ধরেন কারও ফেজবুক এ সমস্যা হয়েছে বা সে কারও ফেজবুক আইডি হ্যাক করতে চায়! সে কি করবে? আসে পাশে কোন সিএসই স্টুডেন্ট খুজে বের করবে আর নক দিবে। তাকে ফেজবুক আইডি হ্যাক করে দিতে বলবে। আর যদি তখন সিএসই এর সেই শিক্ষার্থী অস্বীকার করে, তাহলে তো আর কথাই নেই। সবাই মনে করেন, ফেজবুক আইডি হ্যাক করতে পারার পরও তারা ফেজবুক হ্যাক করে দিচ্ছে নাহ!

একই ভাবে ধরেন কারও কম্পিউটার এ সমস্যা হয়েছে, বা কেউ কম্পিউটার রিলেটেড কোন গ্যাজেট কিনতে চায়। বা ধরেন কেউ টেক রিলেটেড কোন স্মার্ট গ্যাজেট কিনতে চায়। সে কি করবে? কোন সিএসই স্টুডেন্ট খুজে বের করবে আর দাম জিজ্ঞেস করা শুরু করবে। দাম জানার পর জিজ্ঞাস করবে কম্পেয়ারিজম কি। র‍্যাম এর দাম কত? হার্ডডিক্স কত? ফোন এটা ভালো নাকী ওটা ভালো। প্রশ্নের শেষ নাই।

গ্রাজুয়েশন এর কোন সময় ই কেউ গ্যাজেট এর দাম বা রিভিউ নিয়ে স্টাডি করে না – গালিব নোটস

টেকনোলজি সম্পর্কিত যে কোন সমস্যা তে, যে কোন ইস্যু তে, বা যে কোন নিউজে এক মাত্র সমাধান হচ্ছে সিএসই স্টুডেন্ট। কিন্তু বাস্তবে একজন সিএসই শিক্ষার্থী কতটুক জানে বা কিভাবে তাদের স্টাডি করা লাগে সেটা বলার আগতে চলেন দেখে আসি, সিএসই তে গ্রাজুয়েশন করার সময় শিক্ষার্থীদের কি কি পড়া লাগে?

গ্রাজুয়েশন এর চার বছরে, একজন শিক্ষার্থী বেশ কয়েকটি ম্যাথ কোর্স, কয়েকটি নন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স, বেসিক রিসার্চ কোর্স এর সাথে মুল সিএস এর অনেক গুলো কোর্স করে থাকে। সিএসই এর কোর্স গুলতে আবার ভাগ করা আছে। বেসিক, ইন্টারমিডিয়েট, এডভান্স, রিসার্চ কোর্স।


সিএস রিলেটেড সাবজেক্ট গুলোর মধ্য ডেটাবেজ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিস্টেম এনালাইসিস, থিউরি অফ কম্পিউটেশন, বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা এর সাথে অনেক গুলো সাবজেক্ট এর বেসিক স্টাডি করানো হয়। আন্ডার গ্রেড এ বেশীর ভাগ সাবজেক্ট এ ফান্ডামেন্টাল জিনিস গুলো শেখানো হয়।

যে ১৪টি কারনে প্রোগ্রামার মেয়ের সাথে ডেট করা উচিৎ!

সাধারনত সিনিয়র ইয়ার এ শিক্ষার্থীরা একটি মেজর সিলেক্ট করে এবং সেটার উপর প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে। এই সিলেকশন শিক্ষার্থীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। কেউ চায় ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতে চায়, কেউ একাডেমিক লাইফ আর কেউ কেউ চায় এব্রড এ স্টাডি করতে। সব শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত কোর্স ক্রেডিট শেষ করা লাগে আন্ডারগ্রেড ডিগ্রি কমপ্লিট করার জন্য।

এখন এই আন্ডারগ্রেড লাইফ যদি সম্পুর্ন এনালাইসিস করি, তাহলে দেখে যায়, শিক্ষার্থীরা গ্যাজেট এর দাম নিয়ে স্টাডি করে না। একাই কেউ ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, এপস ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব এপ্লিকেশন, মেশিন লার্নিং করে নাহ। মুলত টার্গেট অনুসারে, একটা স্পেসিফিক বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকে।

যে ৭ ধাপে একজন সিএসই শিক্ষার্থীর পতন ঘটে!

কিন্তু যারা নন টেক ব্যাকগ্রাউন্ড এর মানুষ আছেন, তারা মনে করেন, সিএসই এর শিক্ষার্থীরা সব জান্তা সমীপেশু এবং একই ব্যাক্তি একাই ফেজবুক আইডি হ্যাক করতে পারে, আবার ওয়েব সাইট ডেভেলপ করতে পারে, মেশিন লার্নিং যানে। সেই সাথে সব ধরনের গ্যাজেট এর দাম, কোয়ালিটিও জেনে থাকে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, একজন সিএসই শিক্ষার্থী যদি এমএসই বা পিএইচডি ডিগ্রীও করে ফেলে তাও সে সব জানেন না। গ্যাজেট এর দাম বা ফেজবুক হ্যাকিং তো জানেন ই না। অন্য ব্যাপারেও সব বিষয়ে জানেন না। মাস্টার্স লেভেলে এ সাধারনত ইন্ডাস্ট্রি অরিয়েন্টেড সাবজেক্টু গুলো এডভান্স লেভেল এ পড়ানো হয়। আর পিএইচডি লেভেলে তো রিসার্চ করেন কোন স্পেসিফিক এড়িয়া তে।


তাই, যারা মনে করেন, সিএসই তে স্টাডি করলে সব জেনে যায়, গ্যাজেট এর দাম জেনে যায় তারা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।

যারা সিএসই শিক্ষার্থীদের এভাবে প্রশ্ন করেন তাদের কাছে সম্মান সহকারে জানতে চাই, যদি আপনব আপনার বিল্ডিং এ সমস্যা ধরা পরে তাহলে কি মিস্ট্রিকে কল করেন নাকি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কে? আর ইলেকট্রিক লাইন এ সমস্যা হলে কি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ডাকেন নাকী ইলেক্ট্রিশিয়ান কে?

জীবনে সফল হওয়ার ১৩ টি সিক্রেট বা কৌশল!

তাহলে বিল্ডিং এর সমস্যা তে যদি ই মিস্ত্রি আর ইলেক্ট্রিক লাইন এ সমস্যা তে ইলেক্ট্রিশিয়ান ডাকেন, তাহলে কম্পিউটার সাট-ডাউন হয়ে গেলে বা গ্যাজেট কিনতে হলে কেন আপনি একজন সিএসই স্টুডেন্ট কে খুজে বের করেন?

একজন সিএসই স্টুডেন্ট কখনও গ্যাজেট এর দাম নিয়ে স্টাডি করে না। কখনই ফেজবুক আইডি হ্যাকিং নিয়ে স্টাডি করেন না। এমনও হতে পারে, একজন অয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট নাও জানতে পারে। যেমন, কেউ যদি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ কাজ করেন তাহলে সে হয়ত এইচটিএমএল নাও জানতে পারে। এটা খুব স্বাভাবিক।

জীবনে সফল হওয়ার ১৩ টি সিক্রেট বা কৌশল!

তাই, একজন ইঞ্জিনিয়ার একই সাথে ওয়েব সাইট বানানো, মোবাইল এপ বানানোর দক্ষতা নাও রাখতে পারে। এটা আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। একজন স্টুডেন্ট চেষ্টা করলে পারবে । যেহেতু আমাদের কাজ কর্ম, লেখা পড়া কম্পিউটার নিয়েই এবং আমরা এতে অভ্যাস্ত।

সব মিলিয়ে বলতে চাই, সিএসই এর শিক্ষার্থীরা সব জান্তা সমীপেশু নয়। তাদেরও লিমিটেশন রয়েছে। তাই কেউ পারার পরও করে দিচ্ছে না, এই ধারনা থেকে বেড়িয়ে আসুন।

যে কোন সমস্যাতে আমাদের পেইজ এ নক দিতে পারেন অথবা আমাদের কে ইমেল করে জানাতে পারেন।

0Shares
সিএসই এর ক্লাস শুরুর আগে কি কি শিখবেন? Previous post সিএসই এর ক্লাস শুরুর আগে কি কি শিখবেন?
সিএসই গ্রাজুয়েট চাকরী পায় না কেন, galib niotes Next post সিএসই গ্রাজুয়েট চাকরী পায় না কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ