মুল টাইটেলঃ ইমিডিয়েটলি বদলে ফেলুন সেই ফ্রেন্ডদের, যারা মেশিন লার্নিং, আইডিয়া বা অপার্চুনিটি নিয়ে কথা বলে না!

বড় ভুমিকায় না গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা লিখছি। ২০১৯ সালের শুরুর দিক থেকে ইন্টার্নশিপ এন্ড জবস ইন বাংলাদেশ গ্রুপ এর মাধ্যমে, বাংলাদেশী তরুনদের সাথে কাজ করছি। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা জমা হয়েছে। অভিজ্ঞতা যদিও খুব ছোট্ট সময়ের কিন্তু এটা খুবই গুরুত্ব পুর্ন। এ কারনেই লিখতে বসা। গত ২বছর আগে বাংলাদেশি লোকাল মার্কেট এ মেশিন লার্নিং (machine learning bangla), ডেটা সাইন্স বা এআই সম্পর্কিত চাকরীর বিজ্ঞাপন দেখাই যেত না। বাংলাদেশি সেরা জব সাইটে মাসে ১-২টা এই টপিকের জব থাকত। কিন্তু এখন, প্রতি সপ্তাহে একাধিক জব থাকে এই ক্যাটাগরিতে। আমাদের ধারনা, আগামী বছর নাগাদ, বাংলাদেশের ট্রেন্ডিং জব গুলো হবে মেশিন লার্নিং ক্যাটাগরির।
ফিউচার ইজ গোয়িং টু বি অল এবাউট মেশিন লার্নিং! আপনি যে ব্যাকগ্রাউন্ড এর মানুষ ই হন না কেন, ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্স, জীব বিজ্ঞান বা রসায়ন বিজ্ঞান এর স্টুডেন্ট হন না কেন, মেশিন লার্নিং লাগবেই। মেশিন লার্নিং পছন্দ করেন বা না করেন, আপনাকে এর সাথে ডিল করা লাগবে। একন যেমন, ওয়েব রিলেটেড কাজে জাভাস্ক্রিপ্ট লাগেই, তেমনই সামনের দিন গুলোতে টেক ফিল্ড বা নন টেক ফিল্ড এ যাই করেন, প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ ভাবে, মেশিন লার্নিং ব্যাবহার করাই লাগবে।
আমাদের চার পাশের ফ্রেন্ডরা যেমন, আমরা সাধারনত তেমন হই। বলা হয়ে থাকে, আমাদের আউটপুট তেমনি হবে যেমন, আমাদের ক্লোজ ৫জন ফ্রেন্ড এর। তাই, যে সব ফ্রেন্ডরা মেশিন লার্নিং নিয়ে কথা বলে না তাদের কে ইমিডিয়েট বদলে ফেলুন। মনে রাখবেন, মেশিন লার্নিং এর সাথে ডিল করাই লাগবে, যদি না পারেন তাহলে সমস্যা আপনার ই হবে। আবেগ নয়, লজিক্যালি চিন্তা করুন।
আর যদি এমন হয়, নিজেই মেশিন লার্নিং পছন্দ করেন না, তাহলে? এ ক্ষেত্রে নিজেকে তো আর লিভ করা যায় না, কিন্তু সেই সকল কাজ লিভ করুন যেগুলা আপনাকে মেশিন লার্নিং শিখতে বাধা দিচ্ছে। সময় বের করুন, শেখা শুরু করুন আজই।
সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টার্নশিপ পেতে মাত্র ৪টি স্টেপ!
কিপ ইন মাইন্ড দ্যাট, প্রায়ভেট ইন্ডাস্ট্রি ইজ অল এবাউট বিজনেস এন্ড জবস আর কম্পনেন্টস অফ কম্পিটিশন। জবে কোন পোস্ট এ কাজ করেন বা কোন ডোমেইন এ কাজ করেন এটা না কেন, মেশিন লার্নিং এর সাথেই কাজ করা লাগবে। সব কিছুতেই, সব কিছু বলতে এনিথিং এন্ড এভ্রিথিং, মেশিন লার্নিং এন্ড ইটস এপ্লিকেশন হবে। এমন কি পারসোনাল রিলেশন(hmm) গুলোতেও এর ব্যাবহার হবে!
ওকে, নেক্সট—

ইউনিভার্সিটি হচ্ছে ফিউচার ক্যারিয়ার এবং জব এর জন্য সব থেকে ইম্পর্টেন্ট টাইম ফ্রেম! কোথায় পড়ছেন সেটা নয়, কি শিখছেন আর কিভাবে টাইম ইউটিলাইজ করছেন সেটাই হচ্ছে মুল বিষয়। সময় ঠিক ভাবে ইউটিলাইজ করতে পারলে যেমন আপনি টপার হতে পারেন, আবার না পারলে, পুরো ব্যার্থ হতে পারেন। এখানেও ফ্রেন্ডদের ভুমিকা অনেক। প্রডাকটিভ নয় এমন মানুষদের সাথে থাকলে, কখনই আপনি প্রডাকটিভ হতে পারবেন না, আনলেস ইউ হ্যাভ সুপার সেলফ মোটিভেশন।
তবে সব সময় তো আর প্রোডাকটিভ ফ্রেন্ড পাবেন না, বাট যারা আছে তাদের তো একদিনে বাদ দিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। কিন্ত, নিজের কাজটি করে যেতে হবে। ফ্রেন্ডদেরও সময় দিবেন কিন্তু এক্সট্রা কেয়ার নয়। বিশেষ করে অপজিট জেন্ডার এর কাওকে, অতিরিক্ত কেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। অপজিট জেন্ডার এর কাওকে বেশী কেয়ার করলে, কয় দিন পর শুনবেন, অমুক ভাইয়া তো আমাকে নক দেয়! উনি তো নক দেয়, আমি আনসিন করে রেখে দেই! অমুক আপুর তো সমস্যা আছে!! কেয়ারফুল থাকুন, শুধু শুধু এসব কথা শুনতে যাবেন না।
যে কারনে কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তি হওয়া উচিৎ নয় – পার্ট১
এখন, জীবনে যাই করতে চান না কেন, আইডিয়াস আর ইম্পর্টেন্ট! যদি ইন্ডাস্ট্রি জব করতে চান, আইডিয়া লাগবে। যদি একাডেমিক চাকরী করতে চান, আইডিয়া লাগবে, এমনকি ঘুমানোর জন্য আইডিয়া লাগবে। ইন্ডাস্ট্রি এমন সব কর্মী চায়, যাদের ইনোভেটিভ আইডিয়া আছে, ইমাজিনেশন-লং ওয়েস দেখতে পারে, মেশিন লারনিং (machine learning bangla) এ দক্ষতা আছে। যদি একাডেমিক জবে আসেন, কিভাবে স্টুডেন্ট হ্যান্ডেল করবেন! একটা ক্লাসে সবাই শিখার জন্য আসে না, সবাই আবার গ্রেড এর জন্যও আসে না। সবাই সামনের দিকে বসে না আবার সবাই লাস্টের দিকেও বসে না। ব্যালেন্স করার জন্য আইডিয়া লাগবে। আর যদি ঘুমাতে চান, কি এক্সিউজ দিবেন সেটাও কিন্তু আইডিয়া লাগবে। তাহলে বুঝেন, আইডিয়ার গুরুত্ব কত টুকু।

বিরক্ত লাগছে কি? সব থেকে এক্সসাইটিং অংশ শুরু করা যাক। দিন রাত মিলিয়ে ২৪ ঘন্টা আর সপ্তাহে ৭দিন। সময় ফিক্সড কিন্ত কাজ ফিক্সড নয়। আর সব কিছু এক সাথে স্মুথলি চালিয়ে নেয়া সহজ কাজ নয়। সকালের ক্লাস মিস করে ফেলা, কুইজ এর প্রস্তুতি না নেয়া বা মেশিন লারনিং এর অনলাইন ক্লাস মিস করা- হতেই পারে এ রকম। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সময় তো ফিক্সড, সময় তো বাড়াতে পারবেন না। তাহলে কি করা যায়?
ওয়েল, আপনাকে অপারচুনিটি এবং অফার গুলোর বেষ্ট ইউটিলাইজ করা লাগবে। তাহলেই, ল্যাগিংস গুলা রিকভার করা সম্ভব। আর, ফ্রেন্ড রা যদি অপারচুনিটি নিয়ে কথা না বলে, তাহলে জানবেন কিভাবে! অফার এর কথা শুনলেই, অনেক ফ্রেন্ড আবার বার্গার বাই১ গেট১ এর অফার এর কথা মনে করায় দিবে।
তাহলে, মেশিন লারনিং (machine learning bangla) , আইডিয়া, অপারচুনিটির ব্যাপারে যারা কথা না বলে, তাদের কে বদলে ফেলুন। তাদের কে লাইনে নিয়ে আসুন আর যদি কেউ ডিটারমাইন থাকে যে বদলাবে না, তাহলে ত্যাগ করুন। রিমেম্বার ওয়ান লাস্ট লাইন, ইউর সাক্সেস ইজ এভ্রিওয়ান্স সাক্সেস, এন্ড ফেইলুর ইজ ইয়োর ফেইলুর।