#Year2041
২০৪১ সাল থেকে বলছি। স্লো পয়জনে এর গল্পটি শুনতে চান?
২০১৮-১৯ সালের কথা! লোকাল জবের বিবেচনা করে কেবল ডেটা সাইন্স নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেছিলাম। শুরু করার কয়েকদিনের মধ্য ভয়াবহ কিছু সর্টেড ডেটা চলে আসে আমার হাতে। সর্টেড ডেটা মানে হচ্ছে হচ্ছে ব্যাবহার উপযোগী রেডি ডেটা। ঐ সময়ে পোস্ট হওয়া ৯০ ভাগ নিউজ ছিল বায়াস্ট। যার মধ্য ৭০% নিউজ আবার ছিল সম্পুর্ন ফেইক!
সেই আমলে (২০১৮-১৯ সালে) আমাদের তরুন সমাজ এতটাই ডাম্প হয়ে গেছিল যে, এই সব পোস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে ফেলত। কোন নিউজ সত্য মিথ্যা না জেনেই শেয়ার দিত। টাইটেল দেখে, সহমত ভাই বলে সামনে যা পেত তাই শেয়ার দিত।
* * * * * * * * * * * *
একটি দেশের মেরুদন্ড তাদের ইউথ! আমাদের সেই মেরুদন্ড ভেজ্ঞে দেয়া হচ্ছিল এই ফেইক নিউজ দারা। স্লো পয়জনে র মত মাথায় গেথে দেয়া হচ্ছে এই দেশ মানেই খারাপ! এই দেশের কোন ভবিশ্বত নাই, বেসরকারী চাকরি মানেই জীবন শেষ, কোন সেইফটি নাই এখানে আর শুধু মাত্র সরকারি চাকরিই সেইফ।
সে সময়ে হাজার দুয়েক সরকারি চাকরির পজিশনের জন্য ১৪ লাখ পরিক্ষার্থী পরিক্ষা দিত। একটা ৩য় শ্রেনীর সরকারি চাকরির জন্য মানুষ ১৫-২০ লাখ টাকা ঘুষ দিত কিন্তু হালাল ভাবে ২-৩ লাখ টাকা খরচ করে ব্যাবসা করত না। আর এর জন্য দায়ি ছিল আমাদের সোস্যাল মিডিয়া আর ফেইক নিউজ পোর্টাল গুলো।
আমি আমার পার্টনার (যাকে নিয়ে সবাই আমাকে হাসাহাসি করত) এর সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করেছিলাম। সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সাথে সাথে এটাও বলেছিলাম, আমাদের ইউথরা এক্টিভ! যদি কোন ভাবে সুস্থ চিন্তা ধারায় নিয়ে আসা যায়, এদেশ বদলে যেতে সময় লাগবে না।
* * * * * * * * * * * *
কাওকে না কাওকে সামনে থেকে লড়তে হয়!! ট্রেডিশন ব্রেক করে কাওকে এগিয়ে আসতে হয়। একজন মেয়ে হিসেবে বসে থাকে নি। সামনে এসেছে, দিনের পর দিন কাজ করে গেছে। এদেশের ইউথরা যাতে পজিটিভ নেগেটিভ বুঝতে পারে তার জন্য কাজ করেছে, থেমে থাকে নি।
সে লড়েছে, জিতবেই জিতবে বলে মাটি কামরে পরে থেকেছে! নিউজের স্লো পয়জনে কি হবে সেটা বুঝাতে সে ফেইক নিউজ ডিটেক্টর বানিয়েছে। স্লো পয়জনে এর বিরুদ্ধে সে জনমত গড়ে তুলেছে।
এদেশের নিউজ সাইট গুলোর সকল হামটি ডামটি কমে গেছে। ফেইক নিউজ আটো ডিটেক্ট প্রযুক্তি চলে আসায় নিউজ গুলোর আর কোন ভিজিটর নেই। টিভি চ্যানেল গুলোর টিয়ারপি শুন্যর কাছে। সোস্যাল পোস্ট হলেও রিচ করে না আর।
২ যুগ এর মধ্য এই যে এত পরিবর্তন, এই যে তরুনদের পথে ফিরিয়ে আনা, দেশ কে বিশ্ব দরবারে সামনে তুলে ধরা, এর কৃতিত্ব একজন মেয়ের। আমার সেই পার্টনার যার সাথে আমি ২০১৯ সালে ডেটা সায়েন্স নিয়ে কথা বলেছিলাম।
আজ সে কম্পিউটার সায়েন্স এর নোবেল হিসাবে পরিচিত Turing Award এর প্রাপ্ত দেশের প্রথম নারী সোস্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত নিউজ কত পার্সেন্ট বায়াস্ট আর কত পার্সেন্ট ফেইক, সেটা ডিটেক্ট করতে পারা প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য এই সম্মাননা।
সে আমার হলো কিভাবে সে গল্প না হয় অন্য দিন —
* * * * * * * * * * * *
#সাইন্সফিকশন_লেখার_অপচেষ্টা
৩ বছর আগে আমি যখন “নিউজের স্লো পয়জনে আপনিও” পোস্ট লিখেছিলাম, তখন বাস্তবতা এমন ছিল। আর এখন অবস্থা আরও খারাপ। আমার ধারনা, সোস্যাল মিডিয়া আর নিউজ এনালাইসি করলে ১% নিউজ সঠিক খুজে পাওয়া যাবে কি না সন্ধেহ আছে। প্রতিটি নিউজ বায়াস্ট। প্রতিটি আর্টিকেলে সুক্ষ ভাবে পয়জন থ্রো করা হচ্ছে।
বিঃদ্রঃ প্রথম আলোর ভাইরাল একটি নিউজ মেনুয়ালি চেক করে সত্যতা পাই নি। সাংবাদিক তার RP এর জন্য অনেক কিছু করতে পারে, অজ্ঞতাও থাকতে পারে। কিন্তু যে কোন নিউজ শেয়ার এর আগে আমাদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন । বিশেষ করে সেনসিটিভ নিউজ, কারন এগুলো দির্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলবে আমাদের উপর।
* * * * * * * * * * * *
আমার আরও কিছু সায়েন্স ফিকেশন আছে। যেমন প্রডাক্টের জন্য প্রাইস পে করুন অথবা নিজে প্রাইস হন, এলগরিদম ফেইলুর থেকে মিলিয়ন ডলার সবজি বিক্রেতা দেখতে পারেন। সাইন্স ফিকশন ফর “বাবু খাইছো, বাবু খাইছো?” দেখতে পারেন এখানে। সাইন্স ফিকশন ফ্রম নোবেল টু নো-বেইল পড়তে পারেন! এছাড়া আমার সিরিজ ব্লগ সাইন্স ফিকশন পড়ুন এই লিংক এ ক্লিক করে। ব্লগ ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।