চাকরি পাই না সমস্যা কোথায়? এমন প্রশ্ন আমার মাথায় সবসময় এসেছে যখন আমি ফ্রেশার হিসেবে চাকরি পাই নি।
অনেক সময় দেখা যায় গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরেও অনেক ছাত্রছাত্রী ভালো কোন জব এর ল্যান্ডিং করতে পারে না।
অনেকেই জব নিয়ে হতাশায় ভোগে থাকেন।
এই অবস্থা হয় বিশেষ করে যখন গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর ফ্রেন্ড সার্কেল থেকে অনেকে ভালো জবে ঢুকে যায় অথচ যারা আছে দু-একজন কোন চাকরি পায় না এরকম অবস্থা।
ডেইলি স্টার একটি তথ্য মতে আমাদের দেশের ৪৭ শতাংশ হচ্ছে বেকার
তার সোজা অর্থ হচ্ছে প্রতি ১০০ জন গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করা স্টুডেন্ট এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ জন ই বেকার থাকে।
এখন এই যে আপনার বন্ধুরা চাকরিতে ঢুকে যাচ্ছে। তার অফিসে যেয়ে চেকিং দিচ্ছে অথবা অফিস পার্টির ছবি ফেসবুকে দিচ্ছে অথচ আপনি চাকরি পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত
চাকরি পাচ্ছেন না আসলে সমস্যাটা কি?
ক্যারিয়ার পোর্টালে এবং আমার ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করার মাধ্যমে অনেক ছেলে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং এই সমস্যাটি আমি খুঁজে বের করেছি।
একটিমাত্র সমস্যার কারণে আপনার বন্ধুরা যখন চাকরিতে ঢুকে যাচ্ছে আপনি সেই চাকরিতে ঢুকতে পারছেন না
অথবা আপনি কোন একটি চাকরিতে ভালোমতো যেতে পারছেন না।
আজকের ব্লগে আমরা এই সমস্যাটি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলব। একইসাথে এই সলিউশন এর ব্যাপারে আপনার কি করা উচিত এ ব্যাপারে কথা বলব।
আপনি যদি ফ্রেশ গ্রাজুয়েট অথবা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি জয়েন করতে পারেন ইন্টার্নশিপ এন্ড জবস ইন বাংলাদেশ ফেসবুক গ্রুপে এই ফেসবুক গ্রুপে আপনি পাবেন লেটেস্ট সব চাকরির বিজ্ঞাপন।
একই সাথে ক্যারিয়ার সম্পর্কিত অনেক অনেক অনেক রিসোর্স একদম ফ্রিতে।
ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না
যখন আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলের অনেকেই চাকরি জীবন শুরু করে দিয়ে আপনি কেন এখন পর্যন্ত বেকার রয়েছেন?
সে জন্য একটিমাত্র সমস্যা রয়েছে সেই সমস্যার নিয়ে কথা বলার আগে আমি আপনাদের জন্য কিছু সামনে নিয়ে আসি যাতে করে এটা এক্সপ্লাইন করা সহজ হয়।
সিভি পরিপূর্ণ না করাঃ
ক্যারিয়ার পোর্টাল পেজে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন।
চাকরির জন্য অনেকে বলে থাকেন যে ইন্টার্নশিপের জন্য আমি অনেকদিন চেষ্টা করছি কিন্তু কোন জায়গা থেকে কল পাচ্ছিনা।
তখন আমি বলি যে আপনি আপনার ছবিটা আমাকে পাঠিয়ে দেন আমি আপনার সিভিটি দেখি যে আপনার জন্য কি করা যায়।
সিভি চাওয়ার পরে অনেকেই রেষারেষি শুরু করেন।
অনেকে বলে থাকেন যে কালকে অথবা পরশু সিভি দিলে হবে কিনা অন্য কোন সময়ে সিভি দেয়া যাবে কিনা।
এখনের সোজা অর্থ হচ্ছে ওই ক্যান্ডিডেটের কাছে সিভি রেডি নয় ।
বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!
নিজের জন্য পোর্টফোলিও তৈরি না করাঃ
অনেকের সময়ে চাকরি নিয়ে কথা বলার সময় আমি অনেক সময় সাজেস্ট করে থাকি আপনি এটলিস্ট একটা প্রজেক্ট সম্পন্ন করেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ।
অথবা এটলিস্ট একটা পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করুন,এটলিস্ট একটা পোর্টফলিও কনটেন্ট লিখুন। তারপরে আপনি আপনার সিভিটি আপগ্রেড করে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।
যখন আমি তাদেরকে সাজেস্ট করি যে আপনি একটা প্রজেক্ট সম্পন্ন করার পরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তখন কিন্তু তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
বেশিরভাগ সময় আমি নিজে তাদেরকে জন্য যোগাযোগ করে থাকি যে ভাই আপনাদেরকে যে প্রজেক্টে দিয়েছিলাম সেটি কি সম্পন্ন করেছে?
আপনাকে যে কনটেন্টই দিয়েছে সেটি কি সম্পন্ন করেছেন? তখন তারা আরও নানান এক্সকিউজ দেখায়।
এটার সহজ অর্থ হচ্ছে একটা সফটওয়্যার প্রজেক্ট তৈরি করতে অথবা একটা আর্টিকেল লিখতে যে কষ্ট করতে হয় বা পরিশ্রম করতে হয় সেই পরিশ্রম করতেও সে রাজি নয়।
ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি?
পরিশ্রম করতে না চাওয়ার মানসিকতাঃ
এবারে চলুন সেই সমস্যা নিয়ে কথা বলি যে সমস্যার কারণে আপনার ফ্রেন্ডরা চাকরিতে ঢুকে গেলেও আপনি চাকরি শুরু করতে পারছেন না।
সমস্যাটি একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা। এই সমস্যাটি হচ্ছে আপনার এই যে পরিশ্রম করতে না চাওয়ার মানসিকতা।
এখন যে অলসতা আপনাকে চাকরি থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। কিভাবে আপনাকে বেকার হিসেবে দিনের পর দিন বসিয়ে রাখছে,সেটি ব্যাখ্যা করি।
ফ্রেশারদের জন্য কিন্তু মিনিমাম সব অফিসেই একটা রিকোয়ারমেন্ট থাকে।
আপনি আজ যদি ওই মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য জব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে
ইউনিভার্সিটি লাইফে নিজের জন্য কিছু না করাঃ
এখন আপনার বন্ধুটি যখন ইউনিভার্সিটি লাইফে প্রজেক্ট করছে সে কিন্তু ইনডাইরেক্টলি হয় ডিরেক্টলি আপনার থেকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবার আপনার কোন ফ্রেন্ড যখন ইউনিভার্সিটি লাইফে এডিটিং করছে অথবা আর্টিকেল লিখছে,কনটেন্ট লিখছে সেও কিন্তু আপনার থেকে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই দেখবেন সে কিন্তু গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরে জবে ঢুকে যাচ্ছে।
এবারে আপনার কথা বলি আপনি বেকার রয়েছেন কারণ আপনি ইউনিভার্সিটি লাইফে কোন কিছু করেননি।
ইউনিভার্সিটি লাইফে কোন কিছু করেননি আবার ইউনিভার্সিটি থেকে বের হওয়ার পরেও আপনার যে মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট ফিলাপ করতে হয়,এই যে পরিশ্রম শুরু করতে হবে এটিও আপনি করতে রাজি নয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?
এখন আপনি আমাকে বলুন আপনি যদি একটা মাত্র সফটওয়্যার প্রজেক্ট করতে না পারেন তাহলে একটা কোম্পানিতে গিয়ে দিনের পর দিন কিভাবে বড় প্রজেক্টে কাজ করবেন।
আর আপনি যে কাজটি করতে পারবেন এই আত্মবিশ্বাস টুকু কোন কোম্পানি কেনো রাখবে আপনার উপর,যখন আপনার সিভি তে একটা প্রজেক্ট ও সম্পন্ন করা নেই।
এরকম একটি অবস্থায় কোম্পানি কেন আপনাকে টেকনিকেল কনটেন্ট রাইটার হিসেবে হায়ার করবে যখন আপনি আপনার ক্যারিয়ারে একটিমাত্র আর্টিকেল লিখেন নি?
এবারে সমস্যা তো বুঝতে পারলেন যে আপনি এই যে চাকরি পাচ্ছেন না এজন্য কিন্তু আপনার অলসতা দায়ী।
আপনি যে অলসতা করেছেন এর জন্য আপনি দিনের পর দিন বেকার রয়েছেন।
যদি এরকম হয় যে আপনি কোম্পানি থেকে চাকরি পাচ্ছেন না,ইন্টারভিউর জন্য কল পাচ্ছেন না,ইন্টার্নশিপের জন্য প্রেফারেবল হচ্ছেন না। তাহলে শুরুতে বুঝতে হবে সমস্যাটি আপনার আপনার অলসতার মধ্যে।
রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?
ইন্টার্ভিউ কল না পেলে কি করবেনঃ
এবার আসি সলিউশন নিয়ে যদি আপনি ইন্টারভিউ কল না পান তখন কি করবে।
মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করুনঃ
প্রথম কথা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রীতে চাকরী করার জন্য আপনার মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করতে হবে।
মিনিমাম স্কিলস থেকে দেখাতে হবে। এই স্কিলস ফুল কিল করার জন্য আপনার পোর্টফোলিও দরকার হবে ।
তাই যদি আপনি অনেকদিন চেষ্টা করেও ইন্টারভিউ কল না পান। চাকরিতে ল্যান্ড করতে না পারেন তাহলে সবার প্রথমে আপনার কাজ হবে রিলেটেড স্কিলস ডেভেলপমেন্ট করা।
আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!
পোর্টফলিও তৈরি করাঃ
পাশাপাশি স্কিলস এর পাশাপাশি পোর্টফলিও ডেভলপ করা।
যখন আপনার রিলেটেড স্কিলস এবং পোর্টফলিও রেডি হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার সিভি আপগ্রেড করুন এবং কাউকে দিয়ে রিভিউ করিয়ে নিন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?
কমিউনিকেশন এবিলিটি তৈরি করাঃ
একইসাথে আপনার একটি কাজ করতে হবে সেটি হচ্ছে কমিউনিকেশন এবিলিটি বাড়াতে হবে।
কমিউনিটি আবিলিটি মানে কিন্তু এই না যে আপনি সবার সঙ্গে অনেক বেশি কথা বললেন।
কমিউনিকেশন ব্যাপারে আপনি বিস্তারিত গুগলে সার্চ করলে ইউটিউবে সার্চ করলে আপনি পেয়ে যাবেন। এখান থেকে দেখে শিখে ফেলুন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?
অলসতা থেকে বের হয়ে আসুনঃ
যদি আপনি আপনার অলসতা থেকে বের হয়ে মিনিমাম কাজটুকু করতে পারেন তাহলে আপনিও আপনার ফ্রেন্ডের মত চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন আশা করি।
ওই সময় আপনি আপনার বন্ধুদের মত নিজেকে চাকরিজীবী হিসাবে বিবেচনা করতে পারবেন।
চাকরি পাই না কেন সমস্যা কোথায় নিয়ে এই ছিল আজকের বিস্তারিত ব্লগ,দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে।
এর বাইরে যদি আপনাদের সমস্যা থেকে থাকে এবং কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।