Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the blog-prime domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/ekeneeco/galibnotes.com/wp-includes/functions.php on line 6121
বেসরকারী ভার্সিটিতে ভর্তি | ৩টি স্টেপে সাবজেক্ট চয়েজ | Galib Notes

আমাদের দেশে এইচএসসি পরিক্ষা শেষ করে শিক্ষার্থীরা চরম একটা সমস্যাতে পতিত হয়। সরকারী বা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানেই ভর্তি হতে ইচ্ছুক হন, সাবজেক্ট নিয়ে সমস্যা হবেই। বেসরকারী ভার্সিটিতে ভর্তি তে কোন সাবজেক্ট এর ভবিশ্বত ভালো, সহজে এব্রড যাওয়া যাবে বা বিদেশে সেটেল হওয়া যাবে, এসব নিয়ে চিন্তিত থাকে শিক্ষার্থীরা।

কোর্স সিলেকশনে এটাই দেখা উচিৎ যে ভালো লাগে নাকি খারাপ – গালিব নোটস

শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সেমিনার আয়োজন করা হয় তবে স্পিকার রা মুলত রানিং শিক্ষার্থী থাকেন। এর ফলে গাইড লাইন এর সেমিনার এ কোন গাইড লাইন না থেকে, থাকে মোটিভেশন আর ব্রেইন ওয়াশিং। শিক্ষার্থীরা যে স্পিকার দ্বারা সব চেয়ে বেশী মোতিভেটিত হয়, সেই সাবজেক্ট এ ভর্তী হয়ে থাকে।


তবে, যে কারও জীবনে এই সাবজেক্ট চয়েজ এর গুরুত্ব অপরিসীম। সাবজেক্ট সিলেকশন সঠিক হলে যেমন গ্রাজুয়েট লাইফ সহজ হবে, পড়া শেষে চাকরী পাওয়া সহজ হবে। আর যদি ভুল সবজেক্ট হয়, তাহলে এর উলটা। গ্রাজুয়েট বেকার এর দলে নাম উঠবে।

ইউনিভার্সিটি লেভেল এর লেখা পড়া স্কুল কলেজ থেকে অনেক টা ভিন্ন। স্কুল কলেজে সাধারনত অল্প কিছু ফিক্সড সাবজেক্ট থাকে। সেগুলা মুখুস্ত করে ফাইনাল পরিক্ষায় উগ্রে দিয়ে ভালো রেজাল্ট কয়া যায়। আমরা দেখেছি, আই এম জিপিএ৫ টাইপ ছাত্র জিপিএ৫ পায়।

যে ৭ ধাপে একজন সিএসই শিক্ষার্থীর পতন ঘটে!

কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে, প্রতি সেমিস্টার এ নতুন নতুন সাবজেক্ট পড়া লাগবে। সাওবেজক্ট গুলোতে বুঝার আছে অনেক কিছু। যদি এগুলা পছন্দ না করেন, তাহলে চার পছর দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে শিক্ষার্থীর জন্য।

৩টি স্টেপ ফলো করে, ইউনিভার্সিটির সাবজেক্ট চয়েজ করতে পারেন।

১। প্রথমিক আগ্রহঃ কলেজ লেভেল এ আপনার ভালো লাগার সাবজেক্ট খুজে বের করুন। যদি ফেভারেট সাবজেক্ট না থাকে, তাহলে নাম ভালো লাগে এমন সাবজেক্ট খুজুন। তাও না থাকলে, কোন সাবজেক্ট এর টিচার ভালো লাগে সেটা দেখুন। যেমন, নটর ডেম কলেজে আমার খুব প্রিয় শিক্ষক এর নাম রেজা স্যার। ম্যাথ পড়াতেন স্যার।

যে ১৫টি কারনে আইইউবিএটি সিএসই ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি হওয়া উচিৎ

২। সাবজেক্ট শর্টলিষ্ট করুনঃ প্রাইমারি ইন্টারেস্ট পদার্থ, গনিত বা রসায়ন যাই হোক না কেন! যে সাবেজক্ট ভালো লাগে, সেই সাবজেক্ট এর উপর বেইজ করে অনার্স এর সাবজেক্ট গুলার একটা লিষ্ট বানাবেন। যেমন, রসায়ন বিজ্ঞান এর সাথে ফার্মেসি, রসায়ন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো-কেমেস্ট্রি, বায়ো-টেকনোলজি, জেনেটীক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেকটা সাদৃশ্য আছে।

ম্যাথ সাবজেক্ট ভালো লাগলে, ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাবজেক্ট গুলো চয়েজ করা যায়, আর্টস এর জন্য ইকোনোমিক্স, ইংরেজী ব্যাবহার করা যায়। যেটা ভালো লাগে সিলেক্ট করুন। সাবজেক্ট লিষ্ট পেতে ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইট ঘেটে দেখতে পারেন।

যে কারনে কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তি হওয়া উচিৎ নয় – পার্ট১

৩। সাবজেক্ট ফাইনাল করাঃ শর্ট লিষ্ট করা সাবজেক্ট থেকে একটি একটি করে রিসার্চ করুন। ইউনিভার্সিটির সাইট গুলোতে কারিকুলাম দেয়া আছে, সেগুলা দেখুন। না বুঝলে সিনিয়রদের প্রশ্ন করুন। এই স্টেপ খুবই গুরুত্বপুর্ন আপনার জন্য।

যেমন, সিএসিই যদি সিলেক্ট কএন, তাহলে ওয়েব সাইট এ গেলেই, চার বছরের কারিকুলাম দেখতে পারবেন। ডিপার্টমেন্ট এর কিছু কোর্স পাবেন, নন ডিপার্টমেন্ট এর কিছু কোর্স পাবেন। কোর্স ডিটেইলস দেয়া থাকে অনেক সময়। সেগুলা দেখলে বুঝবেন কি ধরনের স্টাডি করা লাগে।


এভাবে শর্টলিষ্ট এর অন্য সাবজেক্ট গুলো চেক করবেন মেনুয়ালি এবং নিজে নিজে। এভাবে চেক করা শেষ হলে, ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। নিজেকে প্রশ্ন করবেন গভির ভাবে। প্রতিটি কোর্স নিয়ে ভাবুম, সাবজেক্ট কি নিজের সাথে শুট করে? বেসরকারী ভার্সিটিতে ভর্তি এর কোর্স গুলো কি ভালো লাগবে, ধৈর্য কি থাকবে?

যদি উত্তর হ্যা হয়, তাহলে সেই সাবজেক্ট এ ভর্তি হতে পারেন। আর না হলে, ভুলেও ভর্তি হবেন নাহ। কোন সাবজেক্ট এর ভবিশ্বত ভালো সেটা চিন্তা না করে, কোন সাবজেক্ট আপনার সাথে শুট করে সেটা ভেবে দেখুন।

সিইও হওয়া যায় কিভাবে জানতে চান? ৩ং কারন জানলে অবাক হবেন!

ভবিশ্বত ভালো হবে কি না, সেটা সাবজেক্ট এর উপর যতটা না নির্ভর করে, তার থেকে অনেক বেশী নির্ভর করে আপনার উপর। যেমন ধরেন, আপনি সিএসই সাবজেক্ট থেকে অনার্স করলেন কিন্তু কোডিং কিছু পারেন না! আপনি বেকার হয়ে গেলেন।

আপনার বন্ধু সোশ্যাল অয়েলফেয়ার এ পড়ে, হাইলি স্কিল্ড হয়ে ইউনাইটেড ন্যাশন্স এ চলে গেল। তাহলে কার ফিউচার ভালো হলো? সিএসই কিন্তু খুব বেশী সহায়তা করতে পারল না।  সফলতার জন্য স্কিলস লাগে, সাবজেক্ট না। তাই, ট্রেন্ডিং এ গা না ভাষিয়ে, সাবজেক্ট ভালো লাগে কি না চেক করে দেখুন।

সিপিএ মার্কেটিং Previous post সিপিএ মার্কেটিং নামে যেভাবে প্রতারনা হচ্ছে! ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো?
কলেজে ভর্তি Next post কলেজে ভর্তিঃ কোন কলেজ এবং কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ