আমাদের চার পাশের অনেকে ইদানিং ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করে। এর কারন হচ্ছে, দেশীখন বইছে ফ্রিল্যান্সিং এর জোয়ার। বেশির ভাগ মানুষ না বুঝে এই রাস্তায় আগাচ্ছে আর মুল্যবান সময়, অর্থ নষ্ট করছে। আমাদের মধ্য অনেক মানুষ আছে, যাদের কোন ভাবেই ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ নয় অথচ তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর ট্রেইনিং সেন্টার গুলো তাদের ব্যাবসার স্বার্থে এসব নিয়ে কথা বলছে না। চলুন দেখে নেয়া যাক, কাদের একবারেই উচিৎ না, ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন এ কাজের চেষ্টা করা।
১। ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টঃ
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাহলে শুরুতে একটা কাজ শিখতে হবে এবং সেটা মার্কেট এ সেল করা লাগবে। কাজের শুরুতে খুব বেশী প্রারিশ্রমিক পাবেন না। শুরুর দিকে, অনেক সময় লাগবে কাজ পেতে। কাজ ম্যানেজ করতে। সময়ের তুলনায় ইনকাম অনেক অনেক কম হবে। আবার, এই দিকে সময় দেয়ার ফলে, স্টাডিতে সমস্যা হবে নিশিচত। রাত জাগার ফলে, ক্লাসে মন দিতে ব্যার্থ হবেন। কুইজ, টার্ম পরিক্ষা খারাপ হবে এবং ফাইনালি রেজাল্ট খারাপ হবে।
একটা ডামি হিসাব দেখে নেই চলেন। ধরেন, ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১০০ ডলার হিসাবে, ৬ মাসে ৬০০ডলার ইনকাম করলেন। কিন্তু স্কিল্ড হতে পারলেন না। গ্রাজুয়েশন এর পর আপনার সেলারি হবে ২৫০ডলার যেটা ৬মাসে ১৫০০ডলার সর্বচ্চ।
আপনার বন্ধু ফ্রিল্যান্সিং না করে স্কিল্ড হলো এবং তার স্যালারি হলো ৫০০ডলার মাসে। ৬মাসে ইনকাম হবে ৩০০০ডলার। তাহলে দেখুন সে জব লাইফে আপনার থেকে ১৫শ ডলার শুরুতেই বেশি ইনকাম করছেন। বাকী দিন তো পড়েই আছে।
কিভাবে ইন্টার্নশিপ এর সেরা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করবেন!
২। দুর্বল কমিউনিকেশনঃ
অনলাইন এ কাজ করতে চাইলে, কমিউনিকেশন খুবই ইম্পর্টেন্ট এলিমেন্ট। কাজের স্কিলস এর সাথে কমিউনিকেশন দক্ষতা না থাকলে, ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়া সম্ভব নয়। অনলাইন এর কাজ গুলো আমরা যাদের ন্সাথে করে থাকি, তাদের কাছে অনেক সুযোগ থাকে। তাই, কমিউনিকেশন ভালো না হলে, কাজ পাওয়া প্রায় অস্মভব।
৩। ইংরেজীতে অদক্ষতাঃ
কোন কাজ করবেন, ইংরেজী। কোন টিউটোরিয়াল দেখবেন, সেটাও মোস্টলি ইংরেজীতে। কোন ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলা, ইমেইলিং, বিডিং, কলিং সব কিছু ইংরেজীতে। অনলাইন এর প্রতিটি স্টেপ এ ইংরেজীর দরকার। আমাদের মধ্য অনেকের ইংরেজীর ভিতি চরম। অনেকে বুঝেই না কি করা লাগবে, কি বলা লাগবে। অনেকে আবার ইংরেজী শিখতেও আগ্রহী নয়। এ রকম ক্যাটাগরির মানুষ হলে, ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল করা সম্ভব নয়।
৪। অলস এবং সময় স্বল্পতাঃ
যদি আপনি অলস হন, কাজ করতে ভালো না লাগে, তাহলে এই লাইন এ কাজে আগানো ঠিক হবে না। এখানে, একজন ক্লায়েন্ট এক সাথে ৪-৫জন কে নক দেয় এবং যিনি আগে রিপ্লাই দেন, তার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আবার, ক্লায়েন্ট কে ইমেইল করা, বিড করা এগুলা খুব বোরিং কাজ। অনেক বেশী পরিশ্রমী আর সেলফ মোটিভেট না হলে এখানে টিকে থাকা কঠিন।
ফ্রিল্যান্সিং এ ইনভেস্ট ছাড়া আগানো যায় না। আপনার সব থেকে মুল্যবান হচ্ছে সময় আর ফ্রিল্যান্সিং এ সময় ইনভেস্ট করতে হয়। যদি, টাকার আর্জেন্ট দরকার হয় বা অন্য কাজে ব্যাস্ত থাকেন, তাহলে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো করতে পারবেন না।
এটা ঠিক যে, অনলাইন এ কাজ করে অনেক বেশি আর্নিং করা সম্ভব কিন্তু এটাও মনে রাখা লাগবে, সব কিছু সবার জন্য এবং সব সময় প্রয়োজ্য নয়। সাময়িক সুবিধা হলেও, ভবিশ্বতের বড় সমস্যা মাথায় রাখা উচিৎ।
একদম শুরুতে লম্বা সময় ধরে কাজ শিখে যেতে হবে, কাজের জন্য সময় দিতে হবে। স্কিল্ড হওয়ার সাথে সাথে মার্কেটার হতে হবে। স্কিলস সেল করার জন্য দিনের পর দিন চেষ্টা করে যেতে হবে। কোন বেনিফিটস ছাড়া লম্বা সময় কাজ করে যাওয়া এত সহজ নয়। যাদের মধ্য অধ্যাবসায় নেই, তাদের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
যে ১৪টি কারনে প্রোগ্রামার মেয়ের সাথে ডেট করা উচিৎ!
এটা ঠিক যে, অনলাইন এ কাজ করে অনেক বেশি আর্নিং করা সম্ভব কিন্তু এটাও মনে রাখা লাগবে, সব কিছু সবার জন্য এবং সব সময় প্রয়োজ্য নয়। সাময়িক সুবিধা হলেও, ভবিশ্বতের বড় সমস্যা মাথায় রাখা উচিৎ। যারা বেসরকরী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেন, তারা এত টাকা দিয়ে পড়ছেন আর সাম্ন্য টাকার জন্য ক্যারিয়ার কে বিপদের মুখে ঠেলে দিবেন না। যারা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন, সুযোগ আছে বিশ্বের দরবারে সেরা যায়গা যাওয়ার, সে সুযোগ হাত ছাড়া করবেন না।
Thanks a lot !
Thanks again. If you like our blog, don’t forget to share with your friends. Stay safe.