ভর্তির সময়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা বেসরকারি ইউনিভার্সিটি চয়েজ করা একটা চ্যালেঞ্জ এর ব্যাপার।

বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে কম্পিউটার সাইন্স অথবা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংপড়াশোনা করতে চায় এমন অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছে।

আমি আজকে কথা বলব,আপনি যখন আপনার পড়াশোনা কম্পিউটার সাইন্স পড়াশোনা করার জন্য ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করবেন,

তখন কিভাবে আপনি বিবেচনা করবেন অথবা কিভাবে আপনি এনালাইসিস করবেন। যাতে করে আপনি নিজেই আপনার জন্য বেস্ট ইউনিভার্সিটি  সিলেট করতে পারেন।

যারা আমার কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন যে কোন ইউনিভার্সিটিতে তাদের পড়াশোনা  করা উচিত।

এখন মোটা দাগে কোন ইউনিভার্সিটি গুলো ভালো সেগুলো তুলে দেওয়া যেতো। সমস্যা হচ্ছে  একেক ইউনিভার্সিটি একেক স্টুডেন্টদের জন্য ভালো হবে। 

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?

যদিও ভালো ইউনিভার্সিটি গুলো সব সময় ভালো টপ লেভেল এর যে ইউনিভার্সিটি গুলো রয়েছে,সেগুলো সব সময় ভালো। 

তবে সমস্যা হচ্ছে বাজেট এবং পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে টপ লেভেল ইউনিভার্সিটিগুলোর রয়েছে সেখানে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হতে সক্ষম নয়।

যদিও এই ব্লগে বারবার কম্পিউটার সাইন্স এর কথা বলা হয়েছে।

তবে আপনি যদি অন্য কোন সাবজেক্টে পড়াশোনা করতে চান তাহলে এই এপ্রোচ গুলো ব্যবহার করেও অন্য সাবজেক্টের জন্য ইউনিভার্সিটি খুঁজে বের করতে পারেন।

তাই আপনি যদি অন্য কোন সাবজেক্ট এর জন্য ইউনিভার্সিটি তে থাকেন তাহলে,

এই ব্লগের কম্পিউটার সায়েন্সের জায়গা কম্পিউটার সায়েন্স গুলো বসিয়ে একই এপ্রোচ গুলো ব্যবহার করে নিজের জন্য সেরা ইউনিভার্সিটি গুলো খুজে বের করতে পারেন 

বেসরকারি ইউনিভার্সিটি কিভাবে সিলেক্ট করবেন এ ব্যাপারে আমার ইউটিউব চ্যানেলে অনেক আগের একটি ভিডিও রয়েছে চাইলে দেখে আসতে পারেন।

এজন্য আজকে আমরা কথা বলি যদি আমরা কম্পিউটার সাইন্স এর জন্য বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করতে চাই।

কম খরচে কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে চান?

আমরা কিভাবে আমার নিজের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করবোঃ

বিস্তারিত ব্লগের আগে আপনাদেরকে বলে থাকি,

যদি আপনারা কনফিউশন থাকেন কম্পিউটার সাইন্স আপনার পড়া উচিত কিনা তাহলে আমি আপনাদের ডিসকারেজ করব কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়ার জন্য।

কারণ কম্পিউটার সাইন্স তো আপনাকে কোনোভাবেই কাজের গ্যারান্টি দিবে না,,চাকরি গ্যারান্টি দিবে না,সফলতার গ্যারান্টি দিবে না ।

যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্স ভালোভাবে ইউটিলাইজ করতে পারেন,ভালোভাবে স্কিলস গেদার করতে পারেন অথবা সেরকমভাবে আপনি শিখতে পারেন তবেই কেবল মাত্র আপনি সাকসেস হতে পারবেন।

যদি আপনি ট্রেন্ডের জন্য কম্পিউটার সাইন্সে ভর্তি হন তাহলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম

তাই যদি আপনি কনফিউশনে থাকেন,আপনার যদি ভয় কাজ করে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে সে ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে,

আপনি কম্পিউটার সাইন্স পড়াশোনা না করে অন্য কোন সাবজেক্ট পড়াশোনা করুন।

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে ম্যাথ,ইংরেজি নিয়ে চিন্তিত!

বাজেট বিবেচনা করতে হবেঃ

কম্পিউটার সাইন্সের যদি আপনি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে বিবেচনা করতে হবে বাজেট।

আপনার বাজেট কেমন? আপনার পারিবারিক অবস্থা কেমন?

এই বিষয়টি সবার আগে আপনার বিবেচনা করতে হবে।

মনে রাখবেন বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে পড়াকালীন সময়ে যদি আপনার টিউশন ফি’র চিন্তা মাথায় থাকে তাহলে কিন্তু আপনি কোন ভাবে অন্যান্য জায়গা কনসালটেন্ট করতে পারবেন না।

আপনার জন্য খুবই কষ্টসাধ্য হবে কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করে এবং স্কিলস গেদার করা।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে!

টিঊশন ফিসঃ

তাই অবশ্যই অবশ্যই আপনি টিউশন এর কথাটা প্রথম থেকে বিবেচনা করার চেষ্টা করবেন।

যখন আপনি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে বাজেটের কথা বিবেচনা করবেন,আপনার সামর্থ্য দিক দিয়ে চিন্তা করবেন তখন অবশ্যই মাথায় রাখবেন,

আপনি যে ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হচ্ছেন সে ইউনিভার্সিটি তে খরচ ছাড়াও ইউনিভার্সিটি লাইফে আপনার জন্য কিন্তু আলাদা একটা খরচ হয়েছে।

এর বাইরেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ইন্সট্রুমেন্টই আপনাকে না লাগতে পারে।

যেমন শুরুতে হয়তো আপনাকে ল্যাপটপ কেনা লাগতে পারে,আপনার ফোন কেনা লাগতে পারে অথবা আপনি যদি আইইউটি কাজ করে থাকেন জিনিষপত্র লাগতে পারে।

যদিও এ খরচগুলো খুবই কম হয়তো বছরে একবার অথবা চার বছরে একবার লাগবে,তার পরেও আপনাকে এক্সট্রা কিছু টাকা বিবেচনায় রাখতে হবে।

তাই যদি এমন ইউনিভার্সিটি আপনি সিলেক্ট করেন যেখানে খুব ভালোমতো আপনি সার্ভাইভ করতে পারবেন তাহলে আপনার জন্য সেটি ভালো হবে।

শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?

ওয়েভার ফিঃ

যখন আপনি বাজেট বিবেচনা করেন অর্থাৎ কোন ইউনিভার্সিটির জন্য আপনার সামর্থ্য রয়েছে তখন অবশ্যই আপনি  ওয়েভার ছাড়া বিবেচনা করবেন।

ধরুন কোন ইউনিভার্সিটি আপনাকে ৫০% ওয়েভার দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আপনি হিসবে এই ৫০% ছাড়া হিসাব করবেন।

মনে রাখবেন আপনি যে যে পড়াশোনা করছেন আপনার পড়াশোনা কালীন সময়ে আপনি যে ওয়েভার পাবেন সেটি কিন্তু কন্ডিশনাল ওয়েভার।

সেটি যেকোন সময় যেকোন ভাবে চলে যেতে পারে,এমনকি ওই ইউনিভার্সিটি বিনা নোটিশে এটি বন্ধ করে দিতে পারে।

যদিও এ যাবৎ কালে ইউনিভার্সিটিগুলো বিনা নোটিশে এখন পর্যন্ত এগুলো বন্ধ করেনি। বরং স্টুডেন্টদের গাফিলতির কারণে বিভিন্ন সময়ে তাদের ওয়েভার চলে গিয়েছে। 

তার পরেও আপনি সেফ থাকার জন্য ওয়েভার বিবেচনায় না নিয়ে মূল টিউশন ফি কত সেটা আপনি বিবেচনা করে। এটি আপনার জন্য মঙ্গল এর কারণ হতে পারে। 

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভার্সিটি ম্যাটার করে?

ইউনিভার্সটি অ্যালামনাইঃ

বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে বাজেটের পরবর্তী সময়ে আপনাকে দেখতে হবে ও ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাইয়ের কি অবস্থা। অ্যালামনাই রা এখন কি অবস্থায় রয়েছেন।

যদি নতুন ইউনিভার্সিটি হয় তাহলে হয়তো আপনি অ্যালামনাইদের খুব একটা খোঁজ খবর পাবেন না।

তবে আমাদের দেশের বেসরকারি ইউনিভার্সিটিগুলো কিন্তু যথেষ্ট পুরাতন। এবং এই ইউনিভার্সিটিগুলোতে কিন্তু যথেষ্ট বড় বড় অ্যালামনাই রয়েছে।

অ্যালামনাই খোঁজার জন্য আপনি লিংকডীন এ সার্চ দিন অথবা অন্যান্য সোশ্যাল  প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বুঝতে পারেন।

আরেকটি ব্যাপার মাথায় রাখবেন অ্যালামনাই তাদের ইউনিভার্সিটি তাকে কিভাবে রিপ্রেজেন্ট করছে।

আমি অনেক ইউনিভার্সিটি দেখেছি যেখান থেকে স্টুডেন্টরা বের হয়ে যাওয়ার পরে ভুলেও সে ইউনিভার্সিটির নাম মুখে উচ্চারণ করে না

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

অ্যালামনাই রা ইউনিভার্সটি রিপ্রেজেন্ট করছে কিনাঃ

যদি আপনি কোন ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে অবস্থা দেখেন যে,

সেখানকার বের হয়ে যায় অ্যালামনাই রা ইউনিভার্সিটি গুলোকে রিপ্রেজেন্ট করছে না। বা তাদের ইউনিভার্সিটি গুলোকে হাইলাইটস করছেনা ।

তাহলে সে ইউনিভার্সিটিগুলো কি আপনার সার্চ লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দিতে পারেন।

একটা ব্যাপার আপনাদের কাছে শেয়ার করি যেকোনো স্টুডেন্ট বা মানুষ কিন্তু তার নিজের ইউনিভার্সিটির নাম বলা বন্ধ করে না। আনলেস ইউনিভার্সিটির অবস্থা যদি খুবই বাজে না হয়।

তাই যখন আপনি দেখবেন কোন অ্যালামনাইরা বা কোনো সিনিয়র স্টুডেন্ট তার ইউনিভার্সিটির নাম বলছে না,তার নিজের ইউনিভার্সিটির নাম বলতে সংকোচ বোধ করছে।

তখন আপনি অবশ্যই অবশ্যই সে ইউনিভার্সিটি এভয়েড করবেন ।

সে ইউনিভার্সিটি যত ভালই হোক দেখতে,যত রেপুটেশন থাক বা যত বেশি ওয়েভার আপনাকে অফার করুক না কেন।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

ইউনিভার্সটির রানিং অবস্থা বিবেচনা করুনঃ

বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হওয়ার জন্য সময় তাদের যে কারেন্ট অ্যালামনাই রয়েছে,

তাদের দেখার পাশাপাশি রানিং যে অবস্থায় রয়েছে সেটি আপনাকে বিবেচনা করতে হবে।

বিশেষ করে ওই ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা কম্পেটিটিভ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট গুলো হয় সেখানে তাদের কি অবস্থা ?তারা কি আসলেই কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং এ ভালো করছে না কি করছে না? 

এই জিনিস জিনিসটি আপনি অবশ্যই অবশ্যই বিবেচনা করবেন। এর পাশাপাশি চেষ্টা করবেন যে ইন্টার্নাল একটু খোঁজখবর নেওয়ার জন্য যে,

রেগুলার নিয়মিত কনটেস্ট প্রোগ্রামিং এর আয়োজন হয় কিনা ওই ইউনিভার্সিটি তে।

মনে রাখবেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং হচ্ছে এমন একটি সাবজেক্ট এখানে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করা যায় না।

আপনি হয়তো তর্কের স্বার্থে বলতে পারেন যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সব কিছু নয়।

কিন্তু কম্পিউটার প্রোগ্রামিং যদি কম্পিউটার সাইন্স থেকে বাদ দিয়ে দেন তাহলে আপনার ৯০ থেকে ৯৯% বাদ হয়ে যায় আপনার কম্পিউটার সাইন্স থেকে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

বড় কোম্পানির এমপ্লোয়ার দের প্রফাইল দেখুনঃ

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে যদি আপনি আরও রিসার্চ করতে চান,আরো বেশি সেফ সাইডে থাকতে চান তাহলে আরেকটি টিপস আপনাদের জন্য সেটি হচ্ছে,

দেশে এবং বিদেশে বিশেষ করে দেশে যে বড় বড় কোম্পানি রয়েছে সফটওয়্যার কোম্পানি গুলো রয়েছে,

সেই কোম্পানিগুলোর যে এম্প্লয়ের রয়েছে তাদের প্রোফাইল একটু ঘাটাঘাটি করুন।

এটি আপনি লিংকডিন এর সাহায্যে খুব সহজেই দেখতে পারবেন যে তারা কোন ইউনিভার্সিটি থেকে সবচাইতে বেশি ওই কোম্পানিতে কাজ করছে।

এভাবে যদি আপনি দেখেন কোন ইউনিভার্সিটি থেকে কোন একটি কোম্পানিতে অনেক বেশি কর্মী কাজ করছে এবং বেশিরভাগ বড় বড় কোম্পানিতে এই ইউনিভার্সিটি থেকে কাজ করছে।

তাহলে কিন্তু আপনি সহজেই ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

লোকাল র‍্যাংকিং দেখুনঃ

যদি আপনার প্ল্যানিং থাকে যে আপনি এবরোড অথবা হায়ার স্টাডি করতে চান বা আপনি ভবিষ্যতে একাডেমিক লাইনে থাকে চান। তাহলে দেখতে হবে,

ইউনিভার্সিটির লোকাল ব্যাংকিং এর কি অবস্থা

যদি আপনি একটি গুগলে সার্চ করেন তাহলেও ইউনিভার্সিটির লোকাল রেংকিং এর কি অবস্থা সেটি সহজেই খুঁজে বের করতে পারবেন.

সেই রেংকিং অনুযায়ী আপনি দেখবেন,যত ভালো র্যাঙ্কিংয়ের ইউনিভার্সিটি তে আপনি ভর্তি হতে পারেন ততই আপনার জন্য ভালো হয়।

এক্ষেত্রে একটু বলে রাখি ধরুন ১১ রেংকিংয়ের একটা ইউনিভার্সিটি এবং অন্যটি ১২ ইউনিভার্সিটি। দুইটা লাইক সিমিলার কোয়ালিটি দিক থেকে।

কিন্তু ১১ নাম্বার এর ওই ইউনিভার্সিটির সাথে ২০ নাম্বার ইউনিভার্সিটির চেয়ে অনেকটাই ভালো। এটা কিন্তু আপনি নিজে থেকে এক্সপেক্ট করতে পারেন।

ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি ?

রিসার্চ এর কি অবস্থাঃ

আপনার আরেকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে যে ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এর কি অবস্থা। 

রিসার্চ-এর ব্যাপারটা বুঝতে আপনার একটু কষ্ট হবে যখন আপনি একটা ভেরি ফ্রেশ স্টুডেন্ট এবং অথবা আপনি ইন্টারে পড়াশোনা করছেন।

আপনার ইচ্ছা ভবিষ্যতে কম্পিউটার সাইন্স পড়াশোনা করতে।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার সিনিয়রদের বড় ভাইদের কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে ওই ইউনিভার্সিটির রিসার্চ এর কি অবস্থা।

লোকাল রেপুটেশন বুঝার চেষ্টা করুনঃ

যে কোন বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির আগেই ওই ইউনিভার্সিটির লোকাল রেপুটেশন এর কি অবস্থা এবং রানিংস্টুডেন্ট দের ফিডব্যাক সেটা অবশ্যই দেখা চেষ্টা করবেন।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ও ইউনিভার্সিটির নাম লিখে অথবা শরট নাম লিখে যদি আপনি গুগল সার্চ করেন।

তাহলে বিভিন্ন কমিউনিটিতে তাদের প্রাক্টন অথা প্রেজেন্ট দের ফিডব্যাক রয়েছে তা সহজেই দেখতে পারবেন।

অনেক সময় আমরা মনে করি যে রানিং স্টুডেন্টরা শুধু শুধু তাদের ইউনিভার্সিটির দুর্নাম করে।

আসলে কেউ কিন্তু তার নিজের ইউনিভার্সিটির দূরনাম করতে চায়না। যদি না সেই ইউনিভার্সিটির খুবই বাজে অবস্থা হয়।

তাই যদি কোন ইউনিভার্সিটির রানিং ইসটুডেন ইউনিভার্সিটির দুর্নাম করে তাহলে নিজে থেকে বুঝে নিতে হবে যে ওই ইউনিভার্সিটির খুবই সমস্যা রয়েছে।

এবং আপনি ভর্তির সময় এই ধরনের ভার্সিটিকে সবসময় এভয়েড করার চেষ্টা করবেন।

ইউনিভার্সটির ডিস্টেন্স দেখুনঃ

বেসরকারি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তির জন্য সর্বশেষ যে এই টিপসটি রয়েছে আপনাদের জন্য সেটি হচ্ছে যে,

ইউনিভার্সিটি তে আপনি ভর্তি হতে যাচ্ছেন সে ইউনিভার্সিটির সাথে আপনার বাসার ডিস্টেন্স টা অবশ্যই মাথায় রাখার চেষ্টা করবেন।

ধরেন আপনি উত্তরার কোন ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হলেন কিন্তু আপনার বাসা নারায়ণগঞ্জ।

নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিদিন যদি আপনি উত্তরায় এসে যাতায়াত করেন,তাহলে আপনার অবস্থা খুবই বাজে অবস্থা হবে।

প্রথমত যদি আপনি চার বছর নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরা তে এসে ক্লাস করেন এখানে এমন হবে যে আপনার বাসেই তিন চার ঘন্টা সময় চলে যাচ্ছে।

তাহলে কিন্তু আপনি আলাদাভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন না।

এই ক্ষেত্রে আমার উপদেশ হচ্ছে হয় ইউনিভার্সিটির আশেপাশে কোন এক জায়গা বাসা নিয়ে থাকুন অথবা আপনার বাসার আশেপাশে কোন একটি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হন।

যারা ঢাকার বাইরে রয়েছেন ঢাকার বাইরের ইউনিভার্সিটিগুলো যদি খোঁজখবর নিয়ে ভালো মনে হয় এখানেও কিন্তু ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।

ইন্সটিটিউট ম্যাটার করে নাঃ

কম্পিউটার সায়েন্সের এক এ পজেটিভ সাইট হচ্ছে আপনি যেখানে ভর্তি হোন না কেন আপনি নিজে পরিশ্রম করে ওভার কাম করতে পারবেন।

আপনার যে ইউনিভার্সিটির ব্যাকআপ্আটি পনার পাওয়ার কথা সেটি যদি নাও পান,তারপরও আপনি নিজে চেষ্টা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। 

যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্স এর জন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে চান এবং আপনার যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন.

এছাড়াও আপনার যদি ক্যারিয়ার ও পার্সোনাল ফাইন্যান্স নিয়ে কোন কিছু জানার থাকে,

কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কিন্তু আপনি চাইলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।

0Shares
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই? Previous post ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?
রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে Next post রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে

One thought on “ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা বেসরকারি ইউনিভার্সিটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ