Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the blog-prime domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6121
অ্যালগরিদম ফেইলুর থেকে বিলিয়নিয়ার সবজি বিক্রেতা! Galib Notes

সাইন্স ফিকশন অ্যালগরিদম ফেইলুর থেকে বিলিয়নিয়ার সবজি বিক্রেতা!

#Year2041

২৪ বছর আগের গল্পটিই আজকের গল্প! গুল্প না বলে এটাকে সত্য ঘটনাও বলা যায়! কারন এই ইতিহাস আমার সাথেই ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা!

২০১৭ সালের কথা! উগান্ডার লোকাল অক্সফোর্ড উনিভার্সিটির ২য় বর্ষের ছাত্র। মাথায় নানান বিষয় ঘুরে, নানান আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছা হয়! এটা ওটা করব কল্পনা করে ফাটায় ফেলি -এমন অবস্থা আর কি! আবেগ টানে কিন্তু আবেগের থেকে #বাগ বেশী ছিল।

হুমায়ুনন কবির স্যার এত সুন্দর অ্যালগরিদম থিউরি পড়াত যেটা ভাষার বাইরে! কম্পিউটার সাইন্স এর কোর্স তো এমনই হওয়া উচিৎ, তাই না!! তখন অ্যালগরিদম নিয়ে কাজ শুরু করার কথা ভাবছিলাম।

California এ স্বপ্নের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার ইচ্ছা ছিল তখন!! কিন্তু একটা এলগরিদম পুরা দেশের চেহারাই পরিবর্তন করে দিবে ভাবতে পারি নি! অ্যালগরিদম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে, এই ভাবে সবজি বিক্রেতা এবং তার পর বিলিয়নিয়র হওয়ার চিন্তা স্বপ্নেও মাথায় আসে নি!

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ ইন্টারেস্ট, সাইকোলজির রিটেক কোর্স আর  California  এর স্বপ্নে বিভোর হয়ে অ্যালগরিদম প্রজেক্ট শুরু করলেও, বুঝতে বেশীদিন লাগেনি যে সেটা আমার জন্য ছিল না!

অ্যালগরিদম ডিজাইন এর সেই প্রজেক্ট শুরু করার আগে ধারনা ছিল, দুনিয়া কাপানো অ্যালগরিদম ডেভেলপ করব। কম্পিউটার সাইন্স এর ইতিহাস আরেকবার পালটে দিবে এমন অ্যালগরিদম ডিজাইন করার লক্ষে কাজ শুরু করেছিলাম কয়েকদিনের মধ্যই।

অ্যালগরিদম ফেইলুর এর সেই প্রজেক্ট শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যই আমি নিজেই কেঁপে গেছিলাম। আমি বুঝে গেছিলাম, অ্যালগরিদম ডিজাইন আমার কাজ নয়। শুধু অ্যালগরিদম নয়, কম্পিউটার সাইন্স আমার জন্য নয়, এটাও বুঝতে পেরেছিলাম।

**************

সব কিছু ছেড়ে দিয়ে দিলাম, গ্রামে চলে গেলাম আর সবজি চাষ শুরু করেছিলাম!! সবজির মুল্য বাড়ায় কিছু দিনের মধ্য ব্যাবসা ফুলে-ফেপে উঠতে থাকে!

উগান্ডার বাজারের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে! এখানে সবজির দাম নানা কারনে বাড়লেও, কমে না কোন কারনে! বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ার জন্য হাজার কারন থাকলেও, কমার জন্য একটি কারনও নেই।

আমি বুঝে গেছিলাম, ব্যাবসা ধরে রাখতে পারলে এক সময় সবজির বাজার ট্রিলিয়ন ডলার এর হবে। কম্পিউটার সাইন্স, বিশ্ব কাপানো অ্যালগরিদম ডিজাইন এর চিন্তা, সাইকোলজি কোর্স ভুলে সবজির ব্যাবসায় মন দিলাম।

আস্তে আস্তে ভুলে গেলাম ক্যালিফোর্নিয়ার স্বপ্ন! গ্রামে চলে আসার সময়, স্বপ্ন দেখানো মানুষটির হাত ছেড়ে আসতে হলো! এই ক্ষত নিয়ে, যিদ ধরে সবজি বিক্রির কাজ চালিয়ে গেলাম!

**************

আর ২৪ বছর পর আমি একজন বিসনেস ম্যাগনেট! দেশে এবং দেশের বাইরে কয়েক ডজন গাড়ী-বাড়ি মালিক, সর্বচচ কর দাতা! চাইলে কয়েক ঘন্টায় কিনে নিতে পারি দেশের সব থেকে বড় সফটওয়্যার ফার্ম আর আইটি কোম্পানি গুলা !

আমার সেই সবজির খামারে আজকে কর্মীর সংখ্যা টেক যায়ান্ট Google এর দ্বিগুন। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সংখাটি । সবজির খামারে কাজ করতে আসে দেশ বিদেশ এর নামকরা সব কৃষি-বিদ!

কম্পিউটার সাইন্স থেকে ঝড়ে পড়া স্টুডেন্টরা আমার খামারে সবজি চাষ করে! স্বপ্ন দেখে আমার মত বড় মাপের চাষি হওয়ার। গুগোল-মাইক্রসফট এর চাকরি ছেড়ে আমার খামারে কাজ নিতে কেউ এক মুহুর্ত ভাবে না।

**************

যা চেয়েছি সবই পেয়েছি, না পাওয়া বলতে শুধু সে ই। একজন ক্ষুদ্র সবজি ব্যাবসায়ীর সাথে থাকতে রাজী হয় নি! কম্পিউটার সাইন্স এ বিএসই ডিগ্রি আছে, মাইক্রসফট ওয়ার্ড এক্সেল পারে সে কি একজন সবজি বিক্রেতার বউ হতে পারে?

এদেশে সবাই ২০ বছর বয়সে স্ট্যাবল পাত্র চায়, অফুরন্ত সময় চায়, ফ্লাট-গাড়ি চায়! অথচ একটু সাপোর্ট দিলে একজন ৩০ বছর বয়সে এর থেকেও অনেক বেশি কিছু করে ফেলতে পারত!

কয়জনই বা সফল হওয়ার আগে হাত বাড়িয়ে দেয়?

#সাইন্সফিকশন_লেখার_অপচেষ্টা 

“সাইন্স ফিকশন অ্যালগরিদম ফেইলুর থেকে বিলিয়নিওর সবজি বিক্রেতা” লেখা হয়েছিল ১২ই নভেম্বর ২০১৭ সালে। আমি তখন ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, কম্পিউটার সাইন্স এ আন্ডার গ্রেড করছিলাম।

আমার ডেটা-স্ট্রাকচার এবং অ্যালগরিদম কোর্স টিচার ছিলেন, শ্রদ্ধেও হুমায়ুন কবির স্যার। হুমায়ুন স্যার খুব ভালো অ্যালগরিদম পড়াতেন! ক্লাসে আমরা শুধু থিউরি পড়তাম, সময়ের স্বল্পতাতে ইমপ্লিমেন্ট করা হত না!

আমি নিজে নিজে যখন সেগুলো ইমপ্লিমেন্ট করতে গেলাম, বিশ্বাল ধাক্কা খেলাম। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগে এই লেখাটি লিখেছিলাম। আমার মনে হয়, সকল কম্পিউটার সাইন্স এর শিক্ষার্থী জীবনে অন্তত ১বার গ্রামে গিয়ে সবজি চাষ করার কথা চিন্তা করে।

এবং এটাও মনে হয়, সবজি চাষ এর চিন্তা বা এলগোরিদম ইমপ্লিমেন্টেশনের সময়ে কোন বিএফ/জিএফ এর সাপোর্ট পায় না কেউ 😉

সাইন্স ফিকশন ফর “বাবু খাইছো, বাবু খাইছো?” দেখতে পারেন এখানেসাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল পড়তে পারেন! এছাড়া আমার সিরিজ ব্লগ সাইন্স ফিকশন পড়ুন এই লিংক এ ক্লিক করে। ব্লগ ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস Previous post আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস – কমন কিন্তু গুরুত্বপুর্ন কিছু প্রশ্নের উত্তর
টেকনো-হ্যাভেন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ Next post টেকনো-হ্যাভেন ইন্টারভিউ এক্সপেরিয়েন্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ