আমি আমার লাস্ট জব ছেড়ে দিয়েছি ( left my last job) গত বছর ডিসেম্বর এ। ২০১৯ সালের পুরো সময় আমি সতেজ লাইফ এর চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসাবে কাজ করেছি। যদিও আমি আমার বেশির ভাগ কাজ বাসা থেকে করেছি। তার পরও তাদের কাজটি অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিশেষ করে তাদের মুল প্রডাক্ট, সতেজ লাইফ এর ওয়েব এবং মোবাইল আর্কিটেকচার ডিজাইন খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখন, প্রশ্ন হচ্ছে, জবটি ছেড়ে দিলাম কেন?
জব ছেড়ে দেয়াটা ব্যাক্তিগত ব্যাপার তবে এই জব ছেড়ে দেয়ার যে সব কারন ছিল সেগুলা থেকে, নতুন সিএসই ইঞ্জিনিয়ায়ার দের অনেক কিছু শেখার আছে। তাই, পুরো ব্লগে বর্ননা করছি স্টোরিটি। সতেজ লাইফ এর কাজ অনেক কঠিন হলেও আমি সেটা ইঞ্জয় করেছি এবং শেষ করে আসছি।
২০১৯ সালের শেষ দিকে, যখন তাদের স্টার্ট-আপ একটু একটু করে আগাতে শুরু করল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই, চাকরি ছেড়ে দেয়ার।
আমার আন্ডারগ্রাজুয়েট লাইফ প্রায় শেষ দিকে। একটা মজার ব্যাপার আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যদিও আমার গ্রাজুয়েশন এখনও শেষ হয় নি, এর মধ্যই আমি ফ্রিল্যান্সিং করেছি, লোকাল কোম্পানিতে জব করে ফেলেছি। এর মধ্য, সতেজ লাইফ এ ছিলাম চিফ টেক অফিসার।
এভাবে শুরুতেই, সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হিসাবে কাজ করা টা গর্বের ব্যাপার যেমন, আবার চ্যালেঞ্জিংও ছিল। উল্লেখ্য, আমি আমার আন্ডার গ্রাজুয়েট লাইফ শুরু করার আগেই, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলাম। শুরুতে একা এবং পরে টিম নিয়ে কাজ করেছি। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমার ইউটিউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ ঘুরে আসতে পারেন।
যখন আমার মুল কাজ শেষের দিকে, তখন আমি ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেই। এই সিদ্ধান্ত এর পিছনে অনেক গুলা কারন ছিল। যার মধ্য প্রথম কারন হচ্ছে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
আমার আন্ডার গ্রাজুয়েট লাইফ শেষ হবে, আগামী বছরের দিকে। তাই এখন থেকে জিআরই, টোয়েফেল এর প্রস্তুতি, প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করা, রিকমেন্ডেশন লেটার যারা দিবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা মত কাজ গুলো শুরু করা লাগবে।
জীবনে সফল হওয়ার ১৩ টি সিক্রেট বা কৌশল!
রিসার্চ এর কাজ করতে হবে। এবং সব মিলিয়ে এসব কাজ প্রচুর সময় নিয়ে নিবে। এই কাজ গুলো যাতে আমি সঠিক ভাবে করতে পারি, পারফেক্ট ভাবে করতে পারি এবং আমি আমার লক্ষে পৌছাতে পারি, তাই সতেজ লাইফ এর চাকরি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ( left my last job)।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি লম্বা একটি প্রক্রিয়া এবং প্যারালালি অনেক গুলো কাজ রেগুলার করে যেতে হয়। বিদেশের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আমার সিরিজ ব্লগ পড়তে পারেন এখান থেকে।
২য় কারন হচ্ছে স্কিল ডেভেলপমেন্ট। যেহেতু আমি গ্রাজুয়েট হব সামনের বছর নাগাদ, তাই আমাকে স্কিল্ড পারসন হতে হবে। আমি আমার নিজের অনেক ভিডিওতে বলেছি, প্রায়ভেট ইন্ডাস্ট্রি ইজ অল এবাউট বিজনেস। এখানে যদি আপনার স্কিল থাকে তাহলে ইন, না থাকলে আউট। টেক কোম্পানিতে, স্কিল না থাকলে হায়ার করতে আগ্রহী হয় না।
কম্পিউটার সাইন্স এর ৩ ধরনের শিক্ষার্থীর জন্য ৪টি পরামর্শ
তো, স্কিল ডীভেলপমেন্ট এ ফোকাসড হওয়ার জন্য,আরও একটু ইমপ্রুভ করার জন্য আমি সতেজ লাইফ এর জব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
৩য় কারন হচ্ছে, নিজের বিজনেস এ সময় দেয়া। চাকরি ছেড়ে দেয়ার আরেকটি কারন হচ্ছে, আমার নিজের যে বিসনেস আছে, প্ল্যান আছে, সেগুলাতে সময় দেয়া। আমরা জানি, বিজনেস করার আগে আমাদের বিজনেস বুঝতে হয়। কোথা থেকে শুরু করব, কারা আমাদের কম্পিটিটর, ফান্ড আসবে কিভাবে এসব নিয়ে প্রি-প্ল্যান করতে হয়।
বিসনেস এক্সিকিউট প্ল্যান, মার্কেটিং প্ল্যান করা লাগে। আমাদের মধ্য যারা বোকার রাজ্য বসবাস করেন, কেবল মাত্র তারাই কোন প্রি প্ল্যান ছাড়া, কোন ফান্ডিং ছাড়া বা ইকোনমিক্যাল ব্যাক-আপ ছাড়াই ব্যাবসা শুরু করেন। আমি সে ধরনের বোকামি করতে চাই নি।
যেহেতু আমার চাকরিতে সময় দেয়ার জন্য, নিজের ব্যাবসাতে সময় দিতে পারছিলাম না। তাই সতেজ লাইফ এর চাকরি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই ( left my last job)।
সিপিএ মার্কেটিং নামে যেভাবে প্রতারনা হচ্ছে! ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো?
এখন, আমি যে চাকরি ছেড়ে দিলাম, এটা না ছাড়লেও পারতাম। রিমোট কাজ, ক্যারি করা অসম্ভব ছিল না। কিন্তু যেহেতু আমার নিজের টার্গেট অনেক বড়, তাই ছোট ত্যাগ তো করারি লাগবে। বড় কিছু পাওয়ার জন্য, ছোট কিছু তো ত্যাগ করাই লাগে।
রিয়েল লাইফ এ আমাদের সব সময় লোভ করা উচিৎ নয়। দ্রৃষ্টি দূরে দিন। ভালো কিছুর জন্য লম্বা সময় কাজ করে যেতে হয়। সফলতা একদিনে হেসে খেলে আসে না। যারা সাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য, সিএসই পড়েও অন্য কাটাগরিতে কাজ করেন, তাদের জন্য এটা একটা উদাহরণ।
Valo Bolso vaya
Thank You Christian for your feedback. I encourage you to read my other blog and don’t forget to share the post with your friends.