একজন শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট লাইফ থেকে ইন্ডাস্ট্রি তে ঢুকার জন্য সবার প্রথম স্টেপস হচ্ছে ইন্টার্নশিপ (Software engineering internship in dhaka)। বিশেষ করে টেকনিক্যাল ফিল্ড গুলোতে, ব্যাবসা বানিজ্য বিভাগে ইন্টার্ন করা টা অনেক গুরুত্বপুর্ন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ সেমিস্টার এ ইন্টার্ন করা মেন্ডেটরি আবার অনেক যায়গা ঐচ্ছিক রাখা হলেও, ইন্টার্ন কোথায় করছেন আর কি শিখছেন সেটা ক্যারিয়ার এর প্রথম চাকরীতে অনেক ইম্প্যাক্ট ফেলে। যত ভালো যায়গা ইন্টার্ন করা যায়, তত ভালো যায়গা চাকরী পাওয়া সহজ হয়। যদিও এই আর্টিকেলটি সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কে কেন্দ্র করে, তবে সিএসই এর অন্যান্য ফিল্ড সহ যে কোন ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষার্থীরা এই স্টেপস গুলো ফলো করে সফল হতে পারেন।

ভালো কোম্পানিতে ইন্টারনশিপ পেতে চাইলে ৪টি স্টেপস ফলো করতে হবে

১. সিভি তৈরিঃ

ভার্সিটি লাইফ এর ফাইনাল ইয়ার এ উঠলে অথবা যখন ইন্টার্ন করতে হবে তার ১-২ সেমিস্টার আগেই, একটি সুন্দর সিভি বানিয়ে ফেলুন। যে ক্যাটাগরিতে চাকরী করতে চান, সেটার উপযোগী করে সিভি বানান। সিনিয়র থেকে টেমপ্লেট নিয়ে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে সিভি বানাবেন না। একটু ঘাটা-ঘাটি করে নিজে নিজে সিভি লিখুন। সিভিতে যাদের রেফারেন্স দিবেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন, তাদের জানিয়ে রাখুন রেফারেন্স এর কথাটি।

যে কোন কোম্পানিতে ঢুকার জন্য, চাবি হিসাবে কাজ করবে আপনার সিভি। তাই, সিভিতে গাল-গপ্প লিখে ভারি করবেন না, অযাচিত ইনফরমেশন দিবেন না। আবার তাই বলে এক বারে ছোট করে ফেলবেন না, প্রোয়জনীয় তথ্য গুলো সাজিয়ে সুন্দর করে দিবেন। সিভি লেখা শেষ হলে সিনিয়র কাওকে দিয়ে রিভিউ করিয়ে নিন। রিভিউ করানোর মত কাওকে না পেলে, ইন্টার্নশিপ এন্ড জবস ইন বাংলাদেশ ফেজবুক গ্রুপের এডমিন দের নক করতে পারেন।


সিভি লেকার সময় দেখবেন, তেমন কিছু নেই। নেই অভিজ্ঞতা, নেই প্রজেক্ট, নেই এক্সট্রা কারিকুলার কিছু। এ অবস্থায় ঘাবরানোর কিছু নেই। যা যা আছে সেগুলা ই সুন্দর করে সাজান। ভার্সিটির ইম্যাচিউর প্রজেক্ট গুলো গিট এ আপলোড করে লিঙ্ক করে দিন। একান্তই কোন প্রজেক্ট না থাকলে, ১-২টা প্রজেক্ট বানিয়ে ফেলুন।

ইন্টার্নশিপ পাওয়ার ৪ ধাপ বিস্তারিত দেখতে পারেন নিচের ভিডিওতে

কয়েক মাস আগে থেকে ইন্টার্ন প্রস্তুতি নিলে সহজেই পেইড ইন্টার্ন ম্যানেজ করা যায় – গালিব নোটস

২. কোম্পানি রিসার্চঃ

সিভি বানানোর পরের স্টেপস  হচ্ছে কোম্পানি খুজে বের করা। সেরা সফটয়্যার কোম্পানি গুলোর একটা লিষ্ট করে ফেলুন। তাদের ফেজবুক, লিঙ্কডিন প্রফাইল গুলো ফলো করুন। কোম্পানি গুলোর ক্যারিয়ার পেইজ এ নজর রাখুন নিয়মিত। কোম্পানির কর্মীদের লিষ্ট থাকে ওয়েব সাইট এ এবং লিঙ্কডিন এ। খোজ নিয়ে দেখুন কোন এলুমিনি আছে কি না সেখানে। অথবা কোন কর্মী পরিচিত কি না।

পরিচিত কাওকে খুজে বের করে সরাররি জব চাইবেন না। এতে করে খারাপ একটা ইমপ্রেশন তৈরি হতে পারে। কাওকে খুজে পেলে আগে তার সাথে কানেক্টেড হন। তার পর জেনারেল কথা বার্তা বলুন, ক্যারিয়ার নিয়ে সাজেশন চান, কি করছেন এ ব্যাপারে ব্রিফ করুন এবং ফাইনালি, আপনার সিভিটি তাকে দিয়ে রিভিউ করিয়ে নিন। সবার শেষে ইন্টার্ন নিয়ে কথা বলতে পারেন। জানাতে পারেন যে ইন্টার্ন খুজতেছেন বা কোন ওপেনিংস আছে কি না।

৩. সিভি ড্রপঃ

কোন কোম্পানি যখন ইন্টার্ন (Software engineering internship in dhaka) এর জন্য সার্কুলার দিবে, দ্রুত আবেদন করে ফেলবেন। তবে অন্ধের মত নয়, দেখে শুনে আবেদন করুন। কি চাচ্ছে, তার মধ্য কি কি জানেন, কি কি জানা নেই সেটা জানুন। লিমিটেশন জানাটা একটা অন্যতম কোয়ালিটি যেটা বেশীর ভাগ মানুষের মধ্য নেই। যা যা চাচ্ছে তার বেশির ভাগ যদি জানেন, তাহলে আবেদন করুন। আবেদন করার আগে অবশ্যই সিভিটি জব রিকোয়ার্মেন্ট অনুযায়ী আপডেট করে নিন। কিওয়ার্ড যুক্ত করুন কারন অনেক কোম্পানি ইনশিয়াল স্ক্যানিং সফটয়্যার দিয়ে করে যেখানে কিওয়ার্ড না থাকলে অটোমেটিক্যালি সিভি রেজেক্টেড হয়। সিভি ড্রপ করার পর, পরচিত কেউ থাকলে তাকে জানিয়ে রাখুন কিন্তু ভাইভার জন্য অনুরোধ করবেন না।


সিভি সেন্ড করার সময় স্ট্যান্ডার্ড ফরমেট মেনে চলুন। সঠিক সাবজেক্ট লাইন আর মেইল বডি গুরুত্বপূর্ন! মনে রাখবেন, একজন এইচআর ম্যানেজার এর কাছে দৈনিক অনেক রকম মেইল আসে তাই সাবজেক্ট ঠিক না হলে সভি দেখার সম্ভাবনা কম। আর যদি হার্ড কপি জমা দিতে চান, তাহলেও পইয়াকেট এর গায়ে সঠিক ভাবে নাম, ঠিকানা লিখে দিন। সিভি ড্রপ করার সময় ইন্টার্ন ছাড়াও এন্ট্রি লেভেল জব গুলোতে আবেদন করা যেতে পারে। আর যদি রিকোয়ামেন্ট কিছুই না পারেন, তাহলে লিষ্ট করে সেগুলা শেখা শুরু করে দিতে হবে।

৪. ভাইভা প্রস্তুতিঃ

যদি আগের স্টেপস গুলা ঠিক ঠাক ভাবে মেনে সিভি ড্রপ করেন, তাহলে বেশির ভাগ কোম্পানি থেকেই ভাইভার জন্য কল পাবেন। ভাইভার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। গুগোল করলে জেনে যাবেন কি কি জানা উচিৎ ফ্রেশারদের। বেশীর ভাগ কোম্পানি ইন্টার্ন পজিশনে হাইলি স্কিল্ড কাওকে চায় না। ডেডিকেশন, কমন স্ট্রাকচার জানেন, কোড লিখতে পারেন, সমস্যা সমাধানে দক্ষ এমন লোক চায়। এর বাইরে, কোম্পানি পলিসি অনুযায়ী নতুন ক্রাইটেরিয়া যুক্ত হয়ে থাকে।

যে কারনে কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তি হওয়া উচিৎ নয় – পার্ট১

সিইও হওয়া যায় কিভাবে জানতে চান? ৩ং কারন জানলে অবাক হবেন!


ইন্টার্নশিপ (Software engineering internship in dhaka) ভালো একটি কোম্পানিতে করতে পারলে অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়। সিভিতে ভ্যালু এড করে আর ভালো কাজ দেখিয়ে চাইলে বেশীর ভাগ কোম্পানিতে ফুল টাইম চাকরী শুরু করা যায়। ইন্টার্নশিপ হচ্ছে স্টুডেন্ট দের উপরে উঠার সিড়ি আর কোম্পানির জন্য পাইপলাইন। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকে গাফিলতি করে লামসাম ইন্টার্ন করে যেটা তাদের পরবর্তীতে কোন কাজেই আসে না। আবার অনেকে গাইডলাইন এর অভাবে ভালো ইন্টার্ন ম্যানেজ করতে পারে না। যখনি ইন্টার্ন এর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করবেন, এই আর্টিকেল এর মত করে স্টেপস বা স্টেপস আগাবেন। আর এই লেখাটি ভালো লাগলে বন্দুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।


0Shares
cse subject review in bangla Previous post যে কারনে কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তি হওয়া উচিৎ নয় – পার্ট১
Machin Learning Bangla Next post মেশিন লার্নিং নিয়ে কথা না বলা ফ্রেন্ডদের ইমিডিয়েটলি বদলে ফেলুন!
Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ