আমেরিকায় যেতে পারবে না এমন কয়েক শ্রেণীর মানুষ রয়েছে। কেনো যেতে পারবে না তা নিয়ে আজকে বিস্তারিত লিখবো।

কয়েকদিন আগে আমি আমার লিংকডইন প্রোফাইলে একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের লিস্ট প্রকাশ করেছিলাম,যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গতবছর করোনার কারণে জিয়ারি অফ করে দিয়েছিল।

এখন সেখানে লেখা ছিল যে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বছরও করোনার কারণে জিয়ারি অফ করেছে। যে তথ্যটি মূলত সঠিক ছিল না।

মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার এই পোস্টটিতে আমি এত পরিমান রিয়াকশন পেয়েছি,লাইক কমেন্ট হয়েছে যেটি আমার অন্য সাধারন পোষ্টের তুলনায় বেশ কয়েক গুণেরও বেশি।

এ ব্যাপারটি নিয়ে আমি আমার কলিগের সঙ্গে কথা বলছিলাম। আমার কলিগ আবার বেশ কয়েক বছর একটি ইমিগ্রেশন ফার্মে চাকরি করেছেন।

সেখান থেকে তার বেশ অভিজ্ঞতা হয়েছে যে,

অনেক লোক রয়েছে যারা এই দেশ থেকে আমেরিকা তে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি করতে চায়। দিনের পর দিন তারা স্বপ্ন দেখে কিন্তু কখনোই যেতে পারে না।

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির পর যা যা ভুলেও করবেন না!

তো আজকে ব্লগে আমরা কথা বলবো যে কোন শ্রেণীর লোকজন রয়েছে যারা আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কিন্তু কখনোই আমেরিকা যেতে পারে না বা পারবে না।

সবার আগে বলে রাখি এটি একটি ডি-মোটিভেটিং ব্লগ,তাই যে কেউ চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন

এবং আমি এই ব্লগে আমেরিকা নিয়ে কথা বললেও অন্য কান্ট্রির জন্য কিন্তু এই ক্যাটাগরিগুলো প্রযোজ্য হবে।

কুইক কোশ্চেনঃ

বিস্তারিত লেখা শুরু করার আগে আপনাদের জন্য একটি কুইক কোশ্চেন,আপনি কি আপনার জীবনে কখনো আমেরিকাতে পড়াশোনা করতে যেতে চান?

যদি আপনার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট এ জানাবেন ইয়েস আর যদি না থাকে তাহলে বলবেন নো।

আপনাদের কমেন্ট থেকে আমি আসলে জানার চেষ্টা করি যে আমার এই চ্যানেলে কি পরিমান মানুষ রয়েছে যারা বাইরের দেশে পড়াশোনা করতে যেতে চায়।

আমরা একটু চেষ্টা করছি যে এই চ্যানেলে সিরিজ ভিডিও তৈরি করার যেখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন যে কিভাবে আমেরিকা যেতে হবে?

কোন স্টেপ এ কাজ করতে হবে? কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে? তার জন্য কি কি করতে হবে এবং ভুলেও কি কি করা যাবে না।

আপনি যদি এই কয়েক ক্যাটাগরির পারসন দের মধ্যে পড়ে যান তাহলে যদিও আপনার স্বপ্ন রয়েছে আমেরিকা যাওয়ার তারপরও আপনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ডেটা সায়েন্স,মেশিন লার্নিং এর ফিউচার কি?

আমেরিকায় যেতে চাইলে অলস হওয়া যাবে নাঃ

তার মধ্যে এক নাম্বার কারণ হচ্ছে আপনি খুবই অলস প্রকৃতির।

যদি এরকম হয় যে আপনি এত অলস যে,বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইট আপনি ঘাটতে পারেন না,বিভিন্ন ইনফর্মেশন আপনি সার্চ করে খুঁজে বের করতে পারেন না।

এর জন্য আপনাকে ডিফেন্ড করতে হয় অন্য জনের উপর

যদি আপনার অবস্থা এরকম হয় তাহলে কখনই আপনার জন্য আমেরিকা যাওয়া সম্ভব হবে না। 

একটা উদাহরণ দেই,আমার অনেক বন্ধু রয়েছে,অনেক পরিচিত লোকজন রয়েছে যাদের সঙ্গে কথা বললে তারাও জানায় তারা আসলে বাইরের দেশে যেতে চায়।

যখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করে কি অবস্থা কোথায় পড়তে যেতে চান? অ্যাপ্লিকেশন করছেন কোথায়?

বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত

সাধারন ব্যাপারে অন্যর উপর ডিফেন্ড না হওয়াঃ

তখন তারা আমার কাছে উল্টা জানতে চায় যখন সার্কুলার দিবে এডমিশন সার্কুলার দিবে তখন আমি তাদেরকে যেন ওই ব্যাপারে নোটিস করে দেই ইনবক্সে।

এখন আপনি আমাকে বলুন যে আমেরিকাতে কয়েক হাজার ইউনিভার্সিটি রয়েছে আর তাদের সার্কুলার কি তাকে এভাবে ইনবক্স করা সম্ভব।

কখনোই সম্ভব নয়।

তো আপনি  যদি এভাবে এই ক্যাটাগরির পারসন হন যে আপনার সার্কুলারটি আপনি খুঁজে বের করতে পারেন না,স্কলারশিপের ইনফরমেশন টি খুঁজে বের করতে পারবেন না।

সাধারণের কাজের জন্য আপনাকে অন্যের উপর ডিপেন্ড করতে হবে তখন কিন্তু,

আপনার জন্য আমেরিকা যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য এবং সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

চাকরি পাই নাসমস্যা কোথায়?

জি আর ই অথবা আই এল টি এস ছাড়াই আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখাঃ

দুই নাম্বারে যদি আপনি পড়াশোনায় অনেক বেশি অলস হন। বিশেষ করে জিয়ারি অথবা আইএলটিএস নিয়ে যদি আপনার মাথা ব্যথা না থাকে তাহলে আমেরিকাতে যাওয়া আপনার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য।

আমার কলিগ আমাকে জানাচ্ছিলো যে প্রচুর লোকজন রয়েছে দুনিয়ায়,বিশেষ করে আমাদের দেশেও ছেলে মেয়েদের একটাই কথা,

কিভাবে জিয়ারি ছাড়াই আমেরিকাতে যাওয়া যায়? কিভাবে আইএলটিএস ছাড়া আমেরিকা যাওয়া যায়।

লক্ষ করলে দেখবেন যে আমাদের দেশে অনেক এজেন্সি রয়েছে তারা কিন্তু বিভিন্নভাবে লোকজন থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র এই একটি লোভ দেখিয়ে যে,

তারা আপনাকে জিয়ারি অথবা আইএলটিএস ছাড়া আমেরিকাতে পাঠাতে পারবে।

ধরুন তর্কের স্বার্থে আমি মেনে নিচ্ছি যে আপনি জিয়ারি অথবা আইএলটিএস ছাড়া আমেরিকাতে গেলেন। কিন্তু যাওয়ার পরে কি হবে সেখানে আপনার সবসময় ইংরেজিতে কথা বলতে হবে।

এখন আপনি যদি এই দেশ থেকে আইএলটিএস অথবা টয়েফেল না দিয়ে চলে যান তাহলে কি হবে? আপনি কি ওই দেশে যে কমফোরটেবলী কথা বলতে পারবেন?

জি আর ই এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ওখানে কিন্তু আপনাকে সবসময় পড়াশোনা কমপ্লিট করতে হবে আপনাকে কিন্তু পড়াশোনা করে পাস করতে হবে।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

জিয়ারি টয়েফেল কমপ্লিট করতে ভয় পাওয়াঃ

এখন আপনি যদি জিয়ারি এর মত একটা এক্সাম দিতে ভয় পান,জি আর ই এর মত একটি পড়াশোনা করতে ভয় পান তাহলে ওই দেশের পড়াশোনার সঙ্গে আপনি কিভাবে নিজেকে অ্যাডাপ্ট করবেন?

এই সিম্পল প্রশ্নটি যদি আপনি নিজেকে করতে না পারেন। যদি আপনি জিয়ারি ভয় পান,যদি আপনি টোয়েফল ভয় পান,আই এল টি এস ভয় পান,তাহলে কিন্তু আপনার জন্য আমেরিকা যাওয়া সম্ভব নয়।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

রাতারাতি আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখাঃ

তিন নাম্বার ক্যাটাগরি হচ্ছে যদি আপনি আমেরিকাতে খুব দ্রুত যেতে চান লাইক আপনি আজকে প্রসেসিং শুরু করলে আপনি কালকে চলে যেতে চান।

এটি কিন্তু সম্ভব নয়। যদি আপনি আমেরিকাতে যেতে চান এর জন্য আপনার যথেষ্ট সময় লাগবে।

আপনাকে এই স্টেপ বাই স্টেপ অনেকগুলো প্রসেসের মধ্যে দিয়ে আপনাকে যেতে হবে। একেবারে শুরুর দিকেই আপনার প্রোফাইলটি গুছিয়ে ফেলতে হবে।

তারপর আপনাকে এডমিশন নিতে হবে। তারপর ভিসার জন্য দাঁড়াতে হবে। ভিসা অ্যাপ্রভাল হলে প্লেনের টিকিট করে তবেই আপনি যেতে পারবেন।

আপনি কিন্তু আজকে প্লানিং করে আগামী মাসে যেতে পারবেন না ।

এই ধৈর্য ধরো যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি আমেরিকাতে যেতে পারবেন না।

রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে

সেলফ ডিপেন্ডেন্ট না হলে আমেরিকায় যেতে পারবেন নাঃ

আমেরিকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে চার নম্বরে যেই ক্যাটাগরির পারসন গুলো যেতে পারবেনা তারা হচ্ছে সেলফ ডিফেন্ডেন্ট নয় এরকম পারসন।

ব্যাপারটি যদি আমি বুঝিয়ে বলতে পারি সেটি এরকম হবে আমি আমার পোস্টটি যেটি মেনশন করেছি সেটি হচ্ছে এই ইউনিভার্সিটিগুলো এবছর গুলো জি আর ই হোল্ড করেছে ।

এই লিস্টে কিন্তু গত বছরের জন্য ছিল এবছরের কি জন্য কিন্তু অনেক ইউনিভার্সিটি আবার ফিরিয়ে এনেছে।

এখন আপনি যদি এতটাই অন্যের উপর ডিপেন্ড হন,আমি আপনাকে বললাম এবং সেখানে আপনি ভেরিফাই করে দেখার মত অবস্থা আপনার নেই।

নিজে থেকে আপনি চেক করার মত অবস্থা আপনার নেই। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার আমেরিকায় যাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে।

কারণ এই যে লিস্ট আমি আপনাকে দিলাম এর জন্য অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা আপনার জন্য ফাঁদ পেতে বসে  আছে।

যদি আপনারা সেই সমস্ত এজেন্সিতে যান তাহলে দেখবেন তারা আপনাকে এমন ভাবে কথা বলবে যে আগামীকালই তারা কিন্তু আপনাকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দিতে পারবে।

বাস্তবতা হচ্ছে এটি কখনোই সম্ভব নয়। আর আপনি যদি এরকম অলস হন,যদি আপনার এই ইনফর্মেশন গুলো ক্রস চেকঃ করতে না পারে তাহলে কিন্তু আপনার জন্য আমেরিকায় যাওয়া সম্ভব নয়।

ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি?

এই বৈশিষ্ট্য আপনার মধ্য থাকলে কি করবেনঃ

এবারে যদি আপনার অবস্থা এরকম হয়ে থাকে যদি আপনি এই কয়েকটা ক্যটাগরির মধ্য গুলোর মধ্যে পড়ে যান তাহলে কি করবেন?

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

অলসতা দূর করুনঃ

সেই সলিউশন কিন্তু সহজ প্রথমত আপনাকে অলসতা ত্যাগ করতে হবে সেই ক্যাটাগরির বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে।

যেমন ধরেন আপনি কোথাও দেখলেন অথবা আমার পোস্টে আপনি যেয়ে আবার দেখলেন এ বছর যে সকল ইউনিভার্সিটি তে জিয়ারি লাগবে না সে সকল ইউনিভার্সিটি গুলো,

এখনই ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে আপনি ক্রস চেক করে দেখুন এই বছর আসলে কারা কারা সেই লিস্টি আপডেট করেছে। এই বছর আসলেই কারা জি আর ই হোল্ড করেছে।

সেই লিস্ট থে  থেকে আপনি কিন্তু আপনার প্রয়োজন ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন গুলো কালেক্ট করে লিস্ট করে ফেলতে পারেন।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?

আই এল টি এস এ ভালো করার চেষ্টা করুনঃ

আবার আইএলটিএস দেয়ার ক্ষেত্রে ধরুন আপনি প্রচন্ড রকমের অলস। যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে আপনাকে সেই অলসতা থেকে প্রথমে বের হয়ে আসতে হবে।

আইএলটিএস এর জন্য আপনাকে প্রিপারেশন নিতে হবে। জি আর ই এর জন্য প্রিপারেশন নিতে হবে।

যখন আপনি প্রিপারেশন নিয়ে ভালো পরীক্ষা দিবে এটি যে শুধুমাত্র আপনাকে এডমিশন পেতে সহায়তা করবে তা কিন্তু 9 আমেরিকাতে যাওয়ার পরেও আপনাকে কিন্তু অনেক বেশি সহায়তা করবে।

সেখান থেকে আপনার ডিগ্রী অর্জন করতেই আইএলটিএস কিন্তু তখন আপনাকে সহায়তা করবে।

যদি আপনি বাইরের দেশে যেতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে অলসতা ত্যাগ করতে হবে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

সেলফ ডিফেডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করুনঃ

সেলফ ডিফেডেন্ট হতে হবে। একটা ইনফরমেশন কিভাবে বের করতে হয়,কিভাবে নিজের কাজগুলো নিজে করতে হয় এই জিনিসগুলো জানতে হবে।

আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য স্পেশাল ভাবে যে আপনি পরীক্ষাগুলো দিবেন সেগুলো তা অবশ্যই এপেয়ার করতে হবে।

আপনি হয়তো এক্সাম্পল দিতে পারেন যে গত বছর অনেকেই চলে গেছেন অথবা আপনার অমুক তমুক অনেকেই চলে গেছেন।

বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!

রিসার্চ প্রফাইল তৈরি করুনঃ

এগুলো কিন্তু এক্সেপশনাল কেস। তার যে রিসার্চ প্রোফাইল রয়েছে,তাদের যে রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে সেটা কিন্তু আপনার থেকে অনেক অনেক বেশী উপরে।

আর যখন আপনি তা উপরে নিয়ে যেতে পারেবেন তখন কিন্তু আপনি এভাবে আমার চ্যানেলের ইউটিউব ভিডিও দেখতে হবে না।

ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না

বাই দ্যা ওয়ে আমি কিন্তু আমেরিকান কোনে  অ্যাটর্নি নই অথবা এক্সপার্ট নই

এইযে ইনফরমেশন গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম এগুলো আমার এবং আমার কলিগের ইনফরমেশন।

তো কেন আমেরিকা যেতে পারবেন না? এই নিয়ে বিস্তারিত ব্লগে এই পর্যন্ত ছিল।

এরপরও যদি আপনাদের কিছু জানা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। 

0Shares
কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির পর যা যা ভুলেও করবেন না! Previous post কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির পর যা যা ভুলেও করবেন না!
ক্যাম্পাস এম্বাসেডর বা অর্গানাইজেশন এর কাজ কি? Next post ক্যাম্পাস এম্বাসেডর বা অর্গানাইজেশন এর কাজ কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ