কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তির আগে যা যা বিবেচনা করা উচিৎ তা নিয়ে আমি প্রায় ই কথা বলে থাকি।

আজকের এই ব্লগে আপনার লাইফে আপনার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্যতম সহায়ক একটি আলোচনা হতে পারে।

এইচএসসি এর পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাচ্ছেন  অথবা আপনার পরিবারের কাউকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি করতে যাচ্ছেন?

তাহলে আজকের ব্লগ আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

আপনার লাইফে অথবা আপনার পরিবারের কারো ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই ব্লগটি আপনাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সহায়তা করতে পারো।

তবে আপনাদেরকে বলে রাখি এটি একটি নেগেটিভ টাইপ ব্লগ,পাশাপাশি এটি একটি ডিমটিভেটিভ টাইপের ব্লগ হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত

তবে এখানে যে তথ্যগুলো দেয়া থাকবে সেটি রিয়েল তথ্যঃ

কম্পিউটার সায়েন্স পড়াশোনা করার জন্য কি কি কারণ রয়েছে?কি কি উপকার রয়েছে অথবা ফিউচার কি হবে সেগুলো নিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানলে অনেক ভিডিও পাবেন।

তবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করার জন্য কি কি সর্তকতা রয়েছে? কিকি নেগেটিভ দিক রয়েছে সে ব্যাপারে আপনারা খুব একটা ভিডিও পাবেন না। 

কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তির আগে কমনসেন্স থাকা জরুরীঃ

ইঞ্জিনিয়ারিং অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো বুঝতে হলে অথবা যেগুলো জানতে হলে আপনার খুবই ভালো কমনসেন্স থাকতে হবে।

জাভা প্রোগ্রামিং এর ফিউচার কি অথবা পিএসপি কি আসলেই ডেড নাকি পিএইচপির ফিউচার রয়েছে এরকম অনেক অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

এগুলো বুঝতে হলে আপনার কমন সেন্স অত্যন্ত জরুরী। 

আর এই বিষয়গুলো কিন্তু আপনি বই-পুস্তকে এ ঘেটেও পাবেন না। সিনিয়র দের কাছ থেকেও পাবেন না। আপনার নিজে থেকেই এগুলো বুঝে নিতে হবে।

যদি আপনার কমনসেন্স না থাকার পরেও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি হন তাহলে এই যে বিষয়গুলো আমি অলরেডি পয়েন্ট আউট করেছি,

এগুলো বুঝতে বুঝতে আপনার কয় সেমিস্টার চলে যাবে এবং আপনার কয়েকটি রিটেক জমে যাবে।

এক্ষেত্রে দেখা যাবে আপনি কিন্তু অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাবেন।

যেখান থেকে ফিরে আসা অথবা আপনার জন্য ব্যালেন্স করা কিন্তু অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।

অনেকে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হতে চান অথবা কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াশোনা করতে চান অথবা কম্পিউটার সায়েন্স ক্যারিয়ারে অনেক কিছু নিয়ে হতাশায় রয়েছেন।

তাদের জন্য আমি একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলেছি যে গ্রুপের লিংক দেয়া থাকবে এখানে। সেখান থেকে জয়েন করলে আপনি আমাকে সরাসরি কোশ্চনস করতে পারবেন। 

আর আপনার প্রশ্ন থেকে আপনার উপকার হতে পারে আপনার বন্ধুদের উপকার হতে পারে।

আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স যখন আপনি ভর্তি হবেন তখন আপনার সিনিয়রদের কে খুঁজতে হবে কারা আসলে আপনার উপকার করবে কারা আসলে আপনার উপকার করবে না।

প্রজেক্টে যখন আপনারা প্রজেক্ট মেইল করবেন তখন আপনার কমন সেন্সের দরকার হবে।

এর বাইরে কোর্স টিচার্স সিলেকশনের সময়,কম্পিউটার সায়েন্স মেজর সিলেকশন সহ অনেক কাজ রয়েছে যেখানে কমনসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কমনসেন্স আছে কিনা এই কথাটি কিন্তু একটু ইন্সাল্টিং মনে হতে পারে।

কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা এই বিষয়গুলো সহজে বুঝতে পারেন না।

আর যদি আপনি এই বিষয়গুলো বুঝতে না পারেন তাহলে এই যে আপনার লিমিটেশন রয়েছে এটি এক্সেপ্ট করতে হবে।

এবং একসেপ্ট করার পরে আপনার কোনভাবেই কম্পিউটার সায়েন্স এর মত সাবজেক্টে ভর্তি হওয়া উচিত হবে না।

ফ্রেশার হিসাবে যে ভুল কখনো করবেন না

কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তির আগে সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হতে হবেঃ

কম্পিউটার সায়েন্স এর ভর্তির ক্ষেত্রে দুই নাম্বার পয়েন্টে এটি আপনাকে বিবেচনা করতে হবে সেটি হচ্ছে সেলফ ডিপেন্ডেন্ট।

একটি বাস্তব সত্য কথা হচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্সের যখন আপনি ভর্তি হবেন তখন বেশিরভাগ জিনিস আপনাকে নিজে থেকে একা একাই শিখতে হবে।

না আপনার কোর্সটি স্যার আপনাকে শেখাবে না আপনার মেট আপনাকে শেখাবে না আপনার সিনিয়র আপনাকে শিখাবে।

বেশিরভাগ সময়ে প্রোগ্রামিং সহ অন্যান্য যে ইম্পরট্যান্ট কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগ সময় আপনাকে একা একাই ঘুরে এখান থেকে ওখান থেকে বা ব্লগ পড়ে অথবা রিসার্চ পেপার পড়ে আপনাকে শিখতে হবে।

আপনার মাথায় রাখতে হবে যে আপনি অনার্স লাইফে এসে শুধুমাত্র টিউটোরিয়াল এর উপর ডিপেন্ড করতে পারবেন না।

আবার আপনার যারা সিনিয়র রয়েছে তারাও আপনাকে খুব বেশি হেল্প করতে পারবে না কারণ তারা নিজেরাও বিভিন্ন ধরনের স্টার্টআপে জড়িত থাকবে।

তাদের নিজেদের প্রজেক্ট থাকতে পারে,থিসিস থাকতে পারে,বাইরে যাওয়ার চিন্তা থাকতে পারে নানাবিধ কারণে সিনিয়র রা কিন্তু আপনাকে খুব একটা সময় দিতে পারবেন না।

যদি আপনি সেলফ ডিপেন্ডেন্ট পারছন না হয়ে তার পরেও কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয় তাহলে আপনি একসময় বাঁশের চিপায় পড়বেন এবং পাশাপাশি বাঁশ খাবেন।

এটি অনেকটাই নিশ্চিত এবং এভাবে চলতে চলতে একসময় হয়তো আপনার কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েশন শেষ হবে,

কিন্তু বাস্তবতা আদতে আপনি কোন কিছু শিখবেন না সে কারণে আপনি বেকার গ্রাজুয়েট হিসেবে বেকার গ্রাজুয়েটদের খাতায় নাম লেখাবেন।

বড়লোক হতে চাইলে যা যা করা লাগবে!

ম্যাথম্যাটিকেল প্রবলেম সল্ভঃ

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির ক্ষেত্রে তিন নাম্বারে যেটি আপনি বিবেচনা করবেন সেটি হচ্ছে আপনার ম্যাথমেটিক্যাল স্কিলস।

কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে যদি আপনি  লিড করতে চান,কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে যদি আপনি ভালো করতে চান তাহলে প্রবলেম সলভিং এর কোন বিকল্প নেই। 

আর যে কোন প্রকার প্রবলেম সলভ করার জন্য যদি আপনি সেটি কম্পিউটারের ভাষায় প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে করতে চান তাহলে ম্যাথমেটিক্স এর স্কিলস থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এখানে আপনাকে বলে রাখি যে ম্যাথমেটিক্স সাবজেক্টে রেজাল্ট ভালো করার ম্যাথমেটিক্স বুঝতে পারা ম্যাথমেটিক্স ইনজয় করা কিন্তু ডিফারেন্ট

যদি আপনি ম্যাথমেটিক্স ভালো না করার পরেও কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হন তাহলে ফার্স্ট সেমিস্টার যেতে না যেতেই দেখবেন আপনার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভালো লাগছে না,

এবং কম্পিউটার সায়েন্স আপনি তখনই ছেড়ে দিতে চাইবেন।

দেখা যায় আমাদের দেশে অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা কম্পিউটার সায়েন্স গ্রাজুয়েশন করার পরেও সুইচ করে এর অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে তারা যেহেতু ম্যাথমেটিক্স ইনজয় করে না,

ম্যাথমেটিক্স বুঝতে পারেনা সেই কারণে তারা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ইনজয় করে না। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ইনজয় করে না এবং একসময় তারা ডিসাইড করে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পরে তারা জবস সুইচ করবে।

তারা ক্যারিয়ার সুইচ করবে এবং ফাইনালি তারা যখন কোনমতে কম্পিউটার সায়েন্স গ্রাজুয়েশন শেষ করে তারা কিন্তু কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রি থেকে সুইচ করে চলে যায়।

ডিপ্লোমা পাশ করে গুগলে চাকরি ?

কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তির আগে নিজের মধ্য জিদ থাকা জরুরীঃ

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির ক্ষেত্রে ৪ নম্বর পয়েন্ট যদি আমরা বিবেচনা করি সেটি হচ্ছে জিদ।

আপনার যদি জিদ না থাকে,আপনার যদি কাজ করার প্রতি সক্ষমতা না থাকে তাহলে কোন মতেই আপনার কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হওয়া উচিত নয়।

এখন আপনি যখন কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হবেন আপনার আশেপাশের বেশ কয়েক প্রকারের মানুষ দেখতে পারবেন।

কেউ কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক বড়লোক হয়ে যাচ্ছে,কেউ কেউ কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং করে অনেক উপরের দিকে যাচ্ছে,কেউ কেউ স্টার্টআপ দিয়ে ফান্ডিং ম্যানেজ করে ফেলছেন।

এখন এই অবস্থায় আপনার যদি  জিদ না থাকে আপনার কাজের প্রতি যদি একাগ্রতা না থাকে অথবা আপনি যদি আপনার রাইট ট্র্যাকে আপনার জিদ ধরে না রাখতে পারেন,

আপনি যদি নিজের ট্রাকে দিনের-পর-দিন কাজ না করেন যদি আপনি কনফিউজড হয়ে যান ভালো কিন্তু আপনি কোনোভাবেই কম্পিউটার সায়েন্সে ভালো করতে পারবেন না।

দেখা যাবে আজ হয়তো আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের চেষ্টা করছেন,কাল স্টার্টাপের জন্য ট্রাই করছেন এবং পরশুদিন হয়তো দেখা যাবে আপনি জবের পেছনে ছুটছেন।

কোনটাই আপনার ভালোভাবে হবে না তা তাই যদি আপনার জিদ না থাকে তাহলে কোন ভাবে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হওয়া উচিত না।

রেফারেন্স ছাড়াই নন ট্র্যাডিশনালি চাকরি পাবেন যেভাবে

সেকেন্ড টাইম এডমিশনঃ

সেকেন্ড টাইম মেডিকেল এডমিশন টেস্ট বিবেচনা করতে পারেন পাঁচ নাম্বার পয়েন্টে এসে।

আমাদের দেশে অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা দুই বছর যাবত মেডিকেল টেস্টের এডমিশনের জন্য চেষ্টা করেছে।

এবং তারপরে যদি কোন কারনে মেডিকেলে চান্স না পায় তখন কম্পিউটার সায়েন্স এসে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়।

যদি আপনি এই ক্যাটাগরির পারসন হয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার জন্য এই সিদ্ধান্তটি সঠিক সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে।

কারণ যখন আমি দুই বছর যাবত মেডিকেলের জন্য চেষ্টা করছেন দুইটি কাজ আপনি এখানে করছেন,

প্রথমত কাজ হচ্ছে মেডিকেলের জন্য যখন আপনি প্রিপারেশন নিচ্ছেন তখন কিন্তু ম্যাথমেটিক্স থাকে অথবা এরকম প্রবলেম সলভিং থেকে অনেক দূরে আপনি সরে যাচ্ছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এ সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট কোনটি?

দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে আপনি যখন মেডিকেলের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন মেন্টালি এবং সাইকোলজিক্যালি আপনি কিন্তু  এই যে ম্যাথমেটিক্স অথবা প্রবলেম সলভিং এর জায়গা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

আপনার বায়োলজি অথবা লাইফ সায়েন্স রিলেটেড এই টপিক গুলো রয়েছে সেইটা  টপিক বেশি ইন্টারেস্টেড হয়ে  যাচ্ছেন।

এরপরে যখন আপনি হুট করে কম্পিউটার সায়েন্স এর মত সাবজেক্টে প্রবলেম সলভিং ডিমান্ড সাবজেক্টে ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন তখন কিন্তু তখন কিন্তু আপনার পুরোপুরি কোন ১৮০ ডিগ্রি দিকে বেঁকে যেতে হবে।

 যেটি ওই অবস্থায় আপনার জন্য  খুব একটা সহজ সাধ্য বিষয় নয়।

তাই আপনি যদি কোনো কারণে সেকেন্ড টাইম এডমিশন টেস্ট দেওয়ার পরে ব্যর্থ হন তাহলে আপনার উচিত হবে লাইফ সায়েন্স রিলেটেড কোন একটি সাবজেক্টে ভর্তি হওয়া।

সেটি আপনার জন্য অনেক বেশি  মঙ্গল এর কারণ হতে পারে।

রিমোট জব কি ভালো নাকি খারাপ?

কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তির আগে নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবেঃ

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভর্তির ক্ষেত্রে ছয় নাম্বার পয়েন্ট হিসেবে আপনার বিবেচনা করতে হবে ক্রিয়েটিভিটি।

যদি আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটিভিটি না থাকে,নতুন কিছু ইনভেন্ট করতে না পারেন,আপনি ইমাজিন না করতে পারেন তাহলে কোন ভাবে কম্পিউটার সায়েন্স আপনার জন্য নয়।

পাশাপাশি অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিতে কি হয় যখন কেউ বাড়ি বানাতে চায় তখন সে কিন্তু আগের ফর্মুলাটি ফলো করে।

যখন কেউ কোনো নতুন আরকিটেক ডিজাইন করতে চায় সে কিন্তু তার আগের ফর্মুলা গুলো ব্যবহার করে থাকে বেশিরভাগ সময়ে।

কিন্তু যখন আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথা চিন্তা করবেন এখানে কিন্তু কপি করে কোনভাবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভালো করা যায় না।

আমাদের এত বেকার কেন? জাভাস্ক্রিপ্ট চাকরি!

যদি আপনি দেখেন মার্কেটে কোন একটি সফটওয়্যার খুব ভালো পারফরম্যান্স করছে এখন আপনি যদি সেরকম একটি সফটওয়্যার বানিয়ে মার্কেটে আসতে চান,

তাহলে আপনি কোনোভাবেই বই মার্কেট ধরতে পারবেন না। আপনাকে ক্রিয়েটি আইটি সলিউশন নিয়ে আসতে হবে।

একটিভেটর সলিউশন নিয়ে আসতে হবে তাহলেই কেবলমাত্র আপনি সফটওয়্যার মার্কেট ধরতে পারবেন।

আর তাই যদি আপনার ক্রিয়েটিভিটি না থাকে,আপনি ইমাজিন না করতে পারেন,যদি আপনি ফিউচার থিংকিং করতে না পারেন

তাহলে কোনোভাবেই কম্পিউটার সায়েন্স আপনার ভালো করার সম্ভাবনা নেই

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো নাকি বিএসই?

আপনার ধৈর্য শক্তি আছে কিনা বিবেচনা করুনঃ

কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হতে সাত নম্বর পয়েন্ট বিবেচনা করবেন যে আপনার ধৈর্য শক্তি আছে কিনা।

কম্পিউটার সায়েন্স কিন্তু যেকোনো বিষয়ে যদি আপনি কাজ করতে চান। একটা প্রবলেম সলভ করতে চান আপনার সময় লাগবে।

একটা প্রজেক্ট ডেভলপমেন্ট করতে চান আপনার সময় লাগবে। একটা সফটওয়্যার আপনি মার্কেটিং করতে চান আপনার সময় লাগবে।

যখন আপনার ফ্রেন্ডরা চিল করবে অথবা আপনার ফ্রেন্ডরা ঘুরে বেড়াবে

তখন কিন্তু আপনাকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে দিনের পর দিন বসে থাকতে হবে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জব খেয়ে দিবে?

যখন আপনার ফ্রেন্ডরা খুব ভালো কিছু করে ফেলবে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে তখন,

কিন্তু আপনার নিজের জন্য অনেক বেশি লম্বা সময় ইনভেস্ট করতে হবে।

লম্বা সময় ইনভেস্ট করার পরেও কিন্তু আপনি সবসময় সাকসেস করতে পারবেন না,

সবসময় কিন্তু আপনি আপনার প্রবলেমটা সমাধান করতে সক্ষম হবেন না।

আপনার কিন্তু  রিপিটেডলি ইরর আসতে পারে। এইযে রিপিটেডলি এই ইরর আসবে,

এটা একসেপ্ট করার মত সময় এবং ধৈর্য দুটি আপনার থাকতে হবে।

যদি না থাকে তাহলে কম্পিউটার সায়েন্স ভালো করার সম্ভাবনা আপনার একেবারেই নেই।

কম খরচে কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে চান?

ভর্তির আগে দেখুন আপনি ফিক্সড লাইফ লিড করতে চান কিনাঃ

কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হতে ৮ নম্বর পয়েন্ট হচ্ছে যদি আপনি ফিক্সড লাইফ স্টাইল লিড করেন,

তাহলে কম্পিউটার সায়েন্স আপনার জন্য নয়,এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে।

যখন আপনি ভর্তি হবেন তখন কিন্তু প্রতিনিয়ত এই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

এমন কি যখন আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং করবেন তখন কিন্তু আপনাকে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রবলেম সলভ করতে হবে।

এ কারণে যারা চ্যালেঞ্জিং লাইফ পছন্দ করেন,অ্যাডভেঞ্চারাস লাইফ পছন্দ করে তারা কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই ভালো করতে পারে ।

আপনি যদি ফিক্সড লাইফ চান,প্রবলেম সলভ করতে না পারেন,

আপনি যদি নতুন কিছু শিখতে না চান তাহলে কম্পিউটার সায়েন্স আপনার জন্য ভালো করার সম্ভাবনা নেই।

ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা বেসরকারি ইউনিভার্সিটি

কম্পিউটার সায়েন্স এ কিন্তু ফেসবুক আইডি হ্যাকিং শেখাবে নাঃ

যদি আপনি মনে করেন যে কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তি হলেই আপনি ফেসবুক হ্যাক করতে পারবেন।

নয় নম্বর পয়েন্টে এসে তাহলে আপনার কোন ভাবেই কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি হওয়া উচিত হবে না।

কম্পিউটার সায়েন্সের চার বছর কালীন গ্রাজুয়েট করার সময়ে কেউই আপনাকে ফেসবুক হ্যাক করা শেখাবে না।

কম্পিউটার সিকিউরিটির কোর্স রয়েছে কিন্তু সেখানেও কিন্তু সরাসরি আপনাকে কিভাবে ফেসবুক হ্যাক করতে হয় সেটি সেখাবে না

বোনাস পয়েন্ট হিসাবে আপনি যখন কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হবেন আপনি নিজে তো আপনার ফেসবুক আইডি সেফ রাখতে পারবেন না উল্টা,

আপনার বন্ধুরা প্রতিনিয়ত ও তাদের ফেসবুক আইডি এবং তাদের গার্লফ্রেন্ড এর ফেসবুক আইডি  হ্যাক করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে যাবে।

এই পিন্স আপনাকে সহ্য করতে যেতে হবে।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি পাওয়া যায় যেভাবে!

শুধু টেক ইন্ডাস্ট্রীতে চাকরি করতে চাইলে কম্পিউটার সায়েন্স এ আসবেন নাঃ

বোনাস হতে যদি আপনি একজন ডেভলপার হতে চান অথবা টেক ইন্ডাস্ট্রীতে চাকরী করতে চান,ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজ অথবা এরকম আরো কাছে রয়েছে এইচটিএমএল ডেভলপার রয়েছে।

আমি কোন ভাবে তাদেরকে ছোট করছি না কিন্তু আপনি যদি এরকম কোন স্কিলস এর জন্য কম্পিউটার সায়েন্স পড়তে চান তাহলে কোন ভাবে আপনার কম্পিউটার সায়েন্স আসা উচিত হবে না।

কম্পিউটার সায়েন্স এর মত এরকম বিদঘুটে কঠিন সাবজেক্ট অনেকের ভাষ্যমতে এরকম একটি সাবজেক্টে চার বছর কষ্ট করে পড়ার দরকার নেই।

যদি আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে চান,ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ট্রেনিং বছর খানেক চেষ্টা করেন তাহলে,

বেশ ভালোভাবেই ওয়েব ডেভলপার হতে পারবেন এবং বেশ ভালো জব আপনি পেয়ে যেতে পারেন।

শিখবেন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে?

কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে নেগেটিভ কথা তো অনেক হল এবার একটু পজিটিভ বলা যায়ঃ

কম্পিউটার সায়েন্স কিন্তু অসাধারণ একটি সাবজেক্ট এবং ক্রিয়েটিভ একটি সাবজেক্ট এবং ডেফিনেটলি ওয়ান অফ দা বেস্ট । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স সাবজেক্ট সবার জন্য নয়।

এখন যদি আপনার কম্পিউটার সায়েন্স এর প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থেকে থাকে এরপরে ওই যে নয়টি পয়েন্ট আউট আমি করলাম এরকম কোন ল্যাগ থেকে থাকে তাহলে আপনি কি করবেন?

কম্পিউটার সায়েন্স এ ভার্সিটি ম্যাটার করে?

এতকিছুর পরেও কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তি হতে চাইলেঃ

সেই ক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ  হবে ওই উপরের ল্যাগগুলো ওভারকাম করা। যখন আপনি এই ল্যাগিংসটা ওভারকাম করতে পারবেন তখন আপনি কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হতে পারেন।

যেমন ধরেন যেহেতু আপনার ম্যাথমেটিক্স প্রবলেম রয়েছে এক্ষেত্রে অলরেডি আমার একটি ভিডিও রয়েছে আবার ইউটিউব চ্যানেলে সেটি দেখে আসতে পারেন।

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে ম্যাথ,ইংরেজি নিয়ে চিন্তিত!

কিভাবে আপনি ম্যাথমেটিক্স এর প্রবলেম রয়েছে সেটি সমাধান করবেন,ম্যাথমেটিক্স একইভাবে আপনি স্কিলস ডেভেলপমেন্ট করবেন সেটা নিয়ে ভিডিও রয়েছে। 

এর বাইরে যে কোন পয়েন্টে যদি আপনার সমস্যা থাকে সেটি নিয়ে একটু গুগলে ঘাটাঘাটি করলে কিন্তু আপনি এক পর্যায়ে সে সমাধান পেয়ে যাবেন। 

তারপরও যদি আপনাদের কোন সমস্যা থেকে থাকে অথবা কোন সমস্যার সমাধান দরকার হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। 

0Shares
বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত Previous post বাংলাদেশে ওয়েব ডেভেলপার দের বেতন কত
স্টুডেন্ট লাইফে স্টার্টআপ শুরু করা উচিৎ? Next post স্টুডেন্ট লাইফে স্টার্টআপ শুরু করা উচিৎ?

One thought on “কম্পিউটার সায়েন্স ভর্তির আগে যা যা বিবেচনা করা উচিৎ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Close

গালিব নোটস এর ইউটিউব ভিডিওঃ