বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এর সময় যেসব বিবেচনা করা উচিৎ

করোনাভাইরাস  এর মহামারী কিন্তু খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি  সহ বিশ্বের অনেকগুলো  মেডিসিন কোম্পানি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা শুরু করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলো কোম্পানির ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে প্রমিসিং রেজাল্ট দিয়েছে।

সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই আমরা এক্সপেক্ট করতে পারি যে খুব দ্রুতই করোনা ভাইরাসের মহামারী শেষ হয়ে যাবে।

তো আজকের ভিডিওতে আমি আপনাদেরকে আলোচনা করব যে করোনাভাইরাস শেষ হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে যারা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবেন তখন আপনার কি কি বিষয়ে মাথায় রাখা উচিত। বিশেষ করে যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হবেন তাদেরকে কী কী বিষয় বিবেচনা করার পরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে। 

করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রথম যে বিষয়টি আপনি বিবেচনা করবেন যে করোনা চলাকালীন সময়ে যে ইউনিভার্সিটি গুলো স্টুডেন্ট দের প্রতি কি পরিমান সাপোর্ট ছিল। করোনা ভাইরাসের মহামারী শুরু হওয়ার পরপরই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিন্তু অনলাইনে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং অনলাইনে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টদের জন্য টিউশন কমিয়ে দিয়েছে, অনেকেই ল্যাপটপ মোবাইল ডিভাইস প্রভাইড করেছে।

অনেকেই সাইকলজিক্যাল কাউন্সেলিং শুরু করেছে। আবার সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষায়িত একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তাদের স্টুডেন্টরা চাইলে তাদের ফ্লেক্সিবল টাইমে ক্লাসগুলো করে ফেলতে পারে।  যখন আপনি করণা শেষ হওয়ার পর ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবেন।

তখন আপনি প্রথম বিষয় বিবেচনা করবেন। যে করোনাভাইরাস চলাকালীন সময় ইউনিভার্সিটিগুলো স্টুডেন্টদের কি পরিমান সাপোর্ট দিয়েছে। আর কি পরিমান সাপোর্ট ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে স্টুডেন্টরা পেয়েছে।  আপনি যদি এক্সিস্টিং স্টুডেন্টদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন খুব সহজেই জানতে পারবেন।

করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে স্টুডেন্টদের ইউনিভার্সিটি তে  ভর্তির ক্ষেত্রে দুই নাম্বার যে বিষয়টি বিবেচনা করবেন সেটি হচ্ছে ইউনিভার্সিটিগুলোর গবেষণা। যে ইউনিভার্সিটিগুলো করোনাভাইরাস তাদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। সেটি হোক বেশি পরিমাণ বা অল্প পরিমাণ সে ইউনিভার্সিটিগুলো কিন্তু করোনাভাইরাস চলে যাওয়ার পর তাদের গবেষণায় আরো বেশি বৃদ্ধি করবে এটাই  স্বাভাবিক।

যদি আপনি অ্যাক্যাডেমিক্যালি স্কলার হতে চান অথবা আপনি রিচার্য করতে চান। সে ক্ষেত্রে কিন্তু রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে যে ইউনিভার্সিটিগুলো করোনাভাইরাস ন্যূনতম গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, সে ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে কিন্তু করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে আপনার রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করা অনেক বেশি সহজ হবে।

আর যারা নর্থ আমেরিকান ইউনিভার্সিটিগুলোতে মাস্টার্স বা পিএইচডি লেভেলের বা অন্য কোনো গবেষণা বেজড  ডিগ্রি নিতে চান, তাদের জন্য আন্ডারগ্রাজুয়েট গবেষণার এক্সপেরিয়েন্স আবশ্যক।

করোনাভাইরাস পরবর্তী কালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে তিন নাম্বার দিয়ে বিষয়টি আপনি বিবেচনা করবেন সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে স্টুডেন্টদের কমিউনিকেশন করোনাকালীন সময়ে। করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে ইউনিভার্সিটিগুলো যখন তাদের কার্যক্রম শুরু করে অনেক ইউনিভার্সিটি ছিল যাদের ক্লিয়ার কাট  গাইডলাইন ছিল স্টুডেন্টদের জন্য, টিচারদের জন্য এবং এক্সাম নিয়ে। যেহেতু এই প্যানডেমিক একেবারেই আনএক্সপেক্টেড ছিল, স্বাভাবিকভাবেই করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই কি থাকতে পারে। তবে যে ইউনিভার্সিটিগুলো এই মিস ম্যানেজমেন্ট গুলি করেছে, অর্থাৎ যে ইউনিভার্সিটিগুলো এই মিস ম্যানেজমেন্ট করেনি সে ইউনিভার্সিটিগুলো করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে অ্যাভয়েড করা উচিত হবে।

একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন যে ইউনিভার্সিটিগুলো মিস ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, যারা ইমপ্রুভ করছে না। ইনিভার্সিটি গুলো কিন্তু করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে এই মিস ম্যানেজমেন্ট ক্যারি করবে। যেটি আপনার আন্ডারগ্রাজুয়েট  লাইফের এক্সপেরিয়েন্স ধ্বংস করে দেয়ার জন্য এবং আন্ডারগ্রাজুয়েট লাইফের ব্লেন্ড করে দেয়ার জন্য  অনেকটাই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে যদি আপনি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হন তবে অবশ্যই এটি খেয়াল রাখবেন যে করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে ইউনিভার্সিটিগুলো ম্যানেজমেন্টের কি কন্ডিশন ছিল।

স্টুডেন্টের সাথে কমিউনিকেশনের কি সম্পর্ক ছিল।

শুধু করোনাভাইরাস পরবর্তী সময় নয়, যেকোনো সময় ইউনিভার্সিটি তে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনি একটি ব্যাপার অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন যে সেই ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন। যদি আপনার ফিউচার ইউনিভার্সিটির ইনোভেটিভ না হয় তাহলে আপনি যে আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলে পড়াশোনা করবেন সেটার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। যেহেতু আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলে পড়াশোনা করার ডিগ্রিটা স্পেশালাইজড, আমরা কোন একটা স্পেসিফিক বিষয়ে  স্পেশালাইজড ডিগ্রী অর্জন করি। 

স্পেশালি আমরা স্কিলস অর্জন করি সে ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিগুলো ইনোভেটিভ না হয়  সে ক্ষেত্রে আপনার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাই শুধু  করোনাভাইরাস পরবর্তী সময় নাই যে কোন সময়ে  যদি আপনি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হন তাহলে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার ইউনিভার্সিটির ইনোভেশনের কন্ডিশন কেমন রয়েছে।

আর ইনোভেশন সহ যেকোনো ইনফরমেশনের জন্য সেই ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের, রানিং স্টুডেন্টদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে খুব সহজেই ইনফরমেশন গুলো পাবেন।

আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে আমরা কিন্তু আপনাদের সঙ্গে সবসময় রয়েছি। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে যে কোন ইনফরমেশনের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ অথবা ইমেইল এড্রেসে যোগাযোগ করতে পারেন।

দেখা হবে পরবর্তী কোন ভিডিওতে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। এই প্রত্যাশায় বিদায় নিচ্ছি। 

0Shares
অনলাইন Previous post বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস
Next post সিএসই পড়তে কি কম্পিউটার লাগে এবং ম্যাথ কেমন লাগে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ