রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে সেটা নিয়ে আমি আজকে ব্যাক্তিগতভাবে আপনাদের সাথে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।
আজকে আমরা কথা বলবো যে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি আপনি কিভাবে পেতে পারেন নন ট্র্যাডিশনাল ওয়ে তে।
যেহেতু এখন জব মার্কেট অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক সেখানে অনেক বেশি কোয়ালিফাইড এমপ্লোয়ার রয়েছে স্টাবলিশ কোম্পানিগুলো। যেহেতু অনেক বেশি এমপ্লোয়ার পাচ্ছে।
তাই আপনাকে ট্রেডিশনাল এর পাশাপাশি নন ট্র্যাডিশনালি ওয়েতে অথবা সেলস অ্যান্ড ইনভেনটরি তেও চেষ্টা করতে হবে।
আপনি যদি জব পোর্টাল এ সার্চ করেন,আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ করেন অথবা কোনো সিনিয়র কাউকে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে,
আপনি সবগুলোর ট্রেডিশনাল ওয়ে বলবে যে কিভাবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব পেতে হবে।
এমনকি আমার ইউটিউব চ্যানেলে অনেক ভিডিও রয়েছে যেখান থেকে আপনি পেয়ে যাবেন।
যেখানে আমি কথা বলেছি যে ট্রেডিশনাল ওয়েতে কিভাবে আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব পাবেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?
আজকের ব্লগে আমরা সেল্ফ ইনভেন্টেড বা নন ট্র্যাডিশনালি ওয়ে নিয়ে কথা বলবো
তার আগে বলে নেইঃ
আপনি যদি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব খুঁজে থাকেন অথবা ইন্টার্নশিপ পজিশনের জন্য খুঁজতে থাকেন তাহলে আপনি ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের কোম্পানির জন্য আমার কাছে কর্মী করার চেয়ে থাকে।
এই ব্লগটি যখন আমি তৈরি করছি তখন আমার কাছে অনেক এমপ্লোয়ার চেয়েছে অনেকগুলো অপেন পজিশন রয়েছে।
আবার আপনি যখন ভবিষ্যতে ৬ থেকে ৭ বছর পর যখনই ব্লগ টি পরবেন আশা করি তখনও আমার কাছে অনেকগুলো অপেন পজিশন থাকবে।
তাই যদি আপনার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা সফটওয়্যার কোম্পানিতে যে পজিশনে রয়েছে এই ধরনের কোন চাকরি দরকার হয় তাহলে অবশ্যই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন
এখান অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক দেয়া থাকবে।
নন ট্র্যাডিশনালি অপশন আপনাদেরকে দেখিয়ে দিবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব অথবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টার্নশিপ পেয়ে যেতে পারেন।
যদি আপনি এই মুহূর্তে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব খুজতে থাকে অথবা আপনার পরিচিত কেউ খুজতে থাকে তাহলে ব্লগ টি দিয়ে আপনার জন্য উপকার হবে।
এর বাইরে যদি আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চান ভবিষ্যতে অথবা আপনি যদি রানিং কম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট হন সেই ক্ষেত্রে আপনার এই ব্লগটির বিস্তারিত পড়া উচিত।
আপনি বুঝতে পারবেন যে ভবিষ্যতে ইন্ডাস্ট্রির জন্য আপনাকে কিভাবে প্রিপারেশন নিতে হবে। স্পেশালি জবের জন্য প্রিপারেশন নিতে হবে।
আর যেহেতু এই ব্লগে আমি আজকে নন ট্র্যাডিশনালি বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবো সেগুলো আপনি গুগল সার্চ করো অথবা অন্যান্য সিনিয়রদের কাছ থেকে জানতে পারবেন না।
কম খরচে কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে চান?
ইন্টার্নাল রেফারেন্স খুজুনঃ
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জব পাওয়ার জন্য প্রথম যেটি নিয়ে কথা বলব সেটি হচ্ছে ইন্টার্নাল রেফারেন্স।
আমাদের দেশের রেফারেন্স বলতে সাধারণত যদি বুঝিয়ে থাকে সেটি হচ্ছে মামা-চাচা দাদা আমাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানিতে রেফার করে থাকে।
সেখানে আমরা অযোগ্য হওয়া সত্তেও যোগ্য একটি কর্মীর যে পজিশনে রয়েছে সেটি আমরা ভাগিয়ে নেই।
কিন্তু সফটওয়্যার কোম্পানিতে কিন্তু ইন্টার্নাল রেফারেন্স আলাদা একটি বিষয়।
এখানে যদি আপনার যোগ্যতা থাকে,যদি আপনি ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্যাপাবল হন এবং যদি ইন্টার্নাল কোন এমপ্লোয়ার আপনাকে রেফার করে।
তাহলে ওই ইন্টার্নাল এমপ্লোয়ার এর যেমন লাভ রয়েছে আর আপনি যে চাকরি পাচ্ছেন আপনারো লাভ হচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা বেসরকারি ইউনিভার্সিটি
কিভাবে কানেক্ট করবেন ইন্টার্নাল রেফারেন্সঃ
এখন এটি আপনি কিভাবে কানেক্ট করবেন।
আপনি এই ব্লগের মাধ্যমে জানলেন যে ইন্টার্নাল রেফারেন্স রয়েছে যেটির মাধ্যমে কর্মীরা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে থাকে।
প্রথমত আপনার টার্গেট যেই কোম্পানি গুলো রয়েছে এখানকার এক্সিস্টিং অথবা রানিং এমপ্লোয়ার দের খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
এখন কিন্তু কোম্পানি রানিং প্লেয়ারদের কে খুঁজে বের করা খুব সহজ হয়েছে। আপনি চাইলে তাদের ওয়েবসাইট এর ক্যারিয়ার পেজ থেকে তাদের প্রোফাইল খুঁজে বের করতে পারেন।
অথবা লিঙ্কডইনের কোম্পানির কাছ থেকে ওই কোম্পানির এমপ্লোয়ার দেখে সহজেই খুঁজে বের করতে পারেন।
যখন আপনি কোম্পানির এমপ্লোয়ার দেরকে খুঁজে বের করবেন তখন আপনি তাদের সাথে কানেক্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন।
কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে ম্যাথ,ইংরেজি নিয়ে চিন্তিত!
ইন্টার্নাল এমপ্লোয়ার দের সাথে যেভাবে কথা বলবেনঃ
কানেক্ট হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি রিকোয়েস্ট দিতে পারেন অথবা অথবা আপনি খুবই সহজ করে একটা ব্রিফ লিখে তাদেরকে ম্যাসেজ করতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে আপনার কানেক্ট হওয়ার সুযোগ বেশি আসবে বলে মনে করি।
কানেক্ট হওয়ার সাথে সাথে সরাসরি বলবেন না ভাই আপনি আমাকে রেফার করে দেন অথবা আপনি আমাকে একটা রেফারেন্স দেন
বরং এই সময় আপনার বিহাব হতে হবে খুবই ভদ্র এবং স্মার্ট। এই ক্ষেত্রে আপনি যেটা করতে পারেন যখন আপনি কানেক্ট হয়ে যাবেন কারো সঙ্গে, তাকে আপনি আপনার সিভি টা দেখান।
আপনার ওয়ার্ক এর ব্যাপারে এক্সপ্লেইন করুন,তারপর আপনি তাকে জিজ্ঞাসা করুন সে আপনাকে রেফার করতে আগ্রহী হয় কিনা।
যদি আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড খুব ভালো হয় সে ক্ষেত্রে বেশিরভাগ এমপ্লোয়ার কিন্তু আপনাকে তাদের কোম্পানিতে রেফারেন্স করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে।
অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে!
ইন্টারনাল এমপ্লোয়াররা যদি রেফার করে তাইলে আপনার লাভ কিঃ
এমপ্লোয়ার রা যদি আপনাকে কোম্পানিতে রেফারেন্স দেয় আপনি আরও একটা বেনিফিট পাবেন।
এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠিত সফটওয়্যার কোম্পানিতে কিন্তু অনেক সার্কুলার এর জন্য অনেকগুলো এপ্লিকেশন জমা হয়।
একটা ওপেন পজিশনের জন্য ১০০০-২০০০ অ্যাপ্লিকেশন জমা হয়ে থাকে। তাই নরমাল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ইন্টারভিউ কল পাওয়া কিন্তু অনেকটাই কঠিন।
তার চেয়ে যদি কোন কোম্পানীর ইন্টার্নাল এমপ্লোয়ার আপনাকে রেফার করে দেয় তাহলে কিন্তু আপনি ইন্টারভিউ কলের জন্য বেশি সুযোগ পাবেন।
আর যদি আপনি ইন্টারভিউ তে ভালো পারেন তাহলে তাকে অবশ্যই চাকরি পেয়ে যাবেন।
তাই এটি একটি নন ট্র্যাডিশনালি ওয়ে এর মাধ্যমে আপনি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন।
শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?
কোম্পানির ক্যারিয়ার পেজ ব্যাবহার করুনঃ
দুই নাম্বারে যেই অ্যাপ্রচ নিয়ে কথা বলব এটি পুরোপুরি কোন অ্যাপ্রচ নয় এটি একটি এক্সটেন্ডেড অ্যাপ্রচ।
আমরা নরমালি যখন কোন সফটওয়্যার কোম্পানিতে এপ্লাই করে থাকি বা যখন আমাদের জব দরকার হয় তখন আমরা বিভিন্ন জব সাইটে যাই।
এবং তার পরে কি করি? সেখান থেকে গণহারে এপ্লাই শুরু করি।
বা আমরা বিভিন্ন কোম্পানিতে গ্রুপগুলোতে যাই এখান থেকে আমরা জব নিউজ কালেক্ট করি এবং গণহারে এপ্লাই শুরু করি।
এটি করার থেকে আপনি যদি ওই কোম্পানির ক্যারিয়ার পেজ থেকে এপ্লাই করেন একটু সময় আপনার বেশি লাগবে।
কিন্তু জব অ্যাপ্লিকেশন এবং কল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
কম্পিউটার সায়েন্স এ ভার্সিটি ম্যাটার করে?
ক্যারিয়ার পেজ কেনো ব্যাবহার করবেনঃ
এর কারণ হচ্ছে বেশিরভাগ এস্টাবলিশ কোম্পানিগুলো তাদের ইন্টার্নাল এইচআর এর মাধ্যমে হায়ার করে থাকেন। তারা কিন্তু অন্যান্য প্লাটফর্মের উপর খুব একটা নির্ভর করে না।
এক্ষেত্রে আপনি যখন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট গুলো দেখে এপ্লাই করছেন বা আপনি কোন অন্য কোন প্লাটফর্ম থেকে এপ্লাই করছেন সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
যদি আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পজিশন এর জন্য দ্রুত ফল পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি ওই কোম্পানির ক্যারিয়ার পেজে গিয়ে তারপরে এপ্লাই করার চেষ্টা করুন।
আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!
ইন্টার্নশিপের জন্য এপ্লাই করুনঃ
যদি আপনি কোন একটা কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতে চান,
কিন্তু আপনার যদি মনে হয় আরেকটু সময় দরকার বা আপনি কয়েকবার এপ্লাই করার পরেও যদি কল না পান তাহলে আপনি ওই কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
তো ইন্টার্নশিপের জন্য সাধারণত যে সমস্যাটি হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে বেশিরভাগ কোম্পানির সরাসরি ইন্টার্নশিপের জন্য সার্কুলার দেয় না।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?
ইন্টার্নশিপের জন্য কিভাবে এপ্লাই করবেনঃ
সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি কোন কোম্পানীর জন্য মনস্থির করে থাকেন অথবা ফেভারিট কোম্পানি থেকে থাকে তাহলে ওই কোম্পানির এমপ্লোয়ার দেরকে জিজ্ঞাসা করুন।
এবং পাশাপাশি ইন্টার্নাল রেফারেন্স এর মাধ্যমে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন কোম্পানিতে স্পেশালি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে আপনি যদি ইন্টার্নশিপ হিসেবে জয়েন করেন এবং ভালোমতো পারফরম্যান্স করতে পারেন।
পাশাপাশি তাদেরকে হ্যাপি করতে পারেন। তাহলে ইন্টার্নশিপের পরে আপনার ফুলটাইম জব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যখন আপনি ডিরেক্ট জবে এপ্লাই করে ভালো রেসপন্স পাবেন না সেই ক্ষেত্রে আপনি ইন্টার্নশিপের ও চেষ্টা করতে পারেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভিটি বৃদ্ধি করুনঃ
সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করার একটি সহজ এবং নন ট্র্যাডিশনালি ওয়ে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভিটি।
আপনি কিন্তু আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিটি মাধ্যমে কোম্পানিকে ইমপ্রেস করতে পারেন অথবা তাদেরকে নোটিশ করাতে পারেন।
অনেকেই বলে থাকেন ভাই আমি রেগুলার লিংকডইনে একটিভ থাকি এবং সেখানে আমি প্রচুর পরিমানে পোস্ট দিয়ে থাকে।
তার পরেও কোন রিকুটারের সাথে আমার এখনো যোগাযোগ হয়নি।
রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?
লিংকডইন প্রফাইল সাজানঃ
যদি আপনার সোশ্যাল একটিভিটি অন্য কোন কোম্পানির সাথে না মিলে তাহলে সেই কোম্পানি থেকে অথবা সেই ক্যাটাগরির কোম্পানি থেকে কখনোই আপনি কল পাবেন না।
উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গুলোতে কাজ করতে চান কিন্তু আপনি মেশিনারি রিলেটেড বিভিন্ন রিসোর্স শেয়ার করছেন।
মেশিন লার্নিং রিলেটেড মানুষদের সঙ্গে কানেক্টেড হচ্ছেন না।
এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি কখনোই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গুলো থেকে কল পাবেন না।
তাই আপনি যেই ক্যাটাগরি রিসোর্স দিচ্ছেন ওই ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোতে কি কি কাজ হয়ে থাকে,
কি কি ধরনের প্রজেক্ট হয়ে থাকেকি ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে থাকে সেগুলোই আগে স্টাডি করুন।
রিসার্চ করুন এবং সেই রিলেটেড আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে ঘটাতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি আরেকটি নন ট্র্যাডিশনালি মাধ্যমে চাকরির সুযোগ পেলেও পেতে পারেন।
ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি ?
প্রজেক্ট এক্সটেনশন অথবা প্রজেক্ট কলাবরেশন করুনঃ
সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার আরেকটি নন ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতি হচ্ছে প্রজেক্ট এক্সটেনশন অথবা প্রজেক্ট কলাবরেশন।
ধরুন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি তে প্লাগিন ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে চান এক্ষেত্রে আপনি নিজে একটি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন বানিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরীতে পাবলিস করে দিন।
পাবলিশ করার পর সেই প্লাগিন্টি এক্সটেন্ড করার চেষ্টা করুন কোন কোম্পানির রানিং এম্প্লয়ের দের সাথে।
এমনও হতে পারে কোম্পানি রানিং এমপ্লোয়ার আপনার প্রজেক্ট দেখার পরে আপনাকে রেফার করার মাধ্যমে ওই কোম্পানিতে ইন্টারভিউ কল করতে পারে।
আবার যখন আপনি প্রজেক্ট পাবলিশ করবেন অথবা এক্সটেন্ড করবেন তখন কিন্তু ওই এমপ্লোয়ার এর সাথে আপনার একটি ভালো সুসম্পর্ক তৈরি হবে।
তখন আপনি সহজেই তার সঙ্গে আপনি আপনার চাকরি সম্পর্কিত কথা বলতে পারবেন।
টার্গেটেড কোম্পানিগুলোকে হাইলাইটস করুনঃ
সফটওয়্যার কোম্পানিতে জব পাওয়ার একটি নন ট্র্যাডিশনালি হচ্ছে গিভ সাম থিং।
যেমন ধরে আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পেতে চান অথবা আপনি টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটার হিসেবে চাকরি পেতে চান।
তাহলে আপনি আপনার ব্লগে ওই টার্গেটেড কোম্পানিগুলোকে হাইলাইটস করার চেষ্টা করুন।
হাইলাইট করার পরে ওই ব্লগ গুলো নিয়ে ওই কোম্পানির সাপোর্টে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন অথবা এচ আর এর সাথে যোগাযোগ করুন।
তাহলে দেখবেন ওই কোম্পানির সাথে আপনাকে ভালো সুসম্পর্ক তৈরি হবে।
এবং এভাবে যখন তাদের সাথে আপনার ভাল সম্পর্ক তৈরী হবে তখন আপনি তাদের সঙ্গে চাইলে চাকরির ব্যাপারে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।
এছাড়াও এই যে আপনি ডেভেলপার হওয়ার পরেও টেকনিকেল কনটেন্ট রাইটিং করছেন অথবা টেকনিক্যাল কনটেন্ট রাইটার হওয়ার পরও কোন কোম্পানিতে কাজ না করে তাদেরকে হাইলাইটস করেছেন।
এর মাধ্যমে কিন্তু আপনাকে নিয়ে তাদের মাঝে একটা পজেটিভ হাইফ তৈরি হবে।
এখানে অনেকে বলবেন যে ভাই আমার নিজের কোন ওয়েবসাইট নেই,আমি নিজে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারিনা অথবা আমি নিজে কিছু করতে পারি না
কেনো হাইলাইটস করবেনঃ
দেখুন একটা কোম্পানিতে একটা অপেন পজিশনের জন্য ১০০০ থেকে ২০০০ অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়ে।
এর মধ্যে যদি আপনি ইন্টারভিউ দিতে আসতে চান ইন্টারভিউ কল ও পেতে চান তাহলে আপনি ওই এক হাজার মানুষের মধ্যে ৯০০ মানুষকে পেছনে ফেলে আসতে হবে।
এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার জেনারালাইজ যে স্কিলস রয়েছে সেগুলো এনাফ নয়,আপনাকে বাকি স্কিলস গুলো অর্জন করতে হবে।
কোম্পানিগুলোতে যদি আপনার মাল্টিপল স্কিলস থাকে তাহলে ডেফিনিটলি আপনি অ্যাডভান্টেজ পাবেন।স্পেশালি রিক্রুটমেন্ট এর সময়।
সিনিয়র দের সাথে কানেক্ট হওয়ার চেষ্টা করুনঃ
যদি আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনার জন্য আরেকটি নন ট্র্যাডিশনালি হয়ে হচ্ছে সিনিয়রদের সঙ্গে কানেক্ট হওয়া।
কোন সফটওয়্যার কোম্পানিতে অথবা আপনার টার্গেট কোম্পানিতে যে সিনিয়র কর্মী রয়েছে পার্সোনালি তাদের কাছে অনেকগুলো অপেন পজিশন থাকে।
এই ব্লগের শুরুতে আমি বলেছি যে ইতিমধ্যে আমার কাছে অনেকেই রিকোয়েস্ট করেছেন যে তাদেরকে আমি কিন্তু আপনার রেফার করে দেই।
এরকমভাবে অন্যান্য কোম্পানিতে যারা সিনিয়র কর্মী রয়েছে তাদের কাছে এরকম অনেক অপেন পজিশন থাকে।
হ্যাঁ আপনি যদি কোনভাবে সিনিয়রদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ইন্ডাস্ট্রির কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনার চাকরি পাওয়া সম্ভব।
তবে আপনি যদি এরকম সিনিয়রদের সাথে যোগাযোগ করতে চান অথবা কানেক্ট হতে চান এটি কিন্তু একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এবং অতটাও সহজ সাধ্য বিষয় নয় যথেষ্ট কঠিন। কারণ সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রা একটা সার্কেল মেইনটেইন করে থাকে এবং এর পাশাপাশি তারা কিন্তু প্রচণ্ড ব্যস্ততা থাকে।
এরপরও যদি আপনাদের কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
2 thoughts on “রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে”