ইংরেজী ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব আমাদের দেশে বা বিদেশে সব যায়গাতে অনেক গুরুত্বপুর্ন! কিন্তু আমাদের এডুকেশন ব্যাবস্থাতে ইংরেজী লেখা শেখানো হলেও বলা শেখায় না। তাই তো, দীর্ঘ দিন ইংরেজী মাধ্যমে পড়েও অনেকে ইংরেজীতে কথা বলতে পারে না। ৪ ধাপে ইংরেজীতে কথা বলুন গেরান্টি সহকারে এখন থেকেই।

আমাদের মধ্য অনেকে ইংরেজী তে কথা বলতে চায়। অনেকে লম্বা সময় চেষ্টা করেও বলতে পারছেন না। সকলের জন্য ইংরেজী ভাষায় কথা বলার একটি রোড ম্যাপ নিয়ে এসেছি। মাত্র ৪টি স্টেপ ফলো করে, যে কেউ ইংরেজীতে কথা বলুন আজ থেকেই,

১। টার্গেট এড়িয়া সেটঃ

ইংরেজীতে কথা বলার জন্য শুরুতে বুঝতে হবে, কমফোর্ট জোন এর মধ্য থেকে কোনদিনও ইংরেজী বলা সম্ভব নয়। শুরুতে আপনি সব পারবেন না। সবার সাথে কথা বলাও যাবে না। এই যে কমফোর্ট জোন এর বাইরে গিয়ে কথা বলবেন, এটা টার্গেট করতে হবে একবারে শুরুতেই।

সিইও হওয়া যায় কিভাবে জানতে চান? ৩ং কারন জানলে অবাক হবেন!

পারেন বা না পারেন, কেউ পাত্তা দিক বা না দিক, কেউ মকিং করুক বা হাসাহাসি করুক, আপনি যতটুকু ইংরেজী পারেন, সেটা বলে যাবেন। এই টার্গেট স্ট্রং ভাবে সেট করে ফেলুন। যত বেশি স্ট্রং ভাবে টার্গেট করবেন তত সহজে সেই গোলে পৌছাতে পারবেন। ইংরেজীতে কথা বলুন স্ট্রং টার্গেট দিয়ে।

২। টার্গেট পিপল সেটঃ

একে বারে শুরুতে সবার সাথে যেমন ইংরেজীতে কথা বলা সম্ভব নয় আবার এক বারে ফ্লুইয়েন্ট ভাবেও ইংরেজীতে কথা বলা সম্ভব নয়। শুরুতে সবার ই সমস্যা হয়। সেই জন্য, সুরুতে ভাবতে হবে, কার সাথে ইংরেজী কথা বলা শুরু করবেন। একজন বা কয়েকজন টার্গেট করে ফেলুন।

ইংরেজীতে কথা বলতে গ্রামার বা ভোকাবোলারির জাহাজ হতে হয় না, শুধু ইচ্ছা থাকা লাগে – গালিব নোটস

ইউনিভার্সিটির ফ্রেন্ডরা এখানে ভালো টার্গেট হতে পারে। কারন, ভার্সিটির সবাই অন্তত ইংরেজী বুঝে। আর ফ্রেন্ডদের মধ্য অনেকে ইংরেজীতে বলা টা কে এপ্রিশিয়েট করবে। ভালো হয়, কাওকে যদি খুজে পান, যে কিনা নিজেও ইংরেজীতে ফ্লুয়েন্ট কথা বলতে চায়।

৩। প্রস্তুতি নেয়াঃ

ইংরেজীতে কথা বলার জন্য এবার প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে সেটা ভিন্ন ধর্মী প্রস্তুতি!

আমাদের দেশে ইংরেজীর জাহার(এক্সপার্ট) রা যে সব পরামর্শ দেয়, সেগুলা অনেক কঠিন থাকে। যেমন, প্রচুর ভোকাবুলারি শিখতে হবে, গ্রামার মুখস্ত করা লাগবে, ডিকশনারি সাথে নিয়ে ঘুরতে হবে, ইংলিশ মুভি দেখতে হবে, আরও কত কি। এগুলা একজন সাধারন মানুষের পক্ষে মেনে চলা খুব কঠিন। আর ভোকাবুলারি মুখস্ত করার মত বিরক্তিকর কাজ, দুনিয়াতে আর ২য় টি আছে কি না, আমার সন্ধেহ আছে।

যখন আপনি, টার্গেট ব্যাক্তিদের কারও সাথে মিট করতে যাবেন, রাস্তায় বা মিট করার আগে একটু চিন্তা করবেন । কি কি গ্রিটিংস এর কথা বার্তা হতে পারে যাস্ট সেগুলা ইংরেজীতে ট্রান্সলেট করবেন। আমরা কারও সাথে দেখা হলে, নিশ্চই হাই লেভেল এর কোন ইংরেজী বলি না সাধারনত। তাই, ট্রান্সলেট করতে সমস্যা হওয়ার কথা না।

চাকরী ছেড়ে যাওয়া কর্মীরা কি স্টার্টআপ কোম্পানির এনিমি?

যদি, এগুলা ট্রান্সলেট করতে সমস্যা হয়, তাহলে বুঝবেন, ইংরেজীতে আপনার সমস্যা অন্যদের থেকে সামান্য বেশী তাই পরিশ্রমটা বেশী করা লাগবে একটু। বাজার থেকে একটা চটি বই কিনেন, বাংলা টু ইংলিশ ট্রান্সলেট এর। সেখান থেকে, একেবার একমন ট্রান্সলেট গুলো মুখস্ত করে ফেলুন। আর যদি বই না পান, আসে পাশের কাওকে দিয়ে এ রকম ২০-২৫টা বাক্য ট্রান্সলেট করিয়ে মুখুস্ত করে নিন।

টার্গেট ব্যাক্তির সাথে দেখা হলে, ইংরেজী বলা শুরু করুন। যেহেতু ১ নাম্বারে স্ট্রং ভাবে টার্গেট করেছেন তাই বলতে সমস্যা হবে না। শুরুরু দিকে কিছুটা আনইজি লাগতে পারে, কিন্তু আগেই বলেছি, কমফোর্ট জোনের বাইরে যেতে হবে। শুরুতে ইংরেজী বলতে সমস্যা হবে না, এর আরেকটা কারন হচ্ছে, দেখা হওয়ার আগেই তো কথা গুলো ইংরেজীতে ট্রান্সলেট করে নিয়েছেন।


কথা ইংরেজীতে বলতে থাকুন, যতটুকু পারেন। ধরেন, একটা বাক্য সম্পুর্ন পারেন ইংরেজীতে কিন্তু বাকী বাক্য গুলো পারেন না, অসুবিধা নাই। যে বাক্য পারেন, সেটাই ইংরেজীতে বলে ফেলেন। আর যদি, কোন বাক্য ১টা ইংরেজী না জানেন, শুধু সেই ওয়ার্ড বাদে বাকী বাক্য ইংরেজীতে বলুন।

৩ ধরনের মানুষের কোন ভাবেই উচিৎ না, ফ্রিল্যান্সিং চেষ্টা করার!

শুরুর দিকে খুব সমস্যা হবে কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে। আর কয়েকদিন এভাবে ট্রাই করলে নিজের পরিবর্তন নিজেই দেখতে পাবেন। তখন, কনফিডেন্ট নিয়ে সমস্যা হবে না।

৪। চালিয়ে যাওয়াঃ

৩ নং স্টেপ চালিয়ে যেতে হবে, যতদিন না কথায় ফ্লুয়েন্সি আসে। কিন্ত এটা সহজ ব্যাপার নয়। ইংরেজীতে কথা বলা শুরু করলে বেশ কিছু সমস্যা ফেইচ করা লাগবে। যেমন,

  1. একে বারে শুরুতে কথা বলা শুরুর পর পর মনে হতে পারে আপনাকে দিয়ে হবে না। ইংরেজী আপনার জন্য নয়। কিন্তু তাতেও কথা বলা যাবে না। ১নাম্বার স্টেপ এ ফিরে যান।
  2. যাদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলবেন, তাদের মধ্য সবাই সাহায্য নাও করতে পারে। বন্ধুরা হাসাহাসি করতে পারে, কথা বলা বাদ দিয়ে দিতে পারে, মুডি বলতে পারে। আবার ১নাম্বার স্টেপ এ ফিরে যান।
  3. গার্লফ্রেন্ড এর বকাও খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে লুকিয়ে লুকিয়ে বলা লাগবে। ১নাম্বার স্টেপ এ ফিরে যান।

যে ১৪টি কারনে প্রোগ্রামার মেয়ের সাথে ডেট করা উচিৎ!


যদি এভাবে চালিয়ে যান, ২-৩ মাসের মধ্য,  ফ্লুয়েন্ট ইংরেজীতে কথা বলতে পারবেন।  আমাদের ক্যারিয়ার এর সব থেকে গুরুত্ব পুর্ন দুটি বিষয় হচ্ছে ভাইভা এবং প্রেজেন্টেশিন। যদি ফ্লুয়েন্ট ইংরেজী বলতে পারেন, এই দুই যায়গা সহজে পার হয়ে যেতে পারবেন। ইংরেজী বলার সমস্যা হলে আমাদের পেইজ এ যোগাযোগ করতে পারেন।

0Shares
বেকার ফ্রিল্যান্সার Previous post বেকার ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন না তো? নতুন ফ্রিল্যান্সারদের ৯৯ ভাগ বেকার!
আশে-পাশের মানুষ এবং বন্ধুদের মন জয় করতে Next post পরিচিত মানুষ এবং বন্ধুদের মন জয় করতে যে বই পড়তে পারেন!

3 thoughts on “৪ ধাপে ইংরেজীতে কথা বলুন গেরান্টি সহকারে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ