সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল( Science fiction from Nobel to No-Bell)
হঠাৎ করেই ভেজ্ঞে পড়েছে গুগল-বিং এর মত সার্চ ইঞ্জিনের রিলায়েবিলিটি। ইঞ্জিনিয়ার রা কাজ করে যাচ্ছেন ক্রমাগত | কিন্তু এই চাপ সামাল দেয়া অসম্ভব। এক সাথে এভাবে সব গুলো সার্চ ইঞ্জিনের রিলায়েবিলিটি ভেজ্ঞে পড়া কল্পানতীত!
এ বছর উগান্ডার ১৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়েছিল। সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নিয়ে বিশ্বে তোল-পাড় হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব মিডিয়া ঘন্টায় ঘন্টায় ব্রেকিং নিউজ দিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন প্রসিডেন্ট সহ অন্তত ১০ জন প্রেসিডেন্ট উগান্ডার দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্য।
এই চাপ সামাল না দিতে পেরে ভেজ্ঞে পড়েছে অনলাইনের সব কয়টি সার্চ ইঞ্জিনের রিলায়েবিলিটি। ইন্টার্নেট যুগ শুরু হওয়ার পর এরকম ধস আরও কখনও দেখা যায় নি।
**************
কিছুক্ষন পর বোর্ড মিটিং। যেই বিল্ডিংয়ে আমার অফিস, সেটা শহরের সব থেকে ছোট বিল্ডিং। মাত্র ২০ হাজার তলার একটা ছোট্ট বিল্ডিং। আমি বসে আছি ১৭ হাজার তম ফ্লোর এর ৪১৩১ নাম্বার রুমে।
মিটিং এর পরই টেক ওয়ার্ল্ড এ আমাদের অস্তিত্ব জানান দেয়া হবে। আমরা একক ভাবে ইনফরমেশন টেক এ লিড নিব!! স্বপ্ন সত্যি হবে এবার।
২৪ বছর কাজ করেছি। শুরু করেছিলাম একাই। শুন্য থেকে শুরু করাটা সহজ ছিল না। শুধু জানতাম, টেক ওয়ার্ল্ড এ নিরব বিপ্লব হতে যাচ্ছে। আমরা যদি এই বিপ্লবে অংশ নিতে না পারি, আবার আমরা হেড়ে যাব, যেমন হেড়েছিলাম শিল্প বিপ্লবে!
**************
বলা হয়ে থাকে, গুঞ্জন থাকার পরও যারা নোবেল পায় না তারা নো-বেল বিজয়ী। আমাদের সাথে এমন হয়েছে অনেক বার। একবার তো উগান্ডার সবাই ভেবেছিল, প্রধান-মন্ত্রি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। এমনকি অনেকে অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছিল।
এভাবে বার বার আশা করেও আমরা নোবেল পাই নি। পেয়েছি নো-বেইল। আর তাই এই বার আমরাই নোবেল কমিটিকে নো-বেল দিয়ে দিলাম!!
আর নোবেল নিয়েই বা আমরা কি করব। আমাদের যদি টেক ওয়ার্ল্ড এ লিড নেই, তাহলে আমাদের আর কি লাগে !! ইনফরমেশন ইজ মানি।
**************
দুনিয়ার সমস্ত টেক এর মালিকানা নিয়ে মিটিং চলছে। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তার পর গুগোল-বিং এর মালিক উগান্ডা। সোস্যাল সাইট আর পেমেন্ট গেটওয়ে উগান্ডার। টেকের সমস্ত যায়ান্ট উগান্ডার হবে।
অর্ধেক মিটিং শেষ! মিটিং এর মাঝেই একটা কল এসেছে। এই কলটি মিটিং এর থেকেও গুরুত্ব পুর্ন। মনিটরে একজন বাচ্চা আর তার মা কে দেখা যাচ্ছে।
২ যুগ আগে এই বাচ্চার মা, আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে দিনের পর দিন ইম্প্রেস করার জন্য লেগে থাকতে হয় 😛 কিভাবে লম্বা টাইম নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়? আর কিভাবে ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে হয়!
এই ধৈর্য আর অভিজ্ঞতা, আমাকে এত বড় স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছিল। সাহায্য করেছে দিনের পর দিন লেগে থাকার! আর তাই সমস্ত দুনিয়ার মালিকানা বা তাবৎ টেকনলোজির মালিকানার থেকেও তার কল গুরুত্বপুর্ন।
এক্সকিউজ মি, প্লিজ কন্টিনিউ দ্যা মিটিং, কন্ডাক্ট প্রেস কনফারেন্স। আই হ্যাভ এন ইম্পর্টেন্ট কল।
হ্যালো…
সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল( Science fiction from Nobel to No-Bell) টি লেখা হয়েছিল ৭ই অক্টোবর ২০১৭ সালে। আমি তখন ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, কম্পিউটার সাইন্স এ আন্ডার গ্রেড করছিলাম।
সাইন্স ফিকশন ফর “বাবু খাইছো, বাবু খাইছো?” দেখতে পারেন এখানে। এছাড়া আমার সিরিজ ব্লগ সাইন্স ফিকশন পড়ুন এই লিংক এ ক্লিক করে। ব্লগ ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
6 thoughts on “সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল”