#PrincetonUniversity এবং #YaleUniversity থেকে আসা ২৭০০ মস্ত বড় বিজ্ঞানি-সাইকোলজিস্ট এর সামনে বসে আছি। বসে বসে অবাক হচ্ছি! সাইকোলজি সাবজেক্ট এ ৫ বার রিটেক নিয়ে, ২ পয়েন্ট নিয়ে কোন রকমে পাশ করেছিলাম ২০১৭ সালে! আর আজ আমি লিড দিচ্ছি ২৭ হাজার বিজ্ঞানীদের একটা ! ভাবতে পারেন??
উগান্ডার লোকাল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ৩,৭৩৫ তম ফ্লোর এর একদম কর্নার এর দিকে ৩০০০ নম্বর রুমে বসে বসে ভাবছি। টপ ফ্লোর থেকে ঠিক ১৪ তলা নিচের এই ফ্লোর টা একটু আলাদা! এখানে সাইকোলজি আর কম্পিউটার বিজ্ঞান এর কম্বিনেশন নিয়ে গবেষনা করা হয়!!
*****
বিশ্বের বাঘা বাঘা সব বিজ্ঞানী, যারা বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত তাদের এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ফ্লোরে যারা কাজ করে তাদের ২টি ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে। পিএইডি এর পর অন্তত ১ যুগ গবেষনার অভিজ্ঞতা এবং প্রিন্সটন বা ইয়েল থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করা! ২টি ক্রাইটেরিয়া ঠিক হলে, স্পেশাল কমিটি যাদের রেফার করে, কেবল তারাই এখানে কাজ করেন।
৪ হাজার তলার এই ছোট্ট ল্যাবে সর্বমোট ১৩ হাজার বিজ্ঞানী কাজ করছেন। তবে, আমি যে ফ্লোর এর কথা বলছি এটা সম্পুর্ন বিল্ডিং এর মধ্য আলাদা। সম্পুর্ন ল্যাব(বিল্ডিং) এর ১০% খরচ শুধু এই ফ্লোরেই হয়! অবাক করা বিষয় হল, ল্যাবটি চালু করার পর থেকে তেমন কোন সাফল্য নেই। অল্প কিছু পেপার, কনফারেন্স ছাড়া বলার কিছু নেই!
******
এত এত ফান্ডিং, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ, আউটপুট ছাড়াই সব কিছু করার কারন একটাই। আমরা জানতাম, আমরা যা করতে যাচ্ছি তা বিশ্বকে পালটে দিবে। এটা এমন একটা আবিস্কার হতে যাচ্ছে যেটা তাক লাগিয়ে দিবে বিশ্বকে। সমগ্র বিশ্বের চেহাড়া পালটে দেবে।
আমাদের কাজ, সাইকোলজি ধারনা দিলেও আবিষ্কার করতে পারেনি! আমরা সেই কল্পনার জিনিস কে বাস্তবে রুপ দিতে চাচ্ছি। কম্পিউটার বিজ্ঞানে অসাধারন একটা কাজ হতে যাচ্ছে এটা।
******
কাজ করতে করতে বিজ্ঞানিরা হতাশ! তাদের সামনে বসে বসে আমিও অনেকটা হতাশ। কারন, বিজ্ঞানীদের মোটিভেশন দরকার। এই খানে ৬ ডিজিট বা গড-বাধা কথায় তাদের মোটিভেট করা যাবে না। তাদেরকে মান্থলি বাফেট এর কথা বলে মোটিভেটেড করা যাবে না। কেননা এরা নিজেরাই সাইকোলজিস্ট, নিজেরাই কম্পিউটার বিজ্ঞানী!
কোন কিছু মাথায় আসছিল না! কি আর করা, #বড়_ছেলে নাটক দেখার এসাইনমেন্ট দিলাম। ঘন্টা দুয়েক পর বিজ্ঞানীরা চোখ মুছতে মুছতে কাজে নেমে পড়েছে!! মাথার উপর থেকে বিশাল চাপ কমে গেলো।
খুশি মনে চেয়ারে বসতে যাচ্ছি, এক পিচ্ছি এসেই জড়িয়ে ধরল। বাবা তুমি এ বছর #TuringAward পেতে যাচ্ছ। আম্মুর থেকে শুনে দৌড়ে আসছি তোমাকে বলার জন্য!
আমি হতাস হইলাম কারন আমার লাইফে, বড় ছেলের মত এমন কোন ঘটনা নেই! মনে পড়ল, আমি বড় ছেলে ছিলাম না দেখেই বান্ধবীর বাচ্চারা বাবা বলেই ডাকে আমাকে! এ কেমন ছেলে ??
সায়েন্স ফিকশনটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ফেজবুকে পোস্ট করেছিলাম। তখন আমি উগান্ডার লোকাল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম। লেখাটি সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। আর এটা লেখা হয়েছিল তখনকার সময়ের আমার বান্ধুবি কে উদ্দেশ্য করে। যদিও পরে বান্ধুবীর এর বিয়ে হয়ে যায়! ওই সময়ে বড় ছেলে নাটক খুবই জনপ্রিয় ছিল, মারাত্বক ভাইরাল হয়েছিল!
Turing Award কে কম্পিউটার সায়েন্স এর নোবেল বলা হলেও এটা অনেকের অজানা। তাই সরাসরি টুরিং এওয়ার্ড না বলে বরং কম্পিউটার সায়েন্স এর নোবেল বলা হয়েছে এই রম্য রচনায়।
সাইন্স ফিকশন ফর “বাবু খাইছো, বাবু খাইছো?” দেখতে পারেন এখানে। সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল পড়তে পারেন! এছাড়া আমার সিরিজ ব্লগ সাইন্স ফিকশন পড়ুন এই লিংক এ ক্লিক করে। ব্লগ ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।