cse subject review in bangla

যে কারনে কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তি হওয়া উচিৎ নয় – পার্ট১

কম্পিউটার সাইন্স পড়ার সব থেকে বড় সুভিদা হচ্ছে, দেশে এবং বিদেশের সব কোম্পানির ভ্যাকেন্সি পেইজ এ, আপনার জন্য জব থাকবে। কম্পিউটার গ্রাজুয়েট দের জন্য সব কোম্পানিতেই কম বেশী জব থাকে। সেটা এগ্রিকালচার হলেও, ফার্মেসী হলেও অথবা অন্য কোন ইন্ডাস্ট্রি হলেও। এই যে সব যায়গা কম্পিউটার ক্যাটাগরিতে জব থাকে, এটা আবার কম্পিউটার সাইন্স (Computer Science subject review bangla) শিক্ষার্থীদের জন্য সব থেকে বড় সমস্যাও!

সুবিধা তো এক কথায় বুঝা গেল, কিন্তু অসুবিধা বুঝতে হলে সম্পুর্ন আর্টিকেল মন দিয়ে পড়া লাগবে। যদি আপনি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী হন, কেন আপনার কম্পিউটার সাইন্স পড়া উচিৎ হবে না? আর যদি গার্জিয়ান হন, তাহলে জুনিওর বা সন্তানদের কে কম্পিউটার সাইন্স এ পড়ানো উচিৎ না? কেন হবে না জানেন…


দেশে এবং বিদেশের সব কোম্পানিতে কম্পিউটার গ্রাজুয়েটদের জন্য চাকরীর ভ্যাকিন্সি থাকে, এটা সত্য। কারন, সব ইন্ডাস্ট্রিতেই, কম্পিউটার রিলেটেড সার্ভিস লাগে। আর অটোমেশন এর এই যুগে তো আরও বেশি। এমন কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই যেখানে কম্পিউটার এর ব্যাবহার নেই। তবে, সমস্যা হচ্ছে, এই জব গুল গ্র্যাব করতে পারবেন না। শুধু দেখেই যেতে হবে। কারন, সব জবই আলাদা আলাদা স্কিল রিকোয়ার্ড করবে। যেমন, ইন্ডাস্ট্রি অটোমশন এর জন্য যেটা জানা লাগবে, সেটা হয়ত ফিন্যান্স এ লাগবে না, অথবা মুল ধারার সফটয়্যার এ লাগবে না। একা তো আর সব কিছুর প্রস্তুতি নিতে পারবেন না। তাই, জবে এপ্লাইও করতে পারবেন না।

জব তো অনেক পরের কথা। আগে তো কম্পিউটার সাইন্স (Computer Science subject review bangla) এ গ্রাজুয়েট হতে হবে। যদিও, গ্রাজুয়েশন ছাড়াও জব পাওয়া যায় তবে সেটার সম্ভাবনা অনেক কম। শুধু মাত্র হাইলি স্কিলড হলেই, এমন জব পাওয়া যেতে পারে। কম্পিউটার সাইন্স এ গ্রাজুয়েট হওয়ার জন্য, অনেক গুলো কঠিন স্টেপস পার করে আসতে হবে।

ব্লগ পড়তে ভালো না লাগলে গালিব নোটস চ্যানেলে এ সম্পর্কিত ভিডিও দেখতে পাবেন নিচের লিংক এ

কম্পিউটার সাইন্স কিন্তু অন্য ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে আলাদা – গালিব নোটস

আমাদের দেশে কম্পিউটার সাইন্স একটি ট্রেন্ডিং সাবজেক্ট আর এইচএসসি পরিক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই, শিক্ষার্থীরা বুঝে, না বুঝে সিএসই সাবজেক্ট এ ভর্তী হয়ে যায়। আমাদের দেশে যে সব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেগুলার হাতে গোনা কয়েকটি ভার্সিটিতে প্রোগ্রামিং এর চর্চা হয়ে থাকে। যদি ভাবেন, প্রোগ্রামিং বাইপাস করে কিছু করবেন, বোকার রাজ্য বসবাস করছেন। এর কারন হচ্ছে, সিএসই এর মুল হচ্ছে প্রোগ্রামিং। অনেক বুদ্ধিজীবি হয়ত এখানে ডাউট করবেন কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সিএসই এর যে লাইন এ যান না কেন, প্রোগ্রামিং সবার আগে। হাতে গোনা যে ২-১টি লাইন এ প্রোগ্রামিং নাই, সেগুলা এক্সসেপশনাল।

বেশির ভাগ ভার্সিটিতে প্রোগ্রামিং এর কোন চর্চা নেই। শিক্ষক রা তো শেখাবেই না, শিখতে উৎসাহ পর্যন্ত দিবেন না। আপনি মানেন বা নাই মানেন, এটাই সত্য এবং এটা স্টুডেন্ট দের সাফার করা লাগবে। হয়ত, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২-১জন আলাদা শিক্ষক থাকতে পারেন, ডেডিকেটেড শিক্ষক থাকতে পারেন কিন্তু অবশ্যই তারা এক্সসেপশনাল।

এখন, যদি কিছু শিখতে চান, তাহলে ভার্সিটির পড়ার পাশা পাশি শিখতে হবে। নিজে নিজে সেলফ মোটিভেট হয়ে শেখা লাগবে যেটা সহজ নয়। বিশেষ করে, ফ্রেশ স্টুডেন্ট দের জন্য এটা অনেক অনেক কঠিন। আবার, ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতে চাইলে, নিজে নিজেই শেখা লাগবে। নিজে নিজে শিখবেন স্থির করে, সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন? তাহলে জেনে রাখুন, সমস্যা কেবল শুরু। চলুন আগান যাক সামনে!


বলা হয়ে থাকে, আধুনিক যুগের মির্জাফোর বলেছিলেন, ভার্সিটি লাইফ এ কোন পড়া  নেই। শুধু চিল আর চিল, সাথে বক, টিয়া, কাউয়াও ফ্রি। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে, ভার্সিটির লেখা পড়া স্কুল কলেজ এর কয়েক গুন বেশী। যেগুলা মুখুস্ত করার মত সেগুলা মুখুস্ত করতে হয় মেডিকেল এর শিখার্থীদের আর যেগুলা মুখুস্ত করার মত না, সেগুলা মুখুস্ত করতে হয় ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদের। আর অন্য দিকে স্টাডির সময়, যদি কোন ভাবে একবার রেজাল্ট খারাপ করেন, দেখবেন আসে পাশের যদু, মধু, বদু, লাইকা, মজনু সবার সিজি ৪ এ ৪.০৪ কিন্তু আপনার সিজি ২.০৪ হয়ে গেছে। সিজি নামার সময় নামে লিফট এর গতিতে আর উঠার সময় সিড়ি দিয়ে ২মন বস্তা কাধে নিয়ে উঠার গতির মত উঠে।

যদি ইংরেজী না পারেন, তাহলে পড়বেন আরেক সমস্যা তে। সব কিছু ইংরেজী তে। ম্যাথ ইংরেজীতে, রসায়ন, বাংলা, অপদার্থ সব কিছু ইংরেজী ভাষায়। মুখুস্ত করা আরও একটু কঠিন হয়ে যাবে। তবে, এটাই শেষ নয় কিন্তু! কয়েক সেমিস্টার যেতে না যেতেই দেখবেন, সহপাঠিরা কেউ কেউ কোডফোর্স এ রেড কোডার হয়ে গেছে আবার কেউ কেউ ফ্রিলায়ন্সিং আউটসোর্সিং করে ৬-৭ ডিজিট এর ইনকাম করা শুরু করে দিয়েছেন। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাবেন কোন দিকে?

cse subject review galib notes, image source – askideas

এটা আপনার জন্য খুবই চ্যালেন্ডিং সময় হবে। একদিকে সিজি, আরেকদিকে কন্টেষ্ট প্রোগ্রামিং এবং অন্য দিকে লাখ লাখ টাকার স্বপ্ন। এ রকম অবস্থায়, ট্রায়াংগেল এ যারা পড়েছেন তারাই এর ভালো অনুভুতি প্রকাশ করতে পারবে। আপনাকে, এই সব চ্যালেঞ্জ এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ড এ যেমন, কাজ করে করে শিখবেন, অভিজ্ঞতা হবে, কিন্তু সিএসই তে যদি আপনি ম্যাথ না বুঝেন, যদি এনালাইটিক্স না জানেন, তাহলে সাফার করা লাগবে অনেক বেশী।

স্কুল কলেজে আমরা ম্যাথ এর প্ইয়াটার্ন মুখস্ত করে বেশির ভাগ সময় পার হয়ে গেলেও এখানে সেটা হবে না। পরিক্ষার জন্য মুখুস্ত করা লাগবে কিন্তু প্রবলেম সলভ করার সময় আবার সেগুলা এপ্লাই করা লাগবে। একটা সমস্যা নিয়ে দিনের পর দিন, লম্বা সময় ধরে পরে থাকা লাগবে। এই চ্যালেন্ডও মোকাবেলা করতে হবে। যদি না পারেন, একটা ফেইলুর করলেই প্রায় সব শেষ!

সব শেষে, টাইম ম্যানেজমেন্ট এ সমস্যা হবে খুবই। যে কাজই করতে যান না কেন, অনেক সময় লাগবে। কন্টেষ্ট, স্কিল ডেভেলপ, প্রজেক্ট সব কিছুতেই। যদি ঢাকার মধ্য থাকেন, তাহলে রাস্তার জ্যাম এ অনেক সময় চলে যাবে, তার পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা-মাস্তি, বাসায় ফিরে কম্পিটার এ সোস্যাল মিডিয়া তে সময় দেয়ার পর কি আর সময় থাকে। আর যদি, সাথে কোন ললনা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই আর।


এত এত চ্যালেঞ্জ এর কোথাও না কোথাও তো ফেইল করবেন এবং আপনার সিএসই গ্রাজুয়েশন বেকার পড়ে থাকবে, সার্টিফিকেট বাসায় একটা কাগজের মত ট্রাংকে পড়ে থাকবে। এত এত চাকরী থাকতেও কিছুই করতে পারবেন না।

আমাদের সিনিয়র রা যখন কম্পিউটার সাইন্স (Computer Science subject review bangla) এর সাবজেক্ট রিভিউ দেয়, কেউ এসব বলেন না! কেন বলেন না জানি না, তবে এগুলা হচ্ছে ধ্রুব সত্য। আমাদের সিএসই সাবজেক্ট রিভিউ এ শাহাজালাল ভার্সিটির স্টুডেন্ট, মাইক্রফট এর মনির ভাই এর কথা বলা হয়, কিভাবে ফেইলুর সাজবেক্ট নিয়েও জব পেলেন সেটা বলা হয়। কিন্তু বস্তা বস্তা সিএসই গ্রাজুয়েট যে রাস্তায় ঘুরছেন, বেকার আছেন তাদের উদাহরন কেউ দেন না।

সিইও হওয়া যায় কিভাবে জানতে চান? ৩ং কারন জানলে অবাক হবেন!


তাই, ভালো করে চিন্তা করুন, অসাধারন পরিশ্রম করতে পারবেন? পারবেন দিন রাত একটা সমস্যা নিয়ে বসে থাকতে? কি সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা আপনার ব্যা পার তবে আমি সত্য বিষয় গুল তুলে এনেছি। ভেবে সিদ্ধান্ত নিন, না হলে আজীবন পস্তাতে হবে।


More From Author

How to become CEO Galib Notes

সিইও হতে চান? বাংলাদেশীরা কেন সিইও হতে পারে না?

Software Engineering Internship

সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টার্নশিপ পেতে মাত্র ৪টি স্টেপ!

গালিব নোটস বিজ্ঞাপনঃ

গালিব নোটস বিজ্ঞাপনঃ

Our Facebook Page

গালিব নোটস বিজ্ঞাপনঃ

Our Latest Twit

Subscribe For Last Update



ব্লগ সংক্রান্ত নোটিশঃ

বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে, ডিজাইন রেডি করে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা বিজ্ঞাপন চেক করে সাইট এর সাথে ফিট হলে প্রাইস নিয়ে আলোচনা করব। তবে, আমাদের সাইট এর ভিজিটর এবং কনভার্সন রেট বেশী হওয়ায় বিজ্ঞাপনের চার্জ কিছুটা বেশী। বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারেন এখানে

ব্লগে লিখতে চাইলে, লেখা রেডি করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। লেখা ইউনিক এবং কপি মুক্ত হতে হবে। লেন্থ ১ হাজার ওয়ার্ড এর বেশী হওয়া লাগবে। ব্যাকলিংক পেতে পারেন শর্ত মেনে। লেখা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারেন এখানে।

গালিব নোটস বিজ্ঞাপনঃ

গালিব নোটস বিজ্ঞাপনঃ

Tech-Alert-Bangla-Ads-2

আমাদের অন্যান্য উদ্যোগঃ

টেক এলার্ট বাংলা টেকনোলজি ব্লগ। মোস্টলি ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং, অনলাইন এ আয়, বিভিন্ন টিউটোরিয়াল নিয়ে ব্লগ প্রকার করা হয় নিয়মিত। টেক এলার্ট এর ইউটিউব চ্যানেল দেখতে পারেন এখানে।

সিলিকভি  বাংলাদেশি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। ওয়ার্ডপ্রেস সংক্রান্ত সব ধরনের সার্ভিস যেমন থিম-প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট, কোম্পানি সাইট, পার্সনাল সাইট, কাস্টমাইজেশন, ইকমার্স সলুশন ইত্যাদিয়ে দিয়ে থাকে। এর বাইরে সিলিকভি এর সাস প্রডাক্ট রয়েছে।

গ্রিন সফট হচ্ছে টেক ব্লগ যেখানে ইকমার্স এবং উকমার্স নিয়ে বিস্তারিত ব্লগ পাবেন। অনলাইনে ব্যাবসা এর জন্য যা যা জানা দরকার সব পাবেন গ্রিনসফট ব্লগ এ।

ক্যারিয়ার পোর্টাল হচ্ছে বাংলাদেশি প্রথম, সর্বাধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি নির্ভর জব প্লাটফর্ম । সাইট এর বেটা ভার্শন রিলিজ করা হয়েছে এবং নিয়মিত আপডেট করা হয়ে থাকে।

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ

গালিব নোটস বিজ্ঞাপনঃ