স্টুডেন্ট লাইফে আয়ের জন্য যে ভুল কখনো করবেন না,আর যদি ভুল করে বসেন তাহলে ক্যারিয়ারের শেষে আপনার অবস্থা কি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখবে না।
তো আমারা আজকের ব্লগে কথা বলব স্টুডেন্ট লাইফে আপনার কি ধরনের কাজ করা উচিত? আর কি ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
একই সাথে কি কাজ করলে আপনার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পরতে পারে অথবা আপনার যে মূল উদ্দেশ্য রয়েছে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এখান আমার কথা হচ্ছে স্টুডেন্ট লাইফে কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয়।
আমি জানি এই কথাগুলো অনেকের ভাল লাগবে না ।
স্টুডেন্ট লাইফে আমাদের অনেকেই ইনকামের দরকার হয়ে থাকে।
সেটি ফ্যামিলিগত কারণেই হোক অথবা নিজের কোন শখ পূরণের কারণেই হোক অথবা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
এখন আপনি যদি গুগল অথবা ইউটিউবে সার্চ করেন যে কিভাবে স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করা যায়? তাহলে আপনি অনেক ভিডিও পাবেন।
কিন্তু এই ভিডিওগুলোতে যে তথ্য দেওয়া রয়েছে সেখানে আপনি কিভাবে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন সেগুলোর ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে শুধুমাত্র।
কিন্তু স্টুডেন্ট লাইফে কোন কাজটি করা উচিত আর কোন কাজটি করা উচিত নয় এ ব্যাপারে কোন ভিডিও অন্তত আমার চোখে পড়েনি।
বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত
অনেক কারণ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করতে পারবেন।
বাট সমস্যা হয়েছে সেই কাজগুলো করার ফলে আপনার ক্যারিয়ার কিন্তু হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আমার অনেক কাজ হয়েছে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ারপুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
এখন স্টুডেন্ট লাইফের সামান্য ইনকাম করার কারণে আমরা পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তো আপনার এই কাজ করা কোনোভাবেই উচিত না।
ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না
নরমালি আপনি স্টুডেন্ট লাইফে কি কিভাবে ইনকাম করতে পারেনঃ
অনেক রাস্তা রয়েছে স্টুডেন্ট লাইফ ইনকামের মধ্যে মধ্যে যেটি একেবারেই কমন সেটি হচ্ছে টিউশন করা।
এখন এটি হতে পারে আপনি প্রাইভেট টিউটরের অথবা কোনো কোচিং সেন্টারের টিউটার অথবা আপনি নিজে কোন কোচিং সেন্টার শুরু করতে পারেন।
আবার আপনি কোন স্কিল বেজড কোন ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং এর কাজ করতে পারেন।
মডার্ন টেকনোলজির এই যুগে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে কিন্তু আপনি অনেক অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কিন্তু অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। যেমন ডাটা এন্ট্রি,ওয়েব রিসার্চ এর কাজ রয়েছে,সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ রয়েছে।
আপনি যেই সাবজেক্ট এ পড়াশোনা করেন না কেন সেই সাবজেক্ট এর কিন্তু কাজ রয়েছে।
নেক্সট যে কাজটি আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে প্যাসিভ ধরনের কোন কাজ।
সেটি ব্লগিং হতে পারে,ইউটিউবিং হতে পারে,সেটি পার্টটাইম রাইটিং হতে পারে,পার্টটাইম কোন একটি কনসালটেন্সির কাজ হতে পারে।
এরকম ধরনের কাজ কিন্তু আপনি স্টুডেন্ট লাইফে করতে পারেন।
এর বাইরে আপনি আরেকটি ধরনের কাজ করতে পারেন যেটা আমাদের দেশে বর্তমানে হাইপ রয়েছে।
সেটি হচ্ছে এই স্টুডেন্ট লাইফে আপনি স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন।
বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!
সবগুলো কাজই কি আপনার জন্য প্রযোজ্য?
এই সবগুলো কাজের মধ্যে আবার অনেক সাব ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলো কি আপনার জন্যও প্রযোজ্য হবে?
এ ব্যপারগুলো চলুন আমরা একটু আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করি,
যাতে করে আপনার ক্যারিয়ার কোনভাবেই হুমকির মুখে না পড়ে।
ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি ?
পড়াশুনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কাজ করবেন নাঃ
স্টুডেন্ট লাইফে যখন আপনার অর্থের ইনকাম হবে তখন আপনার প্রথমেই আপনার মাথা থেকে এটা ঝেরে ফেলতে হবে যে,
আপনি এমন কোন কাজ করবেন না যেটাতে আপনার পড়াশোনা হ্যাম্পার হয়। আপনার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আমি এমন অনেক স্টুডেন্টকে দেখেছি যারা হয়তো গুগোল ফেসবুকের মত টেক জায়ান্ট কোম্পানিতে অথবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য যোগ্য হয়ে উঠতে পারতো।
কিন্তু ভুল পথে ভুল কাজ করার কারণে স্টুডেন্ট লাইফের শেষ করে তারা বেকার হয়ে বসে আছে।
তারা ভালোমতো কোন চাকরিতে পর্যন্ত ঢুকতে পারছেন না।
অনেক স্টুডেন্টদের দেখেছি যারা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি গ্রাজুয়েশন যেই সাবজেক্টে শেষ করেছেন সেটি সুইচ করতে হয়েছে।
শুধুমাত্র তাদের এই গ্রাজুয়েশন চলাকালীন সময়ে ভুল কোন চাকরিতে ঢোকার জন্য ভুল কোন কাজ করার জন্য।
রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে
টিউশনি করানোঃ
এবার চলুন আমরা টিউশনি করার সাব-ক্যাটাগরি নিয়ে কথা বলি।
আপনি যদি হোম টিউটর হিসেবে অথবা কোন কোচিং সেন্টারে পার্ট টাইম টিচিং করেন সেটি এ্যাবসল্যুটলী ফাইন।যদি আপনি করতে পারেন।
এতে করে আপনার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
শুধুমাত্র আপনি মাথায় রাখবেন এই যে পার্ট টাইম যেই কাজটি আপনি করছেন এটি যেন অনেক লম্বা সময় না নেয়া হয়ে যায়।
আপনি সবসময় ট্রাই করবেন আপনার মিনিমাম যে অর্থটা ইনকাম হবে তার জন্যই আপনি ততটুকু আপনি টিউশন করবেন এবং আপনি কোচিং সেন্টারের পার্টটাইম চাকরি করতে পারেন
এই ব্যাপারটি কিন্তু পার্টটাইম জবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমাদের দেশে অনেকে স্টুডেন্ট আছে যারা পার্ট টাইম জব করে থাকেন।
এক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে যে পার্ট টাইম জব যেন অনেক ক্লান্তি না হয়ে যায়।
এটি যেন আপনার পড়াশোনা কে কোন ভাবেই হেম্পার না করে।
ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?
অনালাইন কোচিংঃ
টিউশন এর আরেকটি সিস্টেম নতুন করে অ্যাড হয়েছেন ভিডিওতে অনলাইন টিউটোরিয়াল এবং অনলাইন ট্রেনিং।
অনলাইন টিউটরিং যদি আপনি করতে পারেন সেটা আপনি করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আগের মত সময় এর ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে।
রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?
নতুন করে স্কিলস অর্জনের দরকার নেইঃ
আর যদি আপনি স্কিলস বেজড কোন ট্রেনিং শুরু করেন অথবা স্পেশালাইজড কোন ট্রেনিং শুরু করেন টিউটর হিসেবে।
তাহলে এই স্কিলস যদি আপনার আগেই থাকে তাহলে সেটা ভালো।
আর যদি না থাকে তাহলে সেটি আপনি একবার করে তারপর যদি সেখানে শুরু করতে চান সেটি কিন্তু আপনার পড়াশোনা কে হ্যাম্পার করতে পারে।
আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!
স্টুডেন্ট লাইফে ফ্রিল্যান্সিংঃ
এবারে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কথা বলা যাক। স্টুডেন্ট লাইফের ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করাটা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়।
অনেক স্টুডেন্ট রয়েছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের পড়াশোনার ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন।
আমি নিজেও আমার গ্র্যাজুয়েশনের শুরুর দিকে কিন্তু আমি ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সার ছিলাম।
মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার গ্রাজুয়েশন প্রথম দিকে ছিলাম ফ্রিল্যান্সার এবং শেষের দিকে ছিলাম জব হোল্ডার।
এ কারণে দুইটি পজিশন থেকেই আমার দেখার সুযোগ হয়েছে যে এই লাইফটা আসলে কেমন।
ঠিক আই কারনেই আমি আপনাদেরকে একটা গাইডলাইন দিতে পারছি।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?
স্টুডেন্ট লাইফে ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ নাঃ
যদি আপনি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং করা উচিত না।
কারণ ফ্রিল্যান্সিং অনেক সময় চলে যায়,অনেক কেস দেখতে হয় এবং ফ্রিল্যান্সিং-এ অনেক সময় আপস ডাউন দেখা যায়।
যেগুলো পড়াশোনার জন্য খুবই ক্ষতিকর।
কারণ অনার্সের এই সময়টার কিন্তু আপনার নিজেকে তৈরি করার সময়,অনার্সের এই সময়টা কিন্তু আপনাকে শেখার সময়।
এই সময়টাতে যদি আপনি অন্য কাজে ইল্ভল্ভ হয়ে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করেন,তাহলে ক্যারিয়ারে আপনার জন্য ভালো করা অনেক অনেক বেশী কষ্টকর হয়ে যেতে পারে।
তার ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি এই স্টুডেন্ট লাইফে ফ্রিল্যান্সিং করাটা আপনার জন্য উপযুক্ত হবে না
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?
অহেতুক কাজে সময় নষ্ট করাঃ
আমি এরকম অনেক স্টুডেন্টকে দেখেছি বিশেষ করে কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট যারা দেখা যাচ্ছে যে ডেটা এন্ট্রি,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত কাজ করে প্রচুর সময় নষ্ট করছেন।
এখন ডাটা এন্ট্রি অথবা ওয়েব রিসার্চ এর কাজটা কিন্তু খারাপ নয় এটি কিন্তু অনেকের জন্য একটি জব না কিন্তু এইজে কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট আপনার জন্য কিন্তু এই কাজটি খারাপ।
এখন আপনি যদি বিবিএ পারেন অথবা আর্টস ফ্যাকাল্টির কোন প্রজেক্টে কাজ করেন সেই ক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রি অথবা ওয়েব রিসার্চ এর মত কাজের মাধ্যমে আপনার সময় নষ্ট করা উচিত হবে না।
কম খরচে কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে চান?
স্টুডেন্ট লাইফে সাবজেক্ট রিলেটেড স্কিলস এ ফ্রিল্যান্সিং করুনঃ
যদি আপনি একান্তই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এমন কোন ক্যাটাগরিতে ফ্রিল্যান্সিং করবেন যেটি আপনার পোর্টফোলিও কে ভারী করবে। যেটি আপনার সাবজেক্ট রিলেটেড।
লেটস সে আপনি একজন একাউন্টিং এর স্টুডেন্ট সেই ক্ষেত্রে আপনি একাউন্টিং রিলেটেড ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
আপনি হয়তো বলতে পারেন যে একাউন্টিং নিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং হয় নাকি আপনি একাউন্টিং হিসেবেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে করতে পারেন বা নাও করতে পারেন এবং আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী অন্য কোথাও করতে পারেন।
এভাবে আপনি যদি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হন তাহলে কিন্তু আপনার ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ রয়েছে।আপনাকে শুধুমাত্র একটু ঘুম থেকে উঠে খুঁজে বের করতে হবে।
তাই আপনি আগে স্টুডেন্ট লাফে ফ্রিল্যান্সিং প্রথমত এভোয়েড করার চেষ্টা করবেন। আর যদি করতেই হয় আপনার স্টাডি রিলেটেড কোন একটি কাজের ইল্ভল্ভড হতে পারেন ।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা বেসরকারি ইউনিভার্সিটি
কম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট দের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নয়ঃ
আর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট দের কোনভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝোকা উচিত নয়
কেন কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট দের ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাওয়া উচিত নয় এ ব্যাপারে আমার ইউটিউব চ্যানেল একটি বিস্তারিত ভিডিও রয়েছে। আপনারা চাইলে ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন।
অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে!
স্টুডেন্ট লাইফে ফুলটাইম জব করা উচিত নয়ঃ
স্টুডেন্ট লাইফে ফুলটাইম জব করা উচিত কিনা এ ব্যাপারে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন। আমার পরামর্শ হচ্ছে একেবারে প্রথম তিন বছর কোনভাবেই কোন ফুল টাইম জবে যাওয়া উচিৎ নয়।
মনে রাখবেন ফুল টাইম জবের কিন্তু আপনার দিনের সিংহভাগ সময় সেখানে অপচয় করতে হবে।
এবং এই সিংহভাগ সময় ব্যয় করার পরে আপনার জন্য কিন্তু স্টাডি করা বেশ কঠিন হবে আর একটু আগেই বলেছি অনার্সে সময়টা হচ্ছে আপনাকে বিল্ট করার সময়।
তাই এই সময় কোন ভাবেই অন্য কোন কাজে ব্যয় করা উচিত নয়।
শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?
ডিপ্লোমা কমপ্লিট স্টুডেন্ট দের জন্য ফুল টাইম জবঃ
তবে আপনি যদি কোন সাবজেক্টে ডিপ্লোমা কমপ্লিট হয়ে থাকে অথবা স্পেশালাইজড কোন ট্রেনিং সম্পন্ন করে থাকেন,
এবং আপনি যদি ইভিনিং কোন করছে সুযোগ পান সেই ক্ষেত্রে আপনি ফুলটাইম জব করলেও করতে পারেন তবে এটি কোনোভাবেই রিকমেন্ডেড নয়।
কম্পিউটার সায়েন্স এ ভার্সিটি ম্যাটার করে?
স্টুডেন্ট লাইফে প্যাসিভ আরনিং এর চেষ্টা করাঃ
স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করার সহজ উপায় হচ্ছে প্যাসিভ আর্নিং করা।
এই ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি ব্লগিং করতে পারেন,আপনি ইউটিউবে করতে পারেন,আপনি ফেসবুকে কনটেন্ট নির্মাণ করতে পারেন।
এই রকম আরো অনেক কিছু হয়েছে যেগুলো আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
তবে ব্লগ ইউটিউবিউং এসইও মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং করা এগুলোর সঙ্গে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের রিলেটেড কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে যাওয়া যাবে না।
আপনি নিজের জন্য একটি সাইট বের করুন নিজের জন্য নিজের ওয়েবসাইটে আপন নিজে এস ই ও করুন।নিজের সাইটে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং প্র্যাকটিস করুন।
এটি আপনাকে কিন্তু অনেক হেল্প করবে একসাথে আপনার পড়াশোনা ও কিন্তু হ্যাম্পার করবে না।
কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে ম্যাথ,ইংরেজি নিয়ে চিন্তিত!
প্যাসিভ আর্নিং এ গেলে সময় লাগবেঃ
এখন যখন আপনি প্যাসিভ আর্নিং এর দিকে যাবেন শুরুতে একটু সময় লাগবে।
সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের স্টুডেন্টরা একেবারে ইনস্ট্যান্ট সব কিছু চায় যে কারণে তারা ইনস্ট্যান্ট ডাটা এন্ট্রির এর মতো কাজে যুক্ত হয় এবং পরিশেষে তারা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলেন।
কিন্তু যদি আপনার একান্তই অর্থের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি একটু সময় নিয়ে প্যাসিভ আর্নিং এর জন্য একটা সাইট তৈরি করে ফেলুন অথবা একাধিক সাইটে আপনি ব্লগিং করুন।
শুরুতে একটু সময় লাগলেও এই সাইট গুলো যখন আপনার জন্য রেভিনিউ জেনারেট করবে তখন কিন্তু ইন ফিউচার আপনাকে অনেকের সাহায্য করা শুরু করবে।
আবার এর পাশাপাশি কিন্তু আপনি আপনার পড়াশোনাটাও ঠিকঠাক করতে পারবেন।
আবার এমনও হতে পারে যে আপনি যে প্যাসিভ আর্নিং এর জন্য যে ওয়েবসাইটি তৈরি করবেন এর পাশাপাশি প্যাসিভ আর্নিং এর কোনো একটি কাজে ইনভলভেদ দেখা গেলো,
আপনি বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকলেন অথবা বেশ কিছুদিন আপনার পরীক্ষার জন্য গ্যাপ হয়ে গেলেও সেটি কিন্তু আপনার ইনকামে কোনভাবেই হ্যাম্পার করবে না।
তাহলে কিন্তু আপনার স্টাডি ও ঠিক থাকছে এবং অন্যদিকে আপনার ইনকাম এর সোর্স ঠিক থাকছে।
সেই জন্য আমি সবসময় স্টুডেন্টদের জন্য রিকমেন্ডেড করে থাকি প্যাসিভ আর্নিং এর জন্য চেষ্টা করার জন্য
অন্যদিকে স্টুডেন্টরা কেন জানি সব সময়ই এই পরামর্শ তাই এভয়েড করে থাকে।
স্টুডেন্ট লাইফে স্টার্টআপ শুরু করবেন কিনাঃ
স্টুডেন্ট লাইফের স্টার্টাপের কাজ করা উচিত কিনা এই ব্যাপারে একটা লম্বা লেকচার দিতে হবে। স্টার্টআপ নিয়ে আমাদের চ্যানেলে একটি বিস্তারিত ভিডিও রয়েছে।
সেই ভিডিওতে আপনাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চাইলে আমার চ্যানেলে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
স্টুডেন্ট লাইফে স্টার্টআপ শুরু করা উচিৎ?
স্টার্টাপের যে পজেটিভ সাইটগুলি রয়েছে এবং নেগেটিভ সাইটগুলি রয়েছে। কোন স্টুডেন্ট এর জন্য স্টার্টআপ করা উচিত? এবং পাশাপাশি কাদের জন্য করা উচিত নয়?
স্টুডেন্ট লাইফে যেকোনে কাজে যা মাথায় রাখবেনঃ
স্টুডেন্ট লাইফে কোন একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আপনি সবসময় কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন।
সেই কাজটি কি কোন ভাবে আপনার পোর্টফোলিও ভারী করছে? আপনাকে এক্সপেরিয়েন্স দিচ্ছে? সেই কাজের ব্যাপারে কি আপনি প্রাউড?
সেই কাজের ব্যাপারে কি আপনি সবার সঙ্গে ডিসকাস করতে পারছেন?
সেখান থেকে যে আউটকাম আপনি পাচ্ছেন,লার্নিং করছেন সেটি আপনাকে রিয়েল লাইফে কোন কাজে আসছে কিনা?
যেকোনো কাজে যুক্ত হওয়ার আগে আপনি এই প্রশ্নগুলো নিজেকে করবেন। তারপরে সেই কাজটি যদি আপনারা যুক্ত হন তাহলে আপনার সেই কাজটি বেনেফিশিয়াল হতে পারে।
স্টুডেন্ট লাইফে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর না হওয়াঃ
স্টুডেন্ট লাইফে কয়েকটি কাজ কোনভাবেই করা উচিত নয় সেই কাজগুলো আমি জানি অনেকের পছন্দ হবে না।
সেটি হচ্ছে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর,ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এই টাইপের কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত নয়।
বিশেষ করে আমাদের দেশে এখন যেই ট্রেন্ড চলছে সেখানে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোনভাবেই বেনেফিশিয়াল হতে পারবেন না,রেদার আমি মনে করি আপনার সময় নষ্ট হবে।
স্টুডেন্ট লাইফে আনপেইড ইন্টার্নশিপ এ যুক্ত হবেন নাঃ
স্টুডেন্ট লাইফে আনপেইড ইন্টার্নশিপ না করার জন্য আমি সবসময়ই ডিসকারেজ করে থাকি।
তবে যদি খুব ভালো রেপুটেড কোম্পানিতে অন সাইট জব হয়ে থাকে তাহলে সেটি আপনি আন পেইড হলেও করতে পারেন।
এ ব্যাপারে আপনি অবশ্যই আপনার সিনিয়রদের সাথে কথা বলে যোগাযোগ করে কথা বলে নেবেন যে এখানে আসলে শেখার কোন সুযোগ আছে কিনা।
এখানে চ্যালেঞ্জিং অথবা প্রবলেম সল্ভিং ইনভারমেন্ট যে থাকে সেটি আছে কিনা।
তবে এই স্টুডেন্ট লাইফে কোন ভাবে ভার্চুয়াল ইন্টার্নশিপ অথবা আনপেইড ইন্টার্নশিপ এগুলোর সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত নয়। এগুলো থেকে আপনি কোনোভাবেই কোনো কিছু শিখতে পারবেন না।
গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড এর পেছনে সময় নষ্ট না করাঃ
স্টুডেন্ট লাইফে আর একটি কাজ কোন স্টুডেন্টের কখনোই করা উচিত নয় যদিও এটি আর্নিং এর সঙ্গে রিলেটেড নয় তারপরেও এটি একটি প্র হ্যাবিটেট।
এই কাজটি করার মাধ্যমে আপনি কখনই আপনার ক্যারিয়ারে কোন ভ্যালু এড করতে পারবেন না।
আর এই কাজটি হচ্ছে আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড এর প্রজেক্ট করে দেওয়া।
এখন অনেক স্টুডেন্ট কে দেখেছি অ্যাসাইনমেন্ট করে দেয়,প্রজেক্ট করে দেওয়ার মাধ্যমে মনে করেন তারা খুব ভালো একটি কাজ করছেন। তারা খুব ভালো একটি পার্ট টাইম জব করে ফেলছেন।
বাস্তবতা হচ্ছে যে আপনার যেই পার্টনার তার নিজের কাজে স্টুডেন্ট লাইফে করছে না অন্যকে দিয়ে করাচ্ছে সে ফিউচারে কিভাবে আপনার কেয়ার করবে।
ডেফিনেটলি কখনোই করবেনা বরং সে পল্টি মেরে এক সময়ে বলবে আমি তো রাজি না উনারা জোর করে আমাকে অন্যখানে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে।
এভাবেই গ্রাজুয়েশন শেষ হতে হতে কিন্তু সে আপনার থেকে দূরে সরে যাবে।
আমি এরকম দেখেছি যে অনেক স্টুডেন্ট গ্রাজুয়েশন শেষ হতে হতে ১৪ ক্রেডিট এর ক্লাস করে কিন্তু আলটিমেটলি তাদের ২৮ ক্রেডিটের কাজ করতে হয়।
দেখা যাচ্ছে যে তাদের প্রজেক্ট করতে বলছে দুইবার,অ্যাসাইনমেন্ট করতে হচ্ছে দুইবার। পরীক্ষার সময় প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে দুই বার। কারণ তার নিজের পরীক্ষা এবং একইসাথে তার গার্লফ্রেন্ডের পরীক্ষা।
তো এই অবস্থায় আপনাকে ক্যারিয়ার কিন্তু ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
আপনি এজ এ পারসন আপনার কিন্তু একটা লিমিটেশন রয়েছে। এক সেমেস্টার এ কিন্তু আপনি কখনোই ২৮ ক্রেডিট করতে পারবেন না।
তো আলটিমেটলি কি হবে আপনি আপনার পার্টনার এর কাজ করে দেওয়ার ফলে আপনার পার্টনারের পড়াশোনা ভালো হবে কিন্তু আপনার পরাশুনা দারুণভাবে হ্যাম্পার হবে।
যেটি ইন ফিউচার আপনার ক্যারিয়ারের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড এর পেছনে সময় নষ্ট করার ফিউচার কিঃ
এরকম অনেক ছেলে মেয়ে দেখেছি একসময় এসে বলবে যে,আমি তো রাজি না আমার বাবা-মা আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে।
ভাই আপনি যদি রাজি না হন তাহলে কিভাবে আপনার বাবা-মা আপনাকে বিয়ে দিয়ে দেয়?
এটি শুধুমাত্র একটি বোগাছ এক্সকিউজ ছাড়া কিছুই নয়, কোন কোন ক্ষেত্রে ফেয়ারলি হয়তবা এটি হতে পারে। তবে ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে কিন্তু ছেলে মেয়েরা রাজি না হলে কিন্তু বাবা মা কখনো বিয়ে দিতে পারেনা।
অথচ ওই ছেলে মেয়েরা যারা কিনা এক বছর,দুই বছর,তিন বছর একসঙ্গে থাকলো। এভাবে শেষ পর্যায়ে এসে লেইম এক্সকিউজ দিয়ে চলে যাবে। আপনার কিন্তু তখন কিছুই করার থাকবেনা।
তাই আপনি যদি স্টুডেন্ট হন কখনোই আপনার পার্টনারের আপনার গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডের অ্যাসাইনমেন্ট প্রজেক্ট করে দিবেন না।
এটি কিন্তু আপনার ক্যারিয়ারের অথবা পার্সোনাল লাইফে কোন জায়গায় কখনোই হেল্প করবেনা।
স্টুডেন্ট লাইফে কি ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত ইনকামের জন্য এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্লগ ছিল এই পর্যন্তই।
এর পর যদি আপনাদের কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।