ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না,আর যদি করে ফেলেন তাহলে এটি আপনার ক্যারিয়ার হুমকিতে ফেলে দিতে পারে।

তো আজকের ব্লগে আমার কথা বলব যে ফ্রেসার হিসেবে যখন আপনি কোন কোম্পানিতে জয়েন করবেন,তখন কিভাবে আপনি কোম্পানি সিলেক্ট করবেন।

কি কি বিষয় আপনার খেয়াল রাখতে হবে এবং কিভাবে আপনি আপনার ফাইনাল ডিসিশন নিতে পারেন।

যাতে করে আপনি আপনার ক্যারিয়ারের ভবিষ্যতে অনেক ভালো করতে পারেন।

বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!

চলুন বিস্তারিত ব্লগ শুরু করা যাক,

তবে বিস্তারিত ব্লগ শুরু করার আগে আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন করতে চাই,

আপনাদের মধ্যে যারা এই মুহূর্তে আমার ব্লগ পড়ছেন এবং অলরেডি চাকরি শুরু করেছেন তারা কোন ইয়ারে চাকরি শুরু করছেন সেটি কমেন্টে আমাকে জানিয়ে দিন।

এবং যারা এখন রানিং স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা কোন ইয়ারে গ্রাজুয়েশন শেষ করবেন সেটিও আপনি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

যাতে করে আমরা বুঝতে পারি যে আপনাদেরকে ভবিষ্যতে কোন ধরনের কনটেন্ট প্রোভাইড করলে আপনাদের ক্যারিয়ার আপনি সহজেই সফলতা পেতে পারেন।

আমাদের দেশে কি হয়ঃ

আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা সাধারণত গ্রাজুয়েশন করার শেষেই যে কোন একটি চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চাকরিতে জয়েন করে ফেলেন।

তবে এই সিদ্ধান্তটি অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত হয়না। অনেক সময় তাদের একটি খারাপ এক্সপেরিয়েন্স এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

ফ্রেশার হিসেবে আপনি কোন কোম্পানিতে জয়েন করছেন তা কিন্তু আপনার পুরো ক্যারিয়ারের জন্য অনেকটা নির্ভর করে।

বলা হয়ে থাকে একটা ভালো বস মানে একটা ভালো ক্যারিয়ার।

আর সেখানে যদি আপনি একটি খারাপ বস পেয়ে যান তাহলে কিন্তু আপনার ক্যারিয়ারের দুঃসময়ে আসতে পারে।

তাই যখন আপনি ফ্রেশার হিসেবে কোন কোম্পানিতে জয়েন করবেন আপনার অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।

ফ্রেশার হিসেবে আপনি কি কি সমস্যার সম্মুখীন হবেনঃ

সমস্যা হচ্ছে আমি ইউটিউব এত ঘাটাঘাটি করছিলাম যে ফ্রেশার হিসেবে কিভাবে কোম্পানি সিলেক্ট করবেন সে ব্যাপারে খুব একটা রিসোর্স কিন্তু আমাদের হাতে নেই

এখানে আমি আরেকটু বেশি ঘাটাঘাটি করে অনেক সিনিয়র এর সঙ্গে কথা বলে,অনেক জুনিয়র এমপ্লোয়ার দের সাথে কথা বলে আর নিজের এক্সপেরিয়েন্স কাজে লাগিয়ে এই ব্লগটি বানাচ্ছি।

তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রেশার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ারের শুরুতেই কেন সবকিছু বিবেচনা করে কোন একটি কোম্পানিতে জয়েন করা উচিত।

রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে

স্বাভাবিক গ্রোথ হবেনাঃ

প্রথম কারণ হচ্ছে আপনার ক্যারিয়ার  গ্রোথ এর জন্য এটি খুব ইম্পর্টেন্ট। 

ধরেন কোন একটি কোম্পানিতে আপনি চাকরি পেয়ে গেলেন এবং সেখানে জয়েন করে ফেললেন।

তাহলে কি হবে আপনি মাত্র ছয় মাস আট মাস অথবা ১০ মাস এরকম সময়ে আপনি যদি সেখান থেকে সুইচ করেন তাহলে এই এক্সপেরিয়ান্স দেখে কিন্তু অন্য কোম্পানিতে  সিনিয়র পোস্টে জয়েন করতে পারবেন না।

আপনার আবারো ফ্রেশার হিসেবে জুনিয়র পোস্টে জয়েন করতে হবে।

তাহলে এই যে আপনি আপনার লাইফের মূল্যবান সময়গুলো ব্যয় করলেন কোন একটি কোম্পানিতে এটির ভ্যালু কিন্তু আপনার ক্যারিয়ারের কোন ভাবে যোগ হচ্ছে না।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?

নতুন কিছু শেখার সুযোগ থাকবে নাঃ

সেকেন্ড কারণ হচ্ছে যদি আপনি শুরুতেই এমন কোন কোম্পানিতে জয়েন করেন যেখানে কিছু শেখার সুযোগ নেই।

যেখানে আপনার চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ নেই অথবা যেখানে আপনার কোন ইমপ্রুভ হচ্ছে না।

এবং ১ থেকে ২ বছর পরে দেখা গেল ওই কোম্পানি থেকে যদি সুইচ করে অন্য কোম্পানিতে গিয়ে ভালো একটা কোম্পানিতে গিয়ে আপনাকে অ্যাডাপ্ট করা কিন্তু অনেক বেশি কঠিন হবে।

কারন বড় কোম্পানি তে কিন্তু অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ থাকে। সেখানে কিন্তু আপনার অনেক কিছু শিখতে হবে অনেক কিছু করতে হবে।

তা না হলে কিন্তু আপনি সিনিয়র পোষ্টে জয়েন করতে পারবেন না। 

কম খরচে কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে চান?

বসের সাথে বন্ডিং খারাপ হবেঃ

তিন নাম্বার কারণ হচ্ছে শুরুতে যদি আপনি এমন কোন কোম্পানিতে জয়েন করেন যেখানে বসের সাথে আপনি সম্পর্ক খুবই খারাপ।

তখন কি হতে পারে একটা খারাপ এক্সপেরিয়েন্স এর সাথে ওই কোম্পানিতে শেষ করতে পারেন।

আপনি যখন ওই কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে সুইচ করবেন তখন একটা বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে আপনাকে যেতে হবে।

যেটি আপনার ক্যারিয়ারে কোনো ভাবেই আলাদা করে ভ্যালু অ্যাড করবে না।

ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা বেসরকারি ইউনিভার্সিটি

ব্যাড নেটওয়ার্কিং তৈরি হবেঃ

লাস্ট যে কারণটি আমি উল্লেখ করতে চাই সেটি হচ্ছে যদি আপনার প্রথম কোম্পানিতে খুবই বাজে এক্সপেরিয়েন্স এমনও হতে পারে যে,আপনার কাজের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসবে।

আপনার এমন হতে পারে যে সেই ডিপার্টমেন্ট থেকেই সুইচ করার চেষ্টা করতে পারেন যেটি খুবই বাজে একটি ব্যাপার।

যদি আপনি হঠাৎ করে কোম্পানি ছেড়ে দেন তাহলে সেখান থেকে কিন্তু আপনার ব্যাড নেটওয়ার্কিং তৈরি হবে।

পাশাপাশি আপনি যেই কোম্পানি থেকে চলে আসলেন সেই কোম্পানিতে কিন্তু আপনার কোন নেটওয়ার্কিং থাকছে না।

যেটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

যদি আপনি ফ্রেসার হিসেবে কোন একটি কোম্পানিতে বিচার বিবেচনা না করেই কোন একটি কোম্পানিতে জয়েন করেন তাহলে এই সমস্যাগুলো আপনি পড়তে পারেন।

এবারে চলুন দেখা যাক যে আপনি কিভাবে বিচার বিবেচনা করবেন কোন কোম্পানিতে আপনার  জয়েন করা উচিত।

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে ম্যাথ,ইংরেজি নিয়ে চিন্তিত!

কোম্পানিগুলোকে সাধারণত আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।

প্রথমত হচ্ছে বড় কোম্পানি,আরেকটি হচ্ছে ছোট কম্পানী। 

ছোট কোম্পানির মধ্যে স্টার্টআপ রয়েছে, মিড লেভেল কোম্পানি রয়েছে,স্ট্রাগলিং কোম্পানি রয়েছে আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে।

আর বড় কোম্পানি বলতে বোঝায় যে কোম্পানিগুলো একেবারে ওয়েল স্ট্যবিলশিড।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে!

এখন আপনি কোন কোম্পানিতে জয়েন করবেনঃ

অথবা আপনার কোন কোম্পানি তে জয়েন করা উচিৎ ?

বড় কোম্পানি তে জয়েন করলেঃ

এখানে যদি আপনি বড় কোম্পানিতে জয়েন করেন আপনার সেলারি একটি ফিক্স স্যালারি হবে।

পাসাপাশি সেখানে আপনার ইমপ্রুভ করার জায়গা কম থাকবে,সেখানে আপনি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ থাকবে না। এবং আপনার কাজগুলো ক্যাটাগরাইজ করা থাকবে।

আপনি আপনার এরিয়ার মধ্যে স্পেসিফিক কাজ করতে হবে।

শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?

ছোট কোম্পানি তে জয়েন করলেঃ

আর যদি আপনি ছোট কোম্পানিতে জয়েন করেন সেখানে কিন্তু আপনার একাই অনেকগুলো কাজ হ্যান্ডেল করতে হবে।

সেখানে আপনার চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ থাকবে, সেখানে কিভাবে স্মল আউটপুট থেকে বিগ আউটপুট বের করতে হয় সেটার জন্য আপনাকে দিনের পর দিন স্ট্রাগল করতে হবে।

এখন যদি আপনি শুরুতেই ওয়েল স্টাবলিশ হতে চান,যদি আপনার দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে হয় শুরুতেই আপনার ভালো আইডেন্টিটি দরকার হয়,সেই ক্ষেত্রে আপনি বড় কোম্পানিগুলো তে জয়েন করতে।

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভার্সিটি ম্যাটার করে?

স্টার্টাপ বা উদ্যোক্তা হতে চাইলেঃ

আর যদি মনে হয় যে ভবিষ্যতে আপনি কোন কোম্পানি শুরু করবে ভবিষ্যতে আপনি উদ্যোক্তা হতে চান বা ভবিষ্যতে আপনি হাজার হাজার মানুষকে লিড দিতে চান,

তাহলে আপনার শুরুতেই ছোট বা মাঝারি ধরনের কোম্পানিতে স্টার্টার ধরনের কোম্পানিতে জয়েন করা উচিত।

স্টার্টাপের যথা যখন আসলো তখন বলতেই হয় যে আমার ইউটিউব চ্যানেলে অন্য একটি ভিডিও রয়েছে স্টার্টআপ সম্পর্কে।

সেখানে আমি বিস্তর আলোচনা করেছি স্টুডেন্ট লাইফ স্টার্টাপ দিকে দিকে যাওয়া উচিত কিনা। চাইলে ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন।

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

কোম্পানি স্যালারি ক্লিয়ার করে কখনঃ

যখন আপনি কোন একটি কোম্পানিতে ফ্রেশার হিসেবে জয়েন করবেন আপনার কিছু বিষয়ে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

সেই কোম্পানিতে কখন সেলারি ক্লিয়ার করে থাকে। যদি দেখেন কোন একটি কোম্পানি সেই মাসের স্যালারি কোন মাসে ২৭-২৮ তারিখ অথবা ৩০ তারিখের মধ্যে ক্লিয়ার করে।

অথবা পরের মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ক্লিয়ার করছে তাহলে সেই কোম্পানিগুলো ভালো কোম্পানি ।আপনি চাইলে সেই কোম্পানিতে জয়েন করতে পারেন।

এ ব্যাপারে বেশিরভাগ কোম্পানির কিন্তু স্টেটমেন্ট দিয়ে থাকে যে তারা কিন্তু সঠিক সময়ে তাদের স্যালারি ক্লিয়ার করে থাকে।

আপনি যদি ওই কোম্পানির এক্স কর্মী দের সাথে কথা বলেন তাহলে আসলে ওই কোম্পানি কোন সময়ে সেলারি ক্লিয়ার করে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কোন কোম্পানিতে জয়েন করার পূর্বেই বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

এমপ্লোয়ারদের বাউন্স রেট দেখুনঃ

এরপরে যদি বিবেচনা করতে হবে যে ওই কোম্পানিতে এমপ্লোয়ারদের বাউন্স রেট কেমন।

যদি এমপ্লোয়ারদের বাউন্স রেট ৭৫ পার্সেন্ট এর উপর হয়ে থাকে,তাহলে ওই কোম্পানিতে অন্য কোন সমস্যা রয়েছে।

আইদার তাদের ম্যানেজমেন্টের সমস্যা রয়েছে অথবা ইন্টার্নাল কোন পলিটিক্স জনিত সমস্যা রয়েছে।

যদি কোন কোম্পানিতে ইন্টারনাল কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু ওই কোম্পানির এমপ্লোয়ারদের বাউন্স রেট অনেক বেশি হয়ে থাকে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

ইগইজম এর একটু সমস্যা রয়েছেঃ

আমি নিজে যেহেতু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত এখানে আমি আমার একটি ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করতে চাই।

আমাদের দেশের মানুষের মধ্যেই ইগোইজম অনেক বেশি,আমাদের মধ্যে অনেক অহংকারী মানুষ রয়েছে যাদের সঙ্গে কথায় বলা যায়না।

এ কারণে অনেকেই রয়েছেন যারা বসের কথা শুনতে চান না,যারা সিনিয়রদের কথা শুনতে চান না এ কারণে অনেকেরই পড়ে কিন্তু এই কারণে বাউন্স করে যায়।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

কোম্পানির এমপ্লোয়ারদের বাউন্স রেট জানবেন কিভাবেঃ

এখন এখানে প্রশ্ন হচ্ছে কোম্পানির কর্মীরা বাউন্স করে কোথায় যাচ্ছে অথবা কোম্পানি কোন কর্মীদের বাউন্স পার্সেন্টেজ কত এটা আপনি কিভাবে জানবেন?

যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে কোন কোম্পানিকে অথবা ভালো রেপুটেড কোন কোম্পানিকে ফলো করতে থাকেন।

আপনার স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই কমিউনিকেশন করতে থাকেন তাহলেই কেবল এই ফরমেশন গুলো পেতে পারেন।

তাই আপনি যদি বাউন্স রেট বিবেচনায় না নেন তবে সমস্যা নেই কিন্তু কোন কোম্পানি  এমপ্লোয়ারদের বাউন্স রেট যদি অনেক বেশি হয়ে থাকে ৭৫ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি ?

ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স কেমনঃ

কোন কোম্পানিতে ফ্রেশার হিসেবে জয়েন করার সময় দেখতে হবে ওই কোম্পানির ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স এর কি অবস্থা।

বিশেষ করে ক্লায়েন্ট বেজড যে কোম্পানিগুলো রয়েছে সেখানে অনেক সময় ওয়ার্ক লাইফ এর ব্যালেন্স এর কোন অবস্থায় থাকে না।

দেখা যায় যে যে কাজটি ১০ জন মানুষ ১ মাসে করতে পারত সেই কাজটি ৫ জন মানুষকে ১ মাসে করতে হতে পারে।

আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন এই অবস্থায় আপনার কি পরিমান কাজ করা লাগতে পারে। এবং কী পরিমান এক্সট্রা কাজ করা লাগতে পারে।

ইন্টার পলিসি কেমনঃ

আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে অনেক সময় কোম্পানিগুলোর ইন্টার পলিসি খুবই বাজে থাকে।

যেমন আপনি অফিসে ৫ মিনিট লেট করলে আপনার থেকে এক ঘন্টার সেলারি কাটা হবে,আপনি অফিস থেকে পাঁচ মিনিট আগে বের হলে আপনার ১ ঘন্টার স্যালারি কাটা হবে।

যদি কোন কোম্পানীর অবস্থা এরকম হয়ে থাকে ফ্রেশার হিসেবে এই ধরনের কোম্পানি সবসময় আমি এভোয়েড করতে বলবো।

এতোকিছু ইনফর্মেশন গুলো আপনি পাবেন কোথায়?

আপনি যদি ইন্টার্নেশনাল ওয়েবসাইটে বড় জবস কোম্পানিগুলোর রেটিং দেখার চেষ্টা করে তাহলে আপনি কোম্পানিগুলোর বর্তমান অবস্থা বুঝতে পারবেন।

আর যদি ছোট কোম্পানী হয় অথবা স্টার্টআপ টাইপের কোম্পানি হয় সেই ক্ষেত্রে আপনার আশ্রয় নিতে হবে ওই কোম্পানির ইএক্স এমপ্লোয়ারদের কাছে।

টিম সাইজের অবস্থা বিবেচনা করুনঃ

কোন কোম্পানিতে ফ্রেশার হিসেবে জয়েন করার সময় ওই কোম্পানির  টিম সাইজের কি অবস্থা,আপনি যেই টিমে জয়েন করবেন সেই টিমের কি অবস্থা এটিও আপনার বিবেচনা করা উচিত।

যদি এরকম হয় যে আপনার মাধ্যমে কোন একটি কোম্পানি ইরিটেশন ক্রিয়েট করছে অথবা কোন একটি টিম শুরু করছে।

সেই ক্ষেত্রে ফ্রেশার হিসেবে আমি সবসময় ডিসকারেজ করি এ ধরনের টিমে জয়েন না করার জন্য।

কারণ আপনি যখন শুরুতেই এ ধরনের টিমে জয়েন করবেন শুরু থেকে কিন্তু আপনাকে টিম লিড দিতে হবে। আপনার কিন্তু সেখানে তেমন একটা অপারচুনিটি থাকবে না শেখার জন্য।

ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা কি বলেঃ

রিসেন্টলি আমি আমার একটা ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম ও বেশ ভালো সেলারি পায় কিন্তু তারপর ও সে তার জব সুইচ করতে চায়।

তো আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন সে তার জব সুইচ করতে চায়।

তখনো আমাকে সে বল্লো যে ওই কোম্পানিতে অনেক বেশি স্যালারি দেয় দ্যাটস অল রাইট কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে ওই কোম্পানিতে আমার উপর সিনিয়র কেউ নেই।

যে কারণে দেখা যায় ওর কিন্তু শুরু থেকেই সিনিয়রদের যে লিডিং সিস্টেমটা রয়েছে সেটিও হ্যান্ডেল করতে হয়।কোম্পানির যে মালিক পক্ষ রয়েছে তাদের সঙ্গে হ্যান্ডেল করতে হয়।

যে কারণে ওর যে সিনিয়রদের থেকে শেখার কথা সেটি তো তার হচ্ছেই না উল্টা তাকে আরো বেশি প্রেসার নিতে হচ্ছে।

এ কারণেই সে তার জবটা ছেড়ে দিতে চায়।

আমি যদি ফ্রেশার হিসেবে কোন একটি কোম্পানিতে জয়েন করে যেখানে আপনি কোন একটি টিম লিডার।

বা আপনার মাধ্যমে কোন একটি টিম শুরু হবে,তাহলে আপনার অবস্থান কিন্তু এরকম হতে পারে।

কোম্পানির রেপুটেশন বিবেচনা করুনঃ

কোন কোম্পানিতে জয়েন করার পূর্বে সেই কোম্পানির রেপুটেশন কিন্তু বিবেচনা করা উচিত স্পেশালি ফ্রেসার হিসেবে।

যখন আপনি আপনার গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে কোন একটি কোম্পানিতে জব শুরু করেন,এটি কিন্তু আপনার জন্য একটা কি ট্রানজেকশন পিরিয়ড।

সাধারণত এই পিরিয়ডে আপনি অনেক বেশি এক্সাইটেড থাকবেন।

এবং এক্সাইটেড থাকার কারণে যে কোন কোম্পানিতে জয়েন করার সাথে সাথেই আপনি আপনার ফেসবুকে লাইফ ইভেন্ট যোগ করবেন।

একই সাথে বড় বড় পোস্ট এবং কোম্পানি রিলেটেড আরো অনেক বড় বড় পোস্ট দিবেন।

যদি কোম্পানির রেপুটেশন ভালো না থাকে খারাপ থাকে,তাহলে কিন্তু সেই পোস্টগুলোতে থেকে নেগেটিভ ফিডব্যাক পেতে পারেন।

সেই ফিডব্যাক দেখে কিন্তু আপনার মন খারাপের কারণ হতে পারে।

আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে ফ্রেশার হিসেবে কোন কোম্পানিতে জয়েন করার পরে সেই কোম্পানি নিয়ে কথা বলার সময় অন্য কেউ সে কোম্পানি চিনবে না তখন কিন্তু এটি খুবই আপনার জন্য অপমানের কারন হবে।

যদিও এই ব্যাপারটি আপনি নেগ্লেট করতে পারেন। তারপরও যদি আপনার হাতে সুযোগ থাকে আপনার মত অপশন থাকে যে,

রেপুটেড কোম্পানি রয়েছে সেই কোম্পানিগুলোতে আপনি জয়েন করতে পারেন।

ফ্রেশার হিসাবে কোন কোম্পানিতে জয়েন করা উচিত সে ব্যাপারে বিস্তারিত ব্লগের ছিল এই পর্যন্তই।এর পরও যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। 

0Shares
বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে! Previous post বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!
বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত Next post বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত

One thought on “ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ