উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় এর ভয়াবহ বাজে অবস্থা নিয়ে অনেক গুলো ব্লগ লিখেছি আমি। আমি মুলত সেলফ সেটিসফিকেশনের জন্য লিখি। তাই কে ব্লগ পড়ছে না পড়ছে ম্যাটার করে না আমার কাছে। যা হোক, কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট গুলোর ভয়াবহ বাজে অবস্থা থেকে বের করে আনার সম্ভাব্য সাজেশন নিয়ে আজকের ব্লগ।
আমি নিজে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, এর সাথে সাথে আমি একজন ইনভেস্টর। ইন্ডাস্ট্রি এর সাথে কানেকটেড আবার কমিউনিটির সাথেও। সে হিসাবে আমার অভিজ্ঞতা আছে দুই দিকের অবস্তা টেস্ট করার। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে লিখছি। এই ব্লগটি না কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে, না কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
আমি আসাদুল্লাহ গালিব, এই ব্লগের লেখক। এই ব্লগের সমস্ত লেখা কপিরাইট মুক্ত। চাইলে যে কোন যায়গা শেয়ার করতে পারেন। এমন কি নিজের নামেও চালিয়ে দিতে পারেন। আমার মূল উদ্দেশ্য তরুনদের সচেতন করা, ফেইম পাওয়া নয়। একটি শেয়ার, অনেক তরুনকে সচেতন করতে সহায়তা করবে। আমার সাথে ফেজবুকে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা ইমেইল করতে পারেন।
একটা প্রজন্ম বড় হচ্ছে আমার ব্লগ পড়ে। এদের মধ্য অনেকে এক সময় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ফ্যাকাল্টি হবে। কেউ কেউ ডিপার্টমেন্ট হেড হবে। আমার বিশ্বাস, এদের কেউ না কেউ এই নোট গুলো বিবেচনা করবে। সমস্যা সমাধান করবে। উগান্ডার বিশাল সম্ভাবনা কে কাজে লাগিয়ে উগান্ডা কে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করিয়ে তুলবে।
বোনাসঃ মেজর মাইনর চেঞ্জ করার সুযোগ তৈরি করা
উগান্ডাতে বিশ্ববিদ্দ্যালয় লেভেলে সব থেকে মেজর সমস্যা হচ্ছে, মেজর ফিক্স হয়ে থাকা। আপনি যদি একবার একটা সাওব্জেক্ট এ ভর্তি হন, জীবনে আর দ্বিতীয় সুযোগ পাবেন না, মেজর চেঞ্জ করা। এটা শুধু কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট এর না, সকল ডিপার্টমেন্ট এর সমস্যা।
গ্লোবাল এই সমস্যা সমাধান না করতে পারলে বাদ বাকী সমস্যা সমাধান করেও ফল পাওয়া যাবে না। এই সমস্যা নিয়ে সম্মিলিত কাজ করা লাগবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সমস্যা সমাধান যথেষ্ট কঠিন তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে শুরুতে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষার্থীরা যখন ইচ্ছা তখন যেন মেজর চেঞ্জ করতে পারে, সেই সুযোগ রাখতে হবে। আর কোর্স নেওয়ার ক্ষেত্রে পুর্ন স্বাধীনতা দিতে হবে। যাতে করে কম্পিউটার সায়েন্স এর একজন শিক্ষার্থী যেন ইচ্ছা করলেই মার্কেটিং এর অনেক গুলো কোর্স নিতে পারে। বা ইংরেজী ডিপার্টমেন্ট এর কেউ যদি চায়, মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এর কোর্স যেন করতে পারেন।
এই প্রস্তাবে আপনার যদি হাসি আসে কিছু করার নাই। কিন্তু যে ছেলেটি কিছু না বুঝে সিএসই তে ভর্তি হয়েছে, তার যদি বিবিএ এর কোর্স করার সুযোগ হয়, মেকানিক্যাল এর কোর্স করার সুযোগ হয়, সে ভালো করতেও পারে। হতে পারে আগামীর এফ আর রহমান। উপস, এফ আর রহমান কে চিনেন তো?
একজন শিক্ষার্থী কলেজ লেভেল এ কি পড়ে, বয়স কত থাকে যে সে তার পুর্ন জ্ঞ্যান থাকবে! সে কিভাবে তার পছন্দ খুজে বের করবে? এর সাথে সাথে থাকে সামাজিক, পারিবারিক চাপ। যে কারনে ট্রেডিশনাল সাবজেক্ট এর বাইরে সে কখনও যেতে পারে না।
ভালো হয় ডুয়েল মেজর চালু করতে পারলে। একজন শিক্ষার্থী যেন, নির্ধারিত ক্রেডিট সম্পন্ন করে, সেকেন্ড মেজর কোর্স এ অনার্স ডিগ্রি নিতে পারে। এতে করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী নিজের পছন্দের কোর্স করতে পারবে।
আরেকটা কাজ করতে হবে, ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য চার বছর বেধে রাখা যাবে না। কারন সব শিক্ষার্থী সমান না। ক্রেডিট ওপেন করে দেন। কেউ যদি ২ বছরে অনার্স শেষ করতে পারে, তাকে ডিগ্রি দিয়ে দিন। কেন তাকে আটকে রেখে তার ২ বছর সময় নষ্ট করবেন?
উচ্চ শিক্ষায় কেন, দুনিয়ার কোথাও সমস্যা নেই যদি আগেই ডিগ্রি দিয়ে দেন। আমি নিজে ১০ সেমিস্টার এর রেজাল্ট দিয়ে বিদেশে আবেদন করেছি, সমস্যা হয় নি। দুনিয়ার কোথাও শুধু রেজাল্ট দেখে না, দেখে কোয়ালিটি। তাই, কত বছরে ডিগ্রি শেষ করল সেটা নয়, কি কোয়ালিটি সেটা ম্যাটার করে। উগান্ডার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে এই যায়গা এগিয়ে আসতে হবে। সিন্ডিকেট করে ট্রেডিশনের বাইরে আসতে হবে। তাহলে এই পরিবর্তন সম্ভব।
মুক্ত জ্ঞান চর্চার ফিল্ড তৈরি করা
আমাদের উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মুক্ত জ্ঞান চর্চা হয় না। জ্ঞান চর্চাই হয় না আবার মুক্ত জ্ঞান চর্চা, হাহা! এখানে বিশ্ববিদ্যালয়য় গুলোতে শুধু সার্টিফিকেট সেলিং করা হয়ে থাকে। একই সিলেবাস, বাই, লেকচার্স দিনের পর দিন পরানো হয়ে থাকে।
বিশ্বপবিদ্যালয় গুলো একটা প্যাটার্ন ফলো করে চালিয়ে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স এর সাথে তাল মেলাতে চাইলে এই প্যাটার্ন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রজেক্ট, কন্ট্রিবিউশন এর দিকে ফোকাস দিতে হবে। প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট, হ্যাকাথন এর দিকে নজর দিতে হবে। দরকার হলে, কোর্স এর একটা অংশের মার্ক এই কাজ থেকে যুক্ত করতে হবে।
প্রশ্ন করার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। যেটা উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়য় গুলোতে নেই বললেই চলে। ক্লাসে কেউ প্রশ্ন দূরে থাকে, টিচার এর দিকে তাকিয়ে কথা বলে না কেউ। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত জ্ঞান চর্চার কিছুই হয় না।
পরিবেশ এমন বানাতে হবে, যেন শিক্ষার্থীরা প্রুভেন থিউরিও ডাউট করে। নানা ভাবে টেস্ট করে দেখেন যযে থিউরি আসলেই এখনও ঠিক আছে কি না। এর সাথে সাথে বাস্তব সমস্যা গুলো টানতে হবে। লোকাল সমস্যা নিয়ে কাজ করার ব্যাবস্তা করা যেতে পারে।
আমাদের দেশে স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, কোথাও টিচার এর বিপক্ষে কথা বলা যায় না। স্কুল কলেজ এর জন্য ব্যাপারটি ঠিক হতে পারে। কারন ছেলে-মেয়েরা তখন ছোট থাকে, বুঝতে পারে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই কথা কোন ভাবেই প্রয়োজ্য হতে পারে না।
এখানে, টিচারদের বিপক্ষে কথা বললেই সেই শিক্ষার্থীকে সরাসরি বিয়াদব বলা হয়ে থাকে। ডিপার্টমেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয়য় কর্তৃপক্ষ সব সময় টিচার এর পক্ষ নিয়ে থাকে। যে কারনে শিক্ষার্থীরা অনেক লজিক্যাল ব্যাপারে কথা বলা ত্থেকে বিরত থাকেন।
আবার শিক্ষার্থীরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালচনা করেন বা কোন ভুল নিয়ে কথা বলেন, তাহলে দেখা যায়, ডিপার্টমেন্ট থেকে চাপ আসে। কথা বলার সুযোগ নেই এখানে। যে কোন সমস্যা সমাধানের সবার প্রথম শর্ত হচ্ছে, সেই সমস্যা আছে এটা মেনে নেয়া। কিন্তা উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়য় গুলোতে এটা করা হয় না। তাই দিনের পর দিন সাধারন সমস্যা গুলোও সমাধান হয় না।
উন্নতি করতে হলে, লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সবাই কে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। সমালোচনা করার উৎসাহ দিতে হবে যাতে করে সমস্যা গুলো সারতেসে। আর ছোট হলেই কিছু জানেন না, এই মতবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
টিচার নিয়োগের সিস্টেম আপডেট করতে হবে
উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে টিচার্স হায়ারিং সম্ভবত দুনিয়ার সব থেকে বাজে সিস্টেম। যেখানে তৃতীয় বিশ্বের সব গুলো দেশে টিচার নিয়োগে এক্সিলেন্সি দেখা হয়, পটেনশিয়ালিটি দেখা হয় সেখানে উগান্ডাতে একটা রোবটিক সিস্টেম বানিয়ে রাখা হয়েছে। আপনি যদি এই সিস্টেম এর মধ্য দিয়ে যেতে পারেন, তাহলেই আপনি টিচার হতে পারবেন।
নোট- উগান্ডাতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর হাতে গোনা কিছু টিচার আমি দেখেছি, যারা এই সমালোচনার বাইরে থাকবেন। তাদের সম্মান, যোগ্যতার কাছে কোন কিছুর তুলনা হয় না। আমার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি রেসপেক্ট!
যেভাবে টিচার নিয়োগ দেয়া হয়
উগান্ডার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার ২টা রাস্তা আছে! যদি আপনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর টিচার হতে চান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকার সাথে সাথে ডিপার্টমেন্ট এ কামলা দেয়া শুরু করবেন। আর ডিপার্টমেন্ট এর কো-অর্ডিনেটর এর চামচামি করে যাবেন। চার বছর এভাবে চালিয়ে যাবেন, ব্যাস হয়ে গেলো।
আমাদের লোকাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্য চামচামি করার জন্য একাডেমিক বিভিন্ন কমিটি-সোসাইটি বানিয়ে রাখা হয়েছে। আপনি চাইলে, সেখানে যুক্ত হতে পারেন। আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড লোকাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে এখানেই টিচার হয়েছেন এমন সবাই, আই রিপিট সবাই ডিপার্টমেন্ট এ কামলা দিয়ে এসেছেন।
সরি, কামলা শব্দটি ব্যাবহার করার জন্য। কারন কয়েক জন টিচার এখানে যোগ্যতা দিয়েই টিচার হয়েছেন।
ওয়েল, আরেকটা ব্যাবস্থা আছে! উগান্ডার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করবেন। সিজিপিএ যে কোন মুল্য খুব ভাল রাখবেন। আর একটু খানি লবিং, ব্যাস, হয়ে গেলো আপনার চাকরি। আমি পিএইচডি অমুক নামের একটা আর্টিকেল এ একজন টিচার কি নিয়ে লিখেছি। এর বাইরে আমার ডিপার্টমেন্ট এর নামে ব্যাবসা প্রতিষ্টান এর সিরিজ ব্লগ দেখতে পারেন।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার নিয়োগ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আসলে আমি ভয় পাই, পাছে না কেমব্রিক-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার বা হবু টিচার আমার উপর রাগ করে, মামলা করে বসে। তবে আপনার মাথায় যদি ১০০% হাগু দিয়ে ভরা না থাকে, তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন কিভাবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচার নিয়োগ হয়।
বাই দ্যা ওয়ে, উগান্ডার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত নাটক কমিটি টিচার নিয়োগে একটা নিতিমালা করেছেন। সেখানে বলা আছে, সকল পরিক্ষায় প্রথম শ্রেনী না হলে টিচার হতে পারবেন না। মানে অনার্স এ খারাপ করার পর যদি আপনি ক্যালটেক বা এময়াইটি তেও পিএইচডি করেন, দাম নাই।
যেভাবে টিচার নিয়োগ দেয়া উচিৎ
যারা টপ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়য় থেকে পিএইচডি করবে তাদের সরাসরি নিয়োগ দেয়া উচিৎ। কারন যে স্টুডেন্ট নিজের যোগ্যতায় পিএইচডি এর এডমিশন ম্যানেজ করতে পারে, তাদের আলাদা ভাইভা নেয়ার কোন মুল্য নেই।
ইন্ডাস্ট্রি অরিয়েন্ডেট বাস্তব টিচার্স ট্রেইনিং
উগান্ডার টিচার রা যদি একবার ফ্যাকাল্টি হতে পারেন, তাহলে তার আর জীবনেও স্টাডি করা লাগে না। শুধু মাত্র ডিপার্টমেন্ট হেড এর চামচামি করে আর শিক্ষার্থীদের লাইফ রিউন্ড করে দিয়েই জীবন পার করে দেয়া যায়। এখানে, টিচার রা পিএইচডি করে গবেষনার জন্য না, প্রমোশন এর জন্য।
এভাবে, পুরো উগান্ডার টিচারদের শিংহ ভাগ গার্বেজ এ রুপান্তরিত হয়েছে। এরা ক্লাসে আসে, স্লাইড পরে আর চলে যায়। জুনিয়র ফ্যাকাল্টি হলে একটু হ্যাডম দেখায়, সিনিয়র হলে দেখায় ব্যাস্ততা। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে উৎসাহ দুরের কথা, উলটো মানা করা হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে মুক্ত চর্চা হওয়ার কথা, সেখানে হয় স্লাইডচর্চা!
এখন এই গার্বেজ টিচারস সমাজকে বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব না। তাদের কে বাস্তব মুখি ট্রেইনিং দেয়ার মাধ্যমে অবস্থার উন্নতি করা যেতে পারে। টিচারদের কে সেমিস্টার হিসাবে বাইরের নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। সেখানে তারা ক্লাস করবে, দেখবে, জানবে কিভাবে ক্লাস নিতে হয়।
সিলেবাস এর আধুনিকায়ন করা
পুরো সিস্টেম ঢেলে সাজাতে হবে
ক্যারিয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা
উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়য় গুলতে এক দিকে ৮০ সালের পুরান সিলেবাস, অন্য দিকে নেই কোন ক্যারিয়ার সেন্টার। এটা খুবই হতাশার ব্যাপার। স্পেশালি, কারিকুলাম যখন আপডেট করা যাচ্ছে না, তাহলে গ্যাপ ফিল আপ এর জন্য আলাদা সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে, গ্রাজুয়েটরা গ্রাজুয়েশন শেষে নিজের সিভি লিখতে পারছে না। কমিউনিকেশন বা নেটওয়ার্কিং এর কথা আর নাই বা বলি। গ্রাজুয়েটদের সফট স্কিল নেই বললেই চলে। আমি এ কারনেই লিখেছিলাম, কেন বাংলাদেশিরা সিইও হতে পারে না।
এই সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য, ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী ক্যারিয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা উচিৎ। যেখানে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত কোর্স, সাপোর্ট, সিভি-কাভার লেটার নিয়ে কথা হবে। সফট স্কিল বা মক ইন্টারভিউ নিয়ে কাজ করবে এই সেন্টার।
ডিসক্লেইমারঃ ইনভেস্টর এন্টারপ্রিউনার হওয়া প্রচন্ড ব্যাস্ত থাকা হয়। এর পরও সময়ে করে এই ব্লগে কন্টেন্ট প্রকাশ করি! উদ্যেশ্য একটাই, ফিউচার জেনারেশন চিন্তা ভাবনা কে প্রসারিত করা। কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনিস্টিউটের সাথে আমার ব্যাক্তিগত শত্রুতা নেই। উল্লেখিত উগান্ডা লোকাল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি হচ্ছে, কাল্পনিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়! যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে লিটারেলি ব্যাবসা করা হচ্ছে। এখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে যা ইচ্ছা তাই করা হয় শুধু মাত্র ব্যাবসা রক্ষার উদ্যেশ্য।
কাল্পনিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রেইনলেস এডমিনিস্ট্রেশন, মেরুদন্ডহীন গার্বেজ ফ্যাকাল্টি আর নীতি বিবর্জিত ডিপার্টমেন্ট হেডদের বিরুদ্ধে আমার যত অভিযোগ। সুতরাং, সুস্থ ধারার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এই ব্লগ মিলবে না। এর পরও যদি কোথাও মিল পাওয়া যায়, তাহলে সেটা একান্তই কাকতালীয় ব্যাপার।