটি কোন এডিয়ার করা হয়েছে। ধরলাম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ অনেক ট্র্যাক আছে থার্মাল, ফ্লুইড, হিট ট্রান্সফার, কন্ট্রল সিস্টেম, অটোমেশন।

অনেক সময় দেখা যায় আমাদের কাজ গুলো মিক্স মোড এ করা থাকে। এ সময় জার্নাল এর স্কোপ এর সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। আর আমাদের কাজ গুলো কতটা ওয়েল ডিফাইন্ড সেটা দেখতে হবে।

যদি এমন হয় যে আমি একটা ফ্লুইড মেকানিক্স রিলেড কাজ করছি যেটার স্কোপ হয়ত ফ্লুইড এর মধ্য আছে আবার কন্ডাক্টিভিটির মধ্যও আছে। সেটা কোন স্কোপ এ পরে সেটা আসলে স্টাডি করতে হবে বিভিন্ন জার্নাল এর ওয়েব পেইজ এ গিয়ে।

জার্নাল এর রিসেন্ট পাবলিকেশন দেখলে আইডিয়া পাওয়া যায়। আর বুঝা যায় একই ধরনের কাজ আপনি করেছেন কি না। আমি বলছি না যে এক্সেক্ট সেইম কাজ হতে হবে, সিমিলার কোয়ালিটি হবে কি না সেটা দেখতে হবে।

কাজের ট্র্যাক, এনালাইসিস, রেকর্ড দেখতে হবে। হতে পারে আপনি ভালো একটা কাজ করছেন। এমন হতেই পারে যে আপনি বাংলাদেশ থেকে আন্ডারগ্রেড এ থাকা অবস্থায় ন্যাচারে পেপার পাবলিশ করে ফেলছেন। এটা অবাক হওয়ার কিছু না। আবার কাজ ছোট হলে সেটা কনফারেন্স এ যেতে পারে।

এটার জন্যই সুপারভাইজার মুল হতে পারে। উনি কাজের কোয়ালিটি ডিফাইন করবেন। বি ফ্র্যাংক উইথ ইউর সুপারভাইজার। আপনি বাইরে যেতে চান, সেটার জন্য স্কলারশিপ লাগবে আর আপনি স্কলারশিপ এর জন্য পেপার এসেট দেখাবেন। জাস্ট কমিউনিকেট উইথ ইউর সুপারভাইজার এন্ড হি/শি উইল হেল্প ইউ এট হিজ/হার বেস্ট।

প্রশ্নঃ পাবলিকেশন এর জন্য কি পে করা লাগে?

পাবলিকেশন এর জন্য পে করা লাগে কি না, সেটা আসলে ডিপেন্ড করে। যেমন আপনি যদি ওপেন-এক্সেস জার্নাল এ পাবলিশ করতে চান তাহলে সেটার ফিস দিতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষ ৫০০-১০০০ ডলার হতে পারে। তবে সেটা থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি এর জন্য অনেক সময় রাখা হয় না বা ফ্রি করে দেয়া থাকে।

আপনি এসব জার্নাল এর ওয়েব সাইট এ গেলেই দেখতে পারবেন বিস্তারিত। আর কিছু আছে ভুইফোর টাইপ্ এর জার্নাল। কিংবা যারা টাকার বিনিময়ে পেপার পাবলিশ করে থাকে। এসব জার্নাল এ পাবলিশ করে তেমন লাভ হবে না। এগুলোর সাথে দৈনিক পত্রিকার কোন পার্থক্য নেই।

এখন কারও যদি এসব যায়গা পাবলিশ করার টার্গেট থাকে তাহলে আলাদা কথা। এটা কোন ভ্যালু এড করবে না সিভি তে। এটা আপনার ক্যারিয়ার এর জন্য বা স্কলারশিপ এর জন্য কোন ভাবেই কাকে আসবে না। টাকা দিয়ে পাবলিশ করার জন্য অনেক ইন্ডিয়ান জার্নাল আছে তবে এগুলো স্ট্রিকলি ডিসকারেজড।

আর কারও যদি বাই চান্স পাবলিশ হয়ে যায়, জানতেন না বা কেউ বলেছে কিছু ডলার দিলে পাবলিশ হয়ে যাবে তাহলে এটা আপনার দুর্ভাগ্য। এ রকম হয়ে গেলে পেপারটা রিট্রেট করে ফেলা। আর ক্যান্সেল না করতে পারলে অন্তত কাজ টা এক্সটেন্ড করে অন্য যায়গা পাবলিশ করার চেষ্টা করা।

একটা ভালো পেপার লিখতে হলে আপনার রাইটিং স্কিল ভালো করতে হবে। এ জন্য রাইটিং স্কিল ডেভেলপ করতে হবে।

কাজের কোয়ালিটি ভালো না হলে অনেক সময় জার্নাল থেকে আপডেটিং এর মেইল দেয়। তবে লেখার স্টাইল ভালো না হলে বাদ পরে যেতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, একটা ভালো কাজ শুধু লেখার স্টাইল এর কারনে বাদ পরে যায়।

লেখার কোন ফিক্সড নিয়ম নেই তবে আপনাকে অবশ্যই একাডেমিক রাইটিং শিখতে হবে। কোর্সওয়ারাতে অনেক ভালো ভালো কোর্স আছে। সেগুলা আপনি করে ফেলতে পারেন।

একটা ভালো পেপার আপনাকে অবশ্যই একটা স্কলারশিপ বা ফান্ডিং পেতে সহয়তা করবে। যদিও স্কলারশিপ এর জন্য কোন সিংগেল ডিসাডিং ফ্যাক্টর নেই। অবশ্যই আপনার একাডেমিক রেজাল্ট এবং জিআরই স্কোর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন।

এগুলো শোবার আগে দেখা হয়। ধরলাম আপনি একাডেমিক সিজিপিএ স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করছেন। এর সাথে সাথে একটা ভালো জার্নাল আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবে। যখন একজন প্রফেসর আপনাকে ফান্ডিং করবে, আপনার আগের কাজ দেখবে। যদি পেপার থাকে তাহলে সেটা প্লাস পয়েন্ট।

কারও যদি দেশের বাইরে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই ভালো পেপার বের করার চেষ্টা করা উচিৎ।

তো এই ছিল থিসিস নিয়ে সাধারন কথা বার্তা। অনেকেই হয়ত জানেন, আমি শুধু কথা গুলো এক যায়গা করে বললাম। যদি কারও কিছু জানার থাকে তাহলে ব্লগের কমেন্ট এ জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি চেষ্টা করব সেই প্রশ্ন গুলো নিয়ে নতুন ব্লগ বানানোর।

অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল রিয়াদ ভাই কে। অনেক ব্যাস্ততার মধ্য সুদুর আমেরিকা থেকে আমাদের কে ভিডিও করে পাঠানোর জন্য।

আমাদের দেশীও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস কোর্স রিলেটেড রিসোর্স এর অনেক অভাব রয়েছে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যখন আন্ডারগ্রেড লেভেল এ থিসিস করে থাকি, এই কমন প্রশ্ন গুলোর উত্তর না জানার ফলে আমরা অনেক মিস্টেক করে থাকি।

আপনি যদি এই ব্লগ থেকে উপকার পান তাহলে অবশ্যই এই ব্লগটি বন্ধুদের সাথে ফেজবুকে মেসেঞ্জারে শেয়ার করতে ভুলবেন না। যাতে করে আপনার সাথে সাথে আপনার বন্ধুরা উপকার পায়।

যারা ফয়সাল রিয়াদ ভাই এর সাথে যোগাযোগ করতে চান তারা এই খানে যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করছি আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস এই ব্লগটি নতুন গবেষকদের গবেষণা করতে অনেক সহায়তা করবে।

0Shares
সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল Previous post সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল
অ্যালগরিদম ফেইলুর Next post অ্যালগরিদম ফেইলুর থেকে বিলিয়নিয়ার সবজি বিক্রেতা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ