অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে! সেটি অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন আমাকে।

বিশেষ করে ফ্রেশার অবস্থায় যখন তাদের কোনো অভিজ্ঞতা থাকেনা,কিন্তু কোম্পানিগুলো অভিজ্ঞ কর্মী হায়ার করে থাকে। তখন তাদের করণীয় কি?

এই ব্যাপারটি নিয়ে আজকে আমাদের বিস্তারিত ভাবে ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হয়ে কিভাবে চাকরি ম্যানেজ করতে পারেন ।

যদি আপনি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন অথবা আপনি ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হয়ে থাকেন,

এই মুহূর্তে যদি আপনি চাকরি প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এবং আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।

অনেকেই বলেছেন যে যদি তারা চাকরি না পায় তাহলে তাদের অভিজ্ঞতা কোথায় থেকে হবে?

আর অন্যদিকে অভিজ্ঞতা ছাড়া তো তাদের চাকরি হচ্ছে না এখন লুপের মধ্যে ধরা পড়ে গেছে। 

শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?

চাকরি এর ক্ষেত্রে আমাদের ভুল ধারনা কি?

এখানে আমাদের মধ্যে কিছুটা মিশ কনসেপ্ট করেছে কিছু জায়গা আমাদেরকে টেকনিকেল হতে হবে।

প্রথম কথা হচ্ছে এক্সপিরিয়েন্স ছাড়া চাকরি হয় না এই কথাটি একেবারেই ভুল।

প্রতিটি ইস্টাবলিশ কোম্পানিতে মিড লেভেল কর্মী যেমন প্রয়োজন রয়েছে,সিনিয়র কর্মী যেমন দরকার রয়েছে তেমনি এন্ট্রি লেভেল কর্মীরা ওই কোম্পানিতে দরকার রয়েছে

এখন এখানে সমস্যা হয়েছে ২ টি।

  • যখন আপনি কোন ভাবে চাকরি খুঁজতে পারেন না
  • কিভাবে কোথায় চাকরি খুঁজতে হবে সেটি জানেনা।

যদি আপনি একটু ভালোভাবে ঘাটা ঘাটি করেন,জব পোর্টাল গুলো দেখেন,ফেসবুকের গ্রুপ গুলোতে দেখেন এবং বড় বড় কোম্পানি ইস্টাবলিশ কোম্পানির ওয়েবসাইটগুলোতে যদি লক্ষ্য রাখেন।

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভার্সিটি ম্যাটার করে?

এক্সপেরিয়েন্স ছাড়া চাকরি কিভাবে পাবেনঃ

তাহলে আপনার চোখে পড়বে এন্ট্রি লেভেলের প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াও অনেক চাকরি রয়েছে যেখানে আপনি চাইলে আপনি এপ্লাই করতে পারেন।

লক্ষ্য করুন আমি আপনাকে বলেছি প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াও এখন প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স এর বাইরে কিন্তু আপনার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স থাকতে পারে। 

যখন আপনি বলেন যে কোম্পানিগুলো এক্সপেরিয়েন্স চেয়েছে তখন সেখানে প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স আছে নাকি পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স আছে সেটি কিন্তু আপনি ক্লিয়ারফাই করেন না। 

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স না থাকলে কি করবেনঃ

বেশিরভাগ এন্ট্রি লেভেল জবের ক্ষেত্রে আপনার প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াও যদি আপনি পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স ক্যারি করেন।

তা হলে সেই পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স দেখে বিভিন্ন কোম্পানিতে এন্ট্রি লেভেল জব গুলো তে এপ্লাই করতে পারবেন এবং জয়েন করতে পারবেন।

যদি আপনি ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হয়ে থাকেন এবং আপনার পার্সোনাল যে কোন এক্সপেরিয়েন্স থাকে যেটি আপনার ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্কের রিলেটেড।

সেটি হতে পারে আপনি কোন প্রজেক্ট করেছেন,সফটওয়্যার ডেভলপ করেছেন,বা কনটেস্ট করেছেন বা প্রেজেন্টেশন করেছেন।

এরকম যেকোন কিছু যদি আপনার থাকে সেটি কিন্তু আপনার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স এর অন্তর্ভুক্ত।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

শুরুতে ইন্টার্নশিপ করার চেষ্টা করুনঃ

আপনার এই পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স দেখে কিন্তু আপনি এন্ট্রি লেভেল জব ইন্টার্নশিপ হিসেবে নতুনভাবে ল্যান্ড করতে পারেন।

সবচেয়ে সহজ হচ্ছে ইন্টার্নশিপ এ ল্যান্ড করা ।

আপনি যখন ইন্টার্নশিপ করে ফেলবেন এই ইন্টার্নশিপের এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে কিন্তু সহজেই এন্ট্রি লেভেল জবগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন।

কাজেই যদি আপনার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স থাকে। ইউনিভার্সিটি লেভেলে যদি আপনি ইন্ড্রাস্ট্রি লেভেলের কোন কাজ করে থাকেন।

একেবারে হাইলেবেলের কাজ করতে হবে এমন কোন কথা নেই, রিলেটেড যদি কোন কাজ করে থাকেন।

সেই এক্সপেরিয়েন্স থেকে আপনি ইন্টার্নশিপ অথবা ইন্টার্ন লেভেল কোন চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হিসেবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

ফ্রেশারদের প্রফেশনাল বা পার্সোনাল কোনো এক্সপেরিয়েন্স না থাকলে কি করবেনঃ

এবারে আমরা যারা ফ্রেশ গ্রাজুয়েট কিন্তু আমাদের কোনো প্রফেশনাল পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স কোনটাই নেই তাদের কি হবে? বা তারা কি করবে? এখন তাদের নিয়ে কথা বলা যাক।

যদিও এই ব্যাপারটি খুবই লজ্জা যে চার বছর অনার্স শেষ করার পর আপনার কোন পারসনাল এক্সপেরিয়েন্স নেই।

তারপরে বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশে মেজর যে গ্রাজুয়েট রয়েছে তারা সেখানে এরকম পার্সোনাল বা প্রফশনাল কোন এক্সপেরিয়েন্স ক্যরি করে না। 

এখানে তার যে ক্রেডিট রয়েছে তার চেয়ে বেশি ডিস্ক্রেডিট রয়েছে আমাদের এডিকেশন এডুকেশন সিস্টেমের।

আমাদের এডুকেশন সিস্টেম টা হচ্ছে এডুবেজনেস বা আমরা টাকার বিনিময় সার্টিফিকেট বিক্রি করে থাকি

তাই তাদের যে স্টুডেন্ট আছে বা ইন্ডাস্ট্রির জন্য তার স্টুডেন্টদের জন্য যে প্রক্রিয়ায় করা হয় এরকম গুলো দেখে ইউনিভার্সিটিগুলো নজর দেয় না।

যে কারণে বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটির  গ্রাজুয়েট যখন বের হয় ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হিসেবে,তখন না থাকে তাদের কোন প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স না থাকে কোন তাদের পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স।

তাদের সাথে থাকে সার্টিফিকেটের নাম ধারী একটা কাগজ

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

চাকরি এর ক্ষেত্রে ফ্রেশারদের করনীয় কিঃ

ইউনিভার্সিটির এডুকেশন সিস্টেমের ডিসকাশন এর না যেয়ে বরং আমরা কথা বলি যারা ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হয়ে গেছেন তাদের কি করনীয়?

অনেকেই মনে করেন আমি যখন চাকরি পাবো,চাকরি পাওয়ার পরে আমি কাজ শেখা শুরু করব,বা কাজ শিখবো।

চাকরি পাওয়ার পরে অবশ্যই আপনাকে কাজ শিখতে হবে, তবে সেই কাজগুলো অবশ্যই কোন বেসিক কাজ নয়।

বেসিক কাজগুলো আপনার একাই শিখতে হবে।

এখন আপনি যদি গ্রাজুয়েশন শেষ করে ফেলেন কিন্তু কোন আপনার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স না থাকে তাহলে আপনার বেসিক কাজগুলো নিজে নিজে শিখতে হবে।

সেটা আপনি নিজে নিজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিখতে পারেন,সেটা আপনি বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে শিখতে পারেন।

কোনটা আপনার জন্য? সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং

নিজেকে তৈরি করুনঃ

দেখুন আপনি যদি এটি পেছোনে ৬ থেকে ১ বছর বছর সময় দেন,তাহলে আপনার এই পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স গুলো গেদার করা কোন কঠিন কাজ হবে না।

আপনি ট্রাস্ট করুন ৬ মাস যদি আপনি লেগে থাকেন যে কোনো প্রোগ্রামিং এর বেসিক আপনি শিখে ফেলতে পারবেন।

বা চাইলে যে কোন ডেভলপমেন্টে আপনি একটা প্রজেক্ট তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

এই যে আপনার একটা এক্সপেরিয়ান্স হবে আপনার অভিজ্ঞতা হবে এটি দেখে কিন্তু আপনি ইন্টার্নশিপ অথবা এন্ট্রি লেভেল জবগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন।

কাজেই আপনি যদি বের হয়ে যান বা আপনার কোন কিছুই না থাকে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই,

আপনি আজ থেকে শুরু করুন, দেখুন ছয় মাস পরে অবস্থার পরিবর্তন হবে। 

ইউনিভার্সিটি রানিং স্টুডেন্ট দের জন্য করনীয় কি?

এই মুহূর্তে আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন,এবং এই ব্লগের বিস্তারিত দেখে থাকেন তাহলে আপনার জন্য পরামর্শ হচ্ছে,

ইউনিভার্সিটি পড়াশোনা তো আপনি করবেন ই,একাডেমিক রেজাল্ট অবশ্যই ভালো রাখতে হবে, রেজাল্টের অনেক বেশি গুরুত্ব রয়েছে।

এমনকি আমি আমার ব্লগে বিস্তারিত আলাদা করে আরেকটি ব্লগ লিখে রেখেছি রেজাল্ট কেনো ভালো করতে হবে।

চাকরির বাজারে সিজিপিএর গুরুত্ব কতটুকু?

পাশাপাশি আপনি যদি চাকরি করতে চান,আপনি যেই ইন্ডাস্ট্রীতে চাকরী করবেন সেইটার উপর বেজড করে কিছু প্রজেক্ট তৈরি করুন,কিছু স্কিল অর্জন করুন। 

এটি যে একেবারে হাই লেভেলের এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে হবে এমন কোন কথা নেই।

আপনি নিজে নিজে যতটুকু পারেন বা আপনার আশেপাশের পরিবেশ যতটুকু আপনাকে এড করে সেটি ব্যবহার করে আপনি আপনার পার্সোনাল এক্সপ্রেন্স টা গ্রো করার চেষ্টা করুন।

ব্যাক্তিগত কিছু কথাঃ

দেখুন একটা ব্যাপার হচ্ছে আপনি যদি ইউনিভার্সিটি থেকে বের হওয়ার পর বেকার থাকেন এই দায়ভার কিন্তু আপনাকেই নিতে হবে।

আপনার ইউনিভার্সিটির নেবে না বা কেউ নেবে না। সবাই কিন্তু আপনাকে চাপ দিয়ে নানান কথা শোনাবে যে আপনি কেন চাকরি পাচ্ছেন না।

তাই আপনার বেকারত্ব দূরীকরণে দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। আপনাকে কাজ শিখতে হবে,আপনাকে এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে হবে।

এভাবে ফ্রেশ গ্রাজুয়েট অবস্থায় কিন্তু আপনি চাইলে সহজেই এন্ট্রি লেভেল জবে কিন্তু আপনি ল্যান্ড করতে পারেন।

তো এই ছিল আজকের বিস্তারিত ব্লগ ফ্রেশারদের নিয়ে। 

এর বাইরে যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। একই সাথে চাইলে আমার ইউটিউব চ্যানেল ফলো করতে পারেন।

0Shares
শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে? Previous post শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগে যা যা জেনে রাখতে হবে! Next post ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগে যা যা জেনে রাখতে হবে!

4 thoughts on “অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ