Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the blog-prime domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6121
চাকরী নিয়ে প্রতারনা ! প্রতারিত হতে পারেন নিজেই | Galib Notes

আমাদের দেশে চাকরী নিয়ে বেশ কিছু প্রতারনা হয় এবং এই চাকরী নিয়ে প্রতারনা গুলোর ভুক্তভোগী হয় মধ্য এবং নিম্ন শ্রেনীর চাকরী প্রত্যাশিরা। ক্যারিয়ার পোর্টাল এর কাজ করার জন্য আমরা এসব জানতে পেরেছি। আজকে, আপনাদের কে জানাবো বিস্তারিত।

১। ওয়ার্লমার্ট-ম্যাকডনাল্ডস এ চাকরী নিয়ে প্রতারনাঃ

অনেক গ্রুপ এ দেখবেন, বিদেশী বিভিন্ন কাজের সুযোগ করে দেয়ার পোস্ট দেখা যায়। কাজের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাক্সিবিলিটি থাকে। ভিসা হওয়ার গেরান্টি, সহজে চাকরী, কম সময় কাজ সব থাকে। সাথে প্রতিষ্ঠান গুলোর ছবি যুক্ত থাকে অনেক সময়। শেষে পোস্ট দাতার ইমেল বা হোয়াটস এপ নাম্বার যুক্ত থাকে। এগুলো সব জব প্রতারনা।

সহজে হয়ে যাবে এমন বিজ্ঞাপন গুলোই সাধারনত প্রতাওনার বিজ্ঞাপন – গালিব নোটস

প্রতারনা করা হয় যে ভাবেঃ শুরুতে খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলা হবে। তার পর মুল প্রতারনার শুরুতে বলবে, কিছু সার্ভিস এর জন্য সামান্য কিছু টাকা লাগবে। যেমন ফাইল অপেনিং, একাউন্ট খোলা, আবেদন করা এরকম। ফাইনালি, চাকরী কনফার্ম করার মেইল দিবে আর ভিসা আবেদন, সিকিউরিটি চার্জ এর জন্য একটা চার্জ ডিমান্ড করবে।


যদিয়াপনি তাদের কে পেমেন্ট করতে থাকেন তাহলে তারা নতুন নতুন খাদ দেখিয়ে টাকা নিতে থাকবে। আর যে স্টেপ থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করবেন সেখান থেকে তারা হাড়িয়ে যাবে। যদি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পে করেন তাহলে পেমেন্ট জালিয়াতি করার চেষ্টা করবে।

সিপিএ মার্কেটিং নামে যেভাবে প্রতারনা হচ্ছে! ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো?

এই প্রতারনা গুলো মুলত বিদেশিরা করে থাকে। যদি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরী করতে চান,জব পোর্টাল গুলোর মাধ্যমে আবেদন করুন। আন-অথরাইজ কোন ব্যাক্তির মাধ্যমে লেনদেন করে প্রতারিত হবে না।

২। ৩য়-৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগঃ

নাইট-গার্ড নিয়োগ, পিওন নিয়োগের অনেক বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। পত্রিকাতে নিয়মিত এই বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। আবার মোবাইল টাওয়ার, এটিএম বুথ এর নিয়োগও দেখবেন। এগুলোতে বলা হয়, ফোন করে তথ্য নিতে। অনেকে আবার বলেন ডাইরেক্ট জয়েন, সরকারী এজেন্সি। এগুলো সব জব প্রতারনা।

প্রতারনা করা হয় যে ভাবেঃ যারা আবেদন করবেন, সবাই কে ভাইভা নেয়া হবে। ভাইভা এর সময় তাদের দেখে বুঝার উপায় নেই তাড়া আসলে প্রতারক। তাদের আন্তরিকতায় মুগদ্ধ হয়ে যাবেন সহজেই। এর পর আসবে প্রতারনার মুল কাজ। সবাই কে সিলেক্ট করা হবে এবং ইনিশিয়াল সিকুরিটির জন্য ১হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হবে।

যে ৭ ধাপে একজন সিএসই শিক্ষার্থীর পতন ঘটে!

সিকিউরিটি মানি নেয়ার পর আর তাদের খুজে পাওয়া যাবে না। ফোনে পাওয়া যাবে না। সুতরাং চাকরীর শুরুতেই সিকিউরিটি মানি চায় এমন প্রতিষ্ঠান এভয়েড করুন।

৩। সিপিএ-ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতারনাঃ

ইদানিং আমরা প্রচুর বিজ্ঞাপন দেখি সিপিএ-ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর। সিপিএ মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, পার্ট টাইম জব, সহজে ইনকাম। এ ধরনের বিজ্ঞাপন গুলো হর হামেশাই দেখা যায়। অনেক যায়গা দেখবেন ইনকামের গেরান্টি দেয়া হয়। অনেকে বলেন ইনকাম করে কোর্স ফি দিন। মোবাইল দিয়ে সিপিএ বা ডিজিটাল মার্কেটিং করুন।

প্রতারনা করা হয় যে ভাবেঃ ভর্তী হওয়ার আগে প্রচুর আশার বানী শোনাবে। আর অনেক সাফল্য দেখাবে। কিন্তু ভর্তীর শেষ এ সিপিএ বা ডিজিটাল মার্কেটিং কিছুই শেখাবে না। তারা শেখাবে পিটিসি বা এমএলএম। আমাদের দেশে অনেক আগে ডেসটিনি২০০০ লিমিটেড ছিল। তাদের মডেলে শেখাবে কিভাবে কাজ করতে হয়।

বেকার ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন না তো? নতুন ফ্রিল্যান্সারদের ৯৯ ভাগ বেকার!

অনেক কোম্পানি আবার সার্ভে করা শেখাবে বা সার্ভেয়িং এর কাজ দিবে। যে সব কাজ করে ৫-৬ ঘন্টায় ইনকাম করবেন ১-২ ডলার যার মধ্য আবার কোম্পানির ভাগ থাকবে। ট্রু-টাইম ওয়াস্টিং।

৪। আনপেইড ইন্টার্নশিপঃ

আমাদের দেশে অনেক কোম্পানি আনপেইড ইন্টার্নশিপ অফার করে থাকে। বিশেষ করে, টেক কোম্পানি গুলো এই কাজ বেশী করে থাকে। ক্যান্ডিডেট বেশী হওয়াতে এটা সম্ভব হয়। অনেক কোম্পানি আবার এক ধাপ এগিয়ে, তারা বলেন, ক্যান্ডিডেট কে কম্পিউটার নিয়ে আসতে হবে। সব জবের বর্ননাতে দেয়া থাকে, সফল ভাবে ইন্টার্ন শেষ করতে পারলে, চাকরি দেয়া হবে।

প্রতারনা করা হয় যে ভাবেঃ কখনই ফুল টাইম চাকরীর অফার করা হয় না। এমন কি সব ঠিক ঠাক করলেও বাদ দেয়া হয়। রেমুনেশন তো না ই, কোন কিছুই দেয়া হয় না। আবার অনেক যায়গা কাজ করিয়ে নেয়া হয়।


অনেক কোম্পানি রিমোট জব অফার করে। সেখানে তো লাঞ্চ, নাস্তা কিছুই দেয়া হয় না। আবার প্রজেক্ট শেষে কোন পেমেন্ট দেয়া হয় না। কাজ এর কোন লিমিট থাকে না, নিয়ম থাকে না। সিনিয়র বা কলিগ বলে কিছু থাকে না।

৩ ধরনের মানুষের কোন ভাবেই উচিৎ না, ফ্রিল্যান্সিং চেষ্টা করার!

রিমোট জব বা আনপেইড ইন্টার্নশিপ, জয়েন করার আগে খুব ভালো করে কোম্পানি হিস্ট্রি চেক করে নেওয়া উচিৎ। সাথে সাথে স্টার্ট-আপ কোম্পানি হলে আরও ভালো করে দেখবেন, কোম্পানির অফিস কোথায়, ফাউন্ডার রা কি করে আর হিস্ট্রি কেমন।

এই প্রতারনা গুলোর বাইরে যদি আরও চাকরী নিয়ে প্রতারনা জানা থাকে, আমাদের পেইজ এ নক করে জানিয়ে দিন। এতে করে অন্যরা প্রতারনা থেকে বাচতে পারবে। নিজে প্রতারনা থেকে বাচুন আর অন্যকে প্রতারনা থেকে বাচতে সহায়তা করুন।

সিজিপিএ ডাজেন্ট ম্যাটার Previous post সিজিপিএ ডাজেন্ট ম্যাটার? মিসলিডিং নাকি রিয়েলিটি!
ইন্টার্নশিপ প্রিপারেশন, Galib Notes Next post ইন্টার্নশিপ প্রিপারেশন নিবেন যে ভাবে ও যখন থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ