ক্যাম্পাস এম্বাসেডর বা অর্গানাইজেশন এর কাজ কি? তা নিয়ে আমাদের একটা বিস্তর আলোচনা করা উচিত।

আমাদের অনার্স লাইফে আমরা কি করছি তার উপর কিন্তু অনেকাংশে নির্ভর করে,বলতে গেলে সিংহভাগই নির্ভর করে আমাদের ফিউচার ক্যারিয়ার কেমন হবে।

আমরা আমাদের অনার্স লাইফে লম্বা সময় কাটাই ইউনিভার্সিটি লাইফে বলতে গেলে ইউনিভার্সিটিগুলো আমাদের জন্য হচ্ছে একটা সেকেন্ড হোম।

ইউনিভার্সিটি লাইফে আমরা যে বিভিন্ন ক্লাবে জয়েন করি এই ক্লাবে অরগানাইজেশন গুলো কিভাবে ক্যারিয়ারের সাহায্য করতে পারে?

যারা আমেরিকায় যেতে পারবে না!

অথবা আদৌ হেল্প করে কিনা এই বিষয়টি নিয়ে আজকে কথা বলব।

পাশাপাশি আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর। বর্তমান সময়ে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর একটা বার্নিং ইস্যু হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে যেন কথা না বললেই হচ্ছে না। আর এই ব্লগের বিস্তারিত অংশের মূল অংশ শুরু হবে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নিয়ে।

এর মূল কারণ হচ্ছে ক্যাম্পাস এম্বাসেডর নিয়ে আমার একটা খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে অলরেডি।

ক্যাম্পাস এম্বাসেডর প্রতিষ্ঠানটি আপনার ক্যারিয়ারে কোনো সাহায্য করবে কিনা সেটি জানার আগে চলুন আমরা একটা স্টোরি জেনে আসি।

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তিরপর যা যা ভুলেও করবেন না!

ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলিঃ

লাস্ট কয়েক মাসে আমাকে একটা অর্গানাইজেশনে সিস্টার্স কনসালটেন্ট আরেকটি বিশেষ অরগানাইজেশন থেকে মোট ছয়জন অ্যাম্বাসেডর একই টেক্সট মেসেজ আমাকে,

লিংকডইনে পাঠিয়েছেন যে তাদের লিংকডইন পেজটিতে আমি ফলো করি এবং লাইক দেই।

ছয় জন মানুষ কিভাবে একই মেসেজ আমাকে পাঠাল যেখানে তাদের সঙ্গে আমার পার্সোনালি কোন কথা হয়নি।

কোন কমিউনিকেশন ও হয়নি,এর মধ্যে তারা আমাকে এরকম একটা মেসেজ পাঠিয়েছে?

মেসেজ একজন পাঠাতেই পারে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার কথা হচ্ছে আপনারা সবাই একই মেসেজ পাঠাচ্ছি এর মানে হচ্ছে আপনি স্পামিং করছেন।

ডেটা সায়েন্স,মেশিন লার্নিং এর ফিউচার কি?

আর এই যে আপনি স্পামিং করছে এটি কিন্তু আপনি নিজেই বুঝতেই পারছেন না।

এই স্পামিং টি আমার চোখে পড়ার পরে এটি নিয়ে আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম আমার লিংকডইনে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে  লিংকডইন স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে আরো দুইজন ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর একই মেসেজ আমাকে পাঠিয়েছে তাদের পেজটি ফলো করার জন্য।

ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর দিয়ে যেভাবে কামলা খাটানো হচ্ছেঃ

তাহলে এবার বুঝুন যে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর দের অবস্থা কি? তাদের দিয়ে কি কাজ করানো হচ্ছে আর তাদের দিয়ে কিভাবে কামলা খাটানো হচ্ছে।

বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত

আমি আসলে জানি না আপনারা আসলে কামলা শব্দের সঙ্গে পরিচিত কিনা। কামলা শব্দটা হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলে আমরা অনেক সময় অনেক লোক লেবার হিসেবে হায়ার করে থাকি।

আমাদের দেশেও ক্যাম্পাস এম্বাসেডর দের এখন যদিও কামলা বলা যায়না,কারণ তারাতো হচ্ছে আনপেইড।তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন রকম স্পামিং করানো হচ্ছে আনপেইড ভাবে।

তাদেরকে শুধুমাত্র একটা ট্যাগ লাইন দেয়া দেয়া হচ্ছে তারা সে ট্যাগলাইন নিয়ে লাফাতে লাফাতে ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী বিভিন্ন রকম স্পামিং করে যাচ্ছে।

চাকরি পাই নাসমস্যা কোথায়?

 তারা নিজেরা যে স্পামিং করছে এটি তারা একবার চিন্তাও করে দেখছে না। 

এটি ছিল আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবারে চলুন মূল টপিকের বিস্তারিত লেখা শুরু করা যাক যে ক্যাম্পাস এম্বাসেডর গুলো

ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর আপনার ক্যারিয়ারে কোন ভাবে সাহায্য করবে কিনা?

রিসেন্টলি যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর,ক্যাম্পাস হিরো,ক্যাম্পাস ব্লা ব্লা ব্লা অনেক কিছুই এই যে ট্রেন্ডগুলো শুরু হয়েছে এগুলো শুধুমাত্র ওই কোম্পানির প্রমোশনের জন্য।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

এটি কিন্তু এ্যাবসল্যুটলী ফাইন কারণ সব কোম্পানি কিন্তু ক্যাম্পাসে এম্বাসেডর হায়ার করে তাদের প্রমোশনের জন্য।

ভাই তারা অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামগুলো চালু করে কোম্পানির প্রমোশনের জন্য।

বাট প্রবলেম হচ্ছে রিসেন্ট যেই ক্যাম্পাস এম্বাসেডর প্রোগ্রামগুলো আমি দেখেছি বাবা আমার চোখে পড়েছে সেগুলো সবাই কিন্তু শুধুমাত্র তাদের প্রমোশন করছে পাশাপাশি তারা স্পামিং ও করছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর আপনার স্কিল আপ করছে?

এবারে আসি আপনারা যারা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হচ্ছেন আপনারা আসলে কি করছেন স্পামিং করছেন বা একই মেসেজ কপি পেস্ট করে অন্যজনকে পাঠাচ্ছেন কেনো। 

এটি কি কোন ভাবে আপনাকে স্ক্রিল আপ করছে?

এটিকে আপনার স্কিলস কে নেক্সট লেভেল এ নিয়ে যাচ্ছে?

এটি আপনার কমিউনিকেশন গ্রো করছে? 

রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে

যদি আপনার স্কিল আপ না করে,যদি আপনার কমিউনিকেশন গ্রো না করে,যদি আপনার কোন বেনিফিট না দেয় তাহলে এই ক্যাম্পাসে এম্বেসেডর প্রোগ্রামটি আপনার ক্যারিয়ারে কিভাবে সাহায্য করবে? 

এই প্রশ্নটিই আপনাদের কার জন্য রেখে গেলাম আপনারা অবশ্যই এই প্রশ্নটির উত্তর কমেন্ট বক্সে দিয়ে যাবেন।

যাতে করে আমি এবং আমার অডিয়েন্স না বুঝতে পারে এই ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এর বেনিফিট আসলে কোথায়

ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হয়ে কি আসলেই লাভ নেই?

ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি?

এবারে ক্যাম্পাস এম্বাসেডর দের নিয়ে একটু পজিটিভ কথা বলা যায়।

যদি আপনি ইন্টার্নেশনালি কোন ভ্যালুয়েবল অর্গানাইজেশনের ক্যাম্পাস এম্বাসেডর হতে পারেন সেটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে লিমিটেড কিছু জায়গায়।

যেমন আপনি যদি হান্ট প্রাইজের ক্যাম্পাস এম্বাসেডর হন তাহলে সেটি কিন্তু আপনাকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গুলোতে এডমিশন পেতে সামান্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

আবার আমি যদি ইন্টার্নেশনালি কোন বড় কোম্পানিতে জয়েন করতে চান সেখানেও কিন্তু লিমিটেড পর্যায়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

 ইউনিভার্সিটিগুলোর অরগানাইজেশন করে লাভ কিঃ

এবার আসি ইউনিভার্সিটিগুলোর ক্লাবগুলোর কথায় অরগানাইজেশন গুলোর কথা।

এখানে একটি মজার ঘটনা রয়েছে ইউনিভার্সিটি তে জয়েন করার পরেই অনেক সিনিয়র রয়েছে যারা আপনাকে বলবে আপনি এই অর্গানাইজেশনের জয়েন করলে আপনার সিভি ভারী হবে।

ওই অর্গানাইজেশনে জয়েন করলে আপনার সিভি তে আপনি এটি যোগ করতে পারবেন।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?

মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই সিনিয়র কিন্তু নিজেই ফ্রাস্টেটেড তার জব নিয়ে। তার সিভি কিভাবে লিখবে সে নিজেই জানে না।

তাই ইউনিভার্সিটি তে ঢুকেই আপনি এই ক্লাব,সেই ক্লাবে যদি আপনি জয়েন করেন সেগুলো আপনার ক্যারিয়ারে কোনো ভাবেই সাহায্য করবে না।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

ইউনিভার্সিটিগুলোর কিছু অরগানাইজেশন আপনাকে সাহাজ্য করবেঃ

তবে ইউনিভার্সিটির কিছু ক্লাব রয়েছে সেগুলো আপনাকে হেল্প করতে পারে। সেগুলো আপনাদেরকে আমি এক এক করে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি।

যদি আপনি কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনার জন্য প্রোগ্রামিং ক্লাব যদি থাকে কোন ইউনিভার্সিটি তে সেটি আপনাকে অনেক বেশি সাহাজ্য করতে পারে।

তবে একটা ব্যাপার সব সময় মনে রাখবেন দেশীয় প্রোগ্রামিং ক্লাবগুলোতে চাটুকারিতা আর সিনিয়রদের সঙ্গে মিলেমিশে কিভাবে পদ বাগিয়ে নেওয়া যায় সেগুলো শেখানো হয়।

বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!

যদি আপনার ইউনিভার্সিটি তে এই ধরনের ক্লাব থেকে তাহলে এই ধরনের ক্লাবকে এভোয়েড করার চেষ্টা করুন।

আমার জানা মতে দেশে বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি রয়েছে যাদের ক্লাব এবং কালচার খুবই সুন্দর খুবই ভালো।

তবে বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটি ক্লাব কালচার গুলো খুবই বাজে। যেখানে আপনাকে শেখানো হবে চাটুকারিতা,এখানে আপনাকে শেখানো হবে চামচামি ।

শেখানো হবে কিভাবে আপনি সিনিয়রদের সঙ্গে মিলে মিশে দুর্নীতি করবেন।

ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা কি বলেঃ

আমি আমার একটা পরিচিত ক্লাবের কথা বলছি কিন্তু আমি ইউনিভার্সিটির নাম বলছি না সংযত কিছু কারণে।

সেই ইউনিভারসিটিতে শুধুমাত্র সিনিয়রদের সঙ্গে পরিচিত থাকার কারনে,সিনিয়রদের সঙ্গে রেয়াজে থাকার কারণে একটা টিম কনটেস্টে পার্টিসিপেট করে।

এবং এই টিমটা কে জয়ী করার জন্য ৩ বার সেই প্রোগ্রামিং ক্লাবটি তাদের প্রোগ্রামিং কনটেস্ট আয়োজন করেছে।

ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না

আপনি চিন্তা করতে পারেন যে একটা টিমকে জয় করার জন্য,একটা টিমকে এসএম পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য একটা প্রোগ্রামিং ক্লাব তিনবার  একটা কনটেস্ট আয়োজন করেছে!

দুই বার ফেল করেছে তাই আগের দুইটি কন্টাক্ট বাতিল করে দেয়া হয়েছে শুধু মাত্র পারসিয়ালিটি এর কারনে।

তো আপনার ইউনিভার্সিটিগুলোর ক্লাবগুলোর কালচার যদি এরকম হয় তাহলে এই ধরনের ক্লাব থেকে আপনি দূরে থাকবেন।

রাদার আপনি হ্যাকারর র‍্যাংকে প্রবলেম সলভ করুন অথবা অন্যকোন অনলাইন জাজে প্রবলেম সলভ  করুন। সেটি আপনার ক্যারিয়ারের অনেক বেশী সাহায্য করবে।

সব শেষে আবারও আপনাদের জন্য একটি ডিসক্লেইমার দিতে চাই এই ব্লগের বিস্তারিত সাথে শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত মতামত।

যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে খুবই ভালো কথা,আর যদি ভালো না লাগে তাহলে অবশ্যই এই ব্লগটি এভোয়েড করতে পারেন। আমার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে আমার পাশে থাকুন।

0Shares
যারা আমেরিকায় যেতে পারবে না Previous post যারা আমেরিকায় যেতে পারবে না!
দেশে বসেই বিদেশি রিমোট জব করবেন যেভাবে! Next post দেশে বসেই বিদেশি রিমোট জব করবেন যেভাবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ