ইউনিভার্সিটিতে পড়া কি খুব জরুরী? এ প্রশ্নটা আমাদের কাছে অনেকটা হাস্যকর মনে হতে পারে।

তবে আজকের ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো যে আমাদের চাকরী জীবনে ইউনিভার্সিটি কতোটা ম্যাটার করে।

আজকের ব্লগে আমরা একটি অত্যন্ত সেনসিটিভ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলবো।

একটা ইউনিভার্সিটিতে তার স্টুডেন্টদের উপর দায়িত্ব কি?

একটা ইউনিভার্সিটি দায়িত্ব হচ্ছে একজন স্টুডেন্টকে তার যে চার বছর সময় পাবে অনার্সের অথবা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার মধ্যে সময় পাবে সেই সময়ের মধ্যে তাকে তৈরি করা,

যাতে করে সে চাইলেই জব করতে পারে অথবা সে যদি রিসার্চার হতে চায় রিসার্চ করতে পারে বা সে যদি হায়ার স্টাডি করতে চায় তাহলে সে বাইরে যাওয়ার উপযুক্ত হিসেবে তৈরি করে দিতে পারে।

পাশাপাশি সে যদি দেশে উদ্যোগ নিতে চায় এন্টারপ্রেনার হতে চায় তাহলে সে এন্টারপ্রেনারশিপ হিসেবে যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

এরকমভাবে যাতে করে তার ডিগ্রী কমপ্লিট হওয়ার পর বেকার বসে থাকতে না হয় ।

ডেফিনেটলি একটা ইউনিভার্সিটির দায়িত্ব কিন্তু ব্রেকার গ্রাজুয়েট হিসেবে তৈরি করা নয় তাদের দায়িত্ব এক প্রকার হিউম্যান রিসোর্স তৈরি করা।

আমাদের দেশের ইউনিভার্সিটিতে কি অবস্থাঃ

তাহলে এবার চলুন আমাদের দেশিও ইউনিভার্সিটি গুলোর দিকে একটু তাকান ও যাক।

যেহেতু আমি কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট তাই কম্পিউটার সাইন্সে যেসকল ক্রাইটেরিয়া রয়েছে সেগুলো এনালাইসিস করে আপনাদেরকে এক্সপ্লেন করার চেষ্টা করছি।

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং

কম্পিউটার সাইন্সের সবচেয়ে বড় এবং বেসিক নিডস হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং।

কিন্তু আপনি যদি লক্ষ্য করেন বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটি আপনাকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখার দায়িত্ব নিচ্ছে না।

তারা সরাসরি বলে দিচ্ছে যে,কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখানোর দায়িত্ব তাদের নয়।

আবার অনেক ইউনিভার্সিটি বলছে যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে কম্পিউটার সাইন্স এর সবচেয়ে বড় বিষয় নয়।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে,যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্সে ভালো কিছু করতে চান তা হলে সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং আপনার লাইফের সবচেয়ে বড় নিডস হবে।

কম খরচে কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে চান?

আমাদের দেশের ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের কি শেখানো হচ্ছেঃ

এখন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখার জন্য আপনার কি করতে হবে?

ইউনিভার্সিটি থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার এক লাখ টাকা সেমিস্টার ফি দেওয়ার পরে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখার জন্য আপনাকে ইউডেমিতে যেতে হবে।

ইউটুউব এ যেতে হবে,ইন্ডিয়ান ইউটিউবার দের ভিডিও দেখে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। আপনার ইউনিভার্সিটির এই দায়িত্ব নিবে না।

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে ম্যাথ,ইংরেজি নিয়ে চিন্তিত!

ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার কাউন্সেলিং এর সুযোগ নেইঃ

কম্পিউটার প্রোগ্রামের পাশাপাশি আপনার যে কম্পিউটারের কাউন্সেলিং দরকার রয়েছে আপনার যেই গ্রোমিং দরকার রয়েছে।

কিভাবে আপনি আপনার সিভি রাইটিং করবেন,কিভাবে কাভার লেটার করবেন,কিভাবে নেটওয়ার্কিং করবেন এ ধরনের কোন সার্ভিস কিন্তু আপনি ইউনিভার্সিটি থেকে পাচ্ছেন না।

বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটি তে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এর কোন অপশন নেই।

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে ম্যাথ,ইংরেজি নিয়ে চিন্তিত!

ইউনিভার্সিটিতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এর সুযোগ নেইঃ

আপনি যদি দেশের বাইরে দেখেন প্রত্যেকটা বড় বড় ইউনিভার্সিটি তে প্রত্যেকটা ভালো ইউনিভার্সিটি তে ক্যারিয়ার কনসালটেন্সি জন্য একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট থাকে একটা আলাদা জায়গা থাকে।

কিন্তু আমাদের দেশে ইউনিভার্সিটিগুলোতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং বলতে কোন কিছুই নেই।

তারমানে আপনি কিন্তু প্রপার গ্রম হচ্ছেন না জব এর জন্য।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে!

আপডেটেড কারিকুলাম নেইঃ

আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলোর যে স্ট্রাকচার কারিকুলাম রয়েছে এগুলো শুধুমাত্র একটা হাস্যকর কারিকুলাম ছাড়া কিছু নয়।

আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এগুলো হাস্যকর কারিকুলাম। কারন এই কারিকুলাম কিন্তু অনেক অনেক যুগ আগের কারিকুলাম।

বর্তমান যে অ্যাডভান্স টেকনোলজি গুলো এসেছে যেভাবে ইন্ডাস্ট্রিগুলো চায়,তাদের কর্মী গুলোকে তারা যেভাবে হায়ার করতে চায়।

সেরকম কোন কিছুই আমাদের ইউনিভার্সিটির কারিকুলাম এর অন্তর্ভুক্ত নয়।

কারিকুলামে আপনি এমন কিছু সাবজেক্ট পাবেন যে সাবজেক্ট গুলো আপনার জীবনেও দরকার হবে না।

কস্মিনকালেও আপনার দরকার হবেনা কিন্তু সে গুলোকে গুলিয়ে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র গ্রেড ইনকামের জন্য।

শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?

অ্যাডভান্স কারিকুলাম ও প্রপার এডুকেশন অনুপস্থিতঃ

আরেকটি মেজর প্রবলেম হচ্ছে যে যেই অ্যাডভান্স কারিকুলাম গুলো ইনক্লুড করা হয়েছে এগুলোর সিলেবাস রয়েছে সেগুলো আপডেটেড নয়।

দেখা যাচ্ছে যে প্রোগ্রামিং রিলেটেড কোর্সগুলো করার পর আপনি ব্যাসিক পর্যন্ত পারছেন না। সিনট্যাক্স পর্যন্ত করতে পারছেন না।

সিস্টেম এনালাইসিস করার পরে এনালাইসিস টা কি কিভাবে একটা ডিজাইন করতে হয়,প্যাটার্ন কিভাবে তৈরি করতে হয় সেগুলোই আপনি বুঝতে পারছেন না।

এবং এই দায়িত্ব ইউনিভার্সিটি নিচ্ছে না। ইউনিভার্সিটি গুলো বলছে তোমাকে সবকিছু বুঝিয়ে গুলিয়ে খাওয়ানোর দায়িত্ব আমাদের নয়।

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভার্সিটি ম্যাটার করে?

ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ এর ভয়াবহ অবস্থাঃ

এবার একটু রিসার্চ এর দিকে তাকানো যাক।

আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে রিসার্চ একটা বড় অংশ। আমি দেখতে পেয়েছি যে অনেক ইউনিভার্সিটি তে রিসার্চ ম্যান্ডেটরি করা হয়েছে। 

রিসার্চ পেপার করার জন্য আমরা যে জার্নাল থেকে ডাউনলোড করব সেটার কোনো এক্সেস ইউনিভার্সিটির কিন্তু নেই। 

যদি আমরা এক্সেস না পায় তাহলে কিভাবে আমরা রিসার্চ করব বা আমাদের স্টুডেন্টরা কিভাবে রিসার্চ করবেন।

তার মানে আপনি যদি রিসার্চার হতে চান এক্ষেত্রেও কিন্তু ইউনিভার্সিটিগুলো আপনার দায়িত্ব নিচ্ছে না।

যদিও তারা রিসার্চ করার জন্য আপনার গ্রেড উন্নয়ন ফি নিচ্ছে,আপনার যে ভ্যালুয়েবল সময় তাদের পেছনে দিয়েছেন সেটারও অপচয় হচ্ছে। কিন্তু তারা কাজের কাজের জন্য কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না। 

দেশে ইউনিভার্সিটির আরেকটি মেজর সমস্যা হয়েছে ইথিক্যাল প্র্যাকটিস। 

দেখুন যখন স্টুডেন্টরা রিসার্চ করার জন্য জারনাল গুলোর মেইন সাইটের এক্সেস পাচ্ছে না।

তারা তখন বিভিন্ন ধরনের পাইরেসি করা ওয়েবসাইট থেকে তাদের রিসার্চ পেপার গুলো ডাউনলোড করার চেষ্টা করছেন।

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

ইথিকস প্র্যাক্টিস এর ব্যাবস্থা নেইঃ

একইভাবে আপনি যদি ইউনিভার্সিটি লাইফের চার বছরের দিকে খেয়াল করেন কোথাও কোনো ইথিকস এর প্র্যাকটিস নেই।

আপনার ইউনিভার্সিটির কোন ফ্যাকাল্টি ইথিকস নিয়ে কথা বলবে না। কেউ আপনাকে শেখাবে না কোনটি ভালো কোনটি মন্দ। 

আমি মানছি যে স্টুডেন্টরা ওয়েল ম্যাচিউরড। এটা এক্সপেক্টেড যে স্টুডেন্টরাও ইথিক্যাল প্রাক্টিস গুলো বজায় রাখবে

তারপর আরো এটা কি ইউনিভার্সিটির দায়িত্ব নয় ইউনিভার্সিটি তাদেরকে ইথিক্যালি শেখাবে যে কোন জিনিসটি কারেক্ট কোন জিনিসটি রং?

আমাদের দেশে ইউনিভার্সিটি তে এই ইথিকস প্রাক্টিস কোথাও নেই।

তাহলে ইন সামারি যদি আমি বলার চেষ্টা করি যে ইউনিভার্সিটি গুলো আপনাকে প্রোগ্রামিং শেখার দায়িত্ব নিচ্ছে না, আপনার জবের গ্যারান্টি দিবে না,ক্যারিয়ার কনসালটেন্সি কোন খেয়াল রাখছে না। 

তারা আপনাকে রিসার্চার হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না,বলতে গেলে আপনার ক্যারিয়ারের  রিলেটেড কোন কিছুই করছে না। 

তাহলে তাদের দায়িত্ব টা কি?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

প্রায় সবকিছুই অনুপস্থিত তাহলে ইউনিভার্সিটিতে হচ্ছেটা কি?

তারা আপনার কাছে একটা সার্টিফিকেট বিক্রি করছে।

এটি কিন্তু খুবই স্ট্রেট ফরওয়ার্ড কথা এটা বোঝার জন্য কিন্তু আপনাকে রকেট সাইন্স বুঝতে হবে না।

আপনি যদি দেশে ইউনিভার্সিটি গুলোর দিকে তাকান দেখবেন তারা আপনার কাছে সার্টিফিকেট বিক্রি করছে।

এখনকার সময়ে

ইউনিভার্সিটিগুলো ইজ নো মোর ইনস্টিটিউশনস দে বিকাম বিজনেস অর্গানাইজেশন। সাম অফ ইউনিভার্সিটি আর ফ্যামিলি বিজনেস  সাম আদার্স ইউনিভার্সিটি আর গ্রুপ বিজনেস। 

এটি আপনি মানেন আর না মানেন ধ্রুবসত্য ব্যাপার।

যদিও কিছু ইউনিভার্সিটি রয়েছে যেগুলো এক্সেপশনাল সেগুলো এক্সাম্পল নয়। এক্সেপশনাল ইউনিভার্সিটি গুলোকে আমি ডিফেন্ড করছি না।

আপনি যদি ভাল কোন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেন,সাথে আপনার ইউনিভার্সিটি নিয়ে প্রাউড ফিল করেন। আপনি যদি মনে করেন আমার কথাগুলো আমি ভুল বলছি।

তাহলে কমেন্ট বক্সে আপনার ইউনিভার্সিটির নাম এবং কি কি ফ্যাসিলিটিস পাচ্ছেন প্রপার হিউম্যান রিসোর্স হিসেবে তৈরি হওয়ার জন্য সেগুলো উল্লেখ করবেন। 

যারা আপনার আপনার ইউনিভার্সিটির নাম উল্লেখ করে কমেন্ট করবেন সেগুলো আমি ব্যক্তিগতভাবে ভেরিফাই করব এবং সেই লিস্টি আমি আমার চ্যানেলে একটি ভিডিওতে আপলোড দেয়ার চেষ্টা করব

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা রানিং স্টুডেন্টস আছেন তারা কি পড়াশোনা করবেন না?

অথবা যারা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে চাচ্ছেন তারা কি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবেন না?

 দেখুন যদি আপনার কম্পিউটার সাইন্সে ডিগ্রী থাকে ডেফিনেটলি আপনি অনেক জায়গায় অ্যাডভান্টেজ পাবেন।

এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে আপনি ডিগ্রী ছাড়া নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারবেন না।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

কোথায় কোথায় আপনার ডিগ্রি লাগবেঃ

যেমন আপনি যদি হায়ার স্টাডি করতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার অবশ্যই অবশ্যই কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি রাখবে।

আবার আপনি যদি দেশে একাডেমিক লাইনে থাকতে চান একাডেমিয়া তে ঢুকতে চান তাহলে কিন্তু আপনার ডিগ্রী লাগবে।

যদি আপনি সরকারি কোন অফিসে চাকরি করতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ডিগ্রী লাগবে।

কাজেই যদি আপনি  ডিগ্রী নিতে পারেন তাহলে সেটি খুবই ভালো একটা অপশন হবে।

আমি আগেই বলেছি যে আমাদের দেশে কিছু ইউনিভার্সিটি রয়েছে এগুলো এক্সেপশনাল।

সেখান থেকে আপনি ভালো সার্ভিস পাবেন  এবং সেখান থেকে ডিগ্রী কমপ্লিট করেন তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ ভালো হতে পারে।

কিন্তু যদি আপনার ফিনান্সিয়াল কোন প্রবলেম থাকে আপনার অন্য কোন প্রবলেম থাকে যে কারণে আপনার লোয়ার লেভেল কোন ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হতে হচ্ছে।

সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে সাজেশন করব যে পোর লেভেল অথবা লও লেভেল কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করবেন না।

সেটি আপনার কোনো উপকারে আসবেনা শুধুমাত্র আপনি টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট পাবেন।

আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞ কি বলেঃ

একটা মজার ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করিঃ

কিছুদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন যে তাদের ভার্সিটিতে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়

ওইটার যে প্রিন্ট এত জঘন্য যে স্টুডেন্ট যদি নীলক্ষেত থেকে একটা এরকম সার্টিফিকেট বানায় তাহলে ওর থেকে ভালো কোয়ালিটি  প্রিন্ট পেতো।

এখন আপনারা অনেকে বলবেন যে প্রিন্ট দিয়ে কি আসে যায়। আরে ভাই আপনিতো সাত থেকে আট লক্ষ টাকা ইউনিভার্সিটি তে ইনভেস্ট করেছেন।

তাহলে আপনার সার্টিফিকেটটা যে প্রিন্ট রয়েছে সেটি তো আপনি মিনিমাম কোয়ালিটি এক্সপেক্ট করবেন তাই না?

একেতো ইউনিভার্সিটিগুলো আপনাকে কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট হিসেবে তৈরি করতে পারছেনা,তারা তদের সার্ভিস টা আপনাকে দিচ্ছে  সেখানে তারা গাফিলতি দেখাচ্ছে।

কখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবেনঃ

কাজেই আমার পরামর্শ হচ্ছে যদি আপনার রিকোয়ার্ড না থাকে,যদি আপনার বাইরে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকে, অথবা একাডেমিক লাইনে যদি আপনার ইচ্ছা না থাকে।

যদি আপনার ফিনান্সিয়াল প্রবলেম থাকে তাহলে আপনি ইউনিভার্সিটি কে এভোয়েড করতে পারেন। 

যদি আপনি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেছেন তাহলে ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী কোনভাবে  রিকোয়ার্ড না। 

এখনকার সময়ে যত বড় কোম্পানি রয়েছে এত ভালো কোম্পানি রয়েছে দেশিও বিদেশি কোম্পানি রয়েছে।

সেখানে সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য ডিগ্রী কোনভাবে রিকোয়ার্ড কোন অপশন নয়।

যদি ডিগ্রি থাকে ভালো আর যদি না থাকে কিন্তু যদি আপনি কুয়ালিফাইড হন তাহলে কিন্তু সফটওয়্যার কোম্পানি তে চাকরি করতে পারবেন। 

সুতারাং লোয়ার লেভেল,খারাপ অথবা বাজে কোন ইউনিভারসিটি তে পরাশুনা না করে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি প্রগামিং শিখুন।

আপনি সিস্টেম ডিজাইন শিখুন,আপনি ডেভোলপমেন্ট শিখুন শিখে আপনি আইটি কোম্পানি গুলোতে জয়েন করতে পারবেন। 

এটি আমার মতে আপতত আপনার জন্য বেষ্ট অপ্সহান হবে। 

রিমোট জব করতে পারেনঃ

আরেকটি ইম্পরট্যনাট ইনফরমেশন হচ্ছে আপনি কিন্তু চাইলে রিমোট জব করতে পারবেন । 

সেক্ষেত্রও কিন্তু আপনার ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। 

রিমোট জব খোঁজার সেরা ১১ টি ওয়েবসাইট

এই মুহূর্তে যারা ইউনিভারসিটি পরাশুনা করছেন তারা আপনারা পরাশুনা চালিয়ে যান কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু যারা ভর্তি হবেন তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে যদি আপনি ভালো ইউনিভারসিটিতে ভর্তি হতে পারেন তাহলে ভর্তি হন আর যদি না পারেন তাহলে আপনি প্রগামিং শিখুন।

ইঞ্জিনিয়ারিং শিখে সফটওয়্যার কোম্পানি গুলোতে চাকরি শুরু করুন। 

0Shares
রিমোট জব খোঁজার সেরা ১১ টি ওয়েবসাইট Previous post রিমোট জব খোঁজার সেরা ১১ টি ওয়েবসাইট
কম্পিউটার সায়েন্স নাকি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং? Next post কম্পিউটার সায়েন্স নাকি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং?

One thought on “ইউনিভার্সিটিতে পড়া কি খুব জরুরী?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ