আমাদের ইউটিউব চ্যানেল গালিব নোটস এর অনেক ভিউয়ার আমাদের অনুরোধ করেছেন, জব এবং ইন্টার্নশিপ রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্য। ইন্টার্নশিপ এর শুরুতে কি করব, জবের শুরু কিভাবে হবে ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন।
আমরা আপনাদের অনুরোধ পাওয়ার পর অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। যাদের সাথে আমরা পার্সোনাল বা প্রফেশনাল ভাবে কানেকটেড, তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম।
আমরা সিনিওয়র এবং জুনিয়র উভয় ক্যাটাগরির ইঞ্জিনিয়ারিদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। কারন, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রা যেমন অনেক বেশি অভিজ্ঞ, তেমনি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রা রিসেন্ট যে ট্রেন্ডস রয়েছে সে ব্যাপারে খুব ভালো ধারনা রাখে। কারন তারা রিসেন্ট সময়ে জয়েন করেছেন। আমরা আপনাদের সাথে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতা যেমন শেয়ার করব তেমনি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করব।
কম্পিউটার সাইন্স এর ৩ ধরনের শিক্ষার্থীর জন্য ৪টি পরামর্শ
সবার প্রথমে আমরা মুশফিক রনি ভাই এর সাথে কথা বলেছি। মুশফফিক রনি ভাই এখন আছেন ডি২ নামের একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত। রনি ভাই আপনাদের সাথে বেশ কয়েক পর্বে শেয়ার করবেন, তিনি কিভাবে ইন্টার্নশিপ পেলেন, কিভাবে জব পেলেন, আমরা কি ভুল করে থাকি, আমাদের কি বা করা উচিৎ?
আজকের আর্টিকেল এ আমরা মুশফিক রনি ভাই এর ইন্ট্রডাকশন আর ইন্টার্নশিপ এর শুরুতে কি ভুল চিন্তা করি, সেই ব্যাপারে জেনে আসি। রনি ভাই এর ইনস্ট্রাকশন অংশ সরাসরি ফ্রাস্ট পার্সন এ ট্রানস্লেট করা হয়েছে।
হ্যালো এভ্রিওয়ান, আমার নাম মুশফিকুর রহমান রনি। আমি এই মুহুর্তে ডি২ নামের একটি ক্রাউড সোর্সিং সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত আছি। এই কোম্পানিতে মেইনলি আমার কাজ হচ্ছে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপেমেন্ট। আমি পাইথন জ্যাজ্ঞো তে ব্যাক-এন্ড মানে রেস্ট এপিআই ডেভেলপ করে থাকি। এবং রিএক্ট এ আমি ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপ করে থাকি। এবং মাঝে মধ্য আমাকে এন্ড্রয়েড এ কাজ করতে হয়। যেটা খুবই লিমিটেড, ১-২ সপ্তাহের জন্য।
আমি, এই ভিডিও সিরিজটির মধ্য কিছু এক্সপেরিয়েন্স এর শেয়ার করব। যেমন, আমি কিভাবে ইন্টার্নশিপ পেলাম, কিভাবে আমার ইন্টার্নশিপ খোজা শুরু করলাম, কি কি ছিল আমার মাথায়। কিভাবেই বা আমি সব স্টেপ পার হয়েছি আর কি কি করেছি ইন্টার্নশিপ পাওয়ার জন্য। এই জিনিস গুলো মুলত বলে থাকব।
আমি যখন ১০ম সেমিস্টার এ, তখন থেকে আমি আমার ইন্টার্নশিপ খোজা শুরু করি। নরররমালি আমাদের ইউনিভার্সিটির নিয়ম হচ্ছে, ১১তম সেমিস্টার এর মধ্য যদি শিক্ষার্থীদের সব কোর্স শেষ হয়ে যায়, তাহলে ১২তম সেমিস্টার এ তাকে ইন্টার্ন করতে হবে।
নিয়ম হচ্ছে, ১১ সেমিস্টার এর মধ্য নির্ধারিত ক্রেডিট শেষ করে ফেলতে হবে। ইন্টার্নশিপ হচ্ছে ৮ মাসের একটি ইন্টার্নশিপ। আপনাকে, যে কোন একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে বা যে কোন একটি কোম্পানির সফটওয়্যার টিমের সাথে কাজ করতে হবে। একটি ফুল সফটওয়্যার বানাতে হবে। একটি রিপোর্ট তৈরি করতে হবে, সেই সফটওয়্যার কিভাবে বানালেন সেটার উপর।
এবং এই প্রসেস চলাকালীন প্রতি সপ্তাহে, নির্ধারিত সুভার-ভাইজার কে আপডেট দিতে হবে।
যে ৭ ধাপে একজন সিএসই শিক্ষার্থীর পতন ঘটে!
তো নরমালি দেখা যায় যে, যখন একটা স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ এর জন্য খোজ শুরু করে, প্রথমেই যে জিনিসটি মাথায় আসে সেটা হচ্ছে স্ট্যাক। প্রথম ভুল হচ্ছে এক্সপার্টিস নিয়ে চিন্তা করা। যেমন আমি, পিএইচপিতে এক্সপার্ট, আমি জাভাতে এক্সপার্ট, আমি ডট নেট ভালো পারি ইত্যাদি।
আমি অন্য ক্যাটাগরিতে এক্সপার্ট। আমি এর বাইরে ইন্টার্ন করব না বা করতে পারব না। মেইনলি করব না নয়, আমাদের ইনটেনশন থাকে, আমরা করতে পারব না। আমরা এই জিনিস গুলো নিয়েই কথা বলব। মেইনলি আমি কি করেছিলাম আর কিভাবে সমস্যা গুলো অতিক্রম করেছিলাম সেটা নিয়ে কথা বলে থাকব।
মুশফিক রনি ভাই হচ্ছে, আইইউবিএটি বিশশ্ববিদ্যালয়ের আমার দেখা ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ট্যালেন্টেড পার্সন এবং ট্যালেন্টেড ইঞ্জিনিয়ার। আমরা রনি ভাই থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
রনি ভাই থেকে আমরা জনলাম, ইন্টার্নশিপ এর শুরুতে আমরা কি ভুল করে থাকি। আপনারা এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আপনাদের যখন ইনটার্ন এর সময় হবে, সেরা ইন্টার্ন পেয়ে যান, এই প্রত্যাশ্যায়।