Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the blog-prime domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6121
উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর চরম মানহীনতার দায় কার? | Galib Notes

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ইন্টারন্যাশনাল মানের হওয়ার পরও আমরা প্রতিনিয়ত উন্নতি করেই যাচ্ছি। আমাদের আছে প্রাচ্যর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড লোকাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, শিক্ষার স্বর্ন যুগে বসবার করছি আমরা!

বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে ইনোভেশন, আইডিয়া, বিজ্ঞান গবেষণা আর মুক্ত জ্ঞ্যান চর্চার মাধ্যমে! তখন একই সময়ে, উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলো উলাটা দিকে পন করে হাঁটছে! আসলে হাঁটছে বলার থেকে দৌড়াচ্ছে বলাই শ্রেয়। উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর চরম মানহীনতায় দায় কার?

শুরুতে বলে রাখি, এই ব্লগটি আমার ব্যাক্তিগত রম্য রচনা! এখানে কোন ভাবেই আপনার বিশ্ববিদ্যালয় কে ইন্ডিকেট করা হয় নি। এটা শুধু মাত্র এন্টারটেইনমেন্ট এর জন্য লেখা। এখানে শুধু মাত্র উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়য় গুলো নিয়ে নগ্ন রম্য করা হয়েছে। লেখাটি ব্যাক্তিগত হওয়াতে এই ব্লগ এর বাকী অংশ পড়তে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে!

উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর চরম মানহীনতা কেন বলছি?

একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন করে বের হয়। আর জব হয় মাত্র কয়েক ডজন শিক্ষার্থীর। ২০১৬ তে উগান্ডার আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড লোকাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ হাজার শিক্ষার্থী কম্পিউটার সায়েন্স এর গ্রাজুয়েট হন। জব পেয়েছে মাত্র ২০-২২ জন। একই অবস্থা চলছে অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে, দিনের পর দিন। বছরের পর বছর।

এই অবস্থা শুধু এখানে তা নয়। সরকারি বেসরকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এটাই। উগান্ডাতে ৭০% গ্রাজুয়েট বেকার। এই অবস্থা পৃথিবীর অন্য কোথাও আছে কি না জানা নেই।

একটু ডিগিং করি, এদেশে কম্পিউটার সায়েন্স থেকে গ্রাজুয়েট করা অনেক ছেলে মেয়ে আছে, যারা কম্পিউটার চালু পর্যন্ত করতে পারে না। কেমিস্ট্রি থেকে পাশ করা অনেক ছেলে মেয়ে বেসিক কেমিস্ট্রি পারে না। চিন্তা করতে পারেন, সিস্টেম এর কি বাজে অবস্থা উগান্ডাতে।

এই রকম গল্প লাখ লাখ, বলে শেষ করা যাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর চরম মানহীনতার দায় কি সরকারের?

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর চরম মানহীনতার দায় কার?

কি ভাবে সমাধান করা যেতে পারে এই সমস্যার?

কাওকে না কাওকে এগিয়ে আসতে হবে। ট্রেডিশনের বাইরে গিয়ে, রুলস ব্রেক করে সিস্টেম রিপেয়ার করা লাগবে। এর জন্য সব রকম ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকা লাগবে। অন্যদের থেকে শিক্ষা নিয়ে, বাস্তব সম্মত প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে।

উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অনেক গুলো আছে, যাদের রুট সিলেবাস আমেরিকান স্টাইলের। কিন্তু তারা আমেরিকান স্টান্ডার্ড ধরে রাখতে ব্যার্থ হয়েছে। যেমন ধরেন, আমেরিকান স্কুল গুলোতে ১৯৯০ সালে যেই সিলেবাস ছিল সেটা কিন্তু ২০২০ সালে নেই। প্রয়োজন অনুসারে আপডেট করা হয়েছে। আর উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চলছে ৩০ বছর আগের সেই সিলেবাস আর সেই সিস্টেম।

এই ট্রেডিশন ভাংতে হবে! যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস বদলানো না যায় তাহলে এডিশনাল ট্রেইনিং চালু করতে হবে। তবে সেই এডিশনাল কোর্স যেন শিক্ষার্থীদের বার্ডেন না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা লাগবে। এডিশনাল কোর্স গুলোর জন্য আলাদা কোর্স ফিস নেয়া যাবে না। দরকার হলে, রেগুলার অপ্রয়োজনীয় কোর্স এর ক্লাস কমিয়ে দিতে হবে।

শেষ কথা

উগান্ডার বর্তমান যেই অবস্থা, তাতে আমার এই ব্লগ থেকে কোন রকম পরিবর্তন আসবে না। উলটা এই ব্লগ যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন চামচার সামনে পরে, দেখা যাবে আমার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হতে পারে। আফটার অল, উগান্ডার ডিপার্টমেন্ট গুলোতে চাটুকারদের জয় জয়কার সময় এখন।

একটা ডিপার্টমেন্ট এ কিছু সমস্যা থাকতে পারে। দুনিয়ার সকল দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সমস্যা থাকে। সকল প্রতিষ্ঠানে কিছু সমস্যা থাকে। কিন্তু উগান্ডার ব্যাপার সম্পুর্ন উলটা। এখানে কিছু লোক ভালো আছেন, বাদ বাকি সব সমস্যা। সবাই চাটুকার, এমনকি লেখক নিজেও।

এমন হতে পারে, ডিপার্টমেন্ট এর কোন টিচার এই ব্লগের স্ক্রিনশর্ট নিয়ে, কো-অর্ডিনেটর কে দেখাবেন। কান ভারি করবেন যে, আমি বিয়াদব, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বিপক্ষে লিখে সমস্যা তৈরি করছি। তাদের রেপুটেশন নষ্ট করছি। অথচ টিচার এর দায়িত্ব ছিল, এই সমস্যা গুলোর সমাধান নিয়ে কাজ করা। ইনোভেশনে আরও জোর দেয়া যাতে আমার মত অন্য কেউ তাদের নিয়ে প্রশ্ন না তুলতে পারে। যাতে করে ইন্ডাস্ট্রি গুলো কর্মীর অভাবে না ভুগেন।

Ops! আমি তো ভুলেই গেছিলাম, ইনোভেশন বা সমস্যার সমাধানের যোগ্যতা লাগে। উনাদের তো আবার চাটুকারিতার বাইরে আর যোগ্যতাই নেই!

Previous post কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখানোর দায়িত্ব কি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাকি শিক্ষার্থীর?
Next post কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট গুলো যেভাবে আপডেট করা যেতে পারে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ