ইন্টারভিউ এবং ফ্রেশ জব এপ্লিকেশন নিয়ে এমন কিছু গোল্ডেন ইনফর্মেশন রয়েছে, যেটা আপনার লাইফের মোর ঘুড়িয়ে দিতে পারে যে কোন সময়ে। এখানে এমন কিছু ইউনিক কনসেপ্ট আছে, যে গুলোর কথা অনেকে হয়ত চিন্তাও করতে পারবে না। এই কনসেপ্ট গুলো, মুশফিক রনি ভাই আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, যাতে করে অনেকেই তার ক্যারিয়ার কে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে পারেন।

যারা ফ্রেশ গ্রাজুয়েট আছেন, যারা ইন্টার্নশিপ এর জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন, তারা অনেক মন দিয়ে এই ভিডিওটি দেখার চেষ্টা করুন। দেখা যাবে, এই একটি ব্লগ অনেক মন দিয়ে পড়ার কারনে, আপনার ক্যারিয়ার এর মোর কিন্তু বদলে যেতে পারে।

এই ব্লগটি মুলত গালিব নোটস এর ভিডিও এর লিখিত অংশ। আমরা ২০১৯ সালে মুশফিকুর রহমান রনি ভাই এর সাথে কথা বলেছিলাম। ভাইয়া আমাদের সাথে কিছু ইউনিক কনসেপ্ট শেয়ার করেছেন। যেগুলা এখনও খুবই কার্যকর। আপনারা চাইলে, নিচের এমবেড করা ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।

ইন্টার্নশিপ এবং ফ্রেস গ্রাজুয়েটদের জব এপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলছেন মুশফিক রনি ভাইয়া – গালিব নোটস

এর আগের পর্বে আমরা কথা বলেছি, কিভাবে আমরা প্রজেক্টস গুলো কালেক্ট করতে পারি। মানে, আমরা কিভাবে আমাদের গ্রাজুয়েশন করার সময়ই, ৫ থেকে ১০ টি প্রজেক্ট করে ফেলতে পারি। সেই ভিডিওটি যদি না দেখে থাকেন, এই লিংক এ ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। আজকে আমরা কথা বলব, কেউ যদি ৯, ১০ বা ১১তম সেমিস্টার এ পরে, সে ইন্টার্নশিপ নেয়ার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিতে পারেন!

আমি ধাপে ধাপে কথা বলব, কিভাবে কোন জিনিস গুলো দিয়ে শুরু করতে হবে! কিভাবে সব কিছু গুছিয়ে আনতে হবে এবং ফাইনালি কিভাবে আবেদন শুরু করা লাগবে! তো চলুন, মূল ব্লগ শুরু করা যাক-

প্রজেক্ট গুলো গুরুত্বপুর্ন কেন?

প্রথমে আমি যেটা নিয়ে কথা বলব, সেটা হচ্ছে, প্রজেক্টস। যেটা নিয়ে আমি অলরেডি কথা বলেছি আগের ভিডিওতে! তো, প্রজেক্টি হচ্ছে খুবই দরকারি, ইন্টার্নশিপ এ আবেদন এর জন্য। কারন, আপনার যদি কোন প্রজেক্ট না থাকে, তাহলে শুধু একাডেমিক রেজাল্টস বা একাডেমিক কি কি কোর্স কমপ্লিট করেছেন, এটা দিয়ে কখনও ইন্টার্নশিপ পাওয়া সম্ভব হয় না।

পসিবল হয় না একবারে এমন বলব না। অনেক সময় হয়ত পাওয়া যেতে পারে! তবে সেই পার্সেন্টেজ খুবই কম। কিন্তু আপনার যদি খুব ভালো ভালো প্রজেক্টস থাকে, তাহলে সেটা খুবই উপযোগী হবে বা হেল্পফুল হবে, আপনার জন্য ইন্টার্নশিপ পাওয়ার জন্য। তো, এর জন্যই আমি, আগের ভিডিওতে প্রজেক্টস নিয়ে কথা বলেছিলাম, কারন এটা খুবই গুরুত্বপুর্ন।

কিভাবে ডেমো প্রজেক্টস গুলো সেটাআপ করা যায়?

এখন আমরা প্রথমেই বলব, কিভাবে ডেমো প্রজেক্টস গুলো সেটআপ করা যায়! আমরা আজকে ১০ম সেমিস্টার এর একজন স্টুডেন্ট হয়ে কথা বলব। আমি ৯ম বা ১১তম ধরলাম না। মাঝ খানের ১০ম সেমিস্টার ধরলাম, আপনার সেভাবে এডযাস্ট করে নিবেন।

যদি কেউ ১০ম সেমিস্টার এর শিক্ষার্থী হয়, আর তার কাছে ৫-৬টি প্রজেক্ট থাকে, তাহলে সেগুলা কিভাবে সিভির জন্য প্রস্তুত করবে? মানে, প্রজেক্টস থাকা একটা জিনিস, আর সেই প্রজেক্টস গুলো কে সিভিতে প্রট্রেট করা বা কোম্পানির কাছে প্রেজেন্ট করা অন্য জিনিস। যেটা আমি পার্সনালি ফলো করি এবং আমি এই জিনিসটা শিখেছিলাম আমার এক সিনিয়র আপুর কাছ থেকে।

সেই আপুর নাম হচ্ছে নীন আপু। সাম অফ দ্যা থিঙ্কস আমি উনার কাছ থেকে শিখেছি আর সাম অফ দ্যা থিংস আমি নিজে শিখেছি। আমি আজকে জিনিস গুলো একটু অর্গানাইজ করে ফেলেছি এবং লিখে নিয়েছি। কারন হচ্ছে, আজকে থেকে আমরা যেই জিনিস গুলো নিয়ে কথা বলব, সেগুলো লিখে অর্গানাইজ করে না নিলে, বলতে অসুবিধা হতে পারে। বা আমি ট্র্যাক হাড়ায় ফেলতে পারি। বা কোন কিছু মিস হয়ে যেতে পারে। তো, আমি মাঝে মধ্য হয়ত আমি ল্যাপটপ স্ক্রিনের দিকে তাকাবো।

ডেভেলপ সাম ডেমো প্রজেক্টস

প্রথমেই আমি যে সব জিনিস নিয়ে কথা বলব, তা হচ্ছে, ডেভেলোপ সাম ডেমো প্রজেক্টস। এখানে, ডেভেলপ মানে এই জিনিসটা না যে, আপনি ডেমো প্রজেক্টস বানাবেন! ডেভেলপ বলতে, আপনি ডেমো প্রজেক্টস গুলো বানিয়ে ফেলেছেন, সেটা কে সিভির জন্য ডেভেলপ করবেন আপনি।

একটা প্রজেক্ট যখন আপনি বানান, তখন সেই প্রজেক্টস টা লাইভ সার্ভার এ হোস্ট করে, সেটার লিংক দিয়ে দিতে পারেন সিভিতে। এতে করে আপনি যে কোম্পানিতে আবেদন করবেন, তারা সিভির লিংক এ ক্লিক করে দেখতে পারবে। এখন সবার এটা সম্ভব নাও হতে পারে। এটা স্পেশাল কেইস এবং আমি এগুলা নিয়ে বেশি কথা বলি! কারন হচ্ছে, অনেক সময় আমাদের স্টুডেন্টদের মধ্য একটা টেনডেন্সি থাকে, ভাইয়া আমার তো লাইভ সার্ভার এ দেয়ার মত কন্ডিশন নাই। আমি তো লাইভ সার্ভার এ দিতে পারি না! লাইভ সার্ভার এ দেয়ার মত আমার কোন ওয়ে নাই।

আমি আসলে এই জিনিস গুলা সলভ করার চেষ্টা করি। আমার মেইনলি ইনটেনশন থাকে এটাই যে, কেউ যেন ঐ অজুহাত গুলো দিতে না পারে যে, আমার তো এটা পসিবল হচ্ছে নাহ! তো লাইভ সার্ভার এ দেয়া একটা ওয়ে এবং আমি এটা বাদ দিলাম। এটা সবাই জানে এবং আপনিও লাইভ সার্ভার এ প্রজেক্ট রেখে দেখাতে পারেন।

আমি যে ট্রিকটার কথা বলব, সেটা হচ্ছে আপনি একটু চালাকি করে, একটু নিজের ব্রেইন খাটিয়ে নিজের একটা লাইভ সার্ভার বানিয়ে নেন। আপনার তো পসিবল হচ্ছে না লাইভ সার্ভার এ প্রজেক্ট হোস্ট করার। তাহলে, আপনি একটা লাইভ সার্ভার বানিয়ে নেন। কিন্তু সেটা কিভাবে বানাবেন?

মনে করেন, লাইভ সার্ভার মানে আসলে কি? লাইভ সার্ভার এ প্রজেক্ট রাখা মানে কি? সেই প্রজেক্ট টা, মানে আপনার প্রজেক্টটা কেউ একজন দেখতে পারবে। লাইভ সার্ভার এ রাখার মেইন উদ্দ্যেশ্যই হচ্ছে, আপনার প্রজেক্ট এ কি কি হয়, কিভাবে হয় সেই কাজ গুলো অন্যরা দেখতে পারবে। আপনি যে কোম্পানিতে আবেদন করবেন, সেই কোম্পানির সিভি রিভিউয়ার রা দেখতে পারবে! তাহলে, আমাদের মূল ইনটেনশন টা কি হলো?

আমি প্রজেক্ট হিসাবে কি সফটওয়্যার বানিয়েছি, সেই সফটওয়্যার এর একটা ভিডিও দেখানো। এখন এটা লাইভ সার্ভার হোক বা যে ভাবেই হোক, সেই সফটওয়্যার এ কি হয়, সেটা দেখানো। তো, আপনার যদি লাইভ সার্ভার না থাকে, আপনি যেটা করতে পারেন, স্কিন ক্যাপচার ভিডিও। আপনি স্ক্রিন ক্যাপচার করে, ভালো হয় ভয়েজ অভার দিলে। পুরো সফটওয়্যার টা কিভাবে কাজ করে সেটা রেকর্ড করে ইউটিউব বা যে কোন প্লাটফর্ম এ রাখতে পারেন।

ভালো হয়, ভিডিওটি ইউটিউবে রাখলে কারন ড্রাইভে রাখলে আবার লিংক নিয়ে অনেক সময় সমস্যা হয়। আর ইউটিউবে একটা একাউন্ট করা খুব বেশি ঝামেলার না, খুব বেশি সমস্যা না। যে কেউ চাইলে, চ্যানেল খুলে আপডেট করে নিতে পারেন । তো আপনি প্রতিটি প্রজেক্টস এ স্ক্রিন রেকর্ড করবেন। ভালো হয় যদি ভয়েজ অভার দেন, কি কি করেছেন, কি সমস্যার সমাধান করেছেন সেটা বর্ননা করেন।

প্রজেক্ট এর বর্ননা দেওয়ার সময় খুব ভালো করে নোটিশ করবেন, কি কি সমস্যাতে পরেছেন আর কিভাবে সমাধান করেছেন সেটা বলতে হবে। ভিডিও রেকর্ড হয়ে গেলে, অন্য প্রজেক্ট গুলো এক এক করে বানিয়ে ফেলুন। এভাবে সব গুলো ভিডিও করা হয়ে গেলে আপনি এটা সিভিতে যুক্ত করতে পারেন। প্রতিটি প্রজেক্ট ডেসক্রিপশনের সাথে গিট হাব বা সোর্স কোড লিঙ্ক দিবেন। সেই সাথে আপনি ভিডিও লিংক যুক্ত করে দিবেন। 6-54

0Shares
Previous post দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষা – যেভাবে শুরু করবেন
অনলাইন Next post বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ