#Year2024
Uganada Local Oxford University (OLOU) এর ৩,৭৪১ তম ফ্লোর এর ২০৫৭ নম্বর রুমে বসে আছি! যেই বিল্ডিংয়ে আমার অফিস, সেটা শহরের সব থেকে ছোট বিল্ডিং। মাত্র ২০ হাজার তলার একটা ছোট্ট বিল্ডিং। বেশ ভালই খিদা লেগেছে! আসলে রিসার্চ বা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ গুলোতে প্রচুর মেন্টাল কাজ করতে হয় তাই খিদেও লাগে দ্রুত।
জানালার পাশে বসে ৭ বছর আগের স্মৃতিচারন করছিলাম! কত দ্রুত সময় চলে যায়, চার পাশ পরিবর্তন হয়ে যায়। সব কিছু ভাবতেই অবাক লাগছে! সাত বছর আগে এখানে একটা ছোট্ট ল্যাব ছিল কিন্তু থিসিস এর সুযোগ ছিল না! থিসিসের জন্য কত হতাশা ছিল আমাদের।
এমন যায়গা থেকে আজকের বিশ্ব সেরা ল্যাব এস্টাবলিশড করা চাট্টি-খানি কথা নয়। আজকে আমাদের ল্যাব হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম নামকরা বৃহত্তম ল্যাব ! আর সেই ল্যাব এর ডিরেক্টর আমি নিজে!!
৭ বছর আগে শুরুর সময়য় মাথায় এত কিছু ছিল না। শুধু ভেবেছিলাম, পরিবর্তনের জন্য কাওকে না কাওকে আগায় আসতেই হবে। কাওকে না কাওকে ট্রেডিশন ব্রেক করে সামনে থেকে লিড দিতে হবে। সেই ‘কেউ’ টা আমি না কেন??
*******
ভাবনায় ছেদ পড়ল ফোন কলে । Massachusetts Institute of Technology (MIT) এর ৫০ জনের একদল তরুন গবেষক আমাদের এখানে গবেষনা করতে চায় । উল্লেক্ষ্য ৫০ জনের মধ্য ৪ জন #TuringAward আর একজন নোবেল প্রাপ্ত বিজ্ঞানী! উল্লেখ্য, টুরিং এওয়ার্ড হচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স এর নোবেল পুরুস্কার।
বিজ্ঞানীদের লিডারের সাথে কথা শেষ করে নিচে তাকাতেই দেখলাম #lamborghini গেটের সামনে। প্রায় ৩ হাজার ৮শত তলার উপর থেকে নিচের রাস্তা স্বাভাবিক ভাবে দেখা যাওয়ার কথা না! কিন্তু এই ল্যাব এর জানালা গুলা আর্টিফিশিয়ালি ডিজাইন করা। ১৮ হাজার মিটার পর্যন্ত আপনি স্পস্ট দেখতে পারবেন !
********
ল্যাবের দড়জা গুলাও আর্টিফিশিয়ালি ডিজাইন করা। দরজার সামনে আসলেই আপনাকে অটো স্ক্যান করে ফেলবে। যদি আপনার কাছে ভ্যালিড টোকেন থাকে তাহলেই কেবল দরজা খুলবে অটোমেটিক্যালি। আর কোন ধরনের সাসপেক্ট থাকলে খুলবে না দরজা। 🙂
ল্যাম্বু থেকে দুইজন নামার আশা করছিলাম কিন্তু নামল একজন। কয়েক মুহুর্তে বিশ্বের সুপার ফার্স্ট লিফট এ চড়ে চলে আসল সে। অটোমেটিক দরজা খুলে গেলো! পিচ্চিটা জড়িয়ে ধরেই বললো, আম্মু এটা তোমাকে দিয়েছে!
একটা চিরকুট, লেখা – তোমার ব্যাগ এর ২য় পকেটে বিস্কুট রাখা আছে । খেয়ে নিও 😛 আমি কিছু বললাম না! শুধু চিরকুট এর পিছনে লিখে দিলাম, তুমি পাশে ছিলে বলেই এত দূর আসতে পেরেছি ❤ ❤ ❤
#সাইন্সফিকশন লেখার অপচেষ্টা 😛
সায়েন্স ফিকশনটি ২০১৭ সালের আগষ্টে ফেজবুকে পোস্ট করেছিলাম। তখন আমি উগান্ডার লোকাল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম। লেখাটি সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। আর এটা লেখা হয়েছিল তখনকার সময়ের ক্রাস কে উদ্দেশ্য করে। যদিও পরে ক্রাস এর বিয়ে হয়ে যায়!
সাইন্স ফিকশন ফর “বাবু খাইছো, বাবু খাইছো?” দেখতে পারেন এখানে। সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল পড়তে পারেন! এছাড়া আমার সিরিজ ব্লগ সাইন্স ফিকশন পড়ুন এই লিংক এ ক্লিক করে। ব্লগ ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।