আমরা কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির পর যা যা ভুলেও করবেন না! তা নিয়ে আমি অনেকবার ই কথা বলছি।

আজকের ব্লগে আমরা কথা বলব যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারে শুরুর দিকে রয়েছে, প্রথম অথবা দ্বিতীয় সেমিস্টারের রয়েছে তাদেরকে নিয়ে।

অনেকেই রয়েছেন যারা একেবারে প্রথম সেমিস্টারের স্টুডেন্ট তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে,কম্পিউটার সাইন্স এর শুরুর দিকে কি করা উচিত?

যাতে করে তাদের ক্যারিয়ার খুব ভালো মতো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যাতে করে তারা যখন ইউনিভার্সিটি শেষ করার সাথে সাথেই ভালো কোন জব এর ঢুকতে পারে।

তো আজকের ব্লগে কম্পিউটার সাইন্স এর প্রথম সেমিস্টার এ প্রথম বর্ষে কি করা উচিত সেগুলো নিয়ে একটি গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব।

তবে অন্য ডিপার্টমেন্টে যেসব স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা চাইলে এ ব্লগটি পড়তে পারেন কারণ,

এই ব্লগে কয়েকটি সেনসিটিভ এবং ইন্টারেস্টিং টপিক আছে।

আর তাছাড়া এই ব্লগে কম্পিউটার সায়েন্স রিলেটেড গাইডলাইন টি শেয়ার করবো সেগুলো যদি আপনি নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টে সঙ্গে রিপ্লেস করে নেন তাহলে কিন্তু এই গাইডলাইন কি আপনার জন্যও প্রযোজ্য হবে

যদি আপনি কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়ে থাকেন তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি এমন একটি সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছেন অসম্ভব ভালো একটা সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছেন।

যদি আপনি আপনার ইউনিভার্সিটির লাইফটাকে ইউটিলাইজ করতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে আপনি আপনার ক্যারিয়ার ভালো করতে পারবেন।

বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত

প্রথম কাজ হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করাঃ

কম্পিউটার সায়েন্সে যখন আপনি ভর্তি হয়ে গেলেন তখন সবার প্রথম কাজ হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করা।

এখন এ ব্যাপারে অনেকেই ডাউটফুল করতে পারে শুরুতেই কেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করব?

এখোনতো ইউনিভার্সিটি তে আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কোর্স শুরু হয়নি,আমি কেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করব?

চলুন এটা একটু বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি।

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কিন্তু অন্যান্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর মত নয়। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনাকে লম্বা সময় ব্যয় করতে হবে।

তাই আপনি ইউনিভার্সিটি ক্লাস করার পর যত দ্রুত শুরু করবেন তত বেশি সময় পাবেন,কম্পিউটার প্রোগ্রামিং আপনার নিজেকে দক্ষ করে তোলার জন্য।

এর বাইরে যদি আপনি শুরুর দিকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখা শুরু বা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেন,

তাহলে কিন্তু ১-২ সেমিস্টার যাওয়ার পরে আপনি আপনার নিজের অবস্থা বুঝতে পারবেন।

কম্পিউটার সায়েন্স থেকে সুইচ করার সুযোগ পাবেনঃ

যদি এমন মনে হয় যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং আপনার সাথে কোনভাবেই সুট করছে না তখন কিন্তু,

আপনার জন্য সুযোগ থাকবে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট থেকে সুইচ করে ফেলার জন্য।

ডেটা সায়েন্স,মেশিন লার্নিং এর ফিউচার কি?

কিন্তু আপনি যদি অনেক দেরিতে থার্ড ইয়ার অথবা ফোর্থ ইয়ার এসে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেন তখন কিন্তু যদি আপনার সঙ্গে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সুট না করে।

তখন কিন্তু আপনি ডিপার্টমেন্ট সহজেই সুইচ করতে পারবেন না।

তাই শুরুতেই যখন আপনি কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়ে গেছেন সবার প্রথম কাজ হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করা।

এখানে আমি আপনাদেরকে আরও কিছু ইনফরমেশন দিয়ে রাখি যে আপনি দেখবেন যে,

আপনার আশেপাশে অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা স্কুল কলেজ থেকে প্রোগ্রামিং শুরু করে ফেলেছে। এখন আপনি কিন্তু অলরেডি তাদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন।

এর পরে আপনি যদি ইউনিভার্সিটি তে এসে শুরুর দিকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু না করেন তাহলে তাদের সঙ্গে তাল মেলাতে আপনার যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে।

আমি আমার ইউনিভার্সিটি’তে প্রথম দুই সেমিস্টার পুরাটাই ল্যাবে কাটিয়েছিলাম।

এর জন্য কিন্তু ইউনিভার্সিটি তে আমার স্টুডেন্টশিপ কাটা যায়নি অথবা আমার কিন্তু বন্ধু অথবা বান্ধবীর অভাব হয়নি।

রেদার আমি কিন্তু আমার গ্রাজুয়েশন শেষ করার আগেই চাকরিতে জয়েন করতে পেরেছি।

সে কারণে যদি আপনি কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সবার প্রথম কাজ হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করা।

চাকরি পাই নাসমস্যা কোথায়?

যেকোন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করুনঃ

কম্পিউটার ব্যাংক প্রোগ্রামিং এর ব্যাপারে একটি স্পেশাল নোট সেটি হচ্ছে,আপনি যেই ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট হোন না কেন।

যদি আপনি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়ে থাকেন,প্রথম সেমিস্টারের অন্তত একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করুন।

যদি আপনি কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্ট অথবা এই রিলেটেড ডিপার্টমেন্টের না হন ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ডিপার্টমেন্ট অথবা আর্টস ফ্যাকাল্টির কোন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন।

তারপরও আপনার উচিত কোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করা।

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর শুরুতে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করতে হবে এবং কোন স্টেজে কোন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করবেন।

এ ব্যাপারে আমার ইউটিউব চ্যানেলে দুইটি ভিডিও রয়েছে চাইলে আপনারা আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

বেয়াদব সিনিয়র দের এভোয়েড করাঃ

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির পরে আপনার তৃতীয় যেই কাজটি হবে বেয়াদব সিনিয়র দের অভয়েড করা।

আপনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হওয়ার পরে অথবা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার পর অনেক সিনিয়র পাবেন যারা আপনাকে তাদের দিকে টানার চেষ্টা করবে।

যারা আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে তাদের সঙ্গে না চললে আপনার লাইফটা অচল হয়ে যাবে।

তাদের সঙ্গে না চলে আপনি আপনার ক্যারিয়ারে কিছু করতে পারবেন না।

একটা ব্যাপার মনে রাখবেন যে এই স্টেজে এসে সিনিয়রদের কাছ থেকে কোনোভাবেই কোনো হেল্প পাবেন না।

যেমন উগান্ডার ইউনিভার্সিটি তে যখন প্রোগ্রামিং এর বিভিন্ন ক্লাব বিভিন্ন ধরনের কমিটি দেওয়া হয়ে থাকে।

তখন দেখা যায় বয়ফ্রেন্ড হচ্ছে প্রেসিডেন্টের গার্লফ্রেন্ড হচ্ছে সেক্রেটারি

আবার এর আগে আমার ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিওতে আমি বলেছিলাম যে শুধুমাত্র একটা টিমকে উইন করার জন্য দুই-তিনবার একটা কনটেস্ট আয়োজন করা হয়েছে।

তাই এই ধরনের বেয়াদব সিনিয়রদের অবশ্যই এভোয়েড করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

কারো পেছনে পেছনে যাওয়া বন্ধ করতে হবেঃ

আরেকটি ব্যাপার আপনাদের কে মনে করিয়ে দিতে চাই যদি আপনি লিডার হতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে কারো পেছনে পেছনে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।

মনে রাখবেন লিডার কিন্তু সব সময় সামনে থেকে লিড দেয় সে কিন্তু কখনোই অন্যের পিছু পিছু হাটতে থাকে না

তাই যখন আপনি কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়ে গেছেন অবশ্যই বিচার বিবেচনা করে যেসব সিনিয়রদের ফলো করবেন।

তাদের মধ্যে থেকে আপনাকে যারা মুক্তচিন্তা সাহায্য করবে,যারা আপনার চিন্তা ভাবনাকে গ্রোথ করাবে।

যারা তাদের চিন্তা ভাবনাকে আপনার উপর চাপিয়ে দিবে না তাদেরকে আপনি ফলো করুন,আর অন্য বেয়াদব সিনিয়রদের কে এভোয়েড করুন।

রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে

ইউনিভার্সিটি রেজাল্টের দিকে নজর রাখুনঃ

কম্পিউটার সায়েন্সে যদি আপনি ভর্তি হয়ে যান না হলে আপনাকে শুরু থেকেই ইউনিভার্সিটি রেজাল্ট এর দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

ইউনিভার্সিটির পড়াশোনা কে বাদ দিয়ে কখনোই অন্য কিছু করা যাবে না কারণ ইউনিভার্সিটিতে আপনার প্রথম আইডেন্টিটি হচ্ছে আপনার রেজাল্ট।

আর যদি আপনি একবার রেজাল্ট খারাপ করে ফেলেন তাহলে কিন্তু আপনাকে অনেক জায়গায় অনেক বাধা সম্মুখীন হতে হবে।

তাই শুরু থেকেই আপনাকে নিয়মিত ক্লাস গুলো করতে হবে,লেকচারস নিয়মিত শুনতে হবে এবং  ক্লাস এর পাশাপাশি আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে।

আপনি যত বেশি পড়াশোনা করবেন ততই আপনার জন্য ইউনিভার্সিটি  লাইফ সহজ হয়ে যাবে।

ইউনিভার্সিটি লাইফে সিজিপিএ এর গুরুত্ব নিয়ে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও রয়েছে। চাইলে দেখে আসতে পারেন।

ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি?

কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়লে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে যাওয়া যাবেনাঃ

কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি আর পরে আপনি আপনার আশেপাশের এমন অনেক ফ্রেন্ড কে আবিস্কার করে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে দুনিয়া উল্টাইয়া ফেলতেছে।

এমনকি আমি যখন কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়েছিলাম তখন আমি নিজেও একজন ফ্রিল্যান্সার ছিলাম

এবং আমি নিজেকে খুবই গর্বের সঙ্গে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচয় দিতাম

এরকম ভাবে যদি আপনি আগে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করেন সেটা অনেকটাই সহজ।

কিন্তু যদি আপনি ফ্রেশ কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট হন তাহলে কোন ভাবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝোঁক আর দরকার নেই।

আর যদি আপনার একান্তই ফ্রিল্যান্সিং করার দরকার হয় তাহলে আপনি প্যাসিভ ইনকাম টাইপের রয়েছে সেগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন।

কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট দের কেন ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত নয় সে ব্যাপারে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিস্তারিত ভিডিও রয়েছে।

চাইলে আপনারা দেখে আসতে পারেন।

আপনার ফ্রেন্ড এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করে ফেলবে সেটি দেখে আপনার কখনোই ফ্রিল্যান্সিং এদিকে ঢোকা উচিত নয়।

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

কম্পিউটার সায়েন্স রিলেটেড স্কিলস ডেভোলপ করুনঃ

আমি দেখেছি অনেক কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট ডাটা এন্ট্রি,ওয়েবে সার্চ এ ধরনের কাজ করে থাকে। অনেক সময় নষ্ট করে থাকে। যেটা কোনোভাবেই উচিত নয়।

আপনি যদি আপনার ইউনিভার্সিটি লাইফে ফান্ডামেন্টাল জিনিস গুলো ভালোভাবে শিখতে পারে একই সাথে যদি আপনি স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন।

তাহলে কিন্তু গ্রাজুয়েশন করার পরে থেকে অনেক অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

তাই এই মুহূর্তে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকে কোনভাবেই আপনার ক্যারিয়ারকে কখনো ভাবেই হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া উচিত নয়।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?

রিলেশনশিপ পাবলিক করবেন নাঃ

কম্পিউটার সায়েন্স তো বটেই ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট ইয়ার বা কোন সেমিস্টার অথবা সেকেন্ড সেমিস্টার এর দিকে এই একটি গাছ কখনো ভুলেও করা উচিত নয়,

সেটি হচ্ছে আপনার রিলেশনশিপ পাবলিক করবেন না।

একটি কথা বলে রাখি যে কম্পিউটার সায়েন্সে অনেক মেয়ে ভর্তি হয় টাকা দিয়ে ভালো একটি জামাই কিনার জন্য

এই কথাটি আপনার ভালো না লাগলেও এই কথাটি হচ্ছে ধ্রুব সত্য।

কম্পিউটার সাইন্সে মেয়েরা ভর্তি হয় শুধুমাত্র কোনভাবে ভালো একটি ডিগ্রি অর্জন করে এবং পরবর্তীতে তাদের একটি ভালো জামাই কিনতে পারে।

আমি জানি এই মন্তব্যটি করার কারণে অনেকে আমার কমেন্ট বক্স ভাসিয়ে দিবেন তাতে আমার কিছু আসে যায় না। কারণ আমরা সবাই জানি এটি একটি ধ্রুব সত্য কথা।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

রিলেশনশিপ পাবলিক করলে কি কি সমস্যা হতে পারেঃ

যখন আপনি প্রথম সেমিস্টার থেকেই আপনার রিলেশনশিপ পাবলিক করে ফেলেছেন তখন কি প্রবলেম হতে পারে সেটাই বলার আগে আমি আপনাদেরকে একটি ইনসাইড ব্যাখ্যা করে আসি।

যখন আপনিকম্পিউটার সায়েন্স ভর্তি হবেন শুরুর দিকে আপনার যে ফ্রেন্ড সার্কেল টি থাকবে সেটি সেমিস্টার বাই সেমিস্টার ভেঙে যেতে থাকবে।

যদিও প্রথম সেমিস্টারের মনে হবে যে না আমার লাইফ টাইম ফ্রেন্ড আমার সাথে সারা জীবন থাকবে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সেমিস্টার বাই সেমিস্টার এ ফ্রেন্ডশিপ গুলো ভেঙে যেতে থাকবে।

হয়তো রিয়েলি একটা থেকে দুইটা সার্কেল ভালো থাকলেও থাকতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময়ে সার্কেল গুলো ভেঙে যায়।

শুরুর দিকে যখন আপনি একটি আফেয়ার এ জড়িয়ে যাচ্ছেন শুরুতেই আপনার মনে হবে যে এটি আপনার সোলমেট ।

এটি হচ্ছে আপনার লাইফ টাইম,এটাই হচ্ছে আপনার ফিউচার।

বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!

রিলেশনশিপ এর বাস্তবতা কিঃ

বাস্তবতা হচ্ছে যে আগেই বলেছি যে কম্পিউটার সায়েন্স অধিকাংশই ভর্তি হয় ভালো একটা জামাই কেনার জন্য,এক্ষেত্রে তারা কি করছে সেমিস্টার বাই সেমিস্টার আপনাকেও চেঞ্জ করে ফেলবে।

এই কথাটিও আপনার মানতে কষ্ট হবে যদি আপনি কারেন্টলি কোন রিলেশনশিপ এ যুক্ত হয়ে থাকেন। তবে এটি কিন্তু একেবারেই ধ্রুব বাস্তব কথা।

যখন আপনি শুরুতেই আপনি আপনার অ্যাফেয়ার পাবলিক করে ফেলছেন এখন সেকেন্ড বা থার্ড সেমিস্টার এ গিয়ে আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনার থেকে সরে যাচ্ছে।

আপনারই কোন ফ্রেন্ডের সাথে একসাথে যুক্ত হয়েছে  তখন আপনার অবস্থা কি?

দেখান আপনি কিন্তু অলরেডি পাবলিক করে ফেলছেন,সবাই কিন্তু আপনাদের রিলেশনশিপ এর ব্যাপারে জানে।

এখন আপনার গার্লফ্রেন্ড যখন অন্য ছেলেদের সঙ্গে ঘুরবে আপনি আপনাদের এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন অন্য ছেলেদের সঙ্গে ঘুরবে তাহলে ব্যাপারটা আপনার কাছে অড লাগবে।

আমি এরকম দেখেছি যে এরকম রিলেশনশিপ যারা আগেই পাবলিশ করে ফেলে তারা শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য ফ্রেন্ড এর সামনে খুবই ভালো মতো সম্পর্ক মেইনটেইন করে থাকে।

যখন ফ্রেন্ডরা চলে যায় তখন তাদের মধ্যে আর কোন কথাই হয় না। এমনও হয় যে ২৪ ঘন্টা তাদের মধ্যে কোন কথাই হয়নি।

কিন্তু যখন ফ্রেন্ড এর সামনে দেখা করে তখন তারা বেশ ভালোভাবে প্রেজেন্ট করে থাকে যে তারা খুব ভালোভাবে রিলেশনশিপে মেইন্টেইন করে যাচ্ছে।

এই ব্যাপারটি মেইনটেইন করা এবং এই ব্যাপারটি মেন্টালি এক্সেপ্ট করা কিন্তু খুবই কষ্টকর।

তাই যদি আপনি ইউনিভার্সিটির প্রথম দিকের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি আপনার  কোন এফেয়ার যুক্ত হয়ে থাকেন সেটা কোন ভাবে পাবলিকলি শো অফ করবেন না।

এটি আপনার জন্য খুব খারাপ খারাপের কারণ হতে পারে এটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি হতে পারে।

ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না

কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ব্যাক্তিগত কিছু কথাঃ

সবশেষে আপনাদের জন্য একটি সফট রিমাইন্ডার। আমাদের কম্পিউটার সায়েন্স হচ্ছে এমন একটি সাবজেক্ট,

যেখান থেকে আপনি চাইলে অনেক উপর উঠতে পারেন আবার আপনি চাইলে একেবারে জিরো থাকতে পারেন।জিরো অথবা হিরো এর মাঝামাঝি কম্পিউটার সায়েন্স কিন্তু কোনো প্রয়োজন নেই।

আর এইখানে আপনি যদি হিরো হতে চান তাহলে আপনার কম্পিউটার সায়েন্স ইউনিভার্সিটি সময়টা অনেক অনেক অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট।

এই সময়টা আপনি কিভাবে ইউটিলাইজ করছেন,এই সময়টাতে আপনি কি করছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনি আপনার ক্যারিয়ারে কতদূর পর্যন্ত যেতে পারবে।

এটা সত্য যে আপনি একেবারে থার্ড ইয়ার ফোর্থ ইয়ার পর্যন্ত একেবারে কিছু না করেও হয়তোবা ভালো হতে পারেন কিন্তু সেটা এক্সেপশনাল।

আর যত দ্রুত আপনি ব্যাপারগুলোতে সিরিয়াস হবেন তত দ্রুত আপনার জন্য সমূহ সম্ভাবনা থাকবে ভালো কিছু করার জন্য।

এমনও হতে পারে যে কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি কমপ্লিট করার আগেই আপনিও আমার মত জবে ঢুকে যেতে পারেন।

এর বাইরে যদি ক্যারিয়ার এবং পার্সোনাল ফিনান্সিয়াল সম্পর্কে আপনাদের কিছু কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। 

0Shares
ডেটা সায়েন্স,মেশিন লার্নিং এর ফিউচার কি? Previous post ডেটা সায়েন্স,মেশিন লার্নিং এর ফিউচার কি?
যারা আমেরিকায় যেতে পারবে না Next post যারা আমেরিকায় যেতে পারবে না!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ