রিমোট জব ভালো নাকি খারাপ সেটা এক লাইনে বলা সম্ভব নয় ।এই ব্লগে আমরা চেষ্টা করো রিমোট জব ভালো নাকি খারাপ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার।
আমরা অনেকেই বাসায় বসে কাজ করে থাকি। এতে করে সময় ও কম লাগে সাথে অফিসে যেয়ে কাজ করার ঝামেলা থাকেনা। তো এটিই হচ্ছে রিমোট জব।
রিমোট জব নিয়ে আমি এর আগে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একাধিক ভিডিও বানিয়েছি।
সেখানে আমি কথা বলেছি রিমোট জব কি? কিভাবে রিমোট জব পেতে হয়?
কি কি স্টেপ রিমোট জবের জন্য প্রিপারেশন নিতে হয়?
কোথায় কোথায় আপনি রিমোট জব খুঁজবেন সবকিছু বিস্তারিত।
সেখান থেকেই অনেকে রিমোট জবের ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড হয়েছে। কেউ কেউ আমার ফেসবুক পেজে এবং ইমেইলে অথবা নানান ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে।
এখন কথা হচ্ছে রিমোট জবের ভালো রয়েছে আবার পাশাপাশি রিমোট জবার খারাপ দিকও রয়েছে।
যদি আপনি রিমোট জবের ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড হন তাহলে আপনাকে ভালো দিকটা যেমন জানতে হবে,খারাপ দিকটা বিবেচনা করতে হবে।
কোনটা আপনার জন্য? সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং
একই সাথে আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রিমোট জব আপনার জন্য উপযোগী কিনা এই ব্যাপারটি বুঝতে পারা।
তো আজকের ব্লগে আমরা কথা বলবো রিমোট জবের ভালো কোন দিক রয়েছে এবং খারাপ কোন দিক রয়েছে।
পাশাপাশি আমি আপনাদেরকে এনালাইসিস দেওয়ার চেষ্টা করব যে রিমোট জবাব আপনার জন্য উপযোগী কিনা।
অনেকে রয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হতে চান অথবা কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করতে চান অথবা কম্পিউটার সাইন্স ক্যারিয়ারে অনেক কিছু নিয়ে হতাশায় রয়েছেন।
তাদের জন্য আমি একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলেছি যে গ্রুপের লিংক দেয়া থাকবে ডেসক্রিপশন বক্সে।
সেখান থেকে জয়েন করলে আপনি আমাকে সরাসরি কোশ্চনস করতে পারবেন।
আর আপনার প্রশ্ন থেকে আপনার উপকার হতে পারে আপনার বন্ধুদের উপকার হতে পারে।
যারা এখনো জানেন না রিমোট জব কি তাদের জন্য বলে রাখি যে,
আপনি আপনার বাসা থেকে বা স্পেসিফিক কোন প্লেস থেকে আপনি আপনার অফিসের কাজ কন্টিনিউ করতে থাকেন অথবা অফিসে না গিয়ে রিমোট কোন এরিয়া থেকে করতে পারেন।
বা চাইলে অন্য কোন দেশ থেকে আপনি আপনার নিজের চাকরি করতে থাকেন তাহলে সেটিকেই আমরা রিমোট জব বলে থাকে।
রিমোট জবের ভালো দিকঃ
প্রথমেই আমি কথা বলতে চাই রিমোট জবের ভালো দিক নিয়ে।
যদি আপনি রিমোট জব করেন তাহলে কিন্তু আপনি আনলিমিটেড ফ্লেক্সিবিলিটি পাবেন।
আপনি আপনার বাসা থেকে রিমোট জব করতে পারবেন অথবা আপনি অন্য কোন দেশ থেকে রিমোট জব কন্টিনিউ করতে পারবেন।
আপনি আপনার গ্রাম থেকে রিমোট জব কন্টিনিউ করতে পারবেন। আপনি ট্রাভেল করতে করতে রিমোট জব কন্টিনিউ করতে পারবেন।
তাছাড়া যদি অন্য কোন জায়গায় ইমারজেন্সি কোন কাজে যান সেখান থেকেও করতে পারবেন।
আবার অনেক রিমোট জব রয়েছে যেখান থেকে কিন্তু আওয়ারলি ফ্লেক্সিবল করা যায়।
আপনি চাইলে দিনে করতে পারবেন,চাইলে সকালে করতে পারবেন,চাইলে বিকেলে করতে পারবেন অথবা চাইলে রাতে করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো।
কম্পিউটার সায়েন্স নাকি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন?
এরকম অনেক ধরনের ফেসিলিটিজ ফ্লেক্সিবিলিটি কিন্তু আপনি পাবেন শুধুমাত্র রিমোট জবের ক্ষেত্রে।
তবে সব ধরনের রিমোট জবে কিন্তু যে একদম ফ্লাক্সিবল তা কিন্তু বলা যাবে না।
অনেক জায়গায় রয়েছে আপনাকে ওয়ানটাইম মিটিংয়ে জয়েন করতে হবে বাকি কাজটা আপনি আপনার মত করে ফ্লেক্সিবল হবে করতে পারেন।
রিমোট জবের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে নরমালি রিমোট জবগুলোতে একটা ভালো অ্যামাউন্ট পে করা হয়ে থাকে।
যদি আপনি দেশে বসে বিদেশি কোম্পানিগুলো তে রিমোট জব করে থাকেন।
কোন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বা সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড কোন জব যদি আপনি করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার ভালো একটা ভালো এমাউন্ট পাওয়ার পসিবিলিটি থাকে।
নরমালি আমাদের দেশে থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি সেলারি দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে বাইরের দেশের সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে
এই বেশি সেলারি সঙ্গে সঙ্গে আপনার এই দিকটা মাথায় রাখতে হবে রিমোট জব পেতে হলে কিন্তু আপনার অবশ্যই খুব ভালো স্কিলস থাকতে হবে।
যদি আপনি রিমোট জবের কথা চিন্তা করেন তাহলে পরে যেই জিনিসটা আপনি মাথায় রাখতে পারেন সেটি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টে কাজ করা।
যখন আপনি রিমোট কোন পজিশন থেকে কাজ করবেন,বিশেষ করে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে তখন কিন্তু নরমালি দেখা যাবে যে ইন্টার্নেশনালি ইনভারমেন্ট এ।
তখন কিন্তু আপনার একজন কলিগ থাকবে ইন্দোনেশিয়ার,একজন থাকবে নিউ ইয়র্কের আর আপনি হয়তো জয়েন করেছেন বাংলাদেশ থেকে।
এভাবে আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল ইনভারমেন্ট ডে ইন্টারন্যাশনাল পিপল দের সাথে রিমোট জবের মাধ্যমে জয়েন করতে পারেন।
যেখানে নরমালি আপনি যদি কোনো ইউএসএ’র কোন কোম্পানিতে জয়েন করতে যান সেখানে যদি আপনি চাকরির মাধ্যমে যেতে চান সেটি কিন্তু অনেক অনেক বেশি কঠিন হতে পারে।
তবে রিমোট জবের ক্ষেত্রে এতটা কঠিন হবে না।
কোনটি আপনার জন্য আদর্শ “ফ্রিল্যান্সিং করবেন নাকি জব করবেন?”
রিমোট জাবের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে আপনি অনেকগুলো টুলসের ব্যবহার একসাথে শিখতে পারবেন।
কারণ আপনি যখন রিমোট এরিয়া থেকে কোন জবে জয়েন করবেন তখন কিন্তু আপনার কাজকর্ম হবে টুলস নির্ভর।
তখন কিন্তু আপনার যে ডেট এ কাজ করবেন অথবা কমিউনিকেশন করবেন। আপনাকে যে ট্রাকিং হবে সবকিছু কিন্তু হবে বিভিন্ন টুলস নির্ভর।
তো যখন আপনার রিমোট জব করবেন তখন কিন্তু এই জিনিসগুলো আপনার জানার সুযোগ হবে,আপনার এক্সপেরিয়েন্স করার সুযোগ হবে।
রিমোট জবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ যে সুবিধা কথাটি আমি আপনাদেরকে বলব সেটি হচ্ছে কস্ট সেভিং।
ধরুন আপনি বাংলাদেশে বসে বিদেশি কোন কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে রিমোট জব করছেন।
তাহলে এখানে আপনার যে মাসিক খরচ আসবে সেটা কিন্তু ইউএস এর তুলনায় অনেক কম।
অথবা উন্নত কোন দেশে থেকে অনেক কম এবং এভাবে কিন্তু আপনি আপনার খরচ সেভিং করতে পারেন।
এর বাইরে অফিসে যাওয়ার জন্য আপনাকে ট্রাভেল করতে হবে না।
সেখানে আপনার টাইম এবং মানে দুটো বেচে যাবে। আবার আপনার বিভিন্ন ফাংশন এ যেতে হবে না সেখানে কিন্তু আপনার কস্ত সেভিং হবে।
তাই রিমোট জবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ যেটি আমি বলব ফোল্ডার কিন্তু অনেক খরচ সেভিং হবে।
এর বাইরে রিমোট জবের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে যেগুলো আপনি গুগল সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
এবারের রিমোট জব এর খারাপ দিকগুলো নিয়ে কথা বলা যাকঃ
রিমোট জবের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে খারাপ দিক যেটি আমার সামনে এসেছে সেটি হচ্ছে এনভায়রনমেন্ট প্লেসিং।
ধরুন নরমালি কোন সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে অথবা সফটওয়্যার কোম্পানিতে রিসার্চার হিসেবে কাজ করছেন।
এই সেক্টরে আপনি জব করেন না কেন যদি আপনি কোম্পানিতে বসে কাজ করেন অথবা অফিসে বসে কাজ করেন তাহলে তখন কিন্তু আপনার কলিগের সাথে কথা হবে।
আপনার বসদের সাথে আপনার কথা হবে,অফিসে আপনার জুনিয়র যারা আছে তাদের সাথে আপনার ইন্টারেকশন হবে।
পাশাপাশি অফিসের যারা অন্য ডিপার্টমেন্টে কর্মরত আছে তাদের সঙ্গেও আপনার ইন্টারঅ্যাকশন হবে।
এটির মাধ্যমে কিন্তু আপনার মাঝে একটা পজিটিভ নেটওয়ার্কিং তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটির মাধ্যমে আপনার একটা পজিটিভ কালচার তৈরি হবে যেটি আপনার জন্য অনেক বেশি একটা ইম্পোর্টেন্ট জিনিস।
রিমোট জবের দ্বিতীয় খারাপ দিকটি সেটি হচ্ছে লেগ অফ নেটওয়ার্কিং।
যদি আপনার রিমোট জব করে থাকেন তাহলে কিন্তু শুধুমাত্র কাজের ব্যাপারে আপনার কথা বলার সুযোগ তৈরি হবে।
বাট যদি আপনি লোকালে কোন সফটওয়্যার কোম্পানিতে বা লোকালি কোন কোম্পানিতে কাজ করে থাকেন সেখানে কিন্তু আপনার নেটওয়ার্কিং করার সুযোগ থাকবে।
আপনারা হয়তো অলরেডি জানেন অনেকেই জানেন পজেটিভ নেটওয়ার্কিং হচ্ছে অ্যাসেট।
একটা পজেটিভ নেটওয়ার্কিং যে আপনাকে কত ভাবে হেল্প করতে পারে সেটি কিন্তু আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
তাই যদি আপনি লোকালে জব করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার নেটওয়ার্কিং তৈরি করার সুযোগ থাকবে। যেটা ইন্টারন্যাশনালে রিমোট জব করার ক্ষেত্রে খুবই কম।
রিমোট জবের ক্ষেত্রে আরেকটি খারাপ সাইড আমার কাছে মনে হয়েছে সেটি হচ্ছে ব্যাড ম্যানেজমেন্ট।
অনেক সময় এমন হয়ে থাকে যদি আপনার রিমোট জব করে থাকেন তাহলে তাদের সাথে সম্পর্ক থাকবে শুধুমাত্র টাকা এবং কাজের মাধ্যমে।
সে ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু কখনোই কোর যে কাজ রয়েছে,কোর যে রেস্পন্সিবিলিটি রয়েছে প্রমোশন পেতে পেতে কিন্তু আপনি ওয়ে স্টেজ পর্যন্ত যেতে পারবেন না।
এ ক্ষেত্রে এটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ করে থাকেন বা সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে থাকে তাহলে।
আপনি যদি কো এক্সো লেভেলে না যেতে পারেন। আপনি যদি আপনার সেই এক্সপান্ডস না থাকে। যদি এক্সপ্লোর করতে না পারেন। সেটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য একটা বিশাল বড় হুমকির ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো লোকাল অনেক কোম্পানি ইনোভেটিভ শেয়ার দিলেও রিমোট জবে ইনোভেটিভ পাওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।
আপনি যদি এই রিমোট জব করেন তাহলে আপনার অবশ্যই অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
রিমোট জবের ক্ষেত্রে এখন যে খারাপ দিকটির কথা আমি বলব যে আপনার ডেটা সিকিউরিটি।
যেহেতু রিমোট যাবে সম্পূর্ণ কাজকর্মে হয়ে থাকে টুলস নির্ভর সফটওয়্যার নির্ভর। সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান করে থাকেন।
সে ক্ষেত্রে যে কোন সময় কিন্তু আপনার ডেটল সিকিউরিটি ব্রেক ডাউন করতে পারে।
যেকোনো সময় কিন্তু আপনার ডিভাইসটি হ্যাং হতে পারে। বা আপনি নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত কোন সমস্যায় পড়তে পারেন।
রিমোট জাবের আরেকটি সমস্যা বা খারাপ দিক হচ্ছে এটি কিন্তু অনেক সময়ই ডি-মোটিভেটিং হয়ে থাকে। কিভাবে ডি মোটিভেটিং ?
আপনি যখন রিমোট জব করবেন নরমালি যেটা হয়ে থাকে আপনি আপনার বাসা থেকে কাজ করেন। আপনি আপনার কম্পিউটারে বসে কাজ করেন। আপনি একা একা বসে কাজ করে।
আপনি একা একা বসে কাজ করেন যেহেতু আপনার কলিগদের সাথে কাজের বাইরে কোন ব্যাপারে আলোচনা বা কথা হয় না।
সে ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় যে রিমোট জব করাটা ফাস্ট ট্রেশন অথবা ডি মোটিভেটিং।
রিমোট জবের আরেকটি খারাপ দিক হচ্ছে ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স করা হয়ে ওঠে না।
রিমোট জব করার ক্ষেত্রে অনেক সময় ওয়ার্ক লাইফ নঅরগানাইজ করা হয়ে ওঠে না।
কারণ হচ্ছে আপনি যেই ডেস্কে বসে রিমোট জব করছেন তারপাশেই কিন্তু আপনার বেড থাকে।
যখন আপনি আপনার অফিসে শেষ করছেন তখন কিন্তু আপনার ইনভারমেন্ট চেঞ্জ হচ্ছে না। তখন কিন্তু আপনার আশেপাশের অবস্থান চেঞ্জ হচ্ছে না।
আপনি হয়তো একনাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছেন । সাতটার অফিস দশটায় শেষ করছেন অথবা দশটার অফিসার এগারো টায় শেষ করছেন। আপনি বুঝতে পারছেন না।
তখন কি হয় এটি যে আপনার একটা ওয়ার্ক লাইফ এর ব্যালেন্স বলতে একটা ব্যাপার থাকে সেটা কিন্তু অনেক সময় হয়ে ওঠে না।
রিমোট জবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ খারাপ দিক নিয়ে দেশে আমি কথা বলব সেটি হচ্ছে অনালাইন মিটিং।
রিমোট জাবের মিটিং করতে করতে আপনার লাইফটা হেল হয়ে যেতে পারে।
একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে যে সামনা সামনি আমরা যখন কথা বলি তখন কিন্তু আপনার খুব সহজেই আমরা বলে ফেলতে পারি,খুব সহজেই আমরা সল্ভ করে ফেলতে পারি।
কিন্তু যখন আমরা অনলাইনে কাজ করি,রিমোট জব করি তখন কিন্তু ইজ এন্ড এভরি স্টেপ মিটিং এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
তো এই মিটিং মিটিং মিটিং করতে করতে একসময় আপনার লাইফটা হেল হয়ে যেতে পারে যদি আপনি রিমোট জব করেন।
এবারে চলুন কথা বলা যাক আপনার জন্য রিমোট জব উপযোগী কিনা?
দেখুন রিমোট জব আপনার জন্য তখনই উপযোগী হবে যখন আপনার মধ্যে একটা এক্সপার্ট চলে আসবে।
যখন আপনি ক্যারিয়ার শুরু করবেন তখন কোন ভাবে আপনার রিমোট জব শুরু করা উচিত না
তার কারণ একটাই ক্যারিয়ারের শুরুতে আপনাকে গ্রো করতে হবে।
আপনার স্কিলস যেমন গ্রো করতে হবে পাশাপাশি আপনার নেটওয়ার্কিং গ্রো করতে হবে। আপনার পার্সোনালিটি গ্রো করতে হবে। আপনার লিডারশিপ কোয়ালিটি গ্রো করতে হবে।
এই জিনিসগুলো ক্যারিয়ারের শুরুতে খুব ইম্পর্টেন্ট। তাই আমার পার্সোনাল অপিনিওন হচ্ছে ক্যারিয়ারের শুরুতে কোন ভাবে রিমোট জপে জয়েন করা উচিত নয়।
আমার মতে অন্তত পাঁচ বছরের এক্সপেরিয়েন্স হলে কেউ রিমোট কবে জয়েন করতে পারেন
যদি আপনি হাইলি মোটিভেটেড হয় যদি আপনার সেলফ মোটিভেশন অনেক বেশী হয়ে থাকে এক্ষেত্রে রিমোট যাবে জয়েন করতে পারেন।
আদারওয়াইজ আপনার ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স এ সমস্যা হতে পারে,আপনার মোটিভেশন নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার মেন্টাল হেলথ এ সমস্যা হতে পারে ।
তাই যদি আপনার হাইলি সেলফ মোটিভেশন না থাকে তাহলে আপনার জন্য রিমোট জায়গায় জয়েন না করার পরামর্শ থাকলো।
যদি আপনার ফ্যামিলির সঙ্গে থাকেন এবং ফ্যামিলি বেশি সময় দিতে চান এক্ষেত্রে আপনি রিমোট জব করতে পারেন।
তবে যারা ম্যাসে থাকেন বা শহরে থাকেন অথবা ব্যাচেলর থাকেন,যারা ফ্যামিলির বাইরে একা একা থাকেন তাদের জন্য রিমোট জব কোনভাবে আমার পার্সোনাল অপিনিওন বা রিকমেন্ডেড নয়।
পাশাপাশি যদি আপনি ট্রাভেলার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার রিমট জব করতে পারেন।
আপনি যদি ট্রাভেল করতে চান,তাইলে আপনার রিমোট জব করতে পারেন কারণ ট্রাভেল করার জন্য আপনার ফ্লেক্সিবিলিটি দরকার হবে।
টাইম ফ্লেক্সিবিলিটি প্লেস ফ্লেক্সিবিলিটি দরকার রয়েছে।
আপনি জেনে অবাক হতে পারেন অনেক সময় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন পার্ট টাইম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফুল টাইম ট্রাভেলার।
তারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং করেই ট্রাভেল কস্ট মেইন্টেইন করার জন্য।
আপনি যদি ট্রাভেলার হতে চান তাহলে রিমোট জব এর মাধ্যমে ট্রাভেলিং শুরু করতে পারেন।
রিমোট জবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ যে পয়েন্ট আমি প্রকাশ করতে চাই সেটি হচ্ছে
যদি আপনার প্ল্যানিং থাকে যা হায়ার স্টাডি তে যেতে চান অথবা এবরোড যেতে চান কোন কারণে তাহলে আপনার রিমোট জব করতে পারেন
কারণ আপনার মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্কিং তৈরি হতে পারে। ইন্টার্নেশনাল কলাবরেশন তৈরি হতে পারে। আপনার স্কিলস এর একটা গ্রো হতে পারে।
তখন কিন্তু আপনার জন্য বাইরের দেশে চলে যাওয়া সহজ হতে পারে।
এর বাহিরেও রিমোট জব নিয়ে যদি আপনার কোন পারসনাল প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
3 thoughts on “রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?”