Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the blog-prime domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6121
সিজিপিএ ডাজেন্ট ম্যাটার? মিসলিডিং নাকি রিয়েলিটি! Galib Notes

সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর অনেক শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস হয়, শুধু মাত্র একটা ভুল উপদেশ এর কারনে। সেটা হচ্ছে, সিএসই তে সিজিপিএ লাগে না, স্কিল এ সব কিছু। ইউটিউবে যদি একটু ঘাটা ঘাটি করেন অথবা সিনিয়র কারও সাথে কথা বলেন, দেখবেন অনেকে এই সাইজেশন দেয়। সিজিপিএ ডাজেন্ট ম্যাটার , cGPA is nothing but a number । আমাদের দেশের মোটভেশনাল স্পিকার রা এই ধরনের ভুল হর হামেশা প্রচার করে থাকে।  আমাদের জীবনে, সিজিপিএ এর গুরুত্ব অনেক বেশী যেটার প্রমান পাবেন এই আর্টিকেল এ।

সিজিপিএ হচ্ছে আপনার ভার্সিটি আইডেন্টিটি, যত ভালো থাকবে তত লাইফ সহজ হবে – গালিব নোটস

একেবারে প্রথন কথা হচ্ছে, সিজিপিএ হচ্ছে আপনার ইউনিভার্সিটির পরিচয়। আপনি লাইফ এ যেখানে যে কাজটি করতে যান না কেন সবার আগে সিজি চেক করা হবে। যেমন, একাডেমিক লাইন এ ফ্যাকাল্টি পজিশনের জন্য যদি আবেদন করেন, সিজিপে কম হলে আবেদন ই করতে পারবেন না। মডারেট হলেও শুরুতে বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


এব্রড এ যদি হায়ার স্টাডি করতে চান, তাহলেও কিন্তু সিজি খুব গুরুত্বপুর্ন ম্যাটার। সিজি কম হলে অনেক ইউনিভার্সিটি তে আবেদন ই করতে পারবেন না। আবার, আবেদন করার পরও অনেক যায়গা থেকে বাদ পরবেন। স্কলারশিপ বা ফান্ডিং পেতে বেগ পাওয়া লাগবে। বাইরে এডমিশন এ সিজিপিএ কে এক নাম্বার বিবেচ্য বিষয় ধরা হয়। বুঝতেই পারছেন, সিজি এর গুরুত্ব এডমিশনে কত বেশী।

যে ৭ ধাপে একজন সিএসই শিক্ষার্থীর পতন ঘটে!

জব সেক্টরে যখন কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার সিভি শর্টিং করা হয়, তখন সিজিপিএ তে একটি কাট-অফ দেয়া হয়। মানে হচ্ছে, সিজি নির্ধারিত মানের এর কম হলে সেই সিভি দেখাই হবে নাহ। এখানে উল্লেখ্য, সিজিপিএ কম নিয়েও অনেকে জব করেন, তবে সেটা সংখ্যাতে অনেক কম। আর, তাদের কোয়ালিফিকেশন থাকে অনেক বেশী।

সিজিপিএ কম নিয়ে যাররা জব করেন, তাদের যদি ডিগ্রি নাও থাকত তবুও তাড়া জব করতে পারত। অনেকে সিজিপিএ কম নিয়েও হায়ার স্টাডি করে। পার্স্টেন বের করলে হয়ত ২% এর বেশী হবে বা তাঁরা। তাদের কে জেনারেল ক্যাটাগরি তে টেনে আনা ঠিক নয়।

সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টার্নশিপ পেতে মাত্র ৪টি স্টেপ!

সিজি খারাপ থাকলে, শিক্ষার্থীরা হীনমন্যতায় ভুগে থাকে। ফ্রেন্ড দের সিজি ভালো হলে, নিজেকে এক সময় ছোট মনে হবে। এভাবে লম্বা সময় গেলে, এক সময় এই কারনে কনফিডেন্স কমে যাবে। এখান থেকে ডিপ্রেশন সহ, নানান সাফার করাবে আপনাকে।

যদি রেগুলার সিজির গুরুত্ব না দেন তাহলে রেগুলা রেজাল্ট খারাপ করবেন । খারাপ করতে করতে যদি রেজাল্ট ২.০০ এর নিচে এসে যায় তাহলে অনেক ভার্সিটিতে প্রবেশন, সাসপেন্সন এর সিস্টেম আছে। আর একবার পবেশনে পড়লে, প্রতিটি দিন-প্রতি মুহুর্তে সাফার করা লাগে। এমনও হতে পারে, গার্জিয়ান নিয়ে এসে ডিপার্টমেন্ট এ কথা বলানো লাগতে পারে।


ভার্সিটি লাইফ থেকে শুরু করে বাদ বাকী একাডেমিক এবং জব লাইফ এ সবার আগে দেখা হবে সিজি। যাদের কে আসে পাশে সফল হতে দেখেন, তাদের ৯০% মানুষের রেজাল্ট ভালো ছিল। যাদের রেজাল্ট খারাপ ছিল তারা সংখ্যায় অনেক কম।

কিভাবে ইন্টার্নশিপ এর সেরা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করবেন!

এখন আমাদের অনেক সিনিয়র আছে, যারা বলে, সিজি ব্যাপার নাহ। এই কথাটি কারা বলে,একটু লক্ষ্য করে দেখুন। ইমিডিয়েট সিনিয়র বা জব শুরুই করেন নাই এই রকম লোকজন একথা বলে। যারা একেবারে নতুন ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁরা বলেন। মুলত, যাদের নিজেদের সিজি ৩ এর নিচে তারাই এই কথা হাইলাইটস করে সেলফ সেটিসফাইড হয়। সিজিপিএ ডাজেন্ট ম্যাটার বলে আত্ব-তুষ্টি অর্জন করে।

কোন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বা জাত ইঞ্জিনিয়ার ভুলেও বলবে না, সিজি এর কোন দরকার নেই। কারন, তাঁরা জানে, এটার গুরুত্ব কত বেশী। সিজিপিএ যত ভালো হবে, আমাদের লাইফ তত সহজ হবে। চাকরী, হায়ার স্টাড, একাডেমিক লাইফ সব খানেই সহজ হবে যদি সিজি ভালো থাকে।

জীবনে সফল হওয়ার ১৩ টি সিক্রেট কৌশল! Previous post জীবনে সফল হওয়ার ১৩ টি সিক্রেট বা কৌশল!
চাকরী নিয়ে প্রতারনা, গালিব নোটস Next post চাকরী নিয়ে প্রতারনা ! না জানলে প্রতারিত হতে পারেন নিজেই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ