সিএসই নাকি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি আইটি? কোন সাবজেক্ট এ পড়বেন আর এগুলার পার্থক্যই বা কি? এই ব্যাপারে অনেকে জানতে চায়। বিশেষ করে, এইচএসই পাশ করা শিক্ষার্থীরা এই ব্যাপারে জানতে চায়।

চলেন দেখে নেই, এই সাবজেক্ট গুলোর ভবিশ্বত কি? কোন সাবজেক্ট ভালো হবে পড়ার জন্য? বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে বা কোনটা বেটার হবে?


সিএসই নাকি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি আইটি, যে সাবজেক্ট এ পড়েন না কেন, ৭০% কোর্স একই হবে। মানে এই তিন সাবজেক্ট এর অনার্স কোর্স এর ৭০ ভাগ একই রকম। বাকী ৩০ ভাগ এ সামান্য পার্থক্য আছে। তবে, এই সাবজেক্ট গুলোর যে কোন সাবজেক্ট থেকে পাশ করার পর অন্য সাবজেক্ট গুলোতে সুইচ করতে পারবেন।

সিএসই নাকি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি আইটি, কনফিউজড শেষ এখানেই – গালিব নোটস

টেক ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে স্কিল বেইজড ইন্ডাস্ট্রি। এখানে যদি আপনার স্কিলস থাকে, তাহলে কোন সাবজেক্ট এ পড়াশুনা করেছেন সেটা কোন ব্যাপার নয়। এমনকি আপনি অন্য কোন নন-টেকনিক্যাল সাবজেক্ট এ পড়েও সিএসই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতে পারবেন।

সাবজেক্ট স্পেসিফিক ডিসকাশনঃ

সিএসই সাবজেক্ট অনার্স এ নেটওয়ার্কিং, হার্ডওয়ার এর মত কোর্স গুলো পড়ানো হয়। অভার অল সাওব সেক্টরে টাচ করা হয়। অন্তত একটা কোর্স রাখা হয়। যেমন, হার্ডওয়ার এ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ১-২টি কোর্স পড়ানো হয়। বেশীর ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে থিউরি অফ কম্পিউটেশন এর কোর্স মাত্র ১টি।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড বেশ কিছু কোর্স পড়ানো হয়। যে গুলা সরাসরি কোম্পানির কাজে ব্যাবহার করা হয়। অন্যদিকে আইটিতে ম্যানেজমেন্ট রিলেটেড কোর্স গুলোর গুরুত্ব বেশি থাকে।


সব গুলো সাবজেক্ট এ প্রজেক্ট সফটওয়্যার বেইজড হবে। আর কমন সাবজেক্ট গুলো তো পড়া লাগবে আগেই বলেছি।

যদি প্ল্যান থাকে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাবেন, তাহলে সিএসই তে পড়া আপনার উপযোগী হবে। একই সাথে যদি রিসার্চার হতে চান, বা একাডেমিক লাইন এ থাকতে চান, তাহলে সিএসই উপযোগী।

সিপিএ মার্কেটিং নামে যেভাবে প্রতারনা হচ্ছে! ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো?

এর কারন হচ্ছে, সিএসই তে সব ক্যাটাগরির বেইজড সাবজেক্ট গুলো টাচ করা হয়। একজন রিসার্চার হওয়ার জন্য অনেক গুলো রাস্তা খোলা থাকে। সেই সাথে বেইজ সাবজেক্ট দখলে থাকা একজন রিসার্চার হওয়ার জন্য গুরুত্বপুর্ন। এব্রড এ, বিশেষ করে নর্থ আমেরিকাতে গ্রাজুয়েট ভর্তির সময়, আন্ডার গ্রেড ই কি কি কোর্স করেছেন সেটার গুরুত্ব দেয়া হয়।

যদি প্ল্যান থাকে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হবেন বা পাশ করেই চাকরি শুরু করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য ভালো হবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া-লেখা করা। কারন এই সাবজেক্ট এ আপনাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হবে। পড়া শেষ করতে করতে চাকরির জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন অনেকটা ই।

যেহেতু, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোর্স প্রডাক্টিভ কাজের মত করে ডিজাইন করা হয়, তাই সব ঠিক ঠাক থাকলে পড়া শেষ করে চাকরি তে জয়েন করা সহজ হবে।


যদি কোর-সিএসই লাইনে না থেকে সিএসই এর সাব-ক্যাটাগরিতে চাকরি করতে চান, যেমন ব্যাংক-মাল্টিলেভেল কোম্পানিতে জব করা, ফার্মেসি বা এ জাতীয় কোম্পানির আইটি অফিসার। তাহলে আইটিতে আপনার পড়া টা সব থেকে ভালো হবে। এর বাইরে আইটি পড়ে সরকারি চাকরি, আইটি টিচার হওয়া যেতে পারে।

আইটিতে পড়া মুলত সেফটি। এখানে সুযোগ বেশি আর প্রতিযোগিতা কম। একই সাথে, সিএসই এর মত প্রস্টিজিয়াস প্রফেশনে কাজ করা গেল। এক ঢিলে ৩পাখি মারার মত অবস্থা।

কম্পিউটার সাইন্স এর ৩ ধরনের শিক্ষার্থীর জন্য ৪টি পরামর্শ

যে সব শিক্ষার্থীরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবেন, তাদের উচিৎ হবে যে সাবজেক্ট এ চান্স পাবেন সেখানেই ভর্তি হওয়া। কারন, সিলেবাস ৭০ ভাগ একই রকম। তাই চাইলে সুইচ করতে পারবেন। আর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনিতিক চাপ না থাআকায়, রিল্যাক্স এ একটা লম্বা সময় নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করা যায়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রে চিন্তা করে দেখুন। কোনটা ভালো লাগবে, কি করতে চান, কত টাকা লাগবে সেগুলা থেকে সিদ্ধান্ত নিন। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মনে রাখবেন, কঠিন একটি লড়াই শুরু করতে যাচ্ছেন। নতুন যারা সিএসই ফিল্ড এ আসতে চাচ্ছেন, তাদের সবাই কে গালিব নোটস এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন।

0Shares
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি মওকুফ করা উচিৎ?, galib notes Previous post করোনা মহামারিঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি মওকুফ করা উচিৎ?
ইন্টার্নশিপ এর শুরুতে আমরা যে ভুলটি করে থাকি, galib notes Next post ইন্টার্নশিপ এর শুরুতে আমরা যে ভুলটি করে থাকি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ