কলেজে ভর্তি এর সময় শিক্ষার্থীরা তো বটেই, অভিবাবক রাও চিন্তায় থাকেন। কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারনে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন ধংশ হয়ে যায়। অথচ সামান্য কিছু টেকনিক ব্যাবহার করে কলেজ সিলেক্ট করলে, অনেক সহজে ভালো যায়গা ভর্তি হওয়া যায়। চলেন দেখে নেই সেগুলা স্টেপ বাই স্টেপ-

https://youtu.be/zLMmNibqTYs
কলেজে ভর্তীর সময় সতর্ক থাকা উচিৎ কারন কলেজ হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপ – গালিব নোটস

সবার শুরুতে, ঢাকার নটর ডেম কলেজ(ছেলে) এবং হলিক্রস কলেজ(মেয়ে) এ ভর্তির চেষ্টা করা উচিৎ। খ্রিস্টান মিশনারি দিয়ে পরিচালিত কলেজ দুটি বাংলাদেশের সেরা কলেজ সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। এই কলেজ দুটির সুনাম বাংলাদেশ ছাড়াও বাইরের বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। আমি নিজেও নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী।

এখানে শুধু লেখা পড়া না, অন্য সুযোগ সুভিদাও অনেক বেশী। ক্লাব, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ক, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সেমিনার, দিবস উৎযাপনে তাদের কোন জুড়ি নেই। আর যারা এইচএসসি শেষ করে দেশের বাইরে যেতে চান, তাদের জন্য এই দুই কলেজ বেস্ট চয়েজ কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়াই।


যদি কোন কারনে, এই কলেজ এ চান্স না হয়, তখন ঢাকার সরকারী কলেজ গুলোতে ভর্তির চেষ্টা করা উচিৎ। কারন ঢাকার সরকারী কলেজের শিক্ষকরা সব বিসিএস ক্যাডার এবং হাইলি কোয়ালিফাইড। তাদের থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।

এর বাইরে, ক্লাব এবং অন্য এক্টিভিটিতে এ সব কলেজ কোন অংশে পিছিয়ে নেই। লম্বা লম্বা ছুটি থাকে তাইও চাইলে একেবারে বেসিক অনেক পড়া কাভার করা যায়। আর পড়ার চাপ কিছুটা কম থাকায় লাইফ একেবারে হেল হয়ে আয় নাহ।

৪ ধাপে ইংরেজীতে কথা বলুন গেরান্টি সহকারে!

নাও, যদি এ সব কলেজে ভর্তি না হতে পারেন, তখন বিভাগীয় সরকারী কলেজের দিকে নজর দিন। এবং তার পর দেখুন জেলা সদর এর সরকারী কলেজ। এই কলেজ গুলার টিচার দের কোয়ালিটি অনেক বেশী। বেশির ভাগ বিসিএস ক্যাডার। আর কলেজ গুলোতে অনেক অনেক ছুটি থাকে তাই পর্যাপ্ত স্টাডি এর সময় পাওয়া যায়।

ফাইনালি, যদি না হয়, তাহলে ঢাকা শহরের বেসরকারী কলেজ গুলোতে নজর দিন। এই কলেজ গুলোতে মারাত্বক স্টাডি প্রেসার থাকে। কলেজ এ আর কিছু হোক না হোক, পরিক্ষা হয় প্রচুর। প্রতিদিন পরিক্ষা থাকে। ঢাকার বাইরের বিভাগীয় শহরে কিছু ভালো প্রতিষ্ঠান আছে তবে সেগুলাতেও এই একই রকম প্রেসার থাকে।

যে ১৪টি কারনে প্রোগ্রামার মেয়ের সাথে ডেট করা উচিৎ!

কলেজে ভর্তীর ক্ষেত্রে, সেই কলেজের স্টুডেন্টরা বিশ্ববিদ্যালয় ভার্তীতে কেমন করছে, এটা বিবেচনা করা উচিৎ। এমনও হতে পারে, কলেজের সামগ্রীক এ প্লাস এর সংখ্যাতে র‍্যাংক এ পিছিয়ে থাকতে পারে কোন কোন কলেজ তবে ভার্সিটি এডমিশনে হয়ত তারা খুব ভালো করে। এ রকম কলেজে ভর্তী হওয়া ভালো।

কলেজে ভর্তীর সময় থাকা খাওয়া খুবই গুরুত্বপুর্ন। অদি কলেজের নিজস্ব ছাত্রাবাস থাকে, তাহলে সেই কলেজ এ ভরতীর গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। আবার যদি কলেজে কোন রিলেটিভ থাকে, তাহলেও সেখানে ভর্তি হওয়া উচিৎ। যদি এমন হয় যে, কোন রিলেটিভ এর বাসায় থাকা যাবে, তাও ভালো।


মেসে থাকতে হলে, চিন্তা ভাবনা করে আসা উচিৎ। কারন, মেসের লাইফে স্বাধীনতা থাকে অনেক। আপনি ইচ্ছা হলে পড়বেন না হলেনাই। এতে কেউ ই কিছু বলবে না। এক্ষেত্রে প্রচুর স্টাডি করে অনেক এগিয়ে যাওয়া আর কিছু না পড়ে গোল্লায় যাওয়া অনেক সহজ।

মেশিন লার্নিং নিয়ে কথা না বলা ফ্রেন্ডদের ইমিডিয়েটলি বদলে ফেলুন!

যাদের ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার প্রবনতা আছে এবং হোম সিকনেস বেশী, তাদের জন্য বাইরের দূরে কলেজে ভর্তি না হওয়াই ভালো। কারন এতে করে সমস্যা অনেক বাড়ে। কলেজ এর লাইফ অনেক ছোট, ২৪ মাসের কোর্স কিন্তু সময় থাকে ১৫-১৬ মাস। এর মধ্য যদি কয়েক মাস চলে যায়, তাহলে রিকভার করা অনেক অনেক কঠিন।

এই সব কলেজে না হলে, দেখা উতিচ বাড়ীর কাছের কলেজ কোনটি। বাড়ি থেকে কলেজে ক্লাস করে অনেক ভালো করা সম্ভব। গ্রামের কলেজ থেকে এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি গুলোতে ভালো করার সুযোগ না থাকলেও, পড়া শোনা করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে যথেষ্ট। নিজের বাসার খাবার, নিজের রুম, গ্রামের পরিচিত পরিবেশ এ স্টাডি করতে কতই না সহজ। এটা যারা শহরে পড়তে যায়, তাররা বুঝতে পারে সহজে। তাই, নিজের বাড়ী থেকে জিদ করে পড়ুন।

সিইও হওয়া যায় কিভাবে জানতে চান? ৩ং কারন জানলে অবাক হবেন!


0Shares
বেসরকারী ভার্সিটিতে ভর্তি Previous post বেসরকারী ভার্সিটিতে ভর্তিঃ ৩টি স্টেপে সাবজেক্ট চয়েজ না করলে, পস্তাতে হবে ভবিশ্বতে!
গার্লফ্রেন্ড এর ফেজবুক আইডি হ্যাক করে দেয়া হয় Next post এখানে গার্লফ্রেন্ড এর ফেজবুক আইডি হ্যাক করে দেয়া হয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ